The nation is proud of the IITs & what IIT graduates have achieved. The success of IITs led to the creation of engineering colleges around the country: PM
IITs have become 'India's Instrument of Transformation': PM Modi
Innovations and Enterprise are going to be the foundation stone for making India a developed economy: PM Modi
Innovation is the buzz-word of 21st century. Any society that does not innovate will stagnate: PM Modi
We must make India the most attractive destination for innovation & enterprise: PM
Innovate in India, Innovate for humanity: PM Modi's appeal to students
Focus on aspirations, set high targets: PM Modi tells students

আজ ১১ই আগস্ট। ১১০ বছর আগে দেশের স্বাধীনতার জন্য আজকেরই দিনে ক্ষুদিরাম বসু মাতৃভূমির জন্য নিজের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন। আমি সেই বীর বিপ্লবীকে প্রণাম জানাচ্ছি। দেশের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার জন্য যাঁরা প্রান দিয়েছেন, নিজেদের সমস্ত কিছু বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা অমর হয়ে গেছেন। অনুপ্রেরণার প্রতিমূর্তি হয়ে গেছেন|কিন্তু আমরা, স্বাধীনতার জন্য জীবন দানের সৌভাগ্য অর্জন না করলেও এই সৌভাগ্য তো আমাদের হয়েছে যে আমরা স্বাধীন ভারতের জন্য বেঁচে থাকতে পারছি। আমাদের এই জীবনযাপনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকে এর নতুন নির্মিতির জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার অবকাশ গড়ে দিতে পারি। আজ আমি নিজের সামনে আপনাদের মধ্যে, আপনাদের মুখে যে উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখতে পাচ্ছি, সেটা এরকম আশ্বস্ত হওয়ার মত যে, আমরা ঠিক পথেই এগিয়ে চলেছি।

বন্ধুগণ,

আইআইটি বম্বে স্বাধীন ভারতের সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল, যেগুলি প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ গড়ায় নতুন দিশা দেখানোর জন্য ভাবা হয়েছিল। বিগত ষাট ধরে আপনারা নিজেদের সেই অভিযানেই নিয়োজিত রেখেছেন। ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠান আজ১০ হাজার জন শিক্ষার্থীতে পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে আপনারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির তালিকায় নিজেদের জায়গাও করে নিয়েছেন।এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের হীরক জয়ন্তী উদযাপন করছে। ডায়মন্ড জুবিলি। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন, এর সমস্ত হীরেরা, যাঁরা আমার সামনে বসে আছেন, সফল শিক্ষা সম্পাদনের স্বীকৃতি পেতে চলেছেন, আর এখান থেকে স্বীকৃতি পেয়ে গোটা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছেন। আজ এই উপলক্ষে আমি সবার আগে ডিগ্রি-প্রাপক দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীদের, এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনকে হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজ এখানে ডঃ রমেশ ওয়াধওয়ানিজীকে ডক্টর অব সায়েন্স উপাধিও প্রদান করা হয়েছে। ডঃ ওয়াধওয়ানিকেও আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। রমেশজী প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের জীবনের প্রয়োজনের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি দেশের তরুণদের জন্য উপার্জনের অবকাশ তৈরী করা, দক্ষতা, উদ্ভাবন ও উদ্যোগ গড়ে তোলার পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটা আপনাদের সবার জন্যও গর্বের বিষয় যে, এখান থেকে শিক্ষা সম্পন্ন হওয়া ওয়াধওয়ানিজীর মত অনেকে আজ দেশের উন্নতিতে নিজেদের সক্রিয় অবদান রেখে চলেছেন। বিগত ছয় দশকের নিরলস প্রয়াসের ফলেই দেশের বাছাই করা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘আইআইটি বম্বে’ নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আর এই মাত্র আপনাদের জানানো হলো যে, আপনারা ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেতে চলেছেন, যা আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোগত বিকাশের কাজে লাগবে। এজন্যই আমি আপনাদের এবং আপনাদের গোটা টিমকে অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

দেশ আইআইটি সমূহ এবং আইআইটি-র স্নাতকরা যে সাফল্য পেয়েছেন, তার জন্য গর্বিত। আইআইটি-গুলির সাফল্যই দেশে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে। সেগুলি আইআইটি-গুলির অনুপ্রেরণাতেই গড়ে উঠেছে। এভাবেই ভারতও বিশ্বের বৃহত্তম কারিগরি জনশক্তির সেতু হয়ে উঠেছে। আইআইটি-গুলিই বিশ্বায়িত ব্র্যান্ড ভারত গড়ে তুলেছে। তারা বহু বছরে এটা সম্ভব করেছে।আইআইটি স্নাতকরা আমেরিকা গিয়ে সেখানকার উৎকর্ষ বাড়িয়েছেন : প্রথমে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এবং পরে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে, স্ব-উদ্যোগী হিসেবে, দায়িত্ব নির্বাহী হিসেবে আর শিক্ষাবিদ হিসেবেও বটে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ইঁটের ওপরে ইঁট বসানোর বা বলা যায়, ক্লিক-ক্লিক মাউজ টিপে যাওয়ার ব্যবস্থাকেই সহজলভ্য করেছেন বৃহৎ সংখ্যার আইআইটি শিক্ষার্থীরা। আগে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ভারতীয়দের বিবেচনা করা হত কঠোর পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান হিসেবে, কিন্তু তা মূলত অন্য দেশগুলিতে, মূলত আমেরিকায়। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে ভারতই এখন লক্ষ্যস্থল হয়ে উঠেছেএবং আজ, ভারতের সেরা স্টার্ট-আপগুলোর বেশ কয়েকটিতে আইআইটি-র স্নাতকরা সামনের সারিতে আছেন। এই স্টার্ট-আপগুলিও আবার বেশ কিছু জাতীয় সমস্যা নিরসনের প্রশ্নে সামনের সারিতে আছে। তাঁদের জন্য বলছি, যাঁরা স্টার্ট-আপ আন্দোলনে কাজ করছেন বা একটার পর একটা কলেজ খোলার পরিকল্পনা করছেন, দয়া করে মনে রাখবেন, বিগত দিনের স্টার্ট-আপগুলিই আজকের দিনের বৃহত্তম উদ্যোগ হয়ে উঠেছে। সেগুলি হ’ল – আদর্শবাদের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মেল-বন্ধন। এটাকেই ধরে রাখুন, ছেড়ে দেবেন না, তবেই আপনি সাফল্য পাবেন।

আপনারা ভাগ্যবান যে মুম্বাইয়ের মত নগরীতে এরকম একটা ক্যাম্পাসে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের একদিকে জলাশয় অন্যদিকে পাহাড়ও আছে। সময়ে-সময়ে হয়ত আপনারা কুমির ও চিতাবাঘের সঙ্গে সময় কাটান এই ক্যাম্পাসে। এখন আগস্ট মাস, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, আপনারা আজ স্বপ্নিল মেজাজে আছেন। আমি এটাও ঠিক জানি, এখানে বিগত চার বছরে আপনারা অনবদ্য শিক্ষা-অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন।

এমন অনেক কিছুই ফিরে দেখার এবং মনে ধরে রাখার জন্য আছে, কলেজের উৎসব,আন্তঃ-আবাসন খেলাধূলা,শিক্ষার্থী-শিক্ষক সমন্বয়।কিছু পড়াশুনোর কথাও কি আমি উল্লেখ করেছি? মানে, যা আপনারা দেশের সেরা শিক্ষার ব্যবস্থাপনায় থেকে করার সুযোগ পেয়েছেন।এখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তো দেশের বৈচিত্র্যকেই তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন ভাষা, ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এখানে এসে আপনারা জ্ঞান ও শিক্ষার অঙ্গণে একাকার হয়ে গেছেন।

বন্ধুগণ,

আইআইটি বম্বে সেই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অবস্থান করছে, যারা নতুন ভারতে নতুন প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ করছে। আগামী দু’দশকে অগ্রগতি কতদূর এবং কিভাবে হবে, তা নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তিই ঠিক করবে। এতে আপনাদের এই প্রতিষ্ঠান, এই আইআইটি-র ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। তা সে ফাইভ-জি ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি হোক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা হোক, ব্লক চেন টেকনোলজি হোক, বৃহৎ তথ্য বিশ্লেষণ হোক, অথবা মেশিন লার্নিং, এসব সেই প্রকৌশল যা, আগামী দিনে স্মার্ট উৎপাদন এবং স্মার্ট সিটি-র ভাবনা-চিন্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সামনে আসতে চলেছে।

আর খানিকক্ষণ বাদে যে নতুন ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন হবে, তা-ও সেই লক্ষ্যেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। শক্তি বিজ্ঞান ও কারিগরিবিভাগ এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও কারিগরি কেন্দ্র এই নতুন ভবনে সক্রিয় হয়ে উঠবে। এটা দেখা যাচ্ছে যে, শক্তি ও পরিবেশ আজ দেশ ও দুনিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যার ক্ষেত্র হিসেবে সামনে আসছে, এর মধ্যে আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে এই দুই বিষয়ের গবেষণায় উন্নততর পরিসর গর্বে উঠবে।

আমাকে বলা হয়েছে যে, এই ভবনটিতে একটি সৌর গবেষণাগারও গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৌর শক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় সুবিধে হবে। সৌরশক্তি ছাড়াও আগামী দিনে জৈবজ্বালানিও পরিচ্ছন্ন শক্তির এক বিরাট বড় উৎস হয়ে উঠতে চলেছে। আমি গতকাল দিল্লিতে বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উপলক্ষে বলেছিলাম যে, এর সঙ্গে জুড়ে থাকা প্রযুক্তি নিয়ে ছোট থেকে বড় সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো হোক,গবেষণা হোক।

বন্ধুগণ,

আইআইটিকে দেশ ও গোটা দুনিয়া ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হিসেবে জানে। কিন্তু বর্তমানে, আমাদের জন্য এর পরিভাষা সামান্য বদলে গেছে। এটা আর এখন শুধু প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ানোর এক ঠিকানাই নয়, বরং আইআইটি আজ ইন্ডিয়াজ ইনস্ট্রুমেন্ট অব ট্রান্সফরমেশন, ভারতের রূপান্তরণের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আমরা যখন রূপান্তরণের কথা বলি, স্টার্ট-আপের যে নতুন বিপ্লবের দিকে দেশ পা বাড়িয়েছে,এরই এক বিরাট বড় উৎস আমাদের আইআইটি। আজ গোটা বিশ্ব আইআইটি-গুলিকে  ইউনিকর্ন স্টার্ট-আপের পরিচর্যা ক্ষেত্র হিসেবে মেনে নিচ্ছে। অর্থাৎ তা এমন স্টার্ট-আপ, যা, ভারতে শুরু হচ্ছে এবং আগামী দিনে যা, বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যবান হয়ে ওঠার সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। একে একদিক থেকে প্রকৌশলগত আয়না বলা যেতে পারে, যা দিয়ে দুনিয়ার ভবিষ্যৎ দেখা যায়।

বন্ধুগণ,

আজ গোটা দুনিয়ায় যত বিলিয়ন ডলারের স্টার্ট-আপ উদ্যোগ রয়েছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ডজন আছে, যেগুলো আইআইটি থেকে পাশ করা লোকজন গড়ে তুলেছেন। আজ আমার সামনে এরকমই অনেক ইউনিকর্ন প্রতিষ্ঠাতাদের দেখতে পাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

ভারতকে বিকশিত অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্ভাবন ও স্ব-উদ্যোগই ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠতে চলেছে। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই এক দীর্ঘমেয়াদী প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক বিকাশ সম্ভব হবে।

এই কারণেই আমরা স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ও অটল উদ্ভাবন মিশনের মত অভিযান শুরু করেছি, যার ফসল এখন পাওয়া যেতে শুরু করেছে। আজ স্টার্ট-আপের জগতে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সহায়ক পরিসরের ঠিকানা। দেশে ১০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপকে পরিচর্যা করা হচ্ছে এবং আর্থিক তহবিলেরও ব্যাপক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আজ উদ্ভাবন সূচকের শীর্ষ তালিকায় আমরা ক্রমাগত অপরের দিকে উঠে আসছি। এর অর্থ এটাই যে, শিক্ষা থেকে পরিবেশ পর্যন্ত আমাদের যে সর্বাত্মক প্রয়াস, তার সুফল আজ দুনিয়ার সামনে চলে আসছে। দেশে বিজ্ঞানভিত্তিক মানসিকতা শক্তিশালী করা,গবেষণার পরিবেশ তৈরির জন্য উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো তৈরির জন্য বিশেষ মনযোগ দেওয়া হয়েছে।

একবিংশ শতাব্দীর মূল গুঞ্জনধ্বনি হচ্ছে, উদ্ভাবন। কোনো সমাজের উদ্ভাবনী শক্তি না থাকলে একে থমকে যেতে হবে। ভারত যখন স্টার্ট-আপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে, দেখা যাচ্ছে এখানে খুবই বেশি মাত্রায় উদ্ভাবনের জন্য আকুতি ছড়ানো আছে। আমাদের অবশ্যই একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভারতকে উদ্ভাবন ও স্বউদ্যোগের সবচেয়ে আকর্ষনীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু তা শুধু একা সরকারের প্রয়াসে হবে না। এটা সম্ভব করতে হবে আপনাদের মত নবীন শক্তির মাধ্যমে। সেরা ভাবনা-চিন্তাগুলি কিন্তু সরকারী ভবন বা ঝাঁ-চকচকে অফিসে আসে না। সেগুলি আপনাদের ক্যাম্পাসের মত জায়গায়, আপনাদের মত নবীনদের মাথাতেই আসে।

আপনাদের এবং অন্য অনেক আপনাদেরই মত তরুনদের প্রতি আমার আবেদন,ভারতে উদ্ভাবন করুন, মানব সমাজ ও সভ্যতার জন্য উদ্ভাবন করুন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব কমিয়ে উন্নততর কৃষি ফলন নিশ্চিত করা,পরিচ্ছন্ন শক্তি থেকে জল সংরক্ষণ, অপুষ্টি মোকাবিলা থেকে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চলুন আমরা নিশ্চিত করি যে, সেরা ভাবনা-চিন্তাগুলি আমাদের কাছে আসবে ভারতীয় গবেষনাগার ও ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আমাদের দিক থেকে ভারতে গবেষনা ও উদ্ভাবনকে উদ্দীপ্ত করতে সম্ভাব্য সমস্ত প্রয়াসই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিগত চার বছরে ৭টি নতুন আইআইটি, ৭টি নতুন আইআইএম, ২টি আইআইএসইআর এবং ১১টি ট্রিপলআইটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের জন্য আরআইএসই মানে শিক্ষার পরিকাঠামো ও পদ্ধতি পুনরুজ্জীবনের কর্মকান্ড শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় আগামী চার বছরে এক লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠান, নতুন পরিকাঠামো জরুরি, কিন্তু তার চেয়েও জরুরি, সেখান থেকে তৈরী হওয়া সুদক্ষ শক্তি। সরকার এদিকটাতেও নজর দিচ্ছে।

বন্ধুগণ,

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৭ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু কেউ কেউ শুধু ডিগ্রী নিয়েই বেরিয়ে আসেন,তাঁদের মধ্যে দক্ষতার বিকাশ তেমনটা হতে পারে না। আমি এখানে উপস্থিত শিক্ষকদের, বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, এই বিষয়ে ভাবুন, কিভাবে গুনগত উন্নতি নিশ্চিত করা যায়, সে ব্যাপারে প্রস্তাব নিয়ে আসুন। শুধু পরিমানই নয়, গুণমানও যেন উঁচু মাত্রার হয়,তা নিশ্চিত করা আপনাদের সবার আমাদের সবার সমবেত দায়িত্ব। এজন্য সরকার কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আপনারা হয়ত জানেন, সরকার প্রধানমন্ত্রী’র রিসার্চ ফেলো প্রকল্প চালু করেছে। এর আওতায় প্রতি বছর,সারা দেশের এক হাজার মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীকে গবেষণার জন্য সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়াও এতে নির্বাচিত ছাত্রদের পিএইচডি-র জন্য,আইআইটি এবং আইআইএসসি-র মত প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এই ফেলোশিপ আপনাকে দেশে থেকেই সমস্ত রকমের সুবিধের সুযোগ দিয়ে থাকে। আইআইটি বম্বে-র ছাত্র-ছাত্রীদেরও এর সুযোগ নেওয়া উচিৎ।     

বন্ধুগণ,

এখানে যতজন বসে আছেন, তাঁদের কেউ শিক্ষক, অথবা ভবিষ্যতের নেতৃত্বকারী। আগামী দিনে দেশের জন্য বা কোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতি তৈরির কাজে যুক্ত হবেন। আপনারা যেমন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্টার্ট-আপের জন্য নিজেদের তৈরী করছেন, এক্ষেত্রে কি করবেন, কেমন করে করবেন,এজন্য আপনাদের একটা সুনিশ্চিত দৃষ্টিভঙ্গিও নিশ্চই থাকবে। পুরনো পন্থা-পদ্ধতি ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়।সমাজ ও সরকারি ব্যবস্থাতেও নানা সমস্যা। ভাবুন, হাজার বছরের অভ্যেস, পদ্ধতি, পাল্টানো কত কঠিন। কিন্তু আপনার ভাবনা আত্মনিবেদিত, উদ্বুদ্ধ ও প্রত্যাশাপূর্ণ হলে আপনি সমস্ত বাধা পেরিয়ে সফল হতে পারেন। আজকে সরকার আপনাদের সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা মাথায় রেখেই কাজ করছে। আপনাদের আমি অনুরোধ জানাব, অসাফল্যের দুর্ভাবনায় আটকে না থেকে প্রত্যাশার জায়গায় মনসংযোগ করুন, উঁচু লক্ষ্য, উঁচু ভাবনা আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে, কিন্তু অনিশ্চয়তার দুর্ভাবনায় ডুবে থাকলে আপনার প্রতিভাকে এক আবর্তের মধ্যেই ঘুরে ফিরতে হবে।

বন্ধুগণ,

শুধু আকাজ্ক্ষাই নয়, লক্ষ্যও স্থির রাখতে হয়। আপনাদের মধ্যে যাঁরা আজ বেরিয়ে যাচ্ছেন বা আগামীদিনে পাশ করে বেরোবেন, আপনারা সবাই কোনো না কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হবেন। কোন প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি রচনা করবেন। আমি আশাবাদী আপনারা দেশের প্রয়োজন, দেশবাসীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাজ করবেন। এমন অনেক সমস্যা আছে যেগুলো আপনারা নিজেরা খুঁজে বের করে সমাধান করবেন।

বন্ধুগণ,

১২৫ কোটি দেশবাসীর জীবনকে সহজ করার জন্য সবার সমস্ত ভাবনা-পরামর্শের পাশে দাঁড়ানো, আপনাদের সঙ্গে চলার জন্য সরকার তৈরী আছে। এজন্য আমি যখনই শিক্ষার্থী বিজ্ঞানী সহ এরকম মানুষজনের সান্নিধ্যে আসি, কথা বলি, তাতে,নগর-ভিত্তিক ক্লাস্টারস্‌ অব সায়েন্স বিষয়ে অবশ্যই কথা বলি। উদ্দেশ্য একটাই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন একে অপরের সমস্যা সম্পর্কে জানুন, প্রয়োজনের বিষয়ে অবহিত হন। এই আইআইটি বম্বে-র মত প্রতিষ্ঠানকেই দেখুন, আমাকে বলা হয়েছে, গ্রেটার মুম্বাইতে প্রায় ৮০০ কলেজ ও প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ তরুণ-তরুনী এগুলিতে পড়াশুনো করছেন। আজ যখন আমরা সমাবর্তনের জন্য এখানে জড়ো হয়েছি, যে প্রতিষ্ঠানটি হীরক জয়ন্তী পালন করছে, এই উপলক্ষে আমি আপনাদের এক সংকল্পের সঙ্গে জুড়ে নিতে চাই, বলুন তো, আইআইটি বম্বে নগর ভিত্তিক উৎকর্ষ কেন্দ্রের মধ্যমনি হয়ে উঠতে পারবে কিনা? 

বন্ধুগণ,

আপনারা খুব ভালই জানেন যে, সরকার আইন করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর মত প্রতিষ্ঠানকে আরও স্বায়ত্ত্বশাসনের ক্ষমতা প্রদান করেছে। সরকার এই বিষয়েও জোর দিয়েছে, যাতে,আইআইএম থেকে পাশ করে বেরোনো শিক্ষার্থী-প্রাক্তনীরা এধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিতে আরও বেশি সক্রিয় অবদান রাখেন। আইআইএম-এর বোর্ড অব ডিরেক্টরস্‌-এও এঁদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, আইআইটির মত প্রতিষ্ঠানেও নিজেদের প্রাক্তনিদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে এধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহনের ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করা যেতেই পারে। এতে প্রাক্তনিদেরও নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু করার সুযোগ আসবে। আমার সামনে বসা শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের প্রাক্তনী। আপনারাও বোধহয় একমত হবেন যে, প্রাক্তনীরা এমন শক্তির উৎস,যা নাকি প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি শুনেছি, শুধুমাত্র আইআইটি বম্বেরই ৫০ হাজারের বেশি প্রাক্তনী আছেন।তাঁদের জ্ঞান ও  অভিজ্ঞতার বিশাল সুবিধে আপনাদের পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বন্ধুগণ,

আজ যে ডিগ্রী আপনারা পেয়েছেন, তা আপনাদের আত্মনিবেদন, নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকারই প্রতীক। মনে রাখবেন, এটা শুধুমাত্র, অগ্রগতির একটা ধাপ মাত্র, বাইরে আপনাদের জন্য আসল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে। আজ আপনারা যা অর্জন করেছেন এবং আগামীতে যা করতে চলেছেন, এতে আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং ১২৫ কোটি ভারতবাসীর প্রত্যাশা জুড়ে আছে। আপনারা যা করতে চলেছেন, তাতে দেশের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ যেমন গড়ে উঠবে একইসঙ্গে নতুন ভারতও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। 

কোটি কোটি মানুষের আশা পূরণে আপনারা সফল হোন, এজন্য আরও একবার আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনাদের সবার মাঝখানে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.