সেনাবাহিনীকে অর্জুন মেন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক (এমকে ১এ) হস্তান্তরিত করেছেন
পুলওয়ামা হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব
এই প্রকল্পগুলি দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবন ও তৈরি। এগুলি তামিলনাডুর বিকাশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেবেন্দ্রকুলা ভেলালার সম্প্রদায়ের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ, তাঁরা নিজেদের ঐতিহ্যগত নামে পরিচিত হবেন
সরকার, শ্রীলঙ্কায় আমাদের তামিল ভাই – বোনেদের কল্যাণ ও উচ্চাকাঙ্খার বিষয়ে সব সময় গুরুত্ব দেয় : প্রধানমন্ত্রী
তামিলনাডুর সংস্কৃতি মেনে চলা এবং সেটি সংরক্ষণ করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। বিশ্বজুড়ে তামিলনাডুর সংস্কৃতি জনপ্রিয় : প্রধানমন্ত্রী

ভানাক্কাম চেন্নাই !

 

ভানাক্কাম তামিলনাডু

তামিলনাডুর রাজ্যপাল শ্রী বনোয়ারিলাল পুরোহিত জি, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পালানিস্বয়ামী জি, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী পনিরসিলভম জি, তামিলনাডু বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী ধনপাল জি, শিল্পমন্ত্রী শ্রী সম্পথ জি, বিশিষ্ঠ অতিথি বর্গ, ভদ্র মহোদয়া ও ভদ্র মহোদয়গণ, আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি আজ চেন্নাইতে এসে আনন্দিত। এই শহরের মানুষ যেভাবে আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তার জন্য আমি ধন্য়বাদ জানাই। এই শহর উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর। এই শহর জ্ঞান ও সৃজনশীলতার শহর। আজ থেকে চেন্নাইয়ে আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত প্রকল্পের সূচনা করছি। এই প্রকল্পগুলি দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবন ও তৈরি হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি তামিলনাডুর বিকাশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ,

এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আমরা ৬৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্র্যান্ড অ্যানিকাট খাল ব্যবস্থার সংস্কারের শিলান্যাস করছি। এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। এটি ২.২৭ লক্ষ একর জমির সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। থান্জাভুর ও পুড়ুক্কোট্টাই জেলা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। তামিলনাডুর কৃষকরা রেকর্ড পরিমাণে ফসল উৎপাদন করায় ও জল সম্পদের যথাযথ ব্য়বহার করায় আমি তাঁদের ধন্য়বাদ জানাই। হাজার হাজার বছর ধরে এই গ্র্যান্ড অ্যানিকাট ও তার খাল ব্যবস্থা তামিলনাডুর ধানের গোলার জীবনের উৎস। এই গ্র্যান্ড অ্যানিকাট আমাদের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের জীবন্ত প্রমাণ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য এটি অনুপ্রেরণার উৎস। বিখ্যাত তামিল কবি আভাইয়ারের ভাষায় –

বরুপ্পু উয়রা নীর উয়রুম

নীর উয়রা নেল উয়রুম

নেল উয়রা কুড়ী উয়রুম

কুড়ী উয়রা কোল উয়রুম

কোল উয়রা কোণ উয়রবান

যখন জলস্তর বৃদ্ধি পায়, ফলনও বাড়ে, জনসাধারণের সমৃদ্ধি হয় এবং রাষ্ট্রেরও সমৃদ্ধি হয়। জল সংরক্ষণের জন্য যা যা করা উচিত, আমাদের সেগুলি করতে হবে। এটি শুধু জাতীয় বিষয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক বিষয়ও। এক ফোঁটা জলে অনেক ফসল – এই মন্ত্র মনে রাখতে হবে। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পক্ষে সহায়ক হবে।

বন্ধুগণ,

আমরা চেন্নাই মেট্রো রেলের প্রথম পর্বের ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ উদ্বোধন করতে চলেছি। যা সকলের কাছে আনন্দের। এর ফলে ওয়াসারমেনপেট থেকে উইমকোনগর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। বিশ্বজুড়ে মহামারির সত্ত্বেও এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়েছে। ভারতীয় ঠিকাদাররা এই প্রকল্প তৈরির কাজ করেছেন। প্রকল্পের উপাদান, দেশীয় সংস্থাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সাজুয্য রেখে চলে। চেন্নাই মেট্রো দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এবছরের বাজেটে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বের ১১৯ কিলোমিটার রেলপথের জন্য ৬৩,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে౼ যা যে কোনো শহরের একটি প্রকল্পের হিসেবে সব থেকে বেশি বরাদ্দকৃত অর্থ। এখানকার নাগরিকদের সহজ জীবনযাত্রায় সাহায্য করার জন্য শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অনেক সুবিধা হয়। এটি ব্যবসা বাণিজ্যের পক্ষে সহায়ক। সোনালী চুতর্ভুজ প্রকল্পের আওতায় চেন্নাই বিচ – এন্নোড় – আট্টিপাট্টু শাখায় যান চলাচল অত্যন্ত বেশি হয়। চেন্নাই বন্দর থেকে কামরাজার বন্দর পর্যন্ত দ্রুত যান চলাচলের প্রয়োজন রয়েছে। আর তাই চেন্নাই বিচ থেকে আট্টিপাট্টু পর্যন্ত চতুর্থ লাইন, একাজে সাহায্য করবে। বদ্বীপ এলাকার জেলাগুলিতে ভিল্লুপুরম – থান্জাভুর – থিরুভারুর প্রকল্পে বৈদ্যুতিকীকরণ এই অঞ্চলে বিরাট সুযোগ এনে দেবে। খাদ্য শস্য নিয়ে মালগাড়ি এই শাখায় দ্রুত গতিতে এর ফলে চলাচল করবে।

বন্ধুগণ,

আজকের দিনটি কোনো ভারতীয়ই ভুলে যাবে না। ২ বছর আগে পুলওয়ামায় আজকের দিনে হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় যাদের আমরা হারিয়েছি, সেই সব শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। আমরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য গর্বিত। তাঁদের সাহসিকতার জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবেন।

বন্ধুগণ,

বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষায় লেখা তামিল মহাকবি সুব্রমনিয়া ভারতী লিখেছিলেন,

আয়ুথম সেয়বোম নল্লা কাকীতম সেয়বোম

আলেকল বাঈপ্পোম কল্বী সালাইকল বাঈপ্পোম

নডেয়ুম পরপ্পু মুনর বন্ডীকল সেয়বোম

জ্ঞলম নডুনকা বরুং কপ্পলকল সেয়বোম

অর্থাৎ -

আসুন আমরা অস্ত্র বানাই; আমরা কাগজ বানাই।

আসুন আমরা কারখানা বানাই, আমরা স্কুল বানাই।

আসুন আমরা যানবাহন বানাই, যেগুলি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে এবং আকাশে উড়বে।

আসুন আমরা জাহাজ বানাই, যা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে।

এই স্বপ্নে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য ভারত, বিপুল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে দুটি প্রতিরক্ষা করিডর হয়েছে, তার একটি তামিলনাডুতে। এই করিডর ইতিমধ্যেই ৮১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।

আমাদের সীমান্ত রক্ষা করার জন্য আরো এক যোদ্ধাকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে আমি আজ গর্বিত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি “মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক অর্জুন মার্ক ১এ” আমি হস্তান্তরিত করতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। এটি দেশীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করবে। তামিলনাডু ইতিমধ্যেই ভারতে যানবাহন প্রস্তুতকারী হাব হিসেবে শীর্ষ স্থান দখল করেছে।

আর এখন আমি দেখতে পাচ্ছি, ভারতের ট্যাঙ্ক নির্মাণকারী হাব হিসেবে তামিলনাডু উঠে আসছে। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য উত্তর সীমান্তে তামিলনাডুর তৈরি ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। ভারতের একতা দর্শন – ঐক্যবদ্ধ ভাবধারার এটি প্রতিফলন। বিশ্বে অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে আমরা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য কাজ করছি। ভারতের সাহসিকতার তত্ত্বে আমাদের বাহিনী সমৃদ্ধ। আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে তাদের ক্ষমতা এই বাহিনী বিভিন্ন সময়ে দেখিয়ে আসছে। একই সঙ্গে ভারত যে শান্তিতে বিশ্বাসী তারা সেটিও বোঝাচ্ছে। আমাদের সার্বভৌমত্বকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। ধৈর্য, বীরত্বের সঙ্গে আমাদের বাহিনীর সৈন্যশক্তি ও ধৈর্যশক্তি নজরকাড়া।

বন্ধুগণ,

আইআইটি ম্যাড্রাসের ডিসকোভারি ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মানে একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ২ লক্ষ বর্গমিটার এলাকায় এর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। আইআইটি ম্যাড্রাসের ডিসকোভারি ক্যাম্পাস উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমি নিশ্চিত। ভারতের সব জায়গার শ্রেষ্ঠ মেধা এখানে জড় হবে।

বন্ধুগণ,

সারা বিশ্ব বিপুল উৎসাহ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভারতের দিকে যে তাকিয়ে রয়েছে, সেবিষয়টি নিশ্চিত। এই দশক, ভারতের দশক হতে চলেছে। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর কঠোর পরিশ্রমের জন্যই যা সম্ভব। এই উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং উদ্ভাবনের বিকাশকে সব রকমের সাহায্য করতে কেন্দ্র, অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকার এবছরের বাজেটে আরো একবার প্রতিফলিত হয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য এবারের বাজেট বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

ভারত, আমাদের মৎসজীবীদের জন্য গর্বিত। তারা অধ্যাবসায় এবং দয়ার প্রতীক। এবারের বাজেটে তাঁদের জন্য বাড়তি সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাছ ধরার পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। চেন্নাই সহ ৫টি জায়গায় অত্যাধুনিক মৎস্য বন্দর তৈরী হবে। আমরা সামুদ্রিক শৈবালচাষে আশাবাদী, এগুলি উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটাবে। তামিলনাডুতে একটি বহুমুখী সামুদ্রিক শৈবাল পার্ক গড়ে তোলা হবে। যেখানে এই শৈবালের চাষ করা হবে।

বন্ধুগণ,

ভারতের সামাজিক এবং ভৌত পরিকাঠামো দ্রুত গতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত উদ্যোগী হয়েছে। সম্প্রতি আমরা সমস্ত গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। ভারত, প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে চলেছে। এর ফলে দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য প্রচুর সুযোগ গড়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

তামিলনাডুর সংস্কৃতি মেনে চলা এবং সেটি সংরক্ষণ করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বজুড়ে তামিলনাড়ুর সংস্কৃতি জনপ্রিয়। আমি তামিলনাডুর দেবেন্দ্রকুলা ভেল্লালার সম্প্রদায়ের বোন ও ভাইদের একটি খুশির খবর দিতে চাই। দেবেন্দ্রকুলা ভেলালার হিসেবে পরিচিত হওয়ার দীর্ঘ দিনের দাবি কেন্দ্র, গ্রহণ করেছে। তাঁরা এখন থেকে তাঁদের ঐতিহ্যগত নামে পরিচিত হবেন এবং সংবিধানের ৬ -৭ টা তালিকাভুক্ত নামে তাদের আর পরিচিত হতে হবে না। কেন্দ্র, দেবেন্দ্রকুলা ভেলালার নামটি অনুমোদন করেছে। এর জন্য খসড়া বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা হয়েছে। যেটি সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করবে। সংসদের আগামী অধিবেশনের শুরুতেই এটি পেশ করা হবে। তামিলনাডু সরকারের এই দাবি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের এই দাবির স্বপক্ষে সমর্থন দীর্ঘদিনের ।

বন্ধুগণ,

দেবেন্দারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২০১৫ সালে সাক্ষাৎ এর বিষয়টি আমি কখনই ভুলবো না।

তাদের মনোকষ্ট আমি দেখেছিলাম। ঔপনিবেশিক শাসকরা তাঁদের গর্ব এবং মর্যাদাকে কেড়ে নিয়েছিল। দশকের পর দশক কোনো পরিবর্তন হয় নি। তারা আমায় জানিয়েছিলেন – বিভিন্ন সরকারের কাছে তারা নানা সময়ে আবেদন করেছেন। অথচ কোনো কিছু হয় নি। আমি তাদেরকে একটি কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, তাদের নাম দেবেন্দরের সঙ্গে আমার নিজের নাম নরেন্দ্রর মিল আছে। আমি তাদের ভাবাবেগ বুঝতে পারি। এই সিদ্ধান্ত শুধু নাম পরিবর্তন নয়, এর সঙ্গে ন্যায় মর্যাদা এবং সুযোগও জড়িত। দেবেন্দ্রকুলা সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তারা সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বে বিশ্বাসী। তাদের আন্দোলন ছিল সভ্যতার সঙ্গে জাতীয়তাবাদের মিশ্রণ। তাদের আত্মপ্রত্যয় এবং আত্মগৌরব, এর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার, শ্রীলঙ্কায় আমাদের তামিল ভাই – বোনেদের কল্যাণ ও উচ্চাকাঙ্খার বিষয়ে সবসময় গুরুত্ব দেয়। একমাত্র ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাফনায় যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের কল্যাণ নিশ্চিত করতে উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার, তামিলদের জন্য যে সম্পদ দিচ্ছে, তা আগের সরকারগুলির থেকে অনেক বেশি। শ্রীলঙ্কার উত্তর – পূর্বাঞ্চলের উদ্বাস্তু তামিলদের জন্য ৫০,০০০ বাড়ি, বাগিচা এলাকায় ৪০০০ বাড়ি এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। তামিল সম্প্রদায়ের মানুষরা ব্যবহার করছেন, এরকম একটি বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবায় আমরা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। এছাড়াও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ডিকোয়ায় একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য জাফনা এবং মান্নারে রেল লাইন আবারও তৈরি করা হয়েছে। চেন্নাই থেকে জাফনা বিমান পরিষেবার সূচনা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভারত, জাফনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। যেটি আমরা খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করবো। শ্রীলঙ্কার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তামিলদের অধিকারের প্রসঙ্গ আমরা সবসময় আলোচনা করি। তামিলরা যাতে সমভাবে ন্যায়, শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।

বন্ধুগণ,

আমাদের মৎসজীবীরা যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলি দীর্ঘদিনের। আমি এই সমস্যার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু আমি আপনাদের এটুকি আশ্বাস দিতে চাইযে, আমার সরকার, তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য সবসময় কাজ করবে। যত দ্রুত সম্ভব মৎসজীবীরা যাতে ছাড়া পান, সেটি নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হয়। আমাদের সময়ে ১৬০০র বেশি মৎসজীবী মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় কোনো ভারতীয় মৎসজীবী আটক নেই। একইভাবে ৩১৩টি মাছ ধরার নৌকা ছাড়িয়ে আনা হয়েছে এবং বাকি নৌকাগুলি যাতে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়, সেবিষয়ে আমরা কাজ করছি।

বন্ধুগণ,

জনমুখী উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে কোভিড – ১৯ এর বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইকে ভারত, শক্তিশালী করেছে। আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করার জন্য এবং বিশ্বকে আরো সুন্দর করার জন্য যা যা করার সেগুলি করবো। আমাদের সংবিধান রচয়িতারা আমাদের কাছে সেটাই চেয়েছিলেন। আজ যে সব উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সূচনা হল, তার জন্য আমি আরো একবার তামিলনাডুর জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাই।

ধন্যবাদ !

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভনাক্কাম !

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।