আপনাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো আজ রাতে ঘুম আসবে না। ভাবছেন,প্রধানমন্ত্রী এরকম কথা বলছেন কেন ? বলার কারণ হলো, এই সুরজকুন্ডের ধারে কাছে কোথাও রেললাইন নেই, আর রেললাইন দিয়েঝমঝম করে কিছুক্ষণ পর পর রেলগাড়ি যাওয়ার শব্দ কানে না এলে আপনাদের অনেকের ঘুমআসবে না। এমনই অভ্যাস হয়ে গেছে। মনে হবে কী যে নেই। কখনও আপনাদের মতো মানুষের কাছে Comfort ও Un-Comfort -এ প্রতিপন্ন হয়।
এই রেল বিকাশ শিবির একটি অদ্ভুত প্রয়াস, আমারদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমরা যদি কিছু পরিবর্তন করতে চাই, বাইরে থেকে যত নতুন ভাবনাকিম্বা নতুন পরামর্শই পাইনা কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকলের ভেতর থেকে কোনওআওয়াজ না ওঠে, কোনও কিছুই তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। এই ব্যবস্হায় আপনারা নিজেদেরজীবন কাটিয়েছেন। কেউ ১৫ বছর, কেউ ২০ বছর আর কেউ বা ৩০ বছর, প্রত্যেক মোড়ে আপনারাহয়তো লক্ষ্য, করেছেন কখন গতি বেড়েছে, কখন কমেছে, সব আপনারা জানেন, কোথায় কাজেরসুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে, সমস্যা কী কী রয়েছে- সবকিছুই আপনারা ভালভাবে জানেন।সেজন্য, এতবড় রেল পরিবাব, এত বড় শক্তি, কখনও কি সর্বস্তরের রেলকর্মীরা একত্রেবসে ভেবেছেন যে গোটা পৃথিবী বদলে গেছে, সারা পৃথিবীর রেল বদলে গেছে, তাহলে আমরাএকটা গন্ডীর মধ্যে কেন আটকে থাকবো, শুধুই স্টপেজ বৃদ্ধি আর কামরা বৃদ্ধির চিন্তানিয়েই এতকাল আমাদের চারপাশের সবকিছু বিবর্তিত হয়েছে।
ঠিক আছে, বিগত শতাব্দীতে এইসব কিছুর প্রয়োজনছিল। কিন্তু বর্তমান শতাব্দী সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তি প্রভাবিত। বিশ্বের নানা দেশেঅনেক নতুন নতুন আবিষ্কার ও সেগুলির প্রয়োগ হয়েছে। ভারতবাসীকে বুঝতে হবে যে রেলভারতের জন্য গতি এবং প্রগতির একটি বড় ব্যবস্হা। কিন্তু এই ব্যবস্হার সঙ্গে যতক্ষণপর্যন্ত নিজেদের Identify করতেপারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো বড়ো পরিবর্তন সম্ভন নয়। যিনি গ্যাং-ম্যান, তিনিহয়তো নিজের কাজ ভালভাবে করেন, যিনি স্টেশন মাস্টার তিনি হয়তো ভালভাবে কাজ করেন,যিনি রিজিওন্যাল ম্যানেজার তিনিও হয়তো ভালভাবে কাজ করেন, কিন্তু তিনজনই যদি আলাদাআলাদাভাবে ভাল কাজ করেন তাহলে কখনও সুফল আসবে না। আর সেজন্যই চাই আমাদের মনের মিল,একসঙ্গে বসে ভাবতে হবে আমরা দেশকে কী দিতে পারি। আমরা কি এমন রেল চালাতে চাই, যে আমাদেরগ্যাং-ম্যানের ছেলে বড়ো হয়ে গ্যাং-ম্যানই হবেন ? আমি কিন্তু এর পরিবর্তন চাই। আমি এমনপরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে গ্যাং-ম্যানের ছেলেও ইঞ্জিনিয়ার হয়ে রেলকে সেবা করাসুযোগ পাবে। রেলের সঙ্গে যুক্ত আমাদের দরিদ্র সাথী, ছোট ছোট পদে কর্মরত আমাদেরপরিবারের সদস্যদের জীবনে পরিবর্তন আসবে। আর এই পরিবর্তন সাধনের জন্য রেল প্রগতিকরবে, উন্নয়ন করবে, আর্থিকরূপে সমৃদ্ধ হবে। তবেই আমাদের রেল পরিবারের ১০,১২,১৩লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, দেশও উপকৃত হবে। আজ যেভাবে রেল চলছে, আমার দুশ্চিন্তা হয়,আমাদের লক্ষ লক্ষ গরিব পরিবারগুলির কী হবে ? যারা আমাদের সামনে রোজ কাজ করেন, কাজের মাধ্যমে প্রতিটি দিন আমাদের সঙ্গে কাটান,তাদের জীবনে পরিবর্তন আনার কথা ভাবলে রেলে পরিবর্তনের চিন্তাও নিজে থেকেই মাথায়আসবে। আপনাদের মধ্যে যারা বড় বড় পদাধিকারী রয়েছেন, বড় বড় সেমিনারে অংশগ্রণকরেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গ্লোবাল লেভেলের কনফারেন্সে গেছেন, অনেক নতুন নতুনকথা শুনেছেন, কিন্তু ফিরে আসার পর ভাবনাগুলি ভাবনা পর্যায়েই থেকে গেছে। তখনকারস্মৃতি আপনাদের স্বপ্ন বলে মনে হয়। ফেরার পর আবার নিজেদের পুরনো ব্যবস্হার কাজেরচাপে আপনারা ডুবে গেছেন। এখানে এবার এই তিনদিনে রেল সকল পদের কর্মচারী প্রতিনিধিরাএকসঙ্গে পরস্পরের অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কিছু মিলিতসিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ পাবেন। মিলিত চিন্তা-ভাবনার অনের বড় শক্তি থাকে। কখনও তোঅভিজ্ঞতা ঋদ্ধ ছোট পদাধিকারী কোনও ব্যক্তি কোনও সমস্যার এমন সহজ সমাধান বাতলে দিতেপারেন যা কোনও বড়বাবুর মাথায় আসতে পারে না। এখানে দু ’ ধরণের মানুষ রয়েছে, যাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে আর যাঁদের Global Exposure রয়েছে। এই দুই ধরনের মানুষের মিলনে কত বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
আমরা কল্পনা করতে পারি, আপনাদের ব্যবস্হার মাধ্যমেপ্রতিদিন প্রায় ২২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ পরিষেবা পান, লক্ষ লক্ষ টন মাল এক জায়গা থেকেঅন্য জায়গায় পরিবাহিত হয়, কিন্তু আমাদের গতি, আমাদের সময়, আমাদের গোটা ব্যবস্হাআমরা যতদিন না বদলাতে পারবো, এখন গোটা বিশ্বে যেসব পরিবর্তন আসছে সেগুলির সুফলআমরা পাবো না। আমরাও যোগদানের সুযোগ পাবো না। এই চিন্তন শিবিরের কোনও আলোচ্যবিষয়সূচি নেই. বিষয়সূচিও আপনাদের ঠিক করতে হবে, সমাধানও আপনাদের খুঁজে বের করতেহবে, সুফল অর্জনের পথ মানচিত্রও আপনাদেরই ছকে নিতে হবে। আমি নিশ্চিত যে বাইরের যেকোনও ব্যক্তির চাইতে অনেক ভালভাবে আপনারাই তা করতে পারবেন। এই মিলিত চিন্তন অনেকবড় সামর্থ্য জোগাবে। সহজীবনেরও একটি শক্তি রয়েছে, আপনাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদেরসহকর্মীদের শক্তি সম্পর্কে পরিচিত নন। এতে আপনাদের কোনও দোষ নেই। আমাদের ব্যবস্হাইএভাবে রচিত হয়েছে যে আমরা সহকর্মীদের খুব কম জানি, তাদের কর্মকুশলতা সম্পর্কেঅবশ্যই জানি। এখানে, তিনদিন সহ-জীবন কাটানোর পর চারপাশে যে ১২,১৫,২৫ জন মানুষ কাজকরেন, তাদের মধ্যে যে অসাধারণ সামর্থ্য রয়েছে এই সহজ পরিবেশে আপনারা সেই অভাব দূরকরতে পারবেন।
খোলাখুলি আলোচনার সময় আপনাদের হয়তো মনে হবে,আরে এই মানুষটি তো টিকিট জানালায় বসেন, এ যে এত গভীর চিন্তাভাবনা করতে পারে তা তোকল্পনাও করিনি।
কোন গম্ভীর সাহেবকে এখানে সহজভাবে হেসে কথাবলতে দেখে আপনারা হয়তো অবাক হবেন, একে দেখে মিছেই এত ভয় লাগে, লোকটা তো বেশমানবিক। প্রয়োজনে এঁর সঙ্গে কথাও বলা যেতে পারে। সকলের অজান্তেই অনেক অদৃশ্যদেওয়াল ধসে পড়বে। এই Hierarchy -র দেওয়াল ধসে গেলে, আপনত্বের পারিবারিক পরিবেশ গড়ে উঠলে দ্রুত পরিবর্তন আসতেশুরু করে।
কাজেই এই সহজীবন নিজে নিজেই একটি বড়সামর্থ্যে পরিণত হবে। আমাকে বলা হয়েছে প্রায় এক লক্ষেরও বেশি কর্মচারী এই গোটাচিন্তাপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে। কেউ পেপার লিখেছে, কেউ ছোট ছোট গোষ্ঠীর মধ্যেআলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে, সেগুলি থেকে কিছু নির্বাচিত তথ্য উপরে পাঠানো হয়েছে। কেউকেউ অনলাইনে মতামত পাঠিয়েছেন, অনেকে এসএমএস-এর মাধ্যমেও মতামত পাঠিয়েছেন। কিন্তুনীচে থেকে উপর পর্যন্ত বিভিন্ন পদাধিকারী এক লক্ষাধিক রেল কর্মচারী রেলের বর্তমানপরিস্হিতি, সমস্যা, সম্ভাবনা, সামর্থ্য এবং স্বপ্নগুলি তুলে ধরেছে। এখন তাদের প্রতিনিধিহিসেবে এই তিনদিনে আলাপ-আলোচনার মহ্ননে এই বিষয়গুলি থেকে মুক্তো খুঁজে বের করাআপনাদের দায়িত্ব।
এক লক্ষ সহকর্মীর অবদান কম কথা নয়, অনেক বড়ঘটনা। আমি শুনেছি তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আপনারাও এখানে বিপুল সংখ্যায় এসে হাজিরহয়েছেন। এই চিন্তন শিবিরে আপনারা প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেভাল ভাল সমাধানের মুক্তো খুঁজে বের করবেন। এই অমৃত-মন্হন থেকে যেসব সিদ্ধান্ত উঠেআসবে সেগুলি মেনে চললেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতীয় রেল সাফল্যের শিখর স্পর্শ করবে।আগে ভেবেছিলাম আজ সন্ধ্যায় আপনাদের মাঝে থাকবো, আপনাদের সঙ্গে খাবো, এমনিতেও আমিবেশি সময় দিই, আমার তেমন কাজকর্ম থাকে না, সবার সঙ্গে বসি, সবার কথা শুনি। কিন্তুসংসদ অধিবেশন চলছে তাই সেখানে যেতে হবে। পরশুদিন আপনাদের মাঝে আসবো, ভয় দেখাচ্ছিনা, আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবো। আপনাদের মন্হন নিঃসৃত অমৃত আচমন করতে আসবো।কারণ আপনাদের সাফল্য রেলের সাফল্য, আপনাদের সাফল্য দেশের ভবিষ্য ৎ, আপনাদের উপর আমারভরসা আছে, আর সেজন্যেই আমি আসবো। মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। আপনাদেরসিদ্ধান্ত ও সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করবো। নীতি নির্ধারণের সময়ে ওই সিদ্ধান্ত ওসমস্যাগুলি আমাদের অবশ্যই প্রভাবিত করবে। আপনারা দেখেছেন, আমার কোনও রাজনৈতিককর্মসূচি নেই। পূর্ববর্তী সরকারগুলির সময়ে রেল বাজেটে কোন সাংসদ তাঁর এলাকায় কটিস্টপেজ আদায় করতে পারেন, কোন ট্রেনে তাঁর এলাকার জন্যে কটা কামরা যুক্ত করতেপারেন-এসবই হতো সাফল্যের মাপকাঠি। অথচ আমরা সরকারে এসে দেখি এমনি প্রায় ১৫০০ ঘোষণাকেবল বাজেটের দিন করতালি বাজানো অব্দি অস্তিত্ব ছিল, তারপর বাস্তবায়নের জন্য আরকোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরাও তেমন কাজ করতে পারতাম, আমরাও করতালির আওয়াজে আনন্দবিতরণ করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেই রাজনৈতিক লাভ থেকে নিজেদের মুক্ত রেখেপরিকাঠামো উন্নয়নের সাহস দেখিয়েছি, ব্যবস্হাকে Streamline করার সাহস করেছি।
আমরা রাজনৈতিক লোকসান মেনে নেওয়ার হিম্মতদেখিয়ে স্বপ্নের বাস্তবায়নে জোর দিয়েছি। আমার প্রথম স্বপ্নটি হলো, আজ রেল পরিবারেরকনিষ্ঠতম সদস্য যিনি লাল ও সবুজ পতাকা হাতে কোন লেবেল ক্রসিং-এ দাঁড়িয়ে থাকেন,যিনি সকালে পায়ে হেঁটে রেলপথ পর্যবেক্ষণ করেন, তাঁর ছেলেমেয়েরা কি লেখাপড়া শিখে, একদিনকোনও উচ্চপদস্হ কর্মচারি হতে পারবে ? আমরা রেলপথকে শক্তিশালী করবো,সামর্থ্য জোগাবো। রেলের সামর্থ্য বৃদ্ধি পেলে দেশেরও লাভ হবে। সেজন্যেই বন্ধুগণ,আমার তা ৎক্ষণিক শতাব্দী বদলে গেছে, আমাদের রেলেও পরিবর্তন আসুক।
সবাই মিলে দেশে একবিংশ শতাব্দীর অনুকূল নতুন রেল, নতুন ব্যবস্হা,নতুন গতি, নয়া সামর্থ্য এই সবকিছু গড়ে তুলতে হবে। মানুষই পরিবর্তন আনে। আগে কেউএক কামরায় থাকলেও দিন চলে যেত, সেরকম জীবনে Adjust করে নিতেন। আপনারা যদি স্বর বদলান যে আমরা এইএকবিংশ শতাব্দী, পরিবর্তিত শতাব্দীতে নিজেদের খাপ খাওয়াবো, তাহলে পরিবর্তন শুরুকরতে হবে, আর তা সম্ভব।
বন্ধুগন, আপনাদের সকলের চাইতে আমার সম্পর্ক পুরনো। আমার শৈশব রেললাইনেরধারে কেটেছে। আমি নিজেকে রেলওয়ালা বলেই ভাবি। আমি আশৈশব রেলের খুঁটিনাটি বিশদভাবেজানি, নানাভাবে রেলকে দেখিছি। শৈশবে আর কিছু দেখিই নি। যা কিছু দেখেছি সব রেলেইদেখেছি। আর সেজন্যেই আমার সঙ্গে শৈশব যেভাবে জুড়ে রয়েছে রেল ও সেভাবে যুক্ত। এরপ্রত্যেকটি জিনিসকে আমি ভাল বুঝি। এহেন ব্যবস্হায় পরিবর্তন আনার সুযোগ পেয়ে আমিকতটা খুশি তা আপনারা কল্পনা করতে পারেন। আজও আমি যখন আমরা সংসদীয় ক্ষেত্র কাশীতেযাই রাতে রেলের অতিথিশালায় থাকি। ভাললাগে। নাহলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অন্যব্যবস্হা হতে পারতো। কিন্তু আমি রেলের অতিথিশালায় অনেক আপনত্ব অনুভব করি।
আপনাদের সঙ্গে আমার এই গভীর সম্পর্কের ফলেই আশা করি, আপনারা আগামীতিনদিনকে সর্বাধিক উপযোগী করে তুলবেন। ভাল করার ইচ্ছা নিয়ে কর্তব্য সম্পাদনের সাহসনিয়ে, সঙ্গীদের যুক্ত করার ব্যবস্হা কী হবে, আমাদের নতুন মানব সম্পদ ব্যবস্হাপনাকী হবে-এই সমস্ত কিছু নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
দেশকে সচল রাখতে, গতি দিতে, প্রগতি প্রদান করতে আপনাদের থেকে বড়কোন সংগঠন, বৃহত্তর কোনও ব্যবস্হা ভারতে নেই। এক দিকে ভারতের সকল ব্যবস্হা আরঅন্যদিকে রেল ব্যবস্হা-এত বড় আপনাদের কর্মক্ষেত্র। আপনারা কী না করতে পারেন।সেজন্যেই আমার অনুরোধ, সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার, সম্পূর্ণ focus, কিছু করে দেখানোর ইচ্ছাশক্তিকে পোক্ত করে ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইতিবাচকসিদ্ধান্ত নেবেন। অনেক সমস্যা, অনেক কষ্ট, অন্যায় আপনারা হয়তো সহ্য করেছেন। হয়তোপছন্দ মতো পোস্টিং হয়নি, যথাসময়ে প্রোমোশন হয়নি, এরকম অনেক অভিযোগ হয়তো আপনার মনেরয়েছে। কিন্তু আগামী তিনদিন ১২৫ কোটি ভারতবাসীর জন্য, পরিবর্তিত বিশ্বে ভারতেরতেরঙ্গা পতাকা পুঁতে দিতে নিজস্ব মননকে কাজে লাগান। উত্তম পরিণামের অপেক্ষায় অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।