QuoteConstructive criticism is something I greatly look forward to: PM
QuoteNew India is not about the voice of a select few. It is about the voice of each and every of the 130 crore Indians: PM
QuotePM Modi calls for using language as a tool to unite India

মিঃ মেমন ম্যাথু, মিঃ জেকভ ম্যাথু, মিঃ জয়ন্ত জেকভ ম্যাথু, মিঃ প্রকাশ জাভড়েকর, ডঃ শশী থারুর, মাননীয় অতিথিবৃন্দ, নমস্কারম

মালয়ালা মনোরমা সংবাদ আলোচনা চক্র ২০১৯এ বক্তব্য রাখতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি কেরলের পবিত্র ভূমি এবং তার অনন্য সংস্কৃতিকে প্রণাম জানাই। এই আধ্যাত্মিক এবং সামাজিকভাবে আলোকপ্রাপ্ত ভূমি ভারতবর্ষকে আদি শঙ্কর, মহাত্মা আয়ানকালি, শ্রী নারায়ন গুরু, চাত্তাম্বি স্বামিগল, পন্ডিত কারুপ্পান, সন্ত কুরিয়াকোস ইলিয়াস চাভারা, সন্ত আলফনসো এবং আরও অনেক মহান মানুষদের উপহার দিয়েছে। কেরলের ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অনেকবার এখানে আসার সুযোগ হয়েছে। জনগণের আর্শিবাদ পাওয়ার পর আমি প্রথমেই গুরুভায়ুর শ্রীকৃষ্ণ মন্দির দর্শন করি।

বন্ধুগণ,

মালয়ালা মনোরমা সংবাদ আলোচনা চক্রে আমার ভাষণ দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় বহু পরিচিত ব্যক্তিরা সেইসব আলোচনা চক্রেই অংশগ্রহণ করেন যেখানে তাঁদের চিন্তাভাবনার সমর্থক পাওয়া যায়। কারণ এই ধরণের ব্যক্তিরা এইরকম পরিবেশেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আমি অবশ্যই এরকম পরিবেশ পছন্দ করি। কিন্তু একইসঙ্গে আমি বিশ্বাস করি একজনের ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা ছাড়াও অন্য ধারার চিন্তার মানুষ এবং সংগঠনের সঙ্গে তাঁর নিরন্তর মতবিনিময় করা উচিত।

আমাদের সবকিছুতে সহমতে পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু একজনের জীবনের নানা ক্ষেত্রে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে হবে। এখানে এই আলোচনাচক্রে আমার চিন্তার সঙ্গে অনেকেরই চিন্তা মিলবেনা, কিন্তু ভিন্ন চিন্তাধারার মানুষের থেকে গঠনমূলক সমালোচনা শুনতে আমি খুবই উৎসাহি।

বন্ধুগণ,

আমি জানি যে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মালয়ালি জনগণের মধ্যে মালয়ালা মনোরমা জায়গা করে নিয়েছে। এর সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে কেরালা মানুষ অনের বেশি তথ্য পেয়ে থাকেন। এই পত্রিকা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যেসব যুবক-যুবতীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তৈরি হন তারা আপনাদের ইয়ার বুক পড়ে থাকেন। সেই কারণে সব প্রজন্মের কাছেই আপনারা পরিচিত। আমি এই পত্রিকার সব সম্পাদক, প্রতিবেদক এবং কর্মীদের আমার প্রণাম জানাই।

বন্ধুগণ,

এই আলোচনা চক্রের আয়োজকরা দারুন একটি বিষয় নির্বাচন করেছেন- নতুন ভারত। সমালোচকরা আপনাদের এখন জিজ্ঞেস করবেন, আপনারাও কি এখন মোদিজীর ভাষায় কথা বলবেন? আমার আশা এর জবাব আপনাদের কাছে আছে। কিন্তু যেহেতু আপনারা আমার পছন্দের একটি বিষয় নির্বাচন করেছেন তাই আমিও এই সুযোগে আপনাদের সঙ্গে নতুন ভারতের বিষয়ে আমার চিন্তাভাবনা ভাগ করে নেব।

বন্ধুগণ,

আমি সবসময়ই বলে আসছি, আমরা এগোতেও পারি- নাও পারি, আমরা পরিবর্তনের জন্য তৈরি হতেও পারি- নাও হতে পারি, ভারতবর্ষে কিন্তু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আর এই পরিবর্তন ভালোর জন্য হচ্ছে। নতুন ভারত রয়েছে ব্যক্তিগত উৎসাহে, সমষ্টিগত উদ্যোগে এবং জাতীয় প্রগতির অংশিদার হওয়ার মধ্যে। নতুন ভারত গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ, নাগরিককেন্দ্রিক প্রশাসন এবং জনমুখী ব্যবস্হায় বিশ্বাসী। এই ভারত জনগণের এবং সরকারের আবেদনে সারা দেয়।

সুধি, বহু বছর ধরে উৎসাহ শব্দটি খারাপ অর্থে বোঝাত। আপনার পরিচিতি থাকলেই আপনি সুযোগ পাবেন। আপনি কোনো পরিচিত গোষ্ঠীর লোক হলেই সফল হবেন। বড় শহর, নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং বিখ্যাত পরিবার- এগুলির ওপরেই সবকিছু নির্ভর করতো। প্রতিটি মানুষের উচ্চাশা আটকে যেত লাইসেন্স রাজ এবং পারমিট রাজের মতো আর্থিক সংস্কৃতির মধ্যে। কিন্তু আজ এগুলির পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আজ স্পন্দনশীল নতুন উদ্যোগের মধ্যে নতুন ভারতকে দেখতে পাচ্ছি। হাজার হাজার মেধাবী তরুণ সম্প্রদায় দারুন সব কাজ করছেন এবং এর থেকে তাদের নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণের উৎসাহ প্রতিফলিত হচ্ছে। আমরা ক্রীড়া ক্ষেত্রেও এই একই উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি।

আগে যেসব বিষয়ে আমাদের উপস্হিতি ছিলনা বললেই চলে সেগুলিতে ভারত দারুন কাজ করছে। সেটি নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে, ক্রীড়া ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । এই শক্তি কোথা থেকে আসছে ? ছোট ছোট শহর এবং গ্রাম যাদের নাম বেশিরভাগ লোকই শোনেনি, সেখানকার সাহসী তরুণদের থেকে এই উৎসাহ আসছে। এঁরা কোন প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সদস্য নয়, বা এদের প্রচুর টাকাপয়সাও নেই। এদের যা আছে, তা হল উৎসাহ ও অধ্যাবসায়। এদের এই উৎসাহই শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর ভারতবর্ষ তাতেই গর্বিত হয়। আমার কাছে এটাই হল নতুন ভারত। যে ভারতের কোন যুবক-যুবতীর পদবী কাজে লাগেনা। তারা তাদের পরিচিতি আদায় করে নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে। এই ভারতে দূর্নীতির কোন স্হান নেই। এখানে যোগ্যতাই হচ্ছে সাফল্যের মাপকাঠি।

বন্ধুগণ,

নতুন ভারতে শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজনই কথা বলবেন না। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর প্রত্যেকের বক্তব্য এখানে রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রত্যেকের বক্তব্য শোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা দেখছি প্রত্যেক ভারতীয়, জাতির জন্য কিছু করতে অথবা কোন কিছু ছেড়ে দিতে চান। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সম্প্রতি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিষয়ে পদক্ষেপের কথা। এটা কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা বা উদ্যোগ নয়। ভারতের জনগণ নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা যখন গান্ধীজীর স্বার্ধ জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব, তখন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ব। আমাদের দেশকে নতুন ব্যবস্হায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কোন সুযোগ ছাড়া উচিত নয়।

বন্ধুগণ,

ভারতের উন্নতির জন্য সরকারে ক্ষমতায় থাকায় আমরা ব্যক্তিগত চাহিদা এবং সমষ্টিগত উদ্যোগের সবদিক গুলিই বিবেচনা করব। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ, পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৫ লক্ষ গৃহ নির্মাণ, সমস্ত গ্রামে বিদ্যুতায়ন, ঘরে ঘরে জল সরবরাহ, স্বাস্হ্য পরিষেবা, শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সহজ জীবনযাত্রা অর্থাৎ ‘ইজ অফ লিভিং’এর জন্য সঠিক পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে এই সরকার দারুন কাজ করে চলেছে। আমরা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছি। ৩৬ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের জন্য ২০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছে, ধোঁয়াহীন রান্নাঘরের জন্য ৮ কোটির বেশি গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, রাস্তা নির্মাণের হার দ্বিগুন করা হয়েছে।

এগুলি কয়েকটা উদাহরণ মাত্র। যেটা আমর খুব ভালো লাগে তা হল, নতুন ভারতে জনগণ ব্যক্তিস্বার্থের ওপরে উঠে সমাজের স্বার্থের কথা এখন বিবেচনা করছে। তা না হলে জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট হওয়ার সত্ত্বেও জন-ধন অ্যাকাউন্টে দরিদ্রতম মানুষরা কিভাবে ১ লক্ষ কোটি অর্থ সঞ্চয় করেন ? আমাদের মধ্যবিত্তরা কেন গ্যাসের জন্য তাঁদের ভর্তুকি ছেড়ে দেন? একবার মাত্র অনুরোধ করলে প্রবীণ নাগরিকরা কেন তাঁদের রেলের টিকিটে ছাড়ের সুযোগ ছেড়ে দিচ্ছেন?

এটা হয়তো ১০০ বছর আগে মহাত্মা গান্ধী যে বিশ্বাসের মতবাদের কথা বলেছিলেন, তারই প্রকাশ। আজ ভারতের পরিবর্তনের জন্য এটাই বোধহয় আন্তরিক চাহিদা যা প্রত্যেকে পালন করে চলেছেন। কর-দাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি কোন আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বন্ধুগণ,

আজ আপনারা অনেক নতুন নতুন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন, যা আগে ভাবাই যেতনা। হরিয়ানার মতো রাজ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ অবিশ্বাস্য ছিল। কিন্তু এখন আপনি হরিয়ানার যেকোন গ্রাম যান, দেখবেন মানুষ স্বচ্ছভাবে নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করছেন। রেল স্টেশনে ওয়াইফাই ব্যবহার করা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

কে ভেবেছিলেন যে এমনও হতে পারে?এর আগে রেল স্টেশন মানেই ছিল মালপত্র এবং যাত্রীতে ঠাসা। কিন্তু এখন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শহরগুলিতেও দেখা যায় স্কুল অথবা কলেজের পরে ছাত্রছাত্রীরা স্টেশনে যাচ্ছেন ওয়াইফাই এবং এক্সেল ব্যবহার করতে। ব্যবস্হা একই আছে, মানুষও এক আছে, কিন্তু তৃণমূল-স্তরে প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের চিন্তাভাবনা কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, তা খুব অল্প কথায় বলে দেওয়া যায়। পাঁচ বছর আগে লোকে জিজ্ঞেস করত- আমরা কি পারব? আমরা কি জঞ্জালমুক্ত হতে পারব? আমরা কি নীতি পঙ্গুত্ত্ব দূর করতে পারব? আমরা দুর্নীতিকে বিদায় করতে পারব? আজ জনগণ বলছেন- হ্যাঁ, আমরা পারি। আমরা স্বচ্ছ ভারত গড়তে পারি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত জাতি গড়তে পারি। আমরা সুপ্রশাসনকে জন-আন্দোলনের রূপ দিতে পারি। এই শব্দ ‘পারি’ যা আগে নেতিবাচক প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত থাকতো, এখন তা তরুণ জাতির আত্মার মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আমি আপনাদের সঙ্গে আমাদের সরকার নতুন ভারত গড়তে কিভাবে কাজ করছে তার একটা উদাহরণ দিই। আপনারা জানেন আমাদের সরকার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গরিব মানুষদের জন্য দেড় কোটি গৃহ নির্মাণ করেছেন। আগের সরকারের থেকে এটি একটি বিরাট উন্নতি। অনেক লোক আমার কাছে জানতে চেয়েছেন এই কর্মসূচি এবং তহবিল তো আগেও ছিল, তাহলে আপনি কি এমন আলাদা কাজ করলেন? তাদের এই প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে।

প্রথমে বলি আমরা কোন ঘর তৈরি করছি না। আমরা বাড়ি বানাচ্ছি। এই কারণে চারটি দেওয়াল তৈরি করার ধারনা থেকে আমাদের সরে আসতে হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনো বাড়তি খরচ না করে কম সময়ে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্হা করা।

আমাদের সরকার যে বাড়িগুলি নির্মাণ করছেন তাদের গঠন শৈলিতে কোনও নির্দিষ্ট পন্হা অবলম্বন করা হচ্ছেনা। আমরা স্হানীয় চাহিদা অনুযায়ী মানুষের ইচ্ছে মোতাবেক এই বাড়িগুলি নির্মাণ করছি। সমস্ত সুযোগ-সুবিধার জন্য আমরা সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছি। যার ফলে বাড়িগুলিতে বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগ, শৌচালয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সংস্হান থাকছে।

আমরা মানুষের চাহিদা শুনে বাড়ির এলাকা খালি বাড়াইনি, নির্মাণকাজে অর্থ বরাদ্দও বৃদ্ধি করেছি। এই প্রক্রিয়ায় মহিলা সহ আমরা স্হানীয় কারিগর এবং শ্রমিকদের যুক্ত করেছি। অতিরিক্ত খরচ না করে কম সময়ে বাড়ি নির্মাণের জন্য আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। বাড়ি নির্মাণের বিভিন্ন ধাপের ছবি অনলাইন ব্যবস্হার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়ে থাকে। সরাসরি অর্থ পাঠানোর ফলে মাঝপথে কোনো টাকা নয়ছয় হচ্ছেনা এবং সুবিধাভোগীরা সন্তুষ্ট হচ্ছেন। এখন আপনারা ভাবুন ওই সমস্যাগুলি থাকলে এই সাফল্য আসতো কি না। এককভাবে প্রযুক্তি অথবা বিভিন্ন প্রকল্প এক জায়গায় না নিয়ে আসলে এই সমস্যার সমাধান হতো না। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগের ফলেই এই সার্বিক ফলাফল। আর এটাই হল আমাদের সরকারের সাফল্য।

বন্ধুগণ,

নতুন ভারতে আমরা শুধু দেশে যাঁরা থাকেন তাঁদের কথাই ভাববো না, প্রবাসীদের বিষয়েও আমরা চিন্তাভাবনা করব। বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা আমাদের গর্ব। আমাদের আর্থিক বৃদ্ধিতে তাঁদের অবদান রয়েছে। বিদেশের মাটিতে যখনই কোনো ভারতীয় সমস্যায় পড়েছেন, আমরা সেই সমস্যার সমাধান করার জন্য এগিয়ে এসেছি। পশ্চিম এশিয়ার নানা জায়গায় যখন ভারতীয় নার্সরা অপহৃত হয়েছেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি। এই নার্সরা বেশিরভাগই দক্ষিণ ভারতীয়। যখন কেরলের সন্তান ফাদার টম অপহৃত হয়েছিলেন, তখন একইভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনেক লোক ইয়েমেন থেকে ফিরে এসেছেন।

আমি পশ্চিম এশিয়ার অনেকগুলি দেশ সফর করেছি। সেইসময় আমার লক্ষ্য ছিল সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে সময় কাটানো। আমি সম্প্রতি বাহরিন সফর করেছি। এই দেশ আমাদের খুব ভালো বন্ধু। এখানে অনেক ভারতীয় থাকেন। অথচ আমার আগে কোন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাননি। এই সম্মানটি আমার জন্য তুলে রাখা ছিল। এই সফরের সময় একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সেখানকার রাজ পরিবার ২৫০ জন ভারতীয় কারাবন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন। ওমান এবং সৌদি আরবও এ ধরণের ক্ষমা প্রদর্শন করেছে। এবছরের গোড়ায় সৌদি আরব ভারতীয়দের জন্য হজের কোটা বাড়িয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমার সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমরশাহির সফরে সেদেশে রূপে কার্ড চালু হয়েছে। বাহরিনেও খুব শীঘ্রই রুপে কার্ড চালু হবে। ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেনের পাশাপাশি এরফলে উপসাগরীয় অঞ্চলে কর্মরত লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়িতে টাকা পাঠাতে সুবিধা হবে। আজ আমি গর্বিত যে উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগের থেকে আরও ভালো হয়েছে জেনে। এটা বললে অত্যুক্তি হবেনা, এরফলে সাধারণ নাগরিকরাই লাভবান হবেন এবং এরজন্য ধন্যবাদ তাঁদেরই প্রাপ্য।

বন্ধুগণ,

আমরা আজ মাধ্যম জগতের মধ্যেও নতুন ভারতের প্রতিফলন পাচ্ছি। ভারতের মাধ্যম জগৎ বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং তা প্রসারিত হচ্ছে। খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন, টিভি চ্যানেল, ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবকাশে আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি স্বচ্ছ ভারত, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা, জল সংরক্ষণ, ফিট ইন্ডিয়া এবং এই ধরণের বিভিন্ন আন্দোলনে সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তারা নিজেদের উদ্যোগেই এই আন্দোলনগুলিতে জনমত বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে।

বন্ধুগণ,

যুগ যুগ ধরে ভাষা একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এর সাহায্যে সময় এবং দূরত্বের বাধা অতিক্রম করে জনপ্রিয় ধারণাগুলি সফর করে। বিশ্বের মধ্যে ভারতবর্ষেই বোধহয় এতগুলি ভাষা রয়েছে। কিন্তু ভাষা কৃত্রিম পাঁচিল তুলে স্বার্থপরভাবে দেশকে বিভক্ত করে। আজ তাই আমার একটি বিনম্র পরামর্শ রয়েছে। আমরা কি ভাষার শক্তির মাধ্যমে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারিনা?

মাধ্যম জগৎ বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে দূরত্ব ঘুঁচিয়ে তাদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। এটা যত শক্ত বলে মনে হয়, ততটা শক্ত নয়। আমরা একটি শব্দকে দেশের ১০-১২টি ভাষায় কি বলা হয়, তা প্রকাশ করতে পারি। যখন একজন আরেকটি ভারতীয় ভাষা জানবেন তখন তিনি এক সুতোয় বাঁধা পড়বেন যা ভারতীয় সংস্কৃতির একতার প্রতিফলন। এরফলে মানুষের বিভিন্ন ভাষার বিষয়ে উৎসাহ বাড়বে। ভাবুনতো, হরিয়ানায় একদল লোক মালায়লাম শিখছেন অথবা কর্ণাটকে একদল লোক বাংলা শিখছেন। এই পদক্ষেপ নিলে বিরাট দূরত্ব ঘুঁচে যাবে। আমরা কি এই পদক্ষেপ নিতে পারি?

বন্ধুগণ,

যেসমস্ত মহান সাধুরা এই দেশে এসেছেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাকর্তারা, যারা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের অনেক স্বপ্ন ছিল। একবিংশ শতাব্দিতে আমাদের দায়িত্ব তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণ করা এবং নতুন ভারত গঠন করা। যারফলে তাঁরা গর্বিত হবেন।

আমি আশাবাদী আমরা এই লক্ষ্যপূরণ করতে পারবো। আগামীদিনে এরকম আরও সাফল্য আসবে।

আরও একবার আমি মালয়ালা মনোরমা গোষ্ঠীকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Prachand LCH: The game-changing indigenous attack helicopter that puts India ahead in high-altitude warfare at 21,000 feet

Media Coverage

Prachand LCH: The game-changing indigenous attack helicopter that puts India ahead in high-altitude warfare at 21,000 feet
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।