Government is making every effort to ensure good connectivity to Prayagraj: PM Modi
Kumbh unites us and gives a glimpse of Ek Bharat, Shreshtha Bharat: PM Modi
The actions of the Congress party are proving that it considers itself above country, democracy, judiciary and public: PM Modi

মঞ্চে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েকজি, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি, উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রীমণ্ডলের সদস্যগণ, সংসদ আমার সহযোগী শ্রী শ্যামাচরণ গুপ্তা, শ্রী বিনোদ কুমার শঙ্কর, শ্রী বীরেন্দ্র সিং, প্রয়াগরাজের মেয়র অভিলাষা গুপ্তাজি এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রয়াগরাজের ভাই ও বোনেরা।

 

তপস্যা, সংস্কৃতি, সংস্কারের ভূমি তীর্থরাজ প্রয়াগের প্রত্যেক নাগরিককে আমার সাদর প্রণাম। যখনই প্রয়াগরাজ আসার সৌভাগ্য হয় তখন আমার মন এবং মস্তিষ্কে একটি ভিন্ন প্রাণশক্তি সঞ্চার হয়। এখানকার আবহে, এখানকার প্রতিটি ধূলিকণায় ঋষি এবং মনীষীদের দিব্যতার সুরভি টের পাই। অনন্তকাল ধরে প্রয়াগরাজে তীর্থযাত্রীরা যখনই এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই সুরভি অনুভব করেছেন।

 

প্রয়াগ সম্পর্কে বলা হয়েছে – ‘কো কহি সকতি প্রয়াগ প্রভাউ। কলুষ পুঞ্জ কুঞ্জর মৃগরাউ।।’ অর্থাৎ, পুঞ্জিভূত পাপরূপী হাতিকে মারার জন্য সিংহরূপী প্রয়াগরাজের প্রভাব এবং মাহাত্য বর্ণনা করা দুরূহ। এই সেই পবিত্র তীর্থস্থান যেটি দর্শনের পর রঘুকুল শ্রেষ্ঠ শ্রীরামচন্দ্র সমুদ্র দর্শনের সমতুল সুখ পেয়েছিলেন।

ভাই ও বোনেরা, আজ আমি যখন অর্ধকুম্ভের আগে এখানে এসেছি, তখন আপনাদের সবাইকে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে একটি শুভ সংবাদ দিতে চাই। এবার অর্ধকুম্ভে প্রত্যেক দর্শনার্থী অক্ষয় বটের দর্শন করতে পারবেন। অনেক প্রজন্ম ধরে অক্ষয় বট দুর্গে বন্দি ছিল। শুধু তাই নয়, অক্ষয় বটের পাশাপাশি এবার সরস্বতী কুম্ভ দর্শনও সম্ভব হবে। আমি নিজে একটু আগে অক্ষয় বটের দর্শন করে আপনাদের মাঝে এসেছি। এই বৃক্ষ তার গভীর শিকড়ের জোরে বারবার পল্লবীত হয়ে আমাদেরও মনেও তেমনই জিজীবিষা জাগিয়ে রাখার প্রেরণা যোগায়।

 

বন্ধুগণ, একটু আগেই এমনই দিব্য এবং জীবন্ত প্রয়াগরাজকে আরও আকর্ষণীয় এবং আধুনিক করে গড়ে তুলতে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান বিভিন্ন পরিকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক পথ, রেলপথ, নগরের পরিচ্ছন্নতা, মা গঙ্গার দূষণ রোধ এবং স্মার্ট সিটির মতো অসংখ্য প্রকল্প এর মধ্যে রয়েছে। এই প্রকল্প এমনই যে প্রয়াগরাজের প্রত্যেক নাগরিকের জীবনকে সুগম এবং সরল করে তুলবে। অর্ধকুম্ভ চলাকালীন সময়ে এখানে এসে যাঁরা থাকবেন, সেই কল্পবাসীরাও সুন্দর পরিষেবা পাবেন।

 

বন্ধুগণ, বিজেপি সরকার কুম্ভের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এখানকার পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রেখেছে। জল, স্থল, আকাশ ও রেলপথে প্রয়াগরাজ আসার সমস্ত পথকে সংস্কার করা হয়েছে। কুম্ভকে মাথায় রেখে রেল মন্ত্রক এবার অনেক নতুন ট্রেন চালাবে। এখনই আমি এ শহরের বড় উড়ালপথ, রেল উড়ালপুল এবং আন্ডারপাস, বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের যে প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করেছি এগুলি এখানকার পরিকাঠামোকে যেমন মজবুত করবে, তেমনই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে। এই অনুষ্ঠানের পর এখান থেকে আমি প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল উদ্বোধনের জন্য যাব। এই নতুন টার্মিনাল অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এজন্য আমি প্রয়াগরাজের জনগণকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ, অর্ধকুম্ভের অল্প কয়েকদিন আগে এই সকল প্রকল্প নির্মাণ করা হলেও এর প্রভাব এখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আগামীদিনে এগুলি প্রয়াগরাজের জনজীবনের প্রত্যেক স্তরে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। এগুলির মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এগুলি আগের মতো অস্থায়ী কাজ নয়। এগুলি হল স্থায়ী পরিষেবা। ১০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত সুসংহত পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি এই শহরের পৌরাণিক আবহের সঙ্গে আধুনিকতার সঙ্গমের প্রতীক। এটি স্মার্ট প্রয়াগরাজের একটি প্রাণকেন্দ্র। সড়ক, বিদ্যুৎ, পানীয় জল থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থা এই নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হবে।

 

ভাই ও বোনেরা, সরকার চায় এবার সারা পৃথিবী থেকে আসা তীর্থযাত্রী ও পর্যটকরা অর্ধকুম্ভে এসে তপস্যা থেকে প্রযুক্তি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ের সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যান। আধ্যাত্ম, আস্থা এবং আধুনিকতার ত্রিবেণী সঙ্গম কত অনুপম হয়ে উঠতে পারে – সেই স্মৃতি নিয়ে তাঁরা ফিরে যাবেন।

 

এখানে নির্মিত সেলফি পয়েন্টও একটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। একটু আগেই আমি বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে এই দিব্য কুম্ভ, আধুনিক কুম্ভের ছবি সেলফি পয়েন্ট থেকে তুলেছি।

 

বন্ধুগণ, অর্ধকুম্ভের সেলফির সঙ্গম ততক্ষণ পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত এখানকার মূল শক্তি, মূল সঙ্গম ত্রিবেণী আধুনিক না হয়ে ওঠে। ত্রিবেণীর শক্তির একটি বড় উৎস হল মা গঙ্গা। আমাদের সরকার দ্রুতগতিতে মা গঙ্গাকে পুনরায় স্বচ্ছতোয়া, পূণ্যতোয়া এবং নির্মল করে তোলার কাজ করছে।

আজ এখানে যে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসমূহের উদ্বোধন হয়েছে তার মধ্যে গঙ্গা পরিষ্কার করা এবং এখানকার ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়নের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। ১,৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত নতুন পয়ঃপ্রণালী শোধন প্রকল্প শহরের প্রায় এক ডজন নালাকে সরাসরি গঙ্গা নদীতে নিষ্কাশিত হতে না দিয়ে এগুলির জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজ করবে। তেমনই ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫০টি ঘাটে সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি ঘাটের সৌন্দর্যায়নের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনই ছ’টি ঘাটের উদ্বোধনও আজ এখান থেকে করা হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, প্রয়াগরাজ থেকে শুরু করে কাশী, কানপুরের মতো উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক শহরের পাশাপাশি গঙ্গার তটবর্তী প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিটি তটবর্তী শহরে এ ধরণের পরিষেবা নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘নমামি গঙ্গে’ মিশনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সারা দেশে সাড়ে চব্বিশ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে অনেক ক’টি প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ৭৫টি প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান ১৫০টি প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

বন্ধুগণ, মা গঙ্গা নির্মল এবং বাধাহীন হবে এই সঙ্কল্প নিয়ে সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের কোটি কোটি স্বচ্ছাগ্রহী মা গঙ্গার সেবকদের অবদান রয়েছে। দেশের অসংখ্য মানুষ এই অভিযানের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। যে যার নিজের স্তরে কাজ করে যাচ্ছেন। গঙ্গা মায়ের প্রতি গণ-অংশীদারিত্ব এবং দায়িত্ববোধ আমাদের প্রচেষ্টাকে অনেক শক্তি প্রদান করেছে। গঙ্গার দুই পাড়ে প্রায় সমস্ত গ্রাম ইতিমধ্যেই উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত ঘোষিত হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, আমাদের শাস্ত্রে পরিচ্ছন্নতাকে দেবত্বের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কুম্ভে দেবতাদের আবাস থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে কুম্ভের সময় মা গঙ্গা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে তা সুনিশ্চিত করতে আমরা কোনরকম চেষ্টার ত্রুটি করছি না। এখানে আসার আগেই আমি পরিচ্ছন্ন কুম্ভের প্রদর্শনী দেখেছি। উদ্বোধনের সময়েও যাতে কুম্ভে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি এবং পোর্টেবল কম্প্যাক্টরের মতো সরঞ্জাম প্রয়োগ করার প্রকল্প চালু হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে।

 

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে সরকারের এই সকল কর্মযজ্ঞে প্রয়াগরাজের প্রত্যেক নাগরিক যুক্ত হয়েছেন। যে যার নিজের স্তরে কাজ করে চলেছেন। শহরের পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অতিথি সৎকারের জন্য ইতিবাচক আবহ গড়ে তুলতে প্রত্যেকে যথাসাধ্য অংশগ্রহণ করছেন। এখানে যে প্রদর্শনী চালু হয়েছে সেখানে আমি দেখেছি কিভাবে মনোমুগ্ধকর ছবি এঁকে শিল্পীরা শহরকে সাজিয়ে তুলছেন। চিত্রশিল্পের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে আগত দর্শনার্থীদের ভারত দর্শন করানোর এই অদ্ভুত প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে এখান থেকে প্রত্যেক তীর্থযাত্রী ও পর্যটক ফিরে যাবেন।

 

বন্ধুগণ, আপনাদের এই মনোভাবকে অনুভব করে আমি সারা পৃথিবীর মানুষকে অর্ধকুম্ভে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি। বিগত এক-দেড় বছর ধরে বিশ্বের যেখানেই গিয়েছি, সেখানে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি যাতে তাঁরা নিজেদের বিদেশি বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে প্রয়াগরাজে এসে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন। এখন আমিও তো উত্তরপ্রদেশেরই মানুষ।

 

আপনারা দেখেছেন গতকালই এখানে ত্রিবেণী সঙ্গম ময়দানে ৭০টি দেশের পতাকা সারিবদ্ধভাবে উড়ছে। ভারতে নিযুক্ত ঐ ৭০টি দেশের প্রতিনিধিরা এবং রাজনীতিবিদরা সম্পূর্ণ কুম্ভক্ষেত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন। এখানকার অদ্ভুত আবহের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়েছেন। এভাবে কুম্ভের আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।

বন্ধুগণ, এবার দেশের সর্বাধিক প্রাচীন দুই সাংস্কৃতিক শহর প্রয়াগরাজ এবং কাশীতে একসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন আন্তর্জাতিক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এখানে যখন অর্ধকুম্ভের জন্য দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোটি কোটি মানুষ আসবেন, তখনই কাশীতে প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে সারা পৃথিবী থেকে প্রবাসী ভারতীয়রা আসবেন। সেই প্রবাসী ভারতীয়রাও নিশ্চয়ই এখানে প্রয়াগরাজে অর্ধকুম্ভ দেখতে আসার চেষ্টা করবেন। কুম্ভে আগত কোটি কোটি মানুষের মিলনে কোটি কোটি বিচারধারার প্রবাহ ভারতকে সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী করে তুলবে।

 

কুম্ভ উৎসব ভারত এবং ভারতীয়ত্বের সবথেকে বড় প্রমাণ। এই উৎসবে ভাষা, পরিধেয় ও খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতা ভুলে মানুষ এক হওয়ার প্রেরণা জাগিয়ে তোলেন। এই উৎসব আমাদের গ্রাম ও শহরকে যুক্ত করে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর প্রকৃত চিত্র এখানে দেখা যায়। আমাদের দায়িত্ব হল এখানে আসা প্রত্যেক অতিথির যত্ন নেওয়া। তাঁরা যাতে শুধুই শ্রদ্ধা নয়, এই দেশের নতুন চিত্র স্মৃতিতে নিয়ে ফিরে যান।

 

এই সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ছাত্র এখানকার পর্যটক ব্যবস্থাপনা দেখে শিখতে আসবেন। দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয় এই আয়োজনের বিশালতা, বৈচিত্র্য এবং সাফল্য নিয়ে তাদের ছাত্রদের ব্যবস্থাপনার কৌশল শেখাচ্ছে।

 

বন্ধুগণ, ভারতের পরিচয় আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, আমাদের জ্ঞানভাণ্ডার। এই শক্তিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে স্বামী বিবেকানন্দ সহ সমস্ত মহর্ষিরা নিজেদের জীবন সমর্পন করেছেন। বিগত চার-সাড়ে চার বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারও নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে দেশের অন্যান্য সম্পদের পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যেরও প্রভাব বৃদ্ধি পায়।

 

বন্ধুগণ, আজ পবিত্র প্রয়াগরাজে দাঁড়িয়ে আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের ও দেশবাসীকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলতে চাই। প্রয়াগরাজকে উত্তরপ্রদেশের ন্যায়ের মন্দির বলা হয়। বিগত কিছুদিন ধরে যেভাবে দেশে বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করার খেলা শুরু হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসী বিশেষ করে, দেশের নবীন প্রজন্মকে সতর্ক করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

 

বন্ধুগণ, দেশে সবচাইতে বেশি সময় ধরে যে দল শাসন ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের আইন, আদালত, সংস্থা এমনকি দেশ থেকেও উঁচু বলে মনে করে। দেশের প্রত্যেক সংস্থাকে এমনকি, সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকেও এই দল সর্বনাশ করে ছেড়েছে। যারা তাদের ইচ্ছানুসারে চলেনি, তাদের ইশারায় মাথা নোয়ায়নি তাদেরকে যেন তেন প্রকারেণ দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সৌভাগ্যবশতঃ, আমাদের দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। প্রয়াগরাজ তথা উত্তরপ্রদেশের জনগণ থেকে একথা ভালো করে কেনা জানে কংগ্রেস কেন আদালতকে পছন্দ করে না। এই ভূমিতে দাঁড়িয়েই এই দলের সর্বোচ্চ নেতা জনমতকে অপমানিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু প্রয়াগরাজের হাইকোর্ট সত্য এবং সংবিধানের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছিল। তিনি তখন দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এমনকি, জোর করে সংবিধানে পরিবর্তন এনেছিলেন। এমন প্রচেষ্টা হয়েছিল যাতে নির্বাচন কমিশন আদালতের আদেশ মানতে বাধ্য না থাকে।

বন্ধুগণ, কংগ্রেস নেতাদের এই প্রবৃত্তি দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে একটি দলের হাতের ইশারায় চলতে বাধ্য করতে চাইছিল। যাঁরা তাদের ইশারায় ঝুঁকবেন না, তাঁদের কোমর ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাদের এই সামন্ততান্ত্রিক ও রাজতান্ত্রিক ভাবনা থেকেই তারা ছলে বলে কৌশলে নিরপেক্ষ সংস্থাগুলিকে ধ্বংস করে দিতে চাইছিল। শাসন ক্ষমতায় থাকলে তারা আদালতকে যে কোন অপছন্দকে ঝুলিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করে, আর বিপক্ষে থাকলে ধমকায়।

 

বন্ধুগণ, আমি দেশবাসীকে কেশবানন্দ ভারতীর গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি মনে করাতে চাই। এই মামলার রায় প্রদানকারী বিচারকরা যখন চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে অস্বীকার করেন, তখন বিচার ব্যবস্থার পরম্পরাকে বদলে দিয়ে বরিষ্ঠতম বিচারককে প্রধান বিচারপতি নির্বাচন না করে এমন ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি করা হয় যিনি বরিষ্ঠতার দিক থেকে তিনজনের পরে ছিলেন। এটাই ছিল তাদের কাজ করার পদ্ধতি। বিচারপতি খান্না যখন জরুরি অবস্থার সিদ্ধান্ত মেন নেননি, তখন তাঁকেও এরকম অবিচারের শিকার হতে হয়েছিল।

 

ভাই ও বোনেরা, তাদের কাছে দেশহিত কিংবা গণতন্ত্র থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের স্বার্থ। তাদের মনে আইন কিংবা ঐতিহ্যের জন্য কোন সম্মান নেই। তাদের এক নেতা সর্বসমক্ষে বয়ান দিয়েছিলেন – আমরা প্রধান বিচারপতি তাঁকেই হতে দেব যিনি আমাদের ভাবনাচিন্তা, আমাদের দর্শনে সহমত হবেন এবং আমাদের ইচ্ছামতো চলবেন।

 

বন্ধুগণ, আমাদের দেশে আদালত দেশের সংবিধানকে সর্বোপরি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দেশ সাক্ষী রয়েছে যে আদালতকে নিজেদের সুবিধামতো পরিবর্তিত করার জন্য কিভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল লোভ, লালসা, শত্রুতা, ক্ষমতা – সবকিছু ব্যবহার করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আদালতকে থামিয়ে দেওয়া, ঝুলিয়ে রাখা, বিপথগামী করা এবং ধমকানোর অনেক পদ্ধতি এই দলের জানা আছে।

 

সম্প্রতি আমরা দেখেছি কিভাবে তারা আদালতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মহাঅভিযোগ প্রস্তাব আনার প্রচেষ্টা করেছেন।

 

আমার এই সময় একটি খবরের কাগজের শিরোনাম মনে পড়ছে যেখানে লেখা হয়েছিল ঐ দলের একজন নেতা কিভাবে আদালতে আসীন বিচারককে বলেছিলেন যে তিনি কি চান না তাঁর স্ত্রী করওয়া চৌথ পালন করুক! এটা কি ধমকি নয়?

 

ভাই ও বোনেরা, এরা প্রত্যেক সংস্থাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার পর এখন গণতন্ত্রের দোহাই দেয়। কিন্তু তাদের ব্যবহার, ষড়যন্ত্র বারবার প্রমাণ করেছে যে তারা দেশ, গণতন্ত্র, আদালত এমনকি জনগণ থেকেও নিজেদের উঁচু ভাবে। দু’দিন আগেই এর আরেকটি উদাহরণ আমরা দেখেছি। সেজন্যই আমি আপনাদের বলতে চাই, সাবধান থাকুন। এমন দল থেকে সতর্ক থাকুন।

 

ভাই ও বোনেরা, কংগ্রেসের ইতিহাসে যতটা কালিমালিপ্ত রয়েছে, বর্তমানও ততটাই কলঙ্কিত। ক্ষমতা এবং স্বার্থে ডুবে থাকা এই নেতারা ও তাদের সহযোগীদের দেশবাসীর স্বার্থ, তাঁদের আর্থিক ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। বেকায়দায় পড়লেই তাদের সংস্কৃতির কথা মনে পড়ে। কিন্তু আমাদের জন্য রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের সম্পন্নতা, রাষ্ট্রের বৈভব এবং আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধিই আসল কথা।

 

এই সংস্কারের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশে ‘প্রসাদ’ যোজনার মাধ্যমে আস্থা ও আধ্যাত্মর সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছে। সেখানে অত্যাধুনিক পরিষেবা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রয়াগরাজ থেকে শুরু করে কাশী, অযোধ্যা, বৃন্দাবন, কেদারনাথ, কামাক্ষ্যা ও শবরীমালার মতো অসংখ্য তীর্থক্ষেত্রকে আধুনিক এবং দিব্য করে তোলা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা, ভারত কিভাবে পরিবর্তনের পথে এগিয়ে চলেছে। নতুন ভারত কিভাবে পৌরাণিক ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সঙ্গমে গড়ে উঠছে, এর ঝলক এবার অর্ধকুম্ভে দেখতে পাওয়া যাবে।

 

সমগ্র প্রয়াগবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা এই প্রচেষ্টাকে সফল করে তুলতে সদা সচেষ্ট থাকুন। সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু এত বড় আয়োজন শুধুই সরকারি ব্যবস্থাপনার ভরসায় সফল হওয়া সম্ভব নয়। আমি নিজে, যোগীজি, আমাদের সমস্ত সাথী আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবার অর্ধকুম্ভের অভূতপূর্ব আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলব।

এই আশা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে প্রয়াগরাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে গড়ে ওঠা প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

জয় গঙ্গা মাইয়া – জয়

জয় যমুনা মাইয়া – জয়

জয় সরস্বতী মাইয়া – জয়

জয় তীর্থরাজ – জয় তীর্থরাজ

জয় তীর্থরাজ – জয় তীর্থরাজ

ভারত মাতা কি – জয়

ভারত মাতা কি – জয়

ভারত মাতা কি – জয়

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!