Published By : Admin |
January 12, 2020 | 11:18 IST
Share
Kolkata port represents industrial, spiritual and self-sufficiency aspirations of India: PM
I announce the renaming of the Kolkata Port Trust to Dr. Shyama Prasad Mukherjee Port: PM Modi
The country is greatly benefitting from inland waterways: PM Modi
নমস্কার। আমার প্রিয় বাংলার ভাই ও বোনেরা! ইংরাজী নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা এবং আসন্ন মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে আপনাদের শুভেচ্ছা।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় জগদীপ ধনকরজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী মনসুখ মান্ডভিয়াজী, এখানে উপস্থিত ভারত সরকারের অন্যান্য মন্ত্রিগণ, সাংসদগণ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার পশ্চিমবঙ্গের ভাই ও বোনেরা।
|
মা গঙ্গার সান্নিধ্যে গঙ্গাসাগরের কাছে দেশের জল শক্তির এই ঐতিহাসিক প্রতীকে এই সমারোহে অংশগ্রহণ করা আমাদের সকলের জন্য এক অনন্য সৌভাগ্যের বিষয়। আজকের এই দিন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট এবং তার সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য যাঁরা এই সংস্থায় আগে কাজ করেছেন, সেই বন্ধুদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভারতে বন্দর স্থাপনা উন্নয়নকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাতে এরচেয়ে বড় কোনও উপলক্ষে হতে পারে না। প্রতিষ্ঠার দেড়শো বছরে প্রবেশ করার জন্য আমি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানাই।
বন্ধুগণ, কিছুক্ষণ আগে আজ এখানে এই মুহূর্তের সাক্ষী হিসাবে ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ট্রাস্টের কর্মচারী এবং কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর পেনশনের জন্য ৫০১ কোটি টাকার একটি চেক-ও হস্তান্তর করা হয়েছে। বিশেষ করে, শতবর্ষাধিক আয়ুর প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সংবর্ধনা প্রদানের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে দেশ সেবা করে যাচ্ছেন এরকম সমস্ত মহানুভব এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে আমি প্রণাম জানাই এবং তাঁদের উন্নত ভবিষ্যৎ কামনা করি।
|
বন্ধুগণ, এই বন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের জন্য আজ কয়েকশো কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্পের লোকার্পণ ও শিলান্যাস করা হয়েছে। আদিবাসী কন্যাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ছাত্রাবাস ও দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণেরও শিলান্যাস করা হয়েছে। উন্নয়নের এই সকল পরিষেবার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গের সকল নাগরিককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুগণ, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কেবলই জাহাজ আসা-যাওয়ার বন্দর নয়, এটি তার সঙ্গে একটি সম্পূর্ণ ইতিহাসেরও সাক্ষী। এই বন্দর ভারতকে বিদেশি শাসকের কবল থেকে স্বাধীনতা পেতে দেখেছে। সত্যাগ্রহ দেখে স্বচ্ছাগ্রহ পর্যন্ত এই বন্দর দেশকে পরিবর্তিত হতে দেখেছে। এই বন্দর নিছকই পণ্যবাহকদের স্থান নয়, দেশ ও বিশ্বে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করা জ্ঞানবাহকদের চরণও এই বন্দরে পড়েছে। অনেক মণীষী বহুবার এখান থেকে বহির্বিশ্বে নিজেদের সফর শুরু করেছেন। একদিক থেকে কলকাতা বন্দর ভারতের শিল্পোদ্যোগ, আধ্যাত্মিক ও আত্মনির্ভরতার আকাঙ্খার জীবন্ত প্রতীক। এই প্রেক্ষিতে যখন এই বন্দর দেড়শো বছরে পা রাখছে, তখন একে নতুন ভারত নির্মাণেরও একটি প্রাণবন্ত প্রতীক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের এই ভাবনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম, ভারতের শিল্পোদ্যোগের প্রাণপুরুষ বাংলার বিকাশের স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা এবং ‘এক দেশ, এক আইন’ – এর জন্য আত্মত্যাগী ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর নামে নামাঙ্কিত করার ঘোষণা করছি। এখন থেকে এই বন্দর ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী পোর্ট নামে জানা যাবে।
|
বন্ধুগণ, বাংলার সুপুত্র ডঃ মুখার্জী দেশের শিল্পোদ্যোগের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানা, হিন্দুস্থান এয়ারক্র্যাফট্ কারখানা, সিন্দ্রি সার কারখানা এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের মতো অনেক বড় প্রকল্পের উন্নয়নে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর অনেক বড় অবদান রয়েছে। আজ এই উপলক্ষে আমি বাবাসাহেব আম্বেদকরকেও স্মরণ করছি। তাঁকেও প্রণাম জানাই। ডঃ মুখার্জি ও বাবাসাহেব আম্বেদকর উভয়ই স্বাধীনোত্তর ভারতের জন্য নতুন নতুন নীতি প্রণয়ন করেছেন। নতুন দিক-নির্দেশ করেছেন।
ডঃ মুখার্জী রচিত প্রথম শিল্পোদ্যোগ নীতিতে দেশের জলসম্পদের সঠিক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। তেমনই, বাবাসাহেব দেশের প্রথম জলসম্পদ নীতি এবং শ্রমিক আইন রচনার সময় নিজের অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করেছেন। দেশের নদী উপত্যকা পরিকল্পনাগুলি, বাঁধগুলি এখানে বন্দর নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে এই দুই মহান সুপুত্রের অবদান রয়েছে। এই দুই ব্যক্তিত্ব দেশের সম্পদগুলির শক্তি বুঝেছিলেন, সেগুলিকে দেশের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
এই কলকাতাতেই ১৯৪৪ সালে নতুন জল নীতি নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে বাবাসাহেব বলেছিলেন যে, ভারতের জলপথ নীতি ব্যাপক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এতে সেচ, বিদ্যুৎ ও পরিবহণের মতো প্রত্যেক বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি হওয়া উচিৎ। কিন্তু এটা দেশের দুর্ভাগ্য যে, সরকার থেকে ডঃ মুখার্জী এবং বাবাসাহেব সরে যাওয়ার পর তাঁদের পরামর্শগুলিকে যতটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বন্ধুগণ, ভারতের বিশাল সমুদ্রসীমা প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ভারতকে বিশ্বে সমুদ্রতটের সঙ্গে যুক্ত থাকা বড় শক্তি বলে মানা হয়। স্থলবন্দী দেশগুলি কখনও কখনও নিজেদের অসহায় বোধ করে। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকেই এই সুবিস্তীর্ণ তটরেখা ভারতের বড় শক্তি। গুজরাটের লোথাল বন্দর থেকে শুরু করে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত যদি দেখি, এত দীর্ঘ তটরেখার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য হতো আর সভ্যতা, সংস্কৃতির প্রসারও হতো। ২০১৪সালের পর ভারতের এই শক্তিকে আবার শক্তিশালী করার জন্যে নতুনভাবে ভাবা হয়েছে, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
বন্ধুগণ, আমাদের সরকার এটা মনে করে যে ভারতের বন্দরগুলি ভারতের সমৃদ্ধির প্রবেশদ্বার। সেজন্যে সরকার তটবর্তী অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্যে সাগরমালা কর্মসূচী শুরু করেছে। সাগরমালা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বন্দরগুলির আধুনিকীকরণ এবং একটি নতুন বন্দর উন্নয়নের কাজ চলছে। সড়কপথ, রেলপথ, আন্তঃরাজ্য জলপথ এবং তটবর্তী পরিবহন ব্যবস্থাকে সংহত করা হচ্ছে।এই প্রকল্প তটবর্তী পরিবহন এর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
|
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ৫৭৫টিরও বেশি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ২০০টিরও বেশি প্রকল্পের কাজ চলছে আর প্রায় ১২৫টিরও বেশি কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।
বন্ধুগণ, সরকার চায় যে পরিবহণের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো আধুনিক এবং সংহত হোক। আমাদের দেশে পরিবহণ নীতিতে যে ভারসাম্যহীনতা ছিল, সেটাকেও দূর করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতকে অন্তর্দেশীয় জলপথ বা নদীপথ-ভিত্তিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ চলছে। আগামীদিনে জলশক্তির মাধ্যমে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতকে যুক্ত করার নেটওয়ার্ক ভারতের উন্নয়নে একটি সোনালী পৃষ্ঠারূপে উঠে আসতে চলেছে।
ভাই ও বোনেরা, কলকাতা তো জলপথ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভাগ্যবান। কলকাতা বন্দর নদীতটে অবস্থিত দেশের সমুদ্র বন্দরগুলির অন্যতম। এভাবে দেশের ভেতর এবং বাইরে জলপথের একটি সঙ্গমস্থলও বটে।
আপনারা সবাই খুব ভালোভাবেই জানেন যে হলদিয়া ও বেনারসের মধ্যে গঙ্গা নদীপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আর আমি কাশীর সাংসদ রূপে এর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই যুক্ত হয়ে পড়েছি। দেশের এই প্রথম আধুনিক আন্তর্দেশীয় জলপথকে সম্পূর্ণভাবে আধুনিকীকরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
এ বছর হলদিয়ায় মাল্টি-মোডাল টার্মিনাল এবং ফরাক্কায় নেভিগেশনাল লক গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে গঙ্গায় যাতে বড় জাহাজ চলতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা বৃদ্ধির কাজ এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি, গঙ্গাকে অসমের পাণ্ডুতে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে যুক্ত করে অন্তর্দেশীয় জলপথ-২-এ পণ্যবাহী জলযান চালু করা হয়েছে। নদী জলপথ পরিষেবা চালুর হওয়ায় কলকাতা বন্দর পূর্ব ভারতের শিল্পোদ্যোগের কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান এবং মায়ানমারের মতো দেশগুলির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আরও সহজ হয়েছে।
বন্ধুগণ, দেশের বন্দরগুলিতে আধুনিক পরিষেবা নির্মাণ, যোগাযোগের উন্নত ব্যবস্থা, ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের মতো বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে কার্গো ক্লিয়ারেন্স এবং পরিবহণ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সময় অনেক হ্রাস পেয়েছে।
টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম বিগত পাঁচ বছরে কমতে কমতে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। এটা অন্যতম বড় কারণ যে জন্য ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর র্যাঙ্কিং-এ ভারত ৭৯ ধাপ উন্নতি করেছে।
|
বন্ধুগণ, আগামীদিনে জলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্তারের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ অনেক উপকৃত হবে। কলকাতা লাভবান হবে। এ রাজ্যের কৃষক, শিল্পোদ্যোগী এবং শ্রমিকদের লাভ হবে। এখানকার মৎস্যজীবী ভাই-বোনেদের লাভ হবে।
আমার মৎস্যজীবী ভাই-বোনেরা যাতে জলসম্পদের সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার ‘নীল বিপ্লব’ প্রকল্প চালু করেছে। এর মাধ্যমে তাঁদের এক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন ছাড়াও ট্রলারগুলির আধুনিকীকরণে সাহায্য করা হচ্ছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের এখন ব্যাঙ্ক থেকে সস্তা ও সহজ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একদিকে আমরা স্বতন্ত্র জলশক্তি মন্ত্রক গড়ে তুলেছি তাকে শক্তি প্রদানের জন্য এবং তার মাধ্যমে অধিকতম লাভের জন্য স্বতন্ত্র মৎস্যপালন মন্ত্রকও গড়ে তোলা হয়েছে। অর্থাৎ, উন্নয়নকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই, কোন লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চাই, তার সঙ্কেতও এই মন্ত্রকগুলি গঠনের মধ্যে সমাহিত।
বন্ধুগণ, বন্দর স্থাপনা উন্নয়নের জন্য একটি ব্যাপক বাস্তু ব্যবস্থা বিকশিত করে। এটি পর্যটন উন্নয়নে জলসম্পদের ব্যবহার, সামুদ্রিক পর্যটন, নদী জল পর্যটনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আজকাল মানুষ ক্রুজে চেপে বিদেশে চলে যায়। এসব ব্যবস্থা আমাদের দেশে সহজেই বিকশিত করা সম্ভব। এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে গতকালই পশ্চিমবঙ্গে কলা ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত চারটি ঐতিহ্যশালী ভবন সংস্কারের পর সেগুলি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আর আজ এখানে জল পর্যটনের বড় প্রকল্প চালু হয়েছে। রিভার ফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন শিল্প পুনরুজ্জীবিত হতে চলেছে। এখানে ৩২ একর জমির ওপর যখন গঙ্গা দর্শনের জন্য আরামদায়ক পরিষেবা গড়ে উঠবে, তখন এর মাধ্যমেও পর্যটকরা লাভবান হবেন।
ভাই ও বোনেরা, শুধু কলকাতাতেই নয়, গোটা দেশের বন্দরগুলির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শহর এবং ক্লাস্টারগুলিতে অ্যাকোরিয়াম, ওয়াটার পার্ক, সমুদ্র সংগ্রহশালা, ক্রুজ এবং জল ক্রীড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ক্রুজ-ভিত্তিক পর্যটনকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। দেশে ক্রুজ জাহাজের সংখ্যা এখন ১৫০-এর কাছাকাছি। আমরা এই সংখ্যাকে এক হাজারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছি। এই বিস্তারের মাধ্যমে শুধু যে পশ্চিমবঙ্গ উপকৃত হবে তাই নয়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দ্বীপগুলিও উপকৃত হবে।
|
বন্ধুগণ, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বিশেষ করে, দরিদ্র, দলিত, বঞ্চিত, শোষিত এবং পিছিয়ে পড়াদের উন্নয়নের জন্য অনেক ঐকান্তিক প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৯০ লক্ষ গরিব বোনকে উজ্জলা যোজনার মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ লক্ষেরও বেশি বোনেরা দলিত এবং আদিবাসী পরিবারের মানুষ।
রাজ্য সরকার যখনই আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এবং পিএম কিষাণ সম্মান নিধির জন্য স্বীকৃতি দেবে; আমি জানি না যে দেবে কি দেবে না, কিন্তু যদি দেয়, তাহলে এখানকার মানুষও এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হতে শুরু করবেন।
আর এমনিতে আপনাদের বলি যে আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৭৫ লক্ষ গরিব রোগী ইতিমধ্যেই বিনামূল্যে চিকিৎসায় কঠিন অসুখ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আর আপনারা কল্পনা করতে পারেন, যখন গরিবরা অসুখের সঙ্গে লড়াই করে তখন তাঁদের মনে বেঁচে থাকার আশা চলে যায়। আর যখন গরিব মানুষ রোগ থেকে বাঁচার উপায় পান, তখন তাঁদের আশীর্বাদ অমূল্য হয়। আজ আমি শান্তিতে ঘুমোতে পারি কারণ দেশে এরকম অসংখ্য গরিব পরিবার লাগাতার আমাকে আশীর্বাদ করতে থাকেন।
|
এভাবেই, পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে দেশের ৮ কোটিরও বেশি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা করা হয়েছে। কোন দালাল নেই, কোন কাটমানি নয়, কোন সিন্ডিকেট নয়; যখন টাকা এভাবে সরাসরি পৌঁছয়, কাটমানি পাওয়া যায় না, সিন্ডিকেট চলে না, তখন কে এই প্রকল্প চালু করবে?
দেশের ৮ কোটি কৃষকের এত বড় সাহায্য, কিন্তু আমার হৃদয়ে সব সময়েই কষ্ট থেকে যাবে, আমি চাইব, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব যে নীতি-নির্ধারকদের সৎবুদ্ধি দিন। আর গরিবদের অসুস্থতার সময় সাহায্যের জন্য আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এবং কৃষকদের জীবনে সুখ ও শান্তির পথ স্থায়ী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির দ্বারা আমার বাংলার গরিব কৃষকরা উপকৃত হোক সেটাই চাই। আমি আজকের বাংলার জনগণের মেজাজ খুব ভালোভাবেই জানি। বাংলার জনগণের এমন শক্তি রয়েছে যে এখন আর তাঁদেরকে এই প্রকল্পগুলির সুফল থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত রাখা যাবে না।
বন্ধুগণ, পশ্চিমবঙ্গের অনেক বীর সুপুত্র ও সুকন্যা গ্রাম ও গরিবের জন্য যে আওয়াজ তুলেছেন, তাঁদের উন্নয়ন আমাদের অগ্রাধিকার থাকা উচিৎ। এটা কোন একজন ব্যক্তি, কোন একটি সরকারের দায়িত্ব নয়। সমস্ত ভারতবর্ষের সামগ্রিক সঙ্কল্প, সামগ্রিক দায়িত্বও বটে এবং সকলকে একত্রে কাজ করে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে একবিংশ শতাব্দীর নতুন দশকে বিশ্ব যখন একটি বৈভবশালী ভারতের জন্য প্রতীক্ষা করছে, তখন আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টা বিশ্বকে কখনও নিরাশ করবে না। আমাদের এই প্রচেষ্টা অবশ্যই সফল হবে।
এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ১৩০ কোটি জনগণের সঙ্কল্পশক্তি এবং তার সামর্থ্যে অপ্রতীম শ্রদ্ধা থাকার ফলে আমি ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
আর এই বিশ্বাস নিয়েই আসুন আমরা কর্তব্যের পথে এগিয়ে যাই, আপনারাও নিজেদের কর্তব্য পালনের জন্য এগিয়ে আসুন। ১৩০ কোটি ভারতবাসী যখন নিজেদের কর্তব্য পালন করেন তখন দেশ দেখতে দেখতে নতুন উচ্চতার পর উচ্চতা অতিক্রম করে।
এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার কলকাতা পোর্টার ট্রাস্টের ১৫০ বছর উদযাপনের জন্য এবং বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সবাইকে, গোটা পশ্চিমবঙ্গকে, এখানকার মহান ঐতিহ্যকে প্রণাম জানিয়ে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
আমার সঙ্গে এই মাটি, প্রেরণার মাটি, দেশের সামর্থ্য জাগ্রত করার মাটি থেকে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলিকে সংহত করে আমরা জয়ধ্বনি দেব। দু’হাত ওপরে তুলে, মুষ্টিবদ্ধ করে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলব –
Urban areas are our growth centres, we will have to make urban bodies growth centres of economy: PM Modi in Gandhinagar
May 27, 2025
Share
Terrorist activities are no longer proxy war but well thought out strategy, so the response will also be in a similar way: PM
We believe in ‘Vasudhaiva Kutumbakam’, we don’t want enemity with anyone, we want to progress so that we can also contribute to global well being: PM
India must be developed nation by 2047,no compromise, we will celebrate 100 years of independence in such a way that whole world will acclaim ‘Viksit Bharat’: PM
Urban areas are our growth centres, we will have to make urban bodies growth centres of economy: PM
Today we have around two lakh Start-Ups ,most of them are in Tier2-Tier 3 cities and being led by our daughters: PM
Our country has immense potential to bring about a big change, Operation sindoor is now responsibility of 140 crore citizens: PM
We should be proud of our brand “Made in India”: PM
भारत माता की जय! भारत माता की जय!
क्यों ये सब तिरंगे नीचे हो गए हैं?
भारत माता की जय! भारत माता की जय! भारत माता की जय!
मंच पर विराजमान गुजरात के गवर्नर आचार्य देवव्रत जी, यहां के लोकप्रिय मुख्यमंत्री श्रीमान भूपेंद्र भाई पटेल, केंद्र में मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी मनोहर लाल जी, सी आर पाटिल जी, गुजरात सरकार के अन्य मंत्री गण, सांसदगण, विधायक गण और गुजरात के कोने-कोने से यहां उपस्थित मेरे प्यारे भाइयों और बहनों,
मैं दो दिन से गुजरात में हूं। कल मुझे वडोदरा, दाहोद, भुज, अहमदाबाद और आज सुबह-सुबह गांधी नगर, मैं जहां-जहां गया, ऐसा लग रहा है, देशभक्ति का जवाब गर्जना करता सिंदुरिया सागर, सिंदुरिया सागर की गर्जना और लहराता तिरंगा, जन-मन के हृदय में मातृभूमि के प्रति अपार प्रेम, एक ऐसा नजारा था, एक ऐसा दृश्य था और ये सिर्फ गुजरात में नहीं, हिन्दुस्तान के कोने-कोने में है। हर हिन्दुस्तानी के दिल में है। शरीर कितना ही स्वस्थ क्यों न हो, लेकिन अगर एक कांटा चुभता है, तो पूरा शरीर परेशान रहता है। अब हमने तय कर लिया है, उस कांटे को निकाल के रहेंगे।
|
साथियों,
1947 में जब मां भारती के टुकड़े हुए, कटनी चाहिए तो ये तो जंजीरे लेकिन कांट दी गई भुजाएं। देश के तीन टुकड़े कर दिए गए। और उसी रात पहला आतंकवादी हमला कश्मीर की धरती पर हुआ। मां भारती का एक हिस्सा आतंकवादियों के बलबूते पर, मुजाहिदों के नाम पर पाकिस्तान ने हड़प लिया। अगर उसी दिन इन मुजाहिदों को मौत के घाट उतार दिया गया होता और सरदार पटेल की इच्छा थी कि पीओके वापस नहीं आता है, तब तक सेना रूकनी नहीं चाहिए। लेकिन सरदार साहब की बात मानी नहीं गई और ये मुजाहिदीन जो लहू चख गए थे, वो सिलसिला 75 साल से चला है। पहलगाम में भी उसी का विकृत रूप था। 75 साल तक हम झेलते रहे हैं और पाकिस्तान के साथ जब युद्ध की नौबत आई, तीनों बार भारत की सैन्य शक्ति ने पाकिस्तान को धूल चटा दी। और पाकिस्तान समझ गया कि लड़ाई में वो भारत से जीत नहीं सकते हैं और इसलिए उसने प्रॉक्सी वार चालू किया। सैन्य प्रशिक्षण होता है, सैन्य प्रशिक्षित आतंकवादी भारत भेजे जाते हैं और निर्दोष-निहत्थे लोग कोई यात्रा करने गया है, कोई बस में जा रहा है, कोई होटल में बैठा है, कोई टूरिस्ट बन कर जा रहा है। जहां मौका मिला, वह मारते रहे, मारते रहे, मारते रहे और हम सहते रहे। आप मुझे बताइए, क्या यह अब सहना चाहिए? क्या गोली का जवाब गोले से देना चाहिए? ईट का जवाब पत्थर से देना चाहिए? इस कांटे को जड़ से उखाड़ देना चाहिए?
साथियों,
यह देश उस महान संस्कृति-परंपरा को लेकर चला है, वसुधैव कुटुंबकम, ये हमारे संस्कार हैं, ये हमारा चरित्र है, सदियों से हमने इसे जिया है। हम पूरे विश्व को एक परिवार मानते हैं। हम अपने पड़ोसियों का भी सुख चाहते हैं। वह भी सुख-चैन से जिये, हमें भी सुख-चैन से जीने दें। ये हमारा हजारों साल से चिंतन रहा है। लेकिन जब बार-बार हमारे सामर्थ्य को ललकारा जाए, तो यह देश वीरों की भी भूमि है। आज तक जिसे हम प्रॉक्सी वॉर कहते थे, 6 मई के बाद जो दृश्य देखे गए, उसके बाद हम इसे प्रॉक्सी वॉर कहने की गलती नहीं कर सकते हैं। और इसका कारण है, जब आतंकवाद के 9 ठिकाने तय करके 22 मिनट में साथियों, 22 मिनट में, उनको ध्वस्त कर दिया। और इस बार तो सब कैमरा के सामने किया, सारी व्यवस्था रखी थी। ताकि हमारे घर में कोई सबूत ना मांगे। अब हमें सबूत नहीं देना पड़ रहा है, वो उस तरफ वाला दे रहा है। और मैं इसलिए कहता हूं, अब यह प्रॉक्सी वॉर नहीं कह सकते इसको क्योंकि जो आतंकवादियों के जनाजे निकले, 6 मई के बाद जिन का कत्ल हुआ, उस जनाजे को स्टेट ऑनर दिया गया पाकिस्तान में, उनके कॉफिन पर पाकिस्तान के झंडे लगाए गए, उनकी सेना ने उनको सैल्यूट दी, यह सिद्ध करता है कि आतंकवादी गतिविधियां, ये प्रॉक्सी वॉर नहीं है। यह आप की सोची समझी युद्ध की रणनीति है। आप वॉर ही कर रहे हैं, तो उसका जवाब भी वैसे ही मिलेगा। हम अपने काम में लगे थे, प्रगति की राह पर चले थे। हम सबका भला चाहते हैं और मुसीबत में मदद भी करते हैं। लेकिन बदले में खून की नदियां बहती हैं। मैं नई पीढ़ी को कहना चाहता हूं, देश को कैसे बर्बाद किया गया है? 1960 में जो इंडस वॉटर ट्रीटी हुई है। अगर उसकी बारीकी में जाएंगे, तो आप चौक जाएंगे। यहाँ तक तय हुआ है उसमें, कि जो जम्मू कश्मीर की अन्य नदियों पर डैम बने हैं, उन डैम का सफाई का काम नहीं किया जाएगा। डिसिल्टिंग नहीं किया जाएगा। सफाई के लिए जो नीचे की तरफ गेट हैं, वह नहीं खोले जाएंगे। 60 साल तक यह गेट नहीं खोले गए और जिसमें शत प्रतिशत पानी भरना चाहिए था, धीरे-धीरे इसकी कैपेसिटी काम हो गई, 2 परसेंट 3 परसेंट रह गया। क्या मेरे देशवासियों को पानी पर अधिकार नहीं है क्या? उनको उनके हक का पानी मिलना चाहिए कि नहीं मिलना चाहिए क्या? और अभी तो मैंने कुछ ज्यादा किया नहीं है। अभी तो हमने कहा है कि हमने इसको abeyance में रखा है। वहां पसीना छूट रहा है और हमने डैम थोड़े खोल करके सफाई शुरू की, जो कूड़ा कचरा था, वह निकाल रहे हैं। इतने से वहां flood आ जाता है।
साथियों,
हम किसी से दुश्मनी नहीं चाहते हैं। हम सुख-चैन की जिंदगी जीना चाहते हैं। हम प्रगति भी इसलिए करना चाहते हैं कि विश्व की भलाई में हम भी कुछ योगदान कर सकें। और इसलिए हम एकनिष्ठ भाव से कोटि-कोटि भारतीयों के कल्याण के लिए प्रतिबद्धता के साथ काम कर रहे हैं। कल 26 मई था, 2014 में 26 मई, मुझे पहली बार देश के प्रधानमंत्री के रूप में शपथ लेने का अवसर मिला। और तब भारत की इकोनॉमी, दुनिया में 11 नंबर पर थी। हमने कोरोना से लड़ाई लड़ी, हमने पड़ोसियों से भी मुसीबतें झेली, हमने प्राकृतिक आपदा भी झेली। इन सब के बावजूद भी इतने कम समय में हम 11 नंबर की इकोनॉमी से चार 4 नंबर की इकोनॉमी पर पहुंच गए क्योंकि हमारा ये लक्ष्य है, हम विकास चाहते हैं, हम प्रगति चाहते हैं।
|
और साथियों,
मैं गुजरात का ऋणी हूं। इस मिट्टी ने मुझे बड़ा किया है। यहां से मुझे जो शिक्षा मिली, दीक्षा मिली, यहां से जो मैं आप सबके बीच रहकर के सीख पाया, जो मंत्र आपने मुझे दिए, जो सपने आपने मेरे में संजोए, मैं उसे देशवासियों के काम आए, इसके लिए कोशिश कर रहा हूं। मुझे खुशी है कि आज गुजरात सरकार ने शहरी विकास वर्ष, 2005 में इस कार्यक्रम को किया था। 20 वर्ष मनाने का और मुझे खुशी इस बात की हुई कि यह 20 साल के शहरी विकास की यात्रा का जय गान करने का कार्यक्रम नहीं बनाया। गुजरात सरकार ने उन 20 वर्ष में से जो हमने पाया है, जो सीखा है, उसके आधार पर आने वाले शहरी विकास को next generation के लिए उन्होंने उसका रोडमैप बनाया और आज वो रोड मैप गुजरात के लोगों के सामने रखा है। मैं इसके लिए गुजरात सरकार को, मुख्यमंत्री जी को, उनकी टीम को हृदय से बहुत-बहुत बधाई देता हूं।
साथियों,
हम आज दुनिया की चौथी इकोनॉमी बने हैं। किसी को भी संतोष होगा कि अब जापान को भी पीछे छोड़ कर के हम आगे निकल गए हैं और मुझे याद है, हम जब 6 से 5 बने थे, तो देश में एक और ही उमंग था, बड़ा उत्साह था, खासकर के नौजवानों में और उसका कारण यह था कि ढाई सौ सालों तक जिन्होंने हम पर राज किया था ना, उस यूके को पीछे छोड़ करके हम 5 बने थे। लेकिन अब चार बनने का आनंद जितना होना चाहिए उससे ज्यादा तीन कब बनोगे, उसका दबाव बढ़ रहा है। अब देश इंतजार करने को तैयार नहीं है और अगर किसी ने इंतजार करने के लिए कहा, तो पीछे से नारा आता है, मोदी है तो मुमकिन है।
और इसलिए साथियों,
एक तो हमारा लक्ष्य है 2047, हिंदुस्तान विकसित होना ही चाहिए, no compromise… आजादी के 100 साल हम ऐसे ही नहीं बिताएंगे, आजादी के 100 साल ऐसे मनाएंगे, ऐसे मनाएंगे कि दुनिया में विकसित भारत का झंडा फहरता होगा। आप कल्पना कीजिए, 1920, 1925, 1930, 1940, 1942, उस कालखंड में चाहे भगत सिंह हो, सुखदेव हो, राजगुरु हो, नेताजी सुभाष बाबू हो, वीर सावरकर हो, श्यामजी कृष्ण वर्मा हो, महात्मा गांधी हो, सरदार पटेल हो, इन सबने जो भाव पैदा किया था और देश की जन-मन में आजादी की ललक ना होती, आजादी के लिए जीने-मरने की प्रतिबद्धता ना होती, आजादी के लिए सहन करने की इच्छा शक्ति ना होती, तो शायद 1947 में आजादी नहीं मिलती। यह इसलिए मिली कि उस समय जो 25-30 करोड़ आबादी थी, वह बलिदान के लिए तैयार हो चुकी थी। अगर 25-30 करोड़ लोग संकल्पबद्ध हो करके 20 साल, 25 साल के भीतर-भीतर अंग्रेजों को यहां से निकाल सकते हैं, तो आने वाले 25 साल में 140 करोड़ लोग विकसित भारत बना भी सकते हैं दोस्तों। और इसलिए 2030 में जब गुजरात के 75 वर्ष होंगे, मैं समझता हूं कि हमने अभी से 30 में होंगे, 35… 35 में जब गुजरात के 75 वर्ष होंगे, हमने अभी से नेक्स्ट 10 ईयर का पहले एक प्लान बनाना चाहिए कि जब गुजरात के 75 होंगे, तब गुजरात यहां पहुंचेगा। उद्योग में यहां होगा, खेती में यहां होगा, शिक्षा में यहां होगा, खेलकूद में यहां होगा, हमें एक संकल्प ले लेना चाहिए और जब गुजरात 75 का हो, उसके 1 साल के बाद जो ओलंपिक होने वाला है, देश चाहता है कि वो ओलंपिक हिंदुस्तान में हो।
|
और इसलिए साथियों,
जिस प्रकार से हमारा यह एक लक्ष्य है कि हम जब गुजरात के 75 साल हो जाए। और आप देखिए कि जब गुजरात बना, उस समय के अखबार निकाल दीजिए, उस समय की चर्चाएं निकाल लीजिए। क्या चर्चाएं होती थी कि गुजरात महाराष्ट्र से अलग होकर क्या करेगा? गुजरात के पास क्या है? समंदर है, खारा पाठ है, इधर रेगिस्तान है, उधर पाकिस्तान है, क्या करेगा? गुजरात के पास कोई मिनरल्स नहीं, गुजरात कैसे प्रगति करेगा? यह ट्रेडर हैं सारे… इधर से माल लेते हैं, उधर बेचते हैं। बीच में दलाली से रोजी-रोटी कमा करके गुजारा करते हैं। क्या करेंगे ऐसी चर्चा थी। वही गुजरात जिसके पास एक जमाने में नमक से ऊपर कुछ नहीं था, आज दुनिया को हीरे के लिए गुजरात जाना जाता है। कहां नमक, कहां हीरे! यह यात्रा हमने काटी है। और इसके पीछे सुविचारित रूप से प्रयास हुआ है। योजनाबद्ध तरीके से कदम उठाएं हैं। हमारे यहां आमतौर पर गवर्नमेंट के मॉडल की चर्चा होती है कि सरकार में साइलोज, यह सबसे बड़ा संकट है। एक डिपार्टमेंट दूसरे से बात नहीं करता है। एक टेबल वाला दूसरे टेबल वाले से बात नहीं करता है, ऐसी चर्चा होती है। कुछ बातों में सही भी होगा, लेकिन उसका कोई सॉल्यूशन है क्या? मैं आज आपको बैकग्राउंड बताता हूं, यह शहरी विकास वर्ष अकेला नहीं, हमने उस समय हर वर्ष को किसी न किसी एक विशेष काम के लिए डेडिकेट करते थे, जैसे 2005 में शहरी विकास वर्ष माना गया। एक साल ऐसा था, जब हमने कन्या शिक्षा के लिए डेडिकेट किया था, एक वर्ष ऐसा था, जब हमने पूरा टूरिज्म के लिए डेडिकेट किया था। इसका मतलब ये नहीं कि बाकी सब काम बंद करते थे, लेकिन सरकार के सभी विभागों को उस वर्ष अगर forest department है, तो उसको भी अर्बन डेवलपमेंट में वो contribute क्या कर सकता है? हेल्थ विभाग है, तो अर्बन डेवलपमेंट ईयर में वो contribute क्या कर सकता है? जल संरक्षण मंत्रालय है, तो वह अर्बन डेवलपमेंट में क्या contribute कर सकता है? टूरिज्म डिपार्टमेंट है, तो वह अर्बन डेवलपमेंट में क्या contribute कर सकता है? यानी एक प्रकार से whole of the government approach, इस भूमिका से ये वर्ष मनाया और आपको याद होगा, जब हमने टूरिज्म ईयर मनाया, तो पूरे राज्य में उसके पहले गुजरात में टूरिज्म की कल्पना ही कोई नहीं कर सकता था। विशेष प्रयास किया गया, उसी समय ऐड कैंपेन चलाया, कुछ दिन तो गुजारो गुजरात में, एक-एक चीज उसमें से निकली। उसी में से रण उत्सव निकला, उसी में से स्टैच्यू ऑफ यूनिटी बना। उसी में से आज सोमनाथ का विकास हो रहा है, गिर का विकास हो रहा है, अंबाजी जी का विकास हो रहा है। एडवेंचर स्पोर्ट्स आ रही हैं। यानी एक के बाद एक चीजें डेवलप होने लगीं। वैसे ही जब अर्बन डेवलपमेंट ईयर मनाया।
और मुझे याद है, मैं राजनीति में नया-नया आया था। और कुछ समय के बाद हम अहमदाबाद municipal कॉरपोरेशन सबसे पहले जीते, तब तक हमारे पास एक राजकोट municipality हुआ करती थी, तब वो कारपोरेशन नहीं थी। और हमारे एक प्रहलादभाई पटेल थे, पार्टी के बड़े वरिष्ठ नेता थे। बहुत ही इनोवेटिव थे, नई-नई चीजें सोचना उनका स्वभाव था। मैं नया राजनीति में आया था, तो प्रहलाद भाई एक दिन आए मिलने के लिए, उन्होंने कहा ये हमें जरा, उस समय चिमनभाई पटेल की सरकार थी, तो हमने चिमनभाई और भाजपा के लोग छोटे पार्टनर थे। तो हमें चिमनभाई को मिलकर के समझना चाहिए कि यह जो लाल बस अहमदाबाद की है, उसको जरा अहमदाबाद के बाहर जाने दिया जाए। तो उन्होंने मुझे समझाया कि मैं और प्रहलाद भाई चिमनभाई को मिलने गए। हमने बहुत माथापच्ची की, हमने कहा यह सोचने जैसा है कि लाल बस अहमदाबाद के बाहर गोरा, गुम्मा, लांबा, उधर नरोरा की तरफ आगे दहेगाम की तरफ, उधर कलोल की तरफ आगे उसको जाने देना चाहिए। ट्रांसपोर्टेशन का विस्तार करना चाहिए, तो सरकार के जैसे सचिवों का स्वभाव रहता है, यहां बैठे हैं सारे, उस समय वाले तो रिटायर हो गए। एक बार एक कांग्रेसी नेता को पूछा गया था कि देश की समस्याओं का समाधान करना है तो दो वाक्य में बताइए। कांग्रेस के एक नेता ने जवाब दिया था, वो मुझे आज भी अच्छा लगता है। यह कोई 40 साल पहले की बात है। उन्होंने कहा, देश में दो चीजें होनी चाहिए। एक पॉलीटिशियंस ना कहना सीखें और ब्यूरोक्रेट हां कहना सीखे! तो उससे सारी समस्या का समाधान हो जाएगा। पॉलीटिशियंस किसी को ना नहीं कहता और ब्यूरोक्रेट किसी को हां नहीं कहता। तो उस समय चिमनभाई के पास गए, तो उन्होंने पूछा सबसे, हम दोबारा गए, तीसरी बार गए, नहीं-नहीं एसटी को नुकसान हो जाएगा, एसटी को कमाई बंद हो जाएगी, एसटी बंद पड़ जाएगी, एसटी घाटे में चल रही है। लाल बस वहां नहीं भेज सकते हैं, यह बहुत दिन चला। तीन-चार महीने तक हमारी माथापच्ची चली। खैर, हमारा दबाव इतना था कि आखिर लाल बस को लांबा, गोरा, गुम्मा, ऐसा एक्सटेंशन मिला, उसका परिणाम है कि अहमदाबाद का विस्तार तेजी से उधर सारण की तरफ हुआ, इधर दहेगाम की तरफ हुआ, उधर कलोल की तरह हुआ, उधर अहमदाबाद की तरह हुआ, तो अहमदाबाद की तरफ जो प्रेशर, एकदम तेजी से बढ़ने वाला था, उसमें तेजी आई, बच गए छोटी सी बात थी, तब जाकर के, मैं तो उस समय राजनीति में नया था। मुझे कोई ज्यादा इन चीजों को मैं जानता भी नहीं था। लेकिन तब समझ में आता था कि हम तत्कालीन लाभ से ऊपर उठ करके सचमुच में राज्य की और राज्य के लोगों की भलाई के लिए हिम्मत के साथ लंबी सोच के साथ चलेंगे, तो बहुत लाभ होगा। और मुझे याद है जब अर्बन डेवलपमेंट ईयर मनाया, तो पहला काम आया, यह एंक्रोचमेंट हटाने का, अब जब एंक्रोचमेंट हटाने की बात आती हे, तो सबसे पहले रुकावट बनता है पॉलिटिकल आदमी, किसी भी दल का हो, वो आकर खड़ा हो जाता है क्योंकि उसको लगता है, मेरे वोटर है, तुम तोड़ रहे हो। और अफसर लोग भी बड़े चतुर होते हैं। जब उनको कहते हैं कि भई यह सब तोड़ना है, तो पहले जाकर वो हनुमान जी का मंदिर तोड़ते हैं। तो ऐसा तूफान खड़ा हो जाता है कि कोई भी पॉलिटिशयन डर जाता है, उसको लगता है कि हनुमान जी का मंदिर तोड़ दिया तो हो… हमने बड़ी हिम्मत दिखाई। उस समय हमारे …..(नाम स्पष्ट नहीं) अर्बन मिनिस्टर थे। और उसका परिणाम यह आया कि रास्ते चौड़े होने लगे, तो जिसका 2 फुट 4 फुट कटता था, वह चिल्लाता था, लेकिन पूरा शहर खुश हो जाता था। इसमें एक स्थिति ऐसी बनी, बड़ी interesting है। अब मैंने तो 2005 अर्बन डेवलपमेंट ईयर घोषित कर दिया। उसके लिए कोई 80-90 पॉइंट निकाले थे, बडे interesting पॉइंट थे। तो पार्टी से ऐसी मेरी बात हुई थी कि भाई ऐसा एक अर्बन डेवलपमेंट ईयर होगा, जरा सफाई वगैरह के कामों में सब को जोड़ना पड़ेगा ऐसा, लेकिन जब ये तोड़ना शुरू हुआ, तो मेरी पार्टी के लोग आए, ये बड़ा सीक्रेट बता रहा हूं मैं, उन्होंने कहा साहब ये 2005 में तो अर्बन बॉडी के चुनाव है, हमारी हालत खराब हो जाएगी। यह सब तो चारों तरफ तोड़-फोड़ चल रही है। मैंने कहा यार भई यह तो मेरे ध्यान में नहीं रहा और सच में मेरे ध्यान में वो चुनाव था ही नहीं। अब मैंने कार्यक्रम बना दिया, अब साहब मेरा भी एक स्वभाव है। हम तो बचपन से पढ़ते आए हैं- कदम उठाया है तो पीछे नहीं हटना है। तो मैंने मैंने कहा देखो भाई आपकी चिंता सही है, लेकिन अब पीछे नहीं हट सकते। अब तो ये अर्बन डेवलपमेंट ईयर होगा। हार जाएंगे, चुनाव क्या है? जो भी होगा हम किसी का बुरा करना नहीं चाहते, लेकिन गुजरात में शहरों का रूप रंग बदलना बहुत जरूरी है।
|
साथियों,
हम लोग लगे रहे। काफी विरोध भी हुआ, काफी आंदोलन हुए बहुत परेशानी हुई। यहां मीडिया वालों को भी बड़ा मजा आ गया कि मोदी अब शिकार आ गया हाथ में, तो वह भी बड़ी पूरी ताकत से लग गए थे। और उसके बाद जब चुनाव हुआ, देखिए मैं राजनेताओं को कहता हूं, मैं देश भर के राजनेता मुझे सुनते हैं, तो देखना कहता हूं, अगर आपने सत्यनिष्ठा से, ईमानदारी से लोगों की भलाई के लिए निर्णय करते हैं, तत्कालीन भले ही बुरा लगे, लोग साथ चलते हैं। और उस समय जो चुनाव हुआ 90 परसेंट विक्ट्री बीजेपी की हुई थी, 90 परसेंट यानी लोग जो मानते हैं कि जनता ये नहीं और मुझे याद है। अब यह जो यहां अटल ब्रिज बना है ना तो मुझे, यह साबरमती रिवर फ्रंट पर, तो पता नहीं क्यों मुझे उद्घाटन के लिए बुलाया था। कई कार्यक्रम थे, तो मैंने कहा चलो भई हम भी देखने जाते हैं, तो मैं जरा वो अटल ब्रिज पर टहलने गया, तो वहां मैंने देखा कुछ लोगों ने पान की पिचकारियां लगाई हुई थी। अभी तो उद्घाटन होना था, लेकिन कार्यक्रम हो गया था। तो मेरा दिमाग, मैंने कहा इस पर टिकट लगाओ। तो ये सारे लोग आ गए साहब चुनाव है, उसी के बाद चुनाव था, बोले टिकट नहीं लगा सकते मैंने कहा टिकट लगाओ वरना यह तुम्हारा अटल ब्रिज बेकार हो जाएगा। फिर मैं दिल्ली गया, मैंने दूसरे दिन फोन करके पूछा, मैंने कहा क्या हुआ टिकट लगाने का एक दिन भी बिना टिकट नहीं चलना चाहिए।
साथियों,
खैर मेरा मान-सम्मान रखते हैं सब लोग, आखिर के हमारे लोगों ने ब्रिज पर टिकट लगा दिया। आज टिकट भी हुआ, चुनाव भी जीते दोस्तों और वो अटल ब्रिज चल रहा है। मैंने कांकरिया का पुनर्निर्माण का कार्यक्रम लिया, उस पर टिकट लगाया तो कांग्रेस ने बड़ा आंदोलन किया। कोर्ट में चले गए, लेकिन वह छोटा सा प्रयास पूरे कांकरिया को बचा कर रखा हुआ है और आज समाज का हर वर्ग बड़ी सुख-चैन से वहां जाता है। कभी-कभी राजनेताओं को बहुत छोटी चीजें डर जाते हैं। समाज विरोधी नहीं होता है, उसको समझाना होता है। वह सहयोग करता है और अच्छे परिणाम भी मिलते हैं। देखिए शहरी शहरी विकास की एक-एक चीज इतनी बारीकी से बनाई गई और उसी का परिणाम था और मैं आपको बताता हूं। यह जो अब मुझ पर दबाव बढ़ने वाला है, वो already शुरू हो गया कि मोदी ठीक है, 4 नंबर तो पहुंच गए, बताओ 3 कब पहुंचोगे? इसकी एक जड़ी-बूटी आपके पास है। अब जो हमारे ग्रोथ सेंटर हैं, वो अर्बन एरिया हैं। हमें अर्बन बॉडीज को इकोनॉमिक के ग्रोथ सेंटर बनाने का प्लान करना होगा। अपने आप जनसंख्या के कारण वृद्धि होती चले, ऐसे शहर नहीं हो सकते हैं। शहर आर्थिक गतिविधि के तेजतर्रार केंद्र होने चाहिए और अब तो हमने टीयर 2, टीयर 3 सीटीज पर भी बल देना चाहिए और वह इकोनॉमिक एक्टिविटी के सेंटर बनने चाहिए और मैं तो पूरे देश की नगरपालिका, महानगरपालिका के लोगों को कहना चाहूंगा। अर्बन बॉडी से जुड़े हुए सब लोगों से कहना चाहूंगा कि वे टारगेट करें कि 1 साल में उस नगर की इकोनॉमी कहां से कहां पहुंचाएंगे? वहां की अर्थव्यवस्था का कद कैसे बढ़ाएंगे? वहां जो चीजें मैन्युफैक्चर हो रही हैं, उसमें क्वालिटी इंप्रूव कैसे करेंगे? वहां नए-नए इकोनॉमिक एक्टिविटी के रास्ते कौन से खोलेंगे। ज्यादातर मैंने देखा नगर पालिका की जो नई-नई बनती हैं, तो क्या करते हैं, एक बड़ा शॉपिंग सेंटर बना देते हैं। पॉलिटिशनों को भी जरा सूट करता है वह, 30-40 दुकानें बना देंगे और 10 साल तक लेने वाला नहीं आता है। इतने से काम नहीं चलेगा। स्टडी करके और खास करके जो एग्रो प्रोडक्ट हैं। मैं तो टीयर 2, टीयर 3 सीटी के लिए कहूंगा, जो किसान पैदावार करता है, उसका वैल्यू एडिशन, यह नगर पालिकाओं में शुरू हो, आस-पास से खेती की चीजें आएं, उसमें से कुछ वैल्यू एडिशन हो, गांव का भी भला होगा, शहर का भी भला होगा।
उसी प्रकार से आपने देखा होगा इन दिनों स्टार्टअप, स्टार्टअप में भी आपके ध्यान में आया होगा कि पहले स्टार्टअप बड़े शहर के बड़े उद्योग घरानों के आसपास चलते थे, आज देश में करीब दो लाख स्टार्टअप हैं। और ज्यादातर टीयर 2, टीयर 3 सीटीज में है और इसमें भी गर्व की बात है कि उसमें काफी नेतृत्व हमारी बेटियों के पास है। स्टार्टअप की लीडरशिप बेटियों के पास है। ये बहुत बड़ी क्रांति की संभावनाओं को जन्म देता है और इसलिए मैं चाहूंगा कि अर्बन डेवलपमेंट ईयर के जब 20 साल मना रहे हैं और एक सफल प्रयोग को हम याद करके आगे की दिशा तय करते हैं तब हम टीयर 2, टीयर 3 सीटीज को बल दें। शिक्षा में भी टीयर 2, टीयर 3 सीटीज काफी आगे रहा, इस साल देख लीजिए। पहले एक जमाना था कि 10 और 12 के रिजल्ट आते थे, तो जो नामी स्कूल रहते थे बड़े, उसी के बच्चे फर्स्ट 10 में रहते थे। इन दिनों शहरों की बड़ी-बड़ी स्कूलों का नामोनिशान नहीं होता है, टीयर 2, टीयर 3 सीटीज के स्कूल के बच्चे पहले 10 में आते हैं। देखा होगा आपने गुजरात में भी यही हो रहा है। इसका मतलब यह हुआ कि हमारे छोटे शहरों के पोटेंशियल, उसकी ताकत बढ़ रही है। खेल का देखिए, पहले क्रिकेट देखिए आप, क्रिकेट तो हिंदुस्तान में हम गली-मोहल्ले में खेला जाता है। लेकिन बड़े शहर के बड़े रहीसी परिवारों से ही खेलकूद क्रिकेट अटका हुआ था। आज सारे खिलाड़ी में से आधे से ज्यादा खिलाड़ी टीयर 2, टीयर 3 सीटीज गांव के बच्चे हैं जो खेल में इंटरनेशनल खेल खेल कर कमाल करते हैं। यानी हम समझें कि हमारे शहरों में बहुत पोटेंशियल है। और जैसा मनोहर जी ने भी कहां और यहां वीडियो में भी दिखाया गया, यह हमारे लिए बहुत बड़ी opportunity है जी, 4 में से 3 नंबर की इकोनॉमी पहुंचने के लिए हम हिंदुस्तान के शहरों की अर्थव्यवस्था पर अगर फोकस करेंगे, तो हम बहुत तेजी से वहां भी पहुंच पाएंगे।
|
साथियों,
ये गवर्नेंस का एक मॉडल है। दुर्भाग्य से हमारे देश में एक ऐसे ही इकोसिस्टम ने जमीनों में अपनी जड़े ऐसी जमा हुई हैं कि भारत के सामर्थ्य को हमेशा नीचा दिखाने में लगी हैं। वैचारिक विरोध के कारण व्यवस्थाओं के विकास का अस्वीकार करने का उनका स्वभाव बन गया है। व्यक्ति के प्रति पसंद-नापसंद के कारण उसके द्वारा किये गए हर काम को बुरा बता देना एक फैशन का तरीका चल पड़ा है और उसके कारण देश की अच्छी चीजों का नुकसान हुआ है। ये गवर्नेंस का एक मॉडल है। अब आप देखिए, हमने शहरी विकास पर तो बल दिया, लेकिन वैसा ही जब आपने दिल्ली भेजा, तो हमने एस्पिरेशनल डिस्ट्रिक्ट, एस्पिरेशनल ब्लॉक पर विचार किया कि हर राज्य में एकाध जिला, एकाध तहसील ऐसी होती है, जो इतना पीछे होता है, कि वो स्टेट की सारी एवरेज को पीछे खींच ले जाता है। आप जंप लगा ही नहीं सकते, वो बेड़ियों की तरह होता है। मैंने कहा, पहले इन बेड़ियों को तोड़ना है और देश में 100 के करीब एस्पिरेशनल डिस्ट्रिक्ट उनको identify किया गया। 40 पैरामीटर से देखा गया कि यहां क्या जरूरत है। अब 500 ब्लॉक्स identify किए हैं, whole of the government approach के साथ फोकस किया गया। यंग अफसरों को लगाया गया, फुल टैन्यूर के साथ काम करें, ऐसा लगाया। आज दुनिया के लिए एक मॉडल बन चुका है और जो डेवलपिंग कंट्रीज हैं उनको भी लग रहा है कि हमारे यहां विकास के इस मॉडल की ओर हमें चलना चाहिए। हमारा academic world भारत के इन प्रयासों और सफल प्रयासों के विषय में सोचे और जब academic world इस पर सोचता है तो दुनिया के लिए भी वो एक अनुकरणीय उदाहरण के रूप में काम आता है।
साथियों,
आने वाले दिनों में टूरिज्म पर हमें बल देना चाहिए। गुजरात ने कमाल कर दिया है जी, कोई सोच सकता है। कच्छ के रेगिस्तान में जहां कोई जाने का नाम नहीं लेता था, वहां आज जाने के लिए बुकिंग नहीं मिलती है। चीजों को बदला जा सकता है, दुनिया का सबसे बड़ा ऊंचा स्टैच्यू, ये अपने आप में अद्भुत है। मुझे बताया गया कि वडनगर में जो म्यूजियम बना है। कल मुझे एक यूके के एक सज्जन मिले थे। उन्होंने कहा, मैं वडनगर का म्यूजियम देखने जा रहा हूं। यह इंटरनेशनल लेवल में इतने global standard का कोई म्यूजियम बना है और भारत में काशी जैसे बहुत कम जगह है कि जो अविनाशी हैं। जो कभी भी मृतप्राय नहीं हुए, जहां हर पल जीवन रहा है, उसमें एक वडनगर हैं, जिसमें 2800 साल तक के सबूत मिले हैं। अभी हमारा काम है कि वह इंटरनेशनल टूरिस्ट मैप पर कैसे आए? हमारा लोथल जहां हम एक म्यूजियम बना रहे हैं, मैरीटाइम म्यूजियम, 5 हजार साल पहले मैरीटाइम में दुनिया में हमारा डंका बजता था। धीरे-धीरे हम भूल गए, लोथल उसका जीता-जागता उदाहरण है। लोथल में दुनिया का सबसे बड़ा मैरीटाइम म्यूजियम बन रहा है। आप कल्पना कर सकते हैं कि इन चीजों का कितना लाभ होने वाला है और इसलिए मैं कहता हूं दोस्तों, 2005 का वो समय था, जब पहली बार गिफ्ट सिटी के आईडिया को कंसीव किया गया और मुझे याद है, शायद हमने इसका launching Tagore Hall में किया था। तो उसके बड़े-बड़े जो हमारे मन में डिजाइन थे, उसके चित्र लगाए थे, तो मेरे अपने ही लोग पूछ रहे थे। यह होगा, इतने बड़े बिल्डिंग टावर बनेंगे? मुझे बराबर याद है, यानी जब मैं उसका मैप वगैरह और उसका प्रेजेंटेशन दिखाता था केंद्र के कुछ नेताओं को, तो वह भी मुझे कह रहे थे अरे भारत जैसे देश में ये क्या कर रहे हो तुम? मैं सुनता था आज वो गिफ्ट सिटी हिंदुस्तान का हर राज्य कह रहा है कि हमारे यहां भी एक गिफ्ट सिटी होना चाहिए।
साथियों,
एक बार कल्पना करते हुए उसको जमीन पर, धरातल पर उतारने का अगर हम प्रयास करें, तो कितने बड़े अच्छे परिणाम मिल सकते हैं, ये हम भली भांति देख रहे हैं। वही काल खंड था, रिवरफ्रंट को कंसीव किया, वहीं कालखंड था जब दुनिया का सबसे बड़ा स्टेडियम बनाने का सपना देखा, पूरा किया। वही कालखंड था, दुनिया का सबसे ऊंचा स्टैच्यू बनाने के लिए सोचा, पूरा किया।
भाइयों और बहनों,
एक बार हम मान के चले, हमारे देश में potential बहुत हैं, बहुत सामर्थ्य है।
|
साथियों,
मुझे पता नहीं क्यों, निराशा जैसी चीज मेरे मन में आती ही नहीं है। मैं इतना आशावादी हूं और मैं उस सामर्थ्य को देख पाता हूं, मैं दीवारों के उस पार देख सकता हूं। मेरे देश के सामर्थ्य को देख सकता हूं। मेरे देशवासियों के सामर्थ्य को देख सकता हूं और इसी के भरोसे हम बहुत बड़ा बदलाव ला सकते हैं और इसलिए आज मैं गुजरात सरकार का बहुत आभारी हूं कि आपने मुझे यहां आने का मौका दिया है। कुछ ऐसी पुरानी-पुरानी बातें ज्यादातर ताजा करने का मौका मिल गया। लेकिन आप विश्वास करिए दोस्तों, गुजरात की बहुत बड़ी जिम्मेदारी है। हम देने वाले लोग हैं, हमें देश को हमेशा देना चाहिए। और हम इतनी ऊंचाई पर गुजरात को ले जाए, इतनी ऊंचाई पर ले जाएं कि देशवासियों के लिए गुजरात काम आना चाहिए दोस्तों, इस महान परंपरा को हमें आगे बढ़ाना चाहिए। मुझे विश्वास है, गुजरात एक नए सामर्थ्य के साथ अनेक विद नई कल्पनाओं के साथ, अनेक विद नए इनीशिएटिव्स के साथ आगे बढ़ेगा मुझे मालूम है। मेरा भाषण शायद कितना लंबा हो गया होगा, पता नहीं क्या हुआ? लेकिन कल मीडिया में दो-तीन चीजें आएंगी। वो भी मैं बता देता हूं, मोदी ने अफसरों को डांटा, मोदी ने अफसरों की धुलाई की, वगैरह-वगैरह-वगैरह, खैर वो तो कभी-कभी चटनी होती है ना इतना ही समझ लेना चाहिए, लेकिन जो बाकी बातें मैंने याद की है, उसको याद कर करके जाइए और ये सिंदुरिया मिजाज! ये सिंदुरिया स्पिरिट, दोस्तों 6 मई को, 6 मई की रात। ऑपरेशन सिंदूर सैन्य बल से प्रारंभ हुआ था। लेकिन अब ये ऑपरेशन सिंदूर जन-बल से आगे बढ़ेगा और जब मैं सैन्य बल और जन-बल की बात करता हूं तब, ऑपरेशन सिंदूर जन बल का मतलब मेरा होता है जन-जन देश के विकास के लिए भागीदार बने, दायित्व संभाले।
हम इतना तय कर लें कि 2047, जब भारत के आजादी के 100 साल होंगे। विकसित भारत बनाने के लिए तत्काल भारत की इकोनॉमी को 4 नंबर से 3 नंबर पर ले जाने के लिए अब हम कोई विदेशी चीज का उपयोग नहीं करेंगे। हम गांव-गांव व्यापारियों को शपथ दिलवाएं, व्यापारियों को कितना ही मुनाफा क्यों ना हो, आप विदेशी माल नहीं बेचोगे। लेकिन दुर्भाग्य देखिए, गणेश जी भी विदेशी आ जाते हैं। छोटी आंख वाले गणेश जी आएंगे। गणेश जी की आंख भी नहीं खुल रही है। होली, होली रंग छिड़कना है, बोले विदेशी, हमें पता था आप भी अपने घर जाकर के सूची बनाना। सचमुच में ऑपरेशन सिंदूर के लिए एक नागरिक के नाते मुझे एक काम करना है। आप घर में जाकर सूची बनाइए कि आपके घर में 24 घंटे में सुबह से दूसरे दिन सुबह तक कितनी विदेशी चीजों का उपयोग होता है। आपको पता ही नहीं होता है, आप hairpin भी विदेशी उपयोग कर लेते हैं, कंघा भी विदेशी होता है, दांत में लगाने वाली जो पिन होती है, वो भी विदेशी घुस गई है, हमें मालूम तक नहीं है। पता ही नहीं है दोस्तों। देश को अगर बचाना है, देश को बनाना है, देश को बढ़ाना है, तो ऑपरेशन सिंदूर यह सिर्फ सैनिकों के जिम्मे नहीं है। ऑपरेशन सिंदूर 140 करोड़ नागरिकों की जिम्मे है। देश सशक्त होना चाहिए, देश सामर्थ्य होना चाहिए, देश का नागरिक सामर्थ्यवान होना चाहिए और इसके लिए हमने वोकल फॉर लोकल, वन डिस्ट्रिक्ट वन प्रोडक्ट, मैं मेरे यहां, जो आपके पास है फेंक देने के लिए मैं नहीं कह रहा हूं। लेकिन अब नया नहीं लेंगे और शायद एकाध दो परसेंट चीजें ऐसी हैं, जो शायद आपको बाहर की लेनी पड़े, जो हमारे यहां उपलब्ध ना हो, बाकि आज हिंदुस्तान में ऐसा कुछ नहीं। आपने देखा होगा, आज से पहले 25 साल 30 साल पहले विदेश से कोई आता था, तो लोग लिस्ट भेजते थे कि ये ले आना, ये ले आना। आज विदेश से आते हैं, वो पूछते हैं कि कुछ लाना है, तो यहां वाले कहते हैं कि नहीं-नहीं यहां सब है, मत लाओ। सब कुछ है, हमें अपनी ब्रांड पर गर्व होना चाहिए। मेड इन इंडिया पर गर्व होना चाहिए। ऑपरेशन सिंदूर सैन्य बल से नहीं, जन बल से जीतना है दोस्तों और जन बल आता है मातृभूमि की मिट्टी में पैदा हुई हर पैदावार से आता है। इस मिट्टी की जिसमें सुगंध हो, इस देश के नागरिक के पसीने की जिसमें सुगंध हो, उन चीजों का मैं इस्तेमाल करूंगा, अगर मैं ऑपरेशन सिंदूर को जन-जन तक, घर-घर तक लेकर जाता हूं। आप देखिए हिंदुस्तान को 2047 के पहले विकसित राष्ट्र बनाकर रहेंगे और अपनी आंखों के सामने देखकर जाएंगे दोस्तों, इसी इसी अपेक्षा के साथ मेरे साथ पूरी ताकत से बोलिए,
भारत माता की जय! भारत माता की जय!
भारत माता की जय! जरा तिरंगे ऊपर लहराने चाहिए।
भारत माता की जय! भारत माता की जय! भारत माता की जय!