ভানাক্কাম চেন্নাই !
ভানাক্কাম তামিলনাডু
তামিলনাডুর রাজ্যপাল শ্রী বনোয়ারিলাল পুরোহিত জি, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পালানিস্বয়ামী জি, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী পনিরসিলভম জি, তামিলনাডু বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী ধনপাল জি, শিল্পমন্ত্রী শ্রী সম্পথ জি, বিশিষ্ঠ অতিথি বর্গ, ভদ্র মহোদয়া ও ভদ্র মহোদয়গণ, আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি আজ চেন্নাইতে এসে আনন্দিত। এই শহরের মানুষ যেভাবে আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তার জন্য আমি ধন্য়বাদ জানাই। এই শহর উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর। এই শহর জ্ঞান ও সৃজনশীলতার শহর। আজ থেকে চেন্নাইয়ে আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত প্রকল্পের সূচনা করছি। এই প্রকল্পগুলি দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবন ও তৈরি হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি তামিলনাডুর বিকাশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বন্ধুগণ,
এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আমরা ৬৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্র্যান্ড অ্যানিকাট খাল ব্যবস্থার সংস্কারের শিলান্যাস করছি। এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। এটি ২.২৭ লক্ষ একর জমির সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। থান্জাভুর ও পুড়ুক্কোট্টাই জেলা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। তামিলনাডুর কৃষকরা রেকর্ড পরিমাণে ফসল উৎপাদন করায় ও জল সম্পদের যথাযথ ব্য়বহার করায় আমি তাঁদের ধন্য়বাদ জানাই। হাজার হাজার বছর ধরে এই গ্র্যান্ড অ্যানিকাট ও তার খাল ব্যবস্থা তামিলনাডুর ধানের গোলার জীবনের উৎস। এই গ্র্যান্ড অ্যানিকাট আমাদের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের জীবন্ত প্রমাণ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য এটি অনুপ্রেরণার উৎস। বিখ্যাত তামিল কবি আভাইয়ারের ভাষায় –
বরুপ্পু উয়রা নীর উয়রুম
নীর উয়রা নেল উয়রুম
নেল উয়রা কুড়ী উয়রুম
কুড়ী উয়রা কোল উয়রুম
কোল উয়রা কোণ উয়রবান
যখন জলস্তর বৃদ্ধি পায়, ফলনও বাড়ে, জনসাধারণের সমৃদ্ধি হয় এবং রাষ্ট্রেরও সমৃদ্ধি হয়। জল সংরক্ষণের জন্য যা যা করা উচিত, আমাদের সেগুলি করতে হবে। এটি শুধু জাতীয় বিষয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক বিষয়ও। এক ফোঁটা জলে অনেক ফসল – এই মন্ত্র মনে রাখতে হবে। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পক্ষে সহায়ক হবে।
বন্ধুগণ,
আমরা চেন্নাই মেট্রো রেলের প্রথম পর্বের ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ উদ্বোধন করতে চলেছি। যা সকলের কাছে আনন্দের। এর ফলে ওয়াসারমেনপেট থেকে উইমকোনগর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। বিশ্বজুড়ে মহামারির সত্ত্বেও এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়েছে। ভারতীয় ঠিকাদাররা এই প্রকল্প তৈরির কাজ করেছেন। প্রকল্পের উপাদান, দেশীয় সংস্থাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সাজুয্য রেখে চলে। চেন্নাই মেট্রো দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এবছরের বাজেটে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বের ১১৯ কিলোমিটার রেলপথের জন্য ৬৩,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে౼ যা যে কোনো শহরের একটি প্রকল্পের হিসেবে সব থেকে বেশি বরাদ্দকৃত অর্থ। এখানকার নাগরিকদের সহজ জীবনযাত্রায় সাহায্য করার জন্য শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অনেক সুবিধা হয়। এটি ব্যবসা বাণিজ্যের পক্ষে সহায়ক। সোনালী চুতর্ভুজ প্রকল্পের আওতায় চেন্নাই বিচ – এন্নোড় – আট্টিপাট্টু শাখায় যান চলাচল অত্যন্ত বেশি হয়। চেন্নাই বন্দর থেকে কামরাজার বন্দর পর্যন্ত দ্রুত যান চলাচলের প্রয়োজন রয়েছে। আর তাই চেন্নাই বিচ থেকে আট্টিপাট্টু পর্যন্ত চতুর্থ লাইন, একাজে সাহায্য করবে। বদ্বীপ এলাকার জেলাগুলিতে ভিল্লুপুরম – থান্জাভুর – থিরুভারুর প্রকল্পে বৈদ্যুতিকীকরণ এই অঞ্চলে বিরাট সুযোগ এনে দেবে। খাদ্য শস্য নিয়ে মালগাড়ি এই শাখায় দ্রুত গতিতে এর ফলে চলাচল করবে।
বন্ধুগণ,
আজকের দিনটি কোনো ভারতীয়ই ভুলে যাবে না। ২ বছর আগে পুলওয়ামায় আজকের দিনে হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় যাদের আমরা হারিয়েছি, সেই সব শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। আমরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য গর্বিত। তাঁদের সাহসিকতার জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবেন।
বন্ধুগণ,
বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষায় লেখা তামিল মহাকবি সুব্রমনিয়া ভারতী লিখেছিলেন,
আয়ুথম সেয়বোম নল্লা কাকীতম সেয়বোম
আলেকল বাঈপ্পোম কল্বী সালাইকল বাঈপ্পোম
নডেয়ুম পরপ্পু মুনর বন্ডীকল সেয়বোম
জ্ঞলম নডুনকা বরুং কপ্পলকল সেয়বোম
অর্থাৎ -
আসুন আমরা অস্ত্র বানাই; আমরা কাগজ বানাই।
আসুন আমরা কারখানা বানাই, আমরা স্কুল বানাই।
আসুন আমরা যানবাহন বানাই, যেগুলি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে এবং আকাশে উড়বে।
আসুন আমরা জাহাজ বানাই, যা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে।
এই স্বপ্নে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য ভারত, বিপুল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে দুটি প্রতিরক্ষা করিডর হয়েছে, তার একটি তামিলনাডুতে। এই করিডর ইতিমধ্যেই ৮১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।
আমাদের সীমান্ত রক্ষা করার জন্য আরো এক যোদ্ধাকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে আমি আজ গর্বিত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি “মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক অর্জুন মার্ক ১এ” আমি হস্তান্তরিত করতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। এটি দেশীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করবে। তামিলনাডু ইতিমধ্যেই ভারতে যানবাহন প্রস্তুতকারী হাব হিসেবে শীর্ষ স্থান দখল করেছে।
আর এখন আমি দেখতে পাচ্ছি, ভারতের ট্যাঙ্ক নির্মাণকারী হাব হিসেবে তামিলনাডু উঠে আসছে। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য উত্তর সীমান্তে তামিলনাডুর তৈরি ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হবে। ভারতের একতা দর্শন – ঐক্যবদ্ধ ভাবধারার এটি প্রতিফলন। বিশ্বে অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে আমরা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য কাজ করছি। ভারতের সাহসিকতার তত্ত্বে আমাদের বাহিনী সমৃদ্ধ। আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে তাদের ক্ষমতা এই বাহিনী বিভিন্ন সময়ে দেখিয়ে আসছে। একই সঙ্গে ভারত যে শান্তিতে বিশ্বাসী তারা সেটিও বোঝাচ্ছে। আমাদের সার্বভৌমত্বকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। ধৈর্য, বীরত্বের সঙ্গে আমাদের বাহিনীর সৈন্যশক্তি ও ধৈর্যশক্তি নজরকাড়া।
বন্ধুগণ,
আইআইটি ম্যাড্রাসের ডিসকোভারি ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মানে একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ২ লক্ষ বর্গমিটার এলাকায় এর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। আইআইটি ম্যাড্রাসের ডিসকোভারি ক্যাম্পাস উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমি নিশ্চিত। ভারতের সব জায়গার শ্রেষ্ঠ মেধা এখানে জড় হবে।
বন্ধুগণ,
সারা বিশ্ব বিপুল উৎসাহ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভারতের দিকে যে তাকিয়ে রয়েছে, সেবিষয়টি নিশ্চিত। এই দশক, ভারতের দশক হতে চলেছে। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর কঠোর পরিশ্রমের জন্যই যা সম্ভব। এই উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং উদ্ভাবনের বিকাশকে সব রকমের সাহায্য করতে কেন্দ্র, অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকার এবছরের বাজেটে আরো একবার প্রতিফলিত হয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য এবারের বাজেট বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
ভারত, আমাদের মৎসজীবীদের জন্য গর্বিত। তারা অধ্যাবসায় এবং দয়ার প্রতীক। এবারের বাজেটে তাঁদের জন্য বাড়তি সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাছ ধরার পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। চেন্নাই সহ ৫টি জায়গায় অত্যাধুনিক মৎস্য বন্দর তৈরী হবে। আমরা সামুদ্রিক শৈবালচাষে আশাবাদী, এগুলি উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটাবে। তামিলনাডুতে একটি বহুমুখী সামুদ্রিক শৈবাল পার্ক গড়ে তোলা হবে। যেখানে এই শৈবালের চাষ করা হবে।
বন্ধুগণ,
ভারতের সামাজিক এবং ভৌত পরিকাঠামো দ্রুত গতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত উদ্যোগী হয়েছে। সম্প্রতি আমরা সমস্ত গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। ভারত, প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে চলেছে। এর ফলে দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য প্রচুর সুযোগ গড়ে উঠবে।
বন্ধুগণ,
তামিলনাডুর সংস্কৃতি মেনে চলা এবং সেটি সংরক্ষণ করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বজুড়ে তামিলনাড়ুর সংস্কৃতি জনপ্রিয়। আমি তামিলনাডুর দেবেন্দ্রকুলা ভেল্লালার সম্প্রদায়ের বোন ও ভাইদের একটি খুশির খবর দিতে চাই। দেবেন্দ্রকুলা ভেলালার হিসেবে পরিচিত হওয়ার দীর্ঘ দিনের দাবি কেন্দ্র, গ্রহণ করেছে। তাঁরা এখন থেকে তাঁদের ঐতিহ্যগত নামে পরিচিত হবেন এবং সংবিধানের ৬ -৭ টা তালিকাভুক্ত নামে তাদের আর পরিচিত হতে হবে না। কেন্দ্র, দেবেন্দ্রকুলা ভেলালার নামটি অনুমোদন করেছে। এর জন্য খসড়া বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা হয়েছে। যেটি সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করবে। সংসদের আগামী অধিবেশনের শুরুতেই এটি পেশ করা হবে। তামিলনাডু সরকারের এই দাবি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের এই দাবির স্বপক্ষে সমর্থন দীর্ঘদিনের ।
বন্ধুগণ,
দেবেন্দারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২০১৫ সালে সাক্ষাৎ এর বিষয়টি আমি কখনই ভুলবো না।
তাদের মনোকষ্ট আমি দেখেছিলাম। ঔপনিবেশিক শাসকরা তাঁদের গর্ব এবং মর্যাদাকে কেড়ে নিয়েছিল। দশকের পর দশক কোনো পরিবর্তন হয় নি। তারা আমায় জানিয়েছিলেন – বিভিন্ন সরকারের কাছে তারা নানা সময়ে আবেদন করেছেন। অথচ কোনো কিছু হয় নি। আমি তাদেরকে একটি কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, তাদের নাম দেবেন্দরের সঙ্গে আমার নিজের নাম নরেন্দ্রর মিল আছে। আমি তাদের ভাবাবেগ বুঝতে পারি। এই সিদ্ধান্ত শুধু নাম পরিবর্তন নয়, এর সঙ্গে ন্যায় মর্যাদা এবং সুযোগও জড়িত। দেবেন্দ্রকুলা সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তারা সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বে বিশ্বাসী। তাদের আন্দোলন ছিল সভ্যতার সঙ্গে জাতীয়তাবাদের মিশ্রণ। তাদের আত্মপ্রত্যয় এবং আত্মগৌরব, এর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার, শ্রীলঙ্কায় আমাদের তামিল ভাই – বোনেদের কল্যাণ ও উচ্চাকাঙ্খার বিষয়ে সবসময় গুরুত্ব দেয়। একমাত্র ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাফনায় যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের কল্যাণ নিশ্চিত করতে উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার, তামিলদের জন্য যে সম্পদ দিচ্ছে, তা আগের সরকারগুলির থেকে অনেক বেশি। শ্রীলঙ্কার উত্তর – পূর্বাঞ্চলের উদ্বাস্তু তামিলদের জন্য ৫০,০০০ বাড়ি, বাগিচা এলাকায় ৪০০০ বাড়ি এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। তামিল সম্প্রদায়ের মানুষরা ব্যবহার করছেন, এরকম একটি বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবায় আমরা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। এছাড়াও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ডিকোয়ায় একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য জাফনা এবং মান্নারে রেল লাইন আবারও তৈরি করা হয়েছে। চেন্নাই থেকে জাফনা বিমান পরিষেবার সূচনা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভারত, জাফনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। যেটি আমরা খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করবো। শ্রীলঙ্কার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তামিলদের অধিকারের প্রসঙ্গ আমরা সবসময় আলোচনা করি। তামিলরা যাতে সমভাবে ন্যায়, শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।
বন্ধুগণ,
আমাদের মৎসজীবীরা যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলি দীর্ঘদিনের। আমি এই সমস্যার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু আমি আপনাদের এটুকি আশ্বাস দিতে চাইযে, আমার সরকার, তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য সবসময় কাজ করবে। যত দ্রুত সম্ভব মৎসজীবীরা যাতে ছাড়া পান, সেটি নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হয়। আমাদের সময়ে ১৬০০র বেশি মৎসজীবী মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় কোনো ভারতীয় মৎসজীবী আটক নেই। একইভাবে ৩১৩টি মাছ ধরার নৌকা ছাড়িয়ে আনা হয়েছে এবং বাকি নৌকাগুলি যাতে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়, সেবিষয়ে আমরা কাজ করছি।
বন্ধুগণ,
জনমুখী উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে কোভিড – ১৯ এর বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইকে ভারত, শক্তিশালী করেছে। আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করার জন্য এবং বিশ্বকে আরো সুন্দর করার জন্য যা যা করার সেগুলি করবো। আমাদের সংবিধান রচয়িতারা আমাদের কাছে সেটাই চেয়েছিলেন। আজ যে সব উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সূচনা হল, তার জন্য আমি আরো একবার তামিলনাডুর জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাই।
ধন্যবাদ !
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভনাক্কাম !