ভারতমাতা কি জয়, ভারতমাতা কি জয়, ভারতমাতা কি জয়!

ধেমাজির হারুয়া ভূমির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এই বিশেষ দিনটির জন্য আমি আপনাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই!

মঞ্চে উপস্থিত আসামের রাজ্যপাল প্রফেসর জগদীশ মুখীজি, রাজ্যের জনপ্রিয় যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, শ্রী রামেশ্বর তেলিজি, আসাম সরকারের মন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মাজি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ এবং এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত আমার প্রিয় আসামের ভাই ও বোনেরা,

এটা আমার সৌভাগ্য যে আজ তৃতীয়বার ধেমাজি এসে আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। আর প্রতিবারই এখানকার মানুষের আত্মীয়তা, এখানকার মানুষের আশীর্বাদ আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করার জন্য, আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য নতুন কিছু করার জন্য প্রেরণা জোগায়। যখন আমি এখানে গোগামুখে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শিলান্যাস করতে এসেছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম যে উত্তর-পূর্ব ভারতই গোটা দেশের উন্নয়নের নতুন ইঞ্জিন হয়ে উঠবে। আজ আমার এই বিশ্বাসকে আমাদের চোখের সামনে বাস্তবায়িত হতে দেখছি।

ভাই ও বোনেরা,

ব্রহ্মপুত্রের এই উত্তর তটে আট দশক আগে অসমিয়া সিনেমা যাত্রা শুরু করেছিল ‘জলমতী’ সিনেমার মাধ্যমে। এই অঞ্চলটি আসামের সংস্কৃতির গৌরব বৃদ্ধিকারী অনেক ব্যক্তিত্ব দিয়েছে। রূপকুঁয়র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়াল, কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা, নাচসূর্য ফণী শর্মার মতো ব্যক্তিত্ব আসামের পরিচয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতরত্ন ডঃ ভূপেন হাজারিকা কখনও লিখেছিলেন, “লুইতুর পাড় দুটি ঝিলিক উঠিব রাতি, জ্বলি হত দেওয়ালির বন্তি।”অর্থাৎ, ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড় দীপাবলিতে প্রজ্জ্বলিত দীপমালার আলোর রোশনাইয়ে মোহিত হবে। গতকাল আমি বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম যে আপনারা এই অঞ্চলে কিভাবে দীপাবলির মতো করে উৎসব পালন করেছেন, কিভাবে হাজার হাজার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। প্রদীপের সেই আলো শান্তি ও স্থায়িত্বের মাঝে আসামের উন্নয়নের প্রকাশ। কেন্দ্র এবং আসাম সরকার মিলে রাজ্যের ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়নের কাজে এগিয়ে চলেছে। আর এই উন্নয়নের একটি বড় ভিত্তি হল আসামের পরিকাঠামো।

বন্ধুগণ,

উত্তর পাড়ের ভরপুর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পূর্ববর্তী সরকারগুলি এই অঞ্চলের সঙ্গে সৎ মায়ের মতো ব্যবহার করেছে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পোদ্যোগ ইত্যাদির প্রতি পূর্ববর্তী সরকারের অগ্রাধিকার পরিলক্ষিত হয়নি। আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং ‘সবকা বিশ্বাস’-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে। সর্বানন্দজির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারও এই নীতিতেই কাজ করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে উত্তর এবং দক্ষিণের বৈষম্য দূর করেছে। যে বোগীবিল সেতুর জন্য এই অঞ্চল যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করেছে, সেই সেতুর কাজ আমাদের সরকার দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করেছে। ব্রহ্মপুত্রের উত্তর তটে ব্রডগেজ রেললাইন আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই পাতা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রে দ্বিতীয় কলিয়াভুমুরা সেতু এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করবে। এটির কাজ দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করা হবে। উত্তর তটে চার লেন বিশিষ্ট জাতীয় মহাসড়কের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গত সপ্তাহেই মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র থেকে এখানে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ চালু হয়েছে। বঙ্গাইগাঁও-এর যোগিঘোপাতে একটি বড় টার্মিনাল এবং লাজিস্টিক্স পার্কে কাজও শুরু হয়েছে।

বন্ধুগণ,

 

এই পর্যায়ে আজ আসামবাসী ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে শক্তিক্ষেত্রে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকাঠামো প্রকল্পের একটি নতুন উপহার পাচ্ছে। ধেমাজি এবং সুয়ালকুচিতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন থেকে শুরু করে বঙ্গাইগাঁও-এ তৈল শোধনাগারের বিস্তার, ডিব্রুগড়ে সেকেন্ডারি ট্যাঙ্ক ফার্ম আর তিনসুকিয়ায় গ্যাস কম্প্রেসর স্টেশন প্রকল্পগুলি শক্তি উৎপাদন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে হাব হয়ে উঠে এই অঞ্চলের পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এই প্রকল্পগুলি আসামের পাশাপাশি দ্রুতগতিতে উন্নয়নশীল পূর্ব ভারতের প্রতীক।

 

বন্ধুগণ,

 

আত্মনির্ভর ভারতের জন্য লাগাতার নিজেদের সামর্থ্য ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে আমরা ভারতেই তৈল শোধনাগার এবং আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তৈল সংরক্ষণ ক্ষমতা অনেক বেশি বাড়াতে পেরেছি। বঙ্গাইগাঁও তৈল শোধনাগারেও তৈল শোধনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আজ যে গ্যাস ইউনিটটি উদ্বোধন করা হয়েছে, সেটি এখানে এলপিজি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে। এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে আসাম তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের জীবন সহজ হবে এবং নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

যখন কোনও ব্যক্তি মৌলিক সুবিধাগুলি পান, তখন তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। ক্রমবর্ধমান এই আত্মবিশ্বাস গোটা অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটায়। আর এই উন্নয়ন দেশের উন্নতিসাধন করে। আজ আমাদের সরকার সেই মানুষদের কাছে, সেই অঞ্চলগুলিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে, যেখানে আগে কোনও পরিষেবা পৌঁছয়নি। এখন সরকারি ব্যবস্থা তাঁদেরকে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। আগে মানুষকে তাঁদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনারা ভাবুন, ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক ১০০টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫০-৫৫ জনের, অর্থাৎ প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বাড়িতেই এলপিজি গ্যাস সংযোগ ছিল। আসামে তৈল শোধনাগার এবং অন্যান্য পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও ১০০-র মধ্যে ৪০টি পরিবারের কাছে গ্যাস সংযোগ ছিল। গরীব মা-বোন-বেটিদের রান্নাঘরের ধোঁয়া এবং অসুস্থতার জালের মধ্যে বসবাস করা তাঁদের জীবনের অনেক বড় দুঃখের কারণ ছিল। আমরা উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতিকে বদলেছি। আজ আসামে গ্যাস সংযোগ প্রায় ১০০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে গেছে। এখানে বঙ্গাইগাঁও তৈল শোধনাগারের আশপাশের জেলাগুলিতে ২০১৪-র পর তিনগুণের বেশি এলপিজি সংযোগ বেড়ে গেছে। এখন কেন্দ্রীয় বাজেটে ১ কোটি আরও গরীব বোনেদের উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

 

গ্যাস সংযোগ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সংযোগ, সার উৎপাদন কমে গেলে সব থেকে বেশি লোকসান আমাদের দেশের গরীব মানুষ, আমাদের দেশের ছোট কৃষকদেরই হয়। স্বাধীনতার পর অনেক দশক পেরিয়ে গেলেও যে ১৮ হাজার গ্রামে এতদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেগুলির মধ্যে অধিকাংশ গ্রামই ছিল আসাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। পূর্ব ভারতে অনেক সার কারখানা গ্যাসের অভাবে হয় বন্ধ হয়ে গেছে, কিংবা অসুস্থ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ফল কাদের ভুগতে হয়েছে? এখানকার গরীব মানুষ, মধ্যবিত্ত, নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের জন্য আগের ভুলগুলি শোধরানোর কাজ আমাদের সরকারই করছে। আজ প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা যোজনার মাধ্যমে পূর্ব ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্যাস পাইপলাইনের অন্যতম একটি উপায়ের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত সঠিক হলে, ইচ্ছাশক্তি স্পষ্ট হলে, ভাগ্য বদলে যায়, নিয়তিও বদলে যায়, খারাপ চিন্তার অবসান ঘটে, আর নিয়তি প্রত্যেকের ভাগ্য বদলে দেয়। আজ দেশে গ্যাস পাইপলাইনের নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, দেশের প্রত্যেক গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার পাতা হচ্ছে, বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে - এইসব কিছু ভারতমাতার কোলে নতুন যে সব পরিকাঠামো গঠন করছে তা লোহার পাইপ আর ফাইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা যে ভারতমাতার নতুন ভাগ্যরেখা।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আত্মনির্ভর ভারতকে গতি প্রদানের জন্য আমাদের বৈজ্ঞানিক, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদের শক্তিশালী ট্যালেন্ট পুলের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে দেশে এমন একটি আবহ গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করছি, যেখানে দেশের নতুন প্রজন্মের মানুষরা দেশবাসীর নানা সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবক পদ্ধতিতে অনেক স্টার্ট-আপ গড়ে তুলেছে। আজ গোটা বিশ্ব ভারতের ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদদের সমীহ করে। আসামের যুব সম্প্রদায়ের অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আসাম সরকারের প্রচেষ্টার কারণেই আজ এখানকার ২০টিরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ ধেমাজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শুভ উদ্বোধন আর সুয়ালকুচি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিলান্যাসের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি আরও ইতিবাচক হয়ে উঠেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এমনই আরও তিনটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। মেয়েদের জন্য বিশেষ কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ এবং আরও অনেক নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ আসাম সরকার দ্রুতগতিতে করছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আসাম সরকার এখানে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিকেও দ্রুত বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে আসামের জনগণ, এখানকার জনজাতি সমাজের মানুষেরা, চা বাগানে কর্মরত আমার শ্রমিক ভাই-বোনেদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত লাভবান হবেন, কারণ এতে স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনা এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। যখন স্থানীয় ভাষায় মেডিকেল পড়াশোনা হবে, স্থানীয় ভাষায় প্রযুক্তিগত পড়াশোনা হবে, তখন দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম পরিবারের বাচ্চারাও চিকিৎসক হতে পারবেন, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন, দেশের কল্যাণ করতে পারবেন। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মা-বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আসামের মতো রাজ্যে যেখানে চা, পর্যটন, হস্ততাঁত এবং হস্তশিল্প – এই সমস্ত ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার বড় শক্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে এখানকার যুব সম্প্রদায় যখন এই দক্ষতাগুলি স্কুলে এবং কলেজেই শিখবে তখন তাঁরা অনেক লাভবান হবেন। আত্মনির্ভরতার ভিত্তির সঙ্গে সেখান থেকে যুক্ত হবে। এ বছরের বাজেটেও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে কয়েকশ’নতুন একলব্য মডেল স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে আসাম লাভবান হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

ব্রহ্মপুত্রের আশীর্বাদে এই অঞ্চলের মাটি অত্যন্ত ঊর্বরা। এখানকার কৃষকরা যাতে তাঁদের সামর্থ্য বাড়াতে পারেন, তাঁদের কৃষি যাতে আধুনিক পরিষেবাগুলির সুবিধা পায়, তাঁদের আয় বৃদ্ধি পায়, তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার মিলেমিশে কাজ করছে। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার থেকে শুরু করে কৃষকদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করা, তাঁদের ভালো বীজ দেওয়া, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের ব্যবস্থা করা, তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনকে মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের সরকার মৎস্যচাষের জন্য অনেকদিন আগেই একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রক চালু করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মৎস্যচাষে উৎসাহ প্রদানের জন্য যত খরচ হয়েছে, তার থেকে বেশি খরচ আমাদের সরকার করেছে। মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি অনেক বড় প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে যার মাধ্যমে আমার আসামের মৎস্য শিল্পোদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ভাইয়েরা লাভবান হবেন। সরকার চেষ্টা করছে আসাম তথা দেশের কৃষক চাষ করে যে ফসল ফলায়, তা আন্তর্জাতিক বাজারে কিভাবে পৌঁছবে সেটা সুনিশ্চিত করা। সেজন্য কৃষি-সংশ্লিষ্ট আইনগুলির সংস্কার করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আসামের অর্থনীতিতে ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পাড়ের চা বাগানগুলির অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। এই চা বাগানগুলিতে কর্মরত আমাদের ভাই-বোনেদের জীবন সহজ করে তোলাও আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির অন্যতম। আমি আসাম সরকারের প্রশংসা করছি, কারণ তারা ছোট ছোট চা উৎপাদকদের জমির পাট্টা দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

যে মানুষেরা অনেক দশক ধরে দেশে রাজত্ব করেছে, তারা ডিসপুরকে দিল্লি থেকে অনেক দূরে মনে করত। এই ভাবনার ফলেই আসামের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এখন দিল্লি আপনাদের থেকে দূরে নয়। দিল্লি আপনাদের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। বিগত বছরগুলিতে কয়েকশ’ বার কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের এখানে পাঠানো হয়েছে; যাতে তাঁরা আপনাদের সমস্যাগুলি জানতে পারেন, তৃণমূলস্তরে কী কাজ হচ্ছে তা দেখতে পারেন এবং আপনাদের প্রয়োজনগুলি মাথায় রেখে প্রকল্পগুলি রচনা করেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি। আমিও অনেকবার আসামে এসেছি যাতে আপনাদের মাঝে এসে আপনাদের উন্নয়ন যাত্রায় একজন সহযাত্রী হয়ে উঠতে পারি। আসামের কাছে সবকিছু আছে যা এখানকার প্রত্যেক নাগরিকের জীবনকে উন্নত করার জন্য চাই। এখন প্রয়োজন হল এখানকার উন্নয়নের। সেই উন্নয়নের জন্য যে ডবল ইঞ্জিন চলছে, সেই ডবল ইঞ্জিনকে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ আপনাদের সামনে আসছে। আমি আসামের জনগণকে আশ্বস্ত করছি, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আশীর্বাদে আসামের উন্নয়নে আরও দ্রুতগতি আসবে, আসাম উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আমি জানি এখন আপনারা নির্বাচনের অপেক্ষা করছেন। যখন গতবার নির্বাচন ঘোষণা হয়েছিল, তখন হয়তো তারিখটি ছিল ৪ মার্চ। এবারও আমি সম্ভাবনা দেখছি মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন ঘোষণা করা হবে। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাঁরা করবে। কিন্তু আমি চেষ্টা করব নির্বাচন ঘোষণার আগে যতবার আসামে আসতে পারি, পশ্চিমবঙ্গে যেতে পারি, কেরলে যেতে পারি, তামিলনাড়ুতে যেতে পারি এবং পুদুচেরিতে যেতে পারি। আমি চেষ্টা করে যাব। মনে করুন ৭ তারিখে যদি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, তার আগে যতটা সময় পাওয়া যায়। গতবার ৪ মার্চে হয়েছিল বলেই কথাটা বলছি। তার আগে-পেছনেও হতে পারে। যাই হোক, আপনাদের মধ্যে আসার চেষ্টা আমি চালিয়ে যাব। আর ভাই ও বোনেরা, আজ এত বিপুল সংখ্যায় এসে আপনারা আমাকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন, উন্নয়নের পথে আপনারা আমার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছেন, সেজন্য আমি আপনাদের হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আর এই বিশ্বাসের সঙ্গে আরেকবার এতগুলি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য, আত্মনির্ভর আসাম গড়ে তুলতে, ভারত নির্মাণে আসামের অবদানের জন্য, আসামের নবীন প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আসামের মৎস্যজীবী, আসামের কৃষক, আসামের মা-বোনেরা, আমার আসামের জনজাতি ভাই-বোনেরা প্রত্যেকের কল্যাণের জন্য আজ অনেক ক’টি প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস হয়েছে। সেগুলির জন্য আমি আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.