জমিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমানে ভারত রিমোট সেন্সিং এবং মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
এক ফোঁটা জলে বেশি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। একইসঙ্গে, প্রাকৃতিকভাবে কৃষিকাজের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
পরিবেশ পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য এবং ভূমির অবনমন – এই তিনটি বিষয়ে আরও বেশি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার বাতাবরণ গড়ে তোলার প্রস্তাবে ভারত খুব আনন্দিত: প্রধানমন্ত্রী মোদী

রু প্রসার রোধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের চতুর্দশ আলোচনাচক্রে ভারতে আপনাদের সকলকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। কার্যনির্বাহী সচিব মিঃ ইব্রাহিম জিও-কে অনেক ধন্যবাদ ভারতে এই সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। জমির মানোন্নয়নে সারা পৃথিবীর অঙ্গীকার এই আলোচনাসভায় রেজিস্ট্রেশনের পরিমাণ থেকে বোঝা যায়।

দু’বছরের জন্য ভারত সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছে। এই সময়ে আমরা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবো। বন্ধুগণ, যুগ যুগ ধরে ভারত মাটিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে আমরা পৃথিবীকে পবিত্র হিসেবে গণ্য করি, মাতৃজ্ঞানে সম্মান করি।

সকালে আমরা উঠে যখন আমাদের পা পৃথিবীর বুকে ঠেকাই, আমরা –

‘ সমুদ্র বসনে দেবী পর্বত স্তন-মণ্ডলে।

বিষ্ণু পত্নী নমসো তুভয়ম্‌ পদ স্পর্শম ক্ষমাস্ব মে।।’

বন্ধুগণ, জলবায়ু এবং পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও ভূমির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এখন সবাই স্বীকার করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কু-প্রভাব পৃথিবীতে পড়ছে। ভূমিক্ষয় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্যে অনেক প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে ধূলিঝড় ও বালুঝড়ের জন্য ভূমির অবনমন হচ্ছে।

সুধী ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ, ভারত কনফারেন্স অফ পার্টিজ (সিওপি)-র তিনটি সম্মেলনের সবক’টি আয়োজন করেছে। এর থেকে রিও সম্মেলনের তিনটি প্রধান আলোচ্য বিষয়ের সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে।

পরিবেশ পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য এবং ভূমির অবনমন – এই তিনটি বিষয়ে আরও বেশি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার বাতাবরণ গড়ে তোলার প্রস্তাবে ভারত খুব আনন্দিত।

বন্ধুগণ, আপনারা শুনে আতঙ্কিত হবেন, পৃথিবীর ২৩টি দেশ মরু সম্প্রসারণের সমস্যায় জর্জরিত। এর জন্যই পৃথিবীর জল সমস্যার সঙ্গে ভূমি সমস্যার মোকাবিলা একযোগে করা হচ্ছে।

ভূমি এবং জলের স্বাস্থ্য উদ্ধারের কৌশলের জন্য জলের পরিমাণ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে জল সরবরাহ বৃদ্ধি, জলের অপচয় হ্রাস, মাটির আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার কাজ করতে হবে। আমি এই কারণে ইউনাইটেড নেশন্‌স কনভেনশন টু কম্ব্যাট ডেজার্টিফিকেশন (ইউএনসিসিডি)-র নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করব ভূমির অবনমন প্রতিরোধের কৌশলে আন্তর্জাতিক স্তরে জলের বিষয়টিও সংযুক্ত করা হোক।

বন্ধুগণ, ভূমির স্বাস্থ্য উদ্ধারে স্থিতিশীল উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ ইউএনএফসিসিসি-র প্যারিস সিওপি-তে ভারতের এই সংক্রান্ত প্রস্তাবের কথা আমি আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই।

ভূমি, জল, বায়ু, উদ্ভিদ এবং সবরকমের জীবের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখা ভারতের সংস্কৃতির অঙ্গ। বন্ধুরা, আপনারা শুনে আনন্দিত হবেন, ভারতে বনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫-১৭ সালের মধ্যে ভারতের গাছ এবং বনের পরিমাণ ০.৮ মিলিয়ন হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতে উন্নয়নের কাজে বনের জমি ব্যবহার হলে বনসৃজনের জন্য সমপরিমাণ জমি তৈরি করা হয়। মূল্যবান কাঠের জন্য বনভূমির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি খুব আনন্দিত যে অরণ্যের জমির উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে শস্য উৎপাদন বাড়ানোর মধ্য দিয়ে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে আমার সরকার একটি কর্মসূচির সূচনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জমির ঊর্বরতা এবং ক্ষুদ্র জলসেচ প্রকল্প। এক ফোঁটা জলে বেশি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। একইসঙ্গে, প্রাকৃতিকভাবে কৃষিকাজের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি জমির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমরা মাটি পরীক্ষার প্রকল্প চালু করেছি। কৃষকদের সয়েল হেল্‌থ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, তাঁরা কি ধরনের ফসল উৎপাদন করবেন এবং উৎপাদনের সময় কি পরিমাণ সার ও জল ব্যবহার করবেন, সে বিষয়ে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ৭০ লক্ষ সয়েল হেল্‌থ কার্ড বন্টন করা হয়েছে। আমরা কীটনাশক এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

জলের সঠিক ব্যবস্থাপনা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জল সংক্রান্ত সব সমস্যার মোকাবিলায় আমরা জল শক্তি মন্ত্রক গঠন করেছি। জলের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে জলের অপচয় রোধ সংক্রান্ত নিয়ম চালু করেছি। এর মাধ্যমে বর্জ্য জল পরিশোধন করে তা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় নদীর জলজ প্রাণীর কোন সমস্যা হবে না। বন্ধুগণ, আমি আপনাদের কাছে জমি অবনমনের আরেকটি বিষয় উল্লেখ করব। এই সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। বর্জ্য প্লাস্টিকের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যার জন্য স্বাস্থ্যগত সমস্যাই কেবল হচ্ছে না, জমির ঊর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং এই জমি আর কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাবে না।

আগামী বছরগুলিতে ভারতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে আমার সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এই লক্ষ্যে প্লাস্টিক সংগ্রহ করে সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে। আমি বিশ্বাস করি, এমন সময় আসবে যখন গোটা পৃথিবী একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিককে বিদায় জানাবে।

বন্ধুগণ, মানবজাতির ক্ষমতায়নের সঙ্গে পরিবেশে জলসম্পদ রক্ষা অথবা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমাদের সকলের এই জন্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে তখনই পৌঁছতে পারব, যখন সমাজের প্রতিটি স্তর সক্রিয় হবে। আমরা অনেক নিয়ম চালু করতে পারি কিন্তু সকলে মিলে কাজ করার মধ্য দিয়ে আসল পরিবর্তন আসবে। স্বচ্ছ ভারত মিশন কর্মসূচি এর একটি আদর্শ উদাহরণ। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ শৌচালয়ের ব্যবহার নিশ্চিত করার ফলে আজ ৯৯ শতাংশ মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করছেন। ২০১৪ সালে এই পরিমাণ ছিল ৩৮ শতাংশ।

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের ক্ষেত্রে আমি একই মনোভাব দেখতে পাচ্ছি। মূলত তরুণরা এই বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতার মনোভাব দেখাচ্ছেন। আর এর মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে। সংবাদমাধ্যমও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বন্ধুগণ, আমি বিশ্ব জুড়ে ভূমি সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আরও একবার ভারতের অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। যে সমস্ত দেশ প্রাকৃতিকভাবে ভূমির অবনমন প্রতিরোধ করবে, ভারত তাদের সাহায্য করবে। আজ এই অনুষ্ঠানে আমি ঘোষণা করছি, আমরা বর্তমানের ২ কোটি ১০ লক্ষ হেক্টর থেকে ২০৩০-এর মধ্যে ২ কোটি ৬০ লক্ষ হেক্টর জমির ঊর্বরতা বৃদ্ধি করব। এর ফলে ২৫০ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৩০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন শোষণের জন্য অতিরিক্ত বনসৃজনের যে অঙ্গীকার ভারত করেছে তা পূরণ হবে।

জমিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমানে ভারত রিমোট সেন্সিং এবং মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে কম খরচে এগুলি ব্যবহার করার সুযোগ দেবে যার মাধ্যমে ঐ দেশগুলির জমির সমস্যা মিটবে। আমরা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ফরেস্ট রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের মাধ্যমে জমির অবনমন প্রতিরোধ করার জন্য কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, সেই লক্ষ্য কাজ শুরু করেছি। যেসব দেশ আমাদের থেকে এই বিষয়ে সহযোগিতা চায়, আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।

বন্ধুগণ, আমি বুঝতে পারছি ‘নতুন দিল্লি ঘোষণাপত্র’ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা সকলেই জানি ২০৩০ সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য ভূমির অবনমন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয়। আমি চাইব আপনারা এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

আমি আমার বক্তব্য শেষ করব অতি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় একটি প্রার্থনার মধ্য দিয়ে –

ওম্‌ দয়োঃ শান্তিঃ, অন্তরীক্ষঃ শান্তিঃ

‘শান্তি’ শব্দটি এখানে শান্তি অথবা হিংসার বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। এটি সমৃদ্ধির অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিটি জিনিসেরই একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। এই উদ্দেশ্যে পৌঁছতে হলে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সমৃদ্ধির জন্য তাই বলা হচ্ছে :

‘ওম্‌ দয়োঃ শান্তিঃ, অন্তরীক্ষঃ শান্তিঃ’

অর্থাৎ, এর মাধ্যমে এটাই বোঝানো হচ্ছে আকাশ, স্বর্গ এবং মহাকাশও সমৃদ্ধশালী হোক।

‘পৃথিবী শান্তিঃ,

আপঃ শান্তিঃ,

ঔষধায়ঃ শান্তিঃ, বনস্পতয়ঃ শান্তি, বিশ্বদেবাঃ শান্তিঃ

ব্রহ্ম শান্তিঃ’

ধরিত্রী মাতা সমৃদ্ধশালী হোন।

এর মধ্যে আমাদের পৃথিবীর সকল জীবই রয়েছে। তাদের সমৃদ্ধি হোক, জলের প্রতিটি ফোঁটা সমৃদ্ধ হোক, ব্রহ্মাণ্ড সমৃদ্ধ হোক।

‘সর্বং শান্তিঃ,

শান্তিরেব শান্তিঃ,

সা মে শান্তিরেধি।।’

প্রত্যেকে সমৃদ্ধশালী হোন। আমার ওপরও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।

‘ওম্‌ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।’

আমাদের পূর্ব পুরুষদের চিন্তা ও দর্শন গভীর চিন্তনে পরিপূর্ণ ছিল। তাঁরা ‘আমি’ এবং ‘আমরা’র মধ্যে সম্পর্ক উপলব্ধি করতে পারতেন। তাঁরা জানতেন, আমার সমৃদ্ধি আসবে আমাদের সকলের সমৃদ্ধির মাধ্যমে।

যখন আমাদের পূর্ব পুরুষরা ‘আমরা’ বলতেন, তার অর্থ তাঁরা শুধুমাত্র তাঁদের পরিবার বা সম্প্রদায় বা একক মানুষকে বোঝাতেন না। এর মধ্যে ছিল আকাশ, জল, বৃক্ষরাজি – সবকিছুই।

এটি তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁরা শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য কিভাবে প্রার্থনা করতেন।

তাঁরা আকাশ, ধরিত্রী, জল, বৃক্ষ – সকলের জন্যই প্রার্থনা করতেন। কারণ, আমরা এদের মধ্যেই রয়েছি। আর একেই আমরা বলি পরিবেশ। এদের সকলেরই যদি সমৃদ্ধি হয়, তাহলে আমিও সেই সমৃদ্ধির অংশীদার হব। এটাই ছিল তাঁদের মন্ত্র। এমনকি আজকেও এই ভাবনা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

আর এই মনোভাব নিয়েই আমি আরও একবার এই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আপনাদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.