Quoteযখনই ভেঙ্কাইয়াজিকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি স্বভাবসিদ্ধ নৈপুণ্যের সঙ্গে তা পালন করেছেন: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteদেশের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সমানভাবে মেশার বিরল গুণাবলী রয়েছে শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর। এছাড়া তিনি একজন শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteভেঙ্কাইয়াজি সবসময় দায়িত্ব নির্বাহের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে সেই পদের উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন: প্রধানমন্ত্রী
Quoteভেঙ্কাইয়াজি মন থেকে একজন কৃষক। কৃষক এবং কৃষি ক্ষেত্র নিয়েই তিনি সমর্পিত থাকেন: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteভেঙ্কাইয়া নাইডুজি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনাকে সর্বাধিক কার্যকরি প্রকল্পে পরিণত করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী মোদী

অনেকেই ভেঙ্কাইয়াজিকে যে কারণে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তাঁর দীর্ঘকালীন স্বভাবের বাইরে গিয়ে নতুন কাজে সাফল্যের জন্য। আমি যখন সংসদ ভবনে তাঁকে দেখি, অনেক সময়েই তাঁকে যে ধৈর্য ও সংযমের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠতে হয় – আমি মনে করি, সেই ভূমিকা সফলভাবে পালন করে তিনি অনেক বড় কাজ করেছেন। অধিবেশন ঠিকঠাক চললে সভাপতির আসনে কে বসে আছেন, সেদিকে কারও নজর যায় না। তাঁর কতটা ক্ষমতা, কী বৈশিষ্ট্য – সেটা গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে সংসদ সদস্যদের সামর্থ্য এবং তাঁদের ভাবনাচিন্তাই গুরুত্ব পায়। কিন্তু যখন অধিবেশন ঠিকভাবে চলে না, তখন সবার নজর ঐ সভাপতির আসনে কে বসে আছেন, সেদিকেই চলে যায়। তিনি কেমন নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা-পরায়ণতা পালন করে কিভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত এক বছরে দেশবাসীর তাঁকে এই সভাপতির আসনে দেখার সুযোগ হয়েছে। আর আমরা এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে লালিত-পালিত হয়েছি, যেমন – আমি যখন রাষ্ট্রীয় সচিব ছিলাম, অন্ধ্রপ্রদেশের মহাসচিব থাকার সময়ে আমাকে যখন রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি ভেঙ্কাইয়াজির সাহায্যে একজন মহাসচিব রূপে কাজ করছিলাম, এর দায়িত্ব অনেক। পদের গুরুত্ব থেকে কার্যভার বেশি ছিল আর তা নিয়েই ভেঙ্কাইয়াজি সফলভাবে কাজ করে গেছেন।

 

এখনই বলা হয়েছে যে, ভেঙ্কাইয়াজি গত এক বছরে দেশের একটি ছাড়া সমস্ত রাজ্যে সফর করেছেন। যে রাজ্যে যাননি, এমন নয় যে, সে রাজ্যে কোনও কর্মসূচি ছিল না। নির্ধারিত দিনে আবহাওয়া খারাপ ছিল তাই হেলিকপ্টার যেতে পারেনি। না হলে তিনি সে রাজ্যেও যেতেন। আমরা সংসদের কাজ সেরে বেরিয়ে হয়তো ভাবলাম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি কথা বলি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই শুনি, তিনি ততক্ষণে কেরালা, তামিলনাডু কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশ পৌঁছে গেছেন। অর্থাৎ যেদিন থেকে দায়িত্ব পেয়েছেন, সেদিন থেকেই ঐ দায়িত্ব নির্বাহের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে সেই পদের উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন। ফলস্বরূপ, যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন। ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন কম নয়। প্রথম ১০ বছরের রাজনৈতিক জীবন ছাত্র হিসাবে সংঘ সেবক রূপে আর ৪০ বছর সরাসরি রাজনৈতিক জীবন। এই দীর্ঘ কার্যকালে তিনি নিজে অনেক কিছু শিখেছেন, সঙ্গীদেরও অনেক কিছু শিখিয়েছেন। আমরা দীর্ঘকাল তাঁর সঙ্গে কাজ করছি, কখনও কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করলে তাঁকে চেনা মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু যখন সবার কাছ থেকে শুনি, আমাদের পরিচিত পরিচিত বন্ধুর এতটা সামর্থ্য ও অমুক গুণ রয়েছে, তখন এত গর্ব ও আনন্দ হয় যে, এতদিন এই মহাপুরুষের সঙ্গে কাজ করেছি।

|

ভেঙ্কাইয়াজি খুবই নিয়মনিষ্ঠ মানুষ। আর আমাদের দেশে এখন এমন পরিস্থিতি যে, নিয়মনিষ্ঠাকে অগণতান্ত্রিক বলে দেওয়া খুব সহজ। যিনি সামান্য নিয়মনিষ্ঠা দেখাবেন, তিনিই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁকে স্বৈরতান্ত্রিক বলে দেওয়া হবে, আরও অনেক শব্দ তাঁদের অভিধানে আছে। কিন্তু ভেঙ্কাইয়াজি যে নিয়মনিষ্ঠায় আগ্রহী, সেই নিয়মগুলি তিনি নিজের ক্ষেত্রেও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। তাঁর সঙ্গে কোথাও সফরে গেলে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। তাঁর কাছে কখনও ঘড়ি, কলম এসব জিনিস থাকে না। অধিকাংশ সময়ে তাঁর পকেটে কোনও টাকাও থাকে না। এর মানে, আপনি তাঁর সঙ্গে গেলে এসব জিনিস আপনার মনে করে সঙ্গে রাখতে হবে। অথচ, তিনি এতটাই নিয়মনিষ্ঠ ও সময়ানুবর্তী যে, কোথাও দেরীতে পৌঁছন না, কোনও কাজ দেরীতে করা পছন্দ করেন না। কখনও কোনও অনুষ্ঠানে দেরী হয়ে গেলে তিনি মঞ্চে বসে পরবর্তী অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য এমন ছটফট করবেন যে বাধ্য হয়ে অন্যদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে হয়। অর্থাৎ নিয়মানুবর্তিতা তাঁর স্বভাবে রয়েছে। আর সেজন্য যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন, সর্বদাই দূরদৃষ্টি নিয়ে রোডম্যাপ, কর্মপদ্ধতি ও কৌশল ঠিক করে সেজন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ যোগাড় করে যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে কাজটিকে সফল করে তুলেছেন।

 

প্রথমবার যখন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন, শ্রদ্ধেয় অটলজি তাঁকে একটি বিশেষ বিভাগের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতের জনপ্রতিনিধি ভেঙ্কাইয়াজি বরাবরই ইংরেজিতে খুব ভালো, সুবক্তা; সেজন্য তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ভেঙ্কাইয়াজি জানতে পেয়ে আমার কাছে ছুটে আসেন। আমি তখন মহাসচিব ছিলাম। এসে বলেন, ভাই, আমাকে ফাঁসাচ্ছো কেন? এটা আমার কাজ নয়। আমি জিজ্ঞেস করি, আপনি কী করতে চান? তিনি বলেন, আমাকে এই বড় বিভাগ দেবেন না। আমাকে গ্রামীণ বিকাশ দিন, আমি সেখানে জান লড়িয়ে দেব। আমি বললাম, যান অটলজিকে গিয়ে বলুন। আর আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, তিনি সরাসরি অটলজিকে গিয়ে বললেন, আমি স্বভাব, বৃত্তি ও প্রবৃত্তিতে কৃষক। কৃষকদের জন্য কিছু করতে পারলে আমি নিজেকে ধন্য ভাববো। সেজন্য মন্ত্রীত্ব যদি দিতেই হয়, আমাকে গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রক দিন। ফলস্বরূপ, তিনি একটি ইতিহাস রচনা করলেন। একটু আগেই যেমন অরুণজি বলছিলেন, ভেঙ্কাইয়াজি প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনাকে সর্বাধিক কার্যকরি প্রকল্পে পরিণত করেছিলেন। তারপর থেকে সমস্ত সংসদ সদস্য সরকারের কাছে সবার আগে যে দাবি জানায়, তা হল তাঁর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার বরাদ্দ। একটা সময় ছিল, যখন সবাই তাঁর সংসদীয় অঞ্চলে রেল স্টেশনের জন্য দাবি করত। সেখান থেকে সাংসদদের অগ্রাধিকার পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার দিকে আগ্রহী করে তোলার কৃতিত্ব যদি কাউকে দিতে হয়, তা ভেঙ্কাইয়াজিকেই দিতে হবে। তেমনই গ্রামে গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য তিনি যে পরিশ্রম করেছেন, তা অতুলনীয়। আজও যখন সংসদের অধিবেশনে এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা প্রতিহত হয়, তখন তিনি সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হন, তাঁর মনে হয়, আরে বিদেশ নীতি সম্পর্কে আলোচনা এক-আধ দিন না হলেও চলবে, কিন্তু যখন গ্রাম ও কৃষক নিয়ে আলোচনার হওয়ার কথা, তখন কেন সংসদ অচল করা হবে? তাঁর ভেতরে এই যে অস্থিরতা, তা দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য তাঁর মনের তীব্র আকাঙ্খা-প্রসূত।

|

বক্তা হিসাবে যাঁরা তাঁর তেলেগু বক্তৃতা শুনেছেন, তাঁরা জানেন যে, আজ অব্দি কেউ তাঁর মতো গতিতে বলতে পারেননি। আপনাদের মনে হবে যে, নিজেরা লোকাল ট্রেনে বসে আছেন, আর তিনি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চালিয়ে যাচ্ছেন। এত দ্রুত বলার জন্য চিন্তার যোগান কোথা থেকে পান, তা ভেবে আশ্চর্য হতে হয়! আর অত্যন্ত সাবলীলভাবে তিনি অন্তঃমিল দিয়ে ছন্দে কথা বলতে ভালোবাসেন। রাজনৈতিক ভাষণে এতটা বলেন না। কিন্তু যখন আমাদের সাংগঠনিক বৈঠক হয়, সেখানে অধিকাংশ সময়েই তিনি ছন্দে কথা বলেন। এর প্রভাব আপনারা সংসদ ভবনেও দেখতে পেয়েছেন। আমি তাঁর এক বছর কার্যকালের সমস্ত হিসাব দেশের সামনে তুলে ধরার জন্য যে টিম কাজ করেছে, তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি স্বীকার করি যে, এই তথ্য সংকলন এহেন একটি উঁচু পদকে কিভাবে সমাজের উপকারে লাগানো যায়, এতে কতটা অভিনবত্ব আনা যায়, কতটা গতি প্রদান করা যায় এবং এসবের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে কিভাবে সাহায্য করা যায়, তার প্রমাণ এই বইটিতে গ্রন্থিত হয়েছে।

 

এটা দেখে মনে হতে পারে যে, উপ-রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের এক বছরের কার্যকালের বর্ণনা। কিন্তু এটি একটি পারিবারিক অ্যালবামের মতো, যেখানে আমরা সবাই কোথাও না কোথাও রয়েছি, সাংসদরা রয়েছেন, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন আবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও রয়েছেন। দেশের দূরদূরান্তের রাজ্যগুলি রয়েছে, যাদের সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখার সতর্ক প্রচেষ্টা রয়েছে। এখান থেকেও একটি দর্শন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আমি ভেঙ্কাইয়াজিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর মনে যেমন ইচ্ছা রয়েছে, সংসদ খুব ভালোভাবে চলুক, সংসদের প্রতিটি আলোচনা অর্থবহ ও কার্যকরি হোক এবং দেশের কাজে লাগুক। তাঁর এই স্বপ্ন; আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর লাগাতার প্রচেষ্টায় এই স্বপ্নও সফল হবে। আমি ভেঙ্কাইয়াজিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Insurance sector sees record deals worth over Rs 38,000 crore in two weeks

Media Coverage

Insurance sector sees record deals worth over Rs 38,000 crore in two weeks
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM speaks with HM King Philippe of Belgium
March 27, 2025

The Prime Minister Shri Narendra Modi spoke with HM King Philippe of Belgium today. Shri Modi appreciated the recent Belgian Economic Mission to India led by HRH Princess Astrid. Both leaders discussed deepening the strong bilateral ties, boosting trade & investment, and advancing collaboration in innovation & sustainability.

In a post on X, he said:

“It was a pleasure to speak with HM King Philippe of Belgium. Appreciated the recent Belgian Economic Mission to India led by HRH Princess Astrid. We discussed deepening our strong bilateral ties, boosting trade & investment, and advancing collaboration in innovation & sustainability.

@MonarchieBe”