Maharaja Suheldev’s contribution to protect Indianness was ignored: PM Modi

Published By : Admin | February 16, 2021 | 11:24 IST
ভারতীয়ত্ব রক্ষায় মহারাজা সুহেলদেবের অবদানকে উপেক্ষা করা হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
ইতিহাস লেখকদের দ্বারা ইতিহাস প্রণেতাদের প্রতি অবিচারকে এখন সংশোধন করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
এই বসন্ত অতিমারি জনিত হতাশাকে পিছনে ফেলে ভারতের জন্য নতুন আশা নিয়ে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী
কৃষি আইন নিয়ে লাগাতার মিথ্যা ও অপপ্রচার ক্রমেই প্রকাশ পাবে: প্রধানমন্ত্রী

নমস্কার!

 

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, রাজ্যের জনপ্রিয় এবং যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারর অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ, আর আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

 

নিজের পরাক্রম দিয়ে মাতৃভূমির সম্মান বৃদ্ধিকারী দেশনায়ক মহারাজা সুহেলদেবের জন্মভূমি আর অসংখ্য ঋষি-মুনির তপভূমি, বাহারাইচের এই পবিত্র মাটিকে আমি সাদর প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকে, গোটা দেশকে বসন্ত পঞ্চমীর অনেক অনেক শুভকামনা। মা সরস্বতী ভারতকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরও সমৃদ্ধ করুন। আজকের দিনটির বিদ্যারম্ভ এবং অক্ষর জ্ঞানের জন্য অনেক শুভ দিন মানা হয়। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে –

 

সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।

বিদ্যারূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহী নমহস্তুতে।।

অর্থাৎ, হে মহা ভাগ্যবতী, জ্ঞানরূপা, পদ্মের মতো বিশাল নয়না, জ্ঞানদাত্রী সরস্বতী, আমাকে বিদ্যা দিন, আমি আপনাকে প্রণাম জানাই। ভারতের যত মানুষ মানবতার সেবার জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে ব্যস্ত আছেন, দেশ নির্মাণের কাজে আত্মোৎসর্গ করেছেন আর যত ছাত্রছাত্রী ও প্রত্যেক দেশবাসী যেন মা সরস্বতীর আশীর্বাদ পান, সাফল্য পান, এটাই আমাদের সকলের প্রার্থনা।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

রামচরিত মানসে গোস্বামী তুলসীদাসজি বলেছেন, “ঋতু বসন্ত বহ ত্রিবিধ বয়ারী” অর্থাৎ, বসন্ত ঋতুতে শীতল মৃদু-মন্দ সুরভী, এরকম তিন ধরনের বাতাস বইছে, এই বাতাস আবহাওয়ায় সমস্ত ফসলের খেত এবং বাগিচা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি অংশ আনন্দিত হয়ে উঠছে। সত্যিই আমরা যেদিকে তাকাই ফুলের বাহার দেখতে পাই, প্রতিটি জীব বসন্ত ঋতুকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায়। এই বসন্ত মহামারীর নিরাশাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া ভারতের জন্য নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এসেছে। এই উল্লাসে আমাদের সংস্কৃতি, ভারতীয়ত্ব, আমাদের শিষ্টাচারের জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহানায়ক মহারাজা সুহেলদেবজির জন্মোৎসব আমাদের খুশিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বন্ধুগণ,

 

প্রায় দু’বছর আগে গাজিপুরে মহারাজা সুহেলদেবজির স্মৃতিতে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করার সুযোগ আমার হয়েছিল। আজ বাহারাইচে তাঁর সুদৃশ্য স্মারকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সৌভাগ্য হল। এই আধুনিক এবং সুদৃশ্য স্মারক ঐতিহাসিক চিত্তৌরা সরোবরের উন্নয়ন, বাহারাইচের ওপর মহারাজা সুহেলদেবজির আশীর্বাদকে বাড়াবে, আগামী প্রজন্মকেও প্রেরণা জোগাবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ মহারাজা সুহেলদেবজির নামে তৈরি মেডিকেল কলেজে একটি নতুন এবং সুদৃশ্য ভবন যুক্ত হয়েছে। বাহারাইচের মতো উন্নয়নের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধি, এখানকার জনগণকে জীবনকে সহজ করে তুলবে। এর দ্বারা পার্শ্ববর্তী শ্রাবস্তী, বলরামপুর, সিদ্ধার্থনগর এবং নেপাল থেকে আসা জনগণ উপকৃত হবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

ভারতের ইতিহাস শুধু তেমনই নয় যেমনটি ইতিহাসকারেরা দেশকে পরাধীন করা শাসকদের প্রভাবে দাসত্বের মানসিকতা নিয়ে লিখেছেন। ভারতের ইতিহাস সেটাও যা ভারতের সাধারণ মানুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুখে মুখে সঞ্চারিত করেছেন যা ভারতের লোকগাথাগুলিতে পাওয়া যায়। আজ যখন ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে প্রবেশ করছে, তখন এই ধরনের মহাপুরুষদের অবদান, তাঁদের ত্যাগ, তপস্যা, সংঘর্ষ, বীরত্ব, বলিদান – এই সবকিছুকে স্মরণ করা, তাঁদেরকে সাদর প্রণাম জানানো, তাঁদের থেকে প্রেরণা গ্রহণ করার জন্য এর থেকে বড় কোনও সুযোগ হতে পারে না। এটা দুর্ভাগ্য যে ভারত এবং ভারতীয়ত্ব রক্ষার যাঁরা জীবন সমর্পণ করেছেন, এমন অনেক নায়ক-নায়িকাকে সেই স্থান দেওয়া হয়নি যতটা দেওয়া উচিৎ ছিল। তথাকথিত ইতিহাস রচনাকাররা ইতিহাস রচনা করার নামে যে অন্যায় করেছেন, তা আজ ভারত শুধরাচ্ছে-ঠিক করছে। তাঁদের ভুলগুলি থেকে দেশকে মুক্ত করছে। আপনারা দেখুন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস, যিনি আজাদ হিন্দ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর এই পরিচয় এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের অবদানকে কি সেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যতটা পাওয়া উচিৎ ছিল?

 

আজ লালকেল্লা থেকে শুরু করে আন্দামান-নিকোবর পর্যন্ত আমরা তাঁদের এই পরিচয়কে দেশ ও বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠা করেছি। ৫০০-রও বেশি দেশীয় রাজ্যকে ভারতে যোগদানের কঠিন কাজ যিনি করেছেন সেই সর্দার প্যাটেলজির সঙ্গে কি অবিচার করা হয়েছে তাও দেশের প্রতিটি শিশু ভালোভাবে জানে। আজ বিশ্বের বৃহত্তম মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নির্মাণের মাধ্যমে সর্দার প্যাটেলজিকে আমরা সেই সম্মান দিয়েছি। এই মূর্তি এখন আমাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে। দেশের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বঞ্চিত, পীড়িত, শোষিত জনগণের আওয়াজকে তুলে ধরা বাবাসাহেব আম্বেদকরকেও নিছকই রাজনৈতিক চশমা দিয়ে দেখা হয়েছে। আজ আমরা ভারত থেকে শুরু করে ইংল্যান্ড পর্যন্ত ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিকে পঞ্চতীর্থ রূপে বিকশিত করছি।

বন্ধুগণ,

 

ভারতের এমন অনেক বীর সৈনিকের অবদানকে নানা কারণে সঠিক সম্মান দেওয়া হয়নি, তাঁদের পরিচয় তুলে ধরা হয়নি। চৌরিচৌরার বীরদেরকে যেভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে তা কি আমরা ভুলতে পারি? মহারাজা সুহেলদেব এবং ভারতীয়ত্ব রক্ষাকারীদের প্রচেষ্টাকেও এভাবেই অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ইতিহাসের বইয়ে মহারাজ সুহেলদেবের শৌর্য, পরাক্রম, তাঁর বীরত্বের কাহিনী সেই স্থান না পেলেও আওধ এবং তরাই থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চলের লোকগাথায়, জনগণের হৃদয়ে তিনি অক্ষয় হয়ে রয়েছেন। শুধু বীরত্ব নয়, এক সংবেদনশীল এবং উন্নয়নবাদী শাসক রূপে তাঁর স্থান অক্ষয় হয়ে রয়েছে। নিজের শাসনকালে যেভাবে তিনি উন্নত সড়কপথ, সরোবর, পুকুর খনন, উদ্যান নির্মাণ এবং শিক্ষার প্রসারের কাজ করেছেন তা অভূতপূর্ব। তাঁর এই ভাবনার ছাপ এই স্মারকস্থলে প্রতিফলিত হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

পর্যটকরা যাতে মহারাজ সুহেলদেবজির জীবন থেকে প্রেরণা নিতে পারেন সেজন্য এখানে তাঁর ৪০ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপন করা হবে। এখানে নির্মীয়মান সংগ্রহালয়ে মহারাজা সুহেলদেবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক তথ্যাদি থাকবে। এর ভেতরের এবং চারপাশের সড়কগুলিকে প্রশস্ত করা হবে। শিশুদের জন্য পার্ক তৈরি হবে। পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গা, সভাঘর, পার্কিং, ক্যাফেটেরিয়া – এরকম অনেক পরিষেবা গড়ে উঠবে। এর পাশাপাশি, স্থানীয় শিল্পী ও হস্তশিল্পীরা যাতে সহজে এখানে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন সেজন্য দোকান তৈরি করা হবে। এভাবে চিত্তৌরা সরোবরের ঘাট ও সিঁড়ি নির্মাণের এবং সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক সরোবরের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। এই সমস্ত প্রচেষ্টা শুধু যে বাহারাইচের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে তাই নয়, এখানে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়াবে। ‘মরী মাইয়া’-এর কৃপায় এই কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

বিগত কয়েক বছর ধরে সারা দেশে ইতিহাস, আস্থা, আধ্যাত্ম এবং সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত যতগুলি স্মারক নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলির অনেক বড় লক্ষ্য পর্যটনকে উৎসাহ জোগানো। উত্তরপ্রদেশ তো পর্যটন এবং তীর্থ – উভয় ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ আর তার ক্ষমতাও অসীম। ভগবান রামের জন্মস্থান থেকে শুরু করে কৃষ্ণের বৃন্দাবন, ভগবান বুদ্ধের সারনাথ কিংবা কাশী বিশ্বনাথ, সন্ত কবীরের মগহরধাম থেকে শুরু করে বারাণসীতে সন্ত রবিদাসের জন্মস্থলের আধুনিকীকরণ, গোটা রাজ্যে বড় স্তরে কাজ চলছে। এই প্রকল্পগুলি উন্নয়নের জন্য ভগবান রাম, কৃষ্ণ এবং ভগবান বুদ্ধের জীবন সম্পর্কিত অঞ্চলগুলি যেমন অযোধ্যা, চিত্রকূট, মথুরা, বৃন্দাবন, গোবরধন, কুশীনগর, শ্রাবস্তী ইত্যাদি তীর্থস্থানগুলিকে যথাক্রমে রামায়ণ সার্কিট, আধ্যাত্মিক সার্কিট এবং বৌদ্ধ সার্কিটের উন্নয়ন করা হচ্ছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

বিগত কয়েক বছরে যত চেষ্টা করা হয়েছে সেগুলির প্রভাবও পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। যে রাজ্যে অন্য সমস্ত রাজ্য থেকে বেশি পর্যটক আসেন, সেই রাজ্যের নাম উত্তরপ্রদেশ। বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষিত করার ক্ষেত্রেও উত্তরপ্রদেশ দেশের সেরা তিনটি রাজ্যের মধ্যে পরিগণিত হতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশে পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির পাশাপাশি আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অযোধ্যার বিমানবন্দর এবং কুশীনগরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশী-বিদেশি পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়ে উঠবে। উত্তরপ্রদেশে ছোট-বড় প্রায় এক ডজন বিমানবন্দর গড়ে তোলার কাজ চলছে, যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি এই পূর্বাঞ্চলেই তৈরি হচ্ছে। ‘উড়ান’ যোজনার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের অনেক শহরকে সুলভ বিমান পরিষেবায় যুক্ত করার অভিযান চলছে।

 

তাছাড়া, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে, গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে, গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে, বালিয়া লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে-এর মতো আধুনিক এবং প্রশস্ত সড়কপথ সমগ্র উত্তরপ্রদেশে তৈরি করা হচ্ছে। আর এটা তো এক প্রকার আধুনিক উত্তরপ্রদেশের আধুনিক পরিকাঠামোর সূত্রপাত। বিমান এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অত্যাধুনিক হয়ে উঠছে। উত্তরপ্রদেশে দুটি বড় ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের জংশন রয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশেই ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের একটি বড় অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যেভাবে আজ আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে তাতে উত্তরপ্রদেশে শিল্প স্থাপনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিশ্বের অনেক বিনিয়োগকারী উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন। এর ফলে এখানে নতুন শিল্পোদ্যোগের জন্য যেমন উন্নত সুযোগ গড়ে উঠছে, তেমনই এই অঞ্চলের নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ গড়ে উঠছে।

 

বন্ধুগণ,

 

করোনার সঙ্কটকালে যেভাবে উত্তরপ্রদেশে কাজ হয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কল্পনা করুন, উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি বিগড়ালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কী ধরনের সমালোচনা হত। কিন্তু যোগীজির এই সরকার, যোগীজির নেতৃত্বাধীন গোটা টিম এত ভালোভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দেখিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশ শুধু অধিকাংশ মানুষের জীবন বাঁচাতে সফল হয়ে থামেনি, বাইরে থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও উত্তরপ্রদেশ প্রশংসনীয় কাজ করেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

করোনার বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ে বিগত ৩-৪ বছরে করা কাজগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পূর্বাঞ্চলকে দশকের পর দশক ধরে সঙ্কটগ্রস্ত করে রাখা ‘মস্তিষ্কের জ্বর’-এর প্রভাবও উত্তরপ্রদেশ কম করতে পেরেছে। উত্তরপ্রদেশে ২০১৪ পর্যন্ত ১৪টি মেডিকেল কলেজ ছিল যা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ২৪টি হয়েছে। পাশাপাশি, গোরক্ষপুর ও বেরিলিতে এইমস গড়ে তোলার কাজ চলছে। তাছাড়া, ২২টি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হচ্ছে। বারাণসীতে গড়ে ওঠা আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের পরিষেবা এখন গোটা পূর্বাঞ্চলকে উপকৃত করছে। উত্তরপ্রদেশে জল জীবন মিশন অর্থাৎ, প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছনোর অভিযানও প্রশংসনীয় সাফল্য পাচ্ছে। যখন পরিশ্রুত পানীয় জল প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছবে, তখন এ রাজ্যে অসুখ-বিসুখ এমনিতেই আরও কমে যাবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

উত্তরপ্রদেশের এই উন্নয়ন যাত্রায় বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, সড়ক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্বারা সরাসরি গ্রাম, গরীব এবং কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে, যে ছোট কৃষকদের কম জমি রয়েছে, তাঁরা এই প্রকল্পগুলির দ্বারা বেশি উপকৃত হচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশে এমন প্রায় ২.৫ কোটি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে সরাসরি টাকা জমা করা হয়েছে। এঁরা সেই কৃষক পরিবার যাঁরা কখনও বিদ্যুতের বিল কিংবা সারের বস্তা কেনার জন্য অন্যদের থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হতেন। এ ধরনের ছোট কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আমাদের সরকার সরাসরি ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি জমা করেছে। এখানকার কৃষকদের বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হত, সারা রাত বোরিং-এর জলের জন্য জাগতে হত, অপেক্ষা করতে হত যে তাঁদের নম্বর কখন আসবে, এ ধরনের সমস্ত সমস্যা এখন বিদ্যুৎ সঠিক হওয়ার কারণে দূরীভূত হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষের জন্য জমি ক্রমশঃ ছোট হচ্ছে। সেজন্য দেশে কিষাণ উৎপাদক সঙ্ঘ গড়ে তোলার অনেক প্রয়োজন রয়েছে। আজ সরকার ছোট কৃষকদের জন্য কয়েক হাজার কিষাণ উৎপাদক সঙ্ঘ বা এফপিও তৈরি করছে। এক-দুই বিঘা জমির মালিক ৫০০টি কৃষক পরিবার যখন সংগঠিত হয়ে বাজারে নামবে তখন তাঁরা ৫০০-১,০০০ বিঘা জমির মালিক কৃষকদের থেকেও বেশি শক্তিশালী হবেন। এভাবে কিষাণ রেলের মাধ্যমে সব্জি, ফল, দুধ, মাছ এবং এ ধরনের অনেক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছোট কৃষকরা এখন বড় বড় বাজারগুলির সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন। যে নতুন কৃষি সংস্কার করা হয়েছে তার দ্বারা ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকরা সবচাইতে বেশি লাভবান হবেন। উত্তরপ্রদেশে এই নতুন আইন তৈরির পর নানা জায়গা থেকে কৃষকদের ভালো অভিজ্ঞতার কথা শোনা যাচ্ছে। এই কৃষি আইনগুলি নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে। এটা গোটা দেশ দেখছে যে যাঁরা দেশের কৃষি বাজারে বিদেশি কোম্পানিগুলিকে ডাকার জন্য আইন বানিয়েছেন, তাঁরাই আজ দেশি কোম্পানির নামে কৃষকদের ভয় দেখাচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

রাজনীতির জন্য মিথ্যা এবং অপপ্রচারের এই ষড়যন্ত্র এখন সবাই বুঝতে পারছেন। নতুন আইন চালু হওয়া সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশে এবার গত বছরের তুলনায় কৃষকদের থেকে দ্বিগুণ ধান কেনা হয়েছে।

 

এবার প্রায় ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উত্তরপ্রদেশ থেকে কেনা হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, যোগীজির সরকার আখ চাষীদের কাছ থেকেও গত বছরের তুলনায় ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আখ কিনেছে। করোনাকালেও যাতে আখ চাষীদের কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য যথাসম্ভব সাহায্য করা হয়েছে। চিনি কারখানাগুলি যাতে কৃষকদের প্রাপ্য টাকা ঠিকমতো মেটায়, সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে ১,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। আখ চাষীরা যাতে যথাসময়ে নিজেদের প্রাপ্য টাকা পেতে পারেন, সেজন্য যোগীজির সরকারের প্রচেষ্টা এখনও চালু রয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

সকলের এই সমস্ত প্রচেষ্টা গ্রাম এবং কৃষকদের জীবনকে উন্নততর করে তুলছে। কৃষক ও গ্রামে বসবাসকারী গরীবরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাঁদের বাড়ি যাতে অবৈধভাবে দখল না হয়ে যায় সেই আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতে তাঁদের জন্য ‘স্বামীত্ব’ যোজনা আজ গোটা উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের মুখ দেখছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আজকাল উত্তরপ্রদেশের প্রায় ৫০টি জেলায় ড্রোনের মাধ্যমে জরিপের কাজ চলছে। প্রায় ১২ হাজার গ্রামে ড্রোন জরিপের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে আর ইতিমধ্যেই ২ লক্ষেরও বেশি পরিবারকে ‘প্রপার্টি কার্ড’ বা পাট্টা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এই পরিবারগুলি এখন সমস্ত ধরনের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ গ্রামের গরীব ও কৃষকরা দেখতে পাচ্ছেন তাঁদের ছোট বাড়িটিকে বাঁচানোর জন্য, তাঁদের জমি বাঁচানোর জন্য প্রথমবার সরকার এতবড় প্রকল্প চালু করেছে। এতবড় রক্ষাকবচ প্রত্যেক গরীব, প্রত্যেক কৃষককে ও প্রত্যেক গ্রামবাসীকে দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য যখনই কোনও কৃষি সংস্কারের মাধ্যমে কৃষকদের জমি ছিনিয়ে নেওয়ার গুজব রটানো হয়, তখন কি কেউ এই গুজবকে বিশ্বাস করতে পারে? আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সামর্থ্যবান করে তোলা। আমাদের সঙ্কল্প দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলা। এই সঙ্কল্পকে সিদ্ধিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা সমর্পণভাব নিয়ে কাজ করতে থাকব। আমি রামচরিত মানসের একটি চৌপাই উচ্চারণ করে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করব :

 

“প্রবিসি নগর কীজে সব কাজা।

হৃদয়ঁ রাখি কোসলপুর রাজা।।”

অর্থাৎ, হৃদয়ে ভগবান রামের নাম ধারণ করে আমরা যে কাজই করি না কেন তাতে সাফল্য সুনিশ্চিত।

 

আরেকবার মহারাজা সুহেলদেবজিকে প্রণাম জানিয়ে আপনাদের সবাইকে এই নতুন পরিষেবাগুলির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানিয়ে যোগীজি এবং তাঁর গোটা টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ!!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi meets with President of Suriname
November 21, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi met with the President of Suriname, H.E. Mr. Chandrikapersad Santokhi on the sidelines of the 2nd India-CARICOM Summit in Georgetown, Guyana on 20 November.

The two leaders reviewed the progress of ongoing bilateral initiatives and agreed to enhance cooperation in areas such as defense and security, trade and commerce, agriculture, digital initiatives and UPI, ICT, healthcare and pharmaceuticals, capacity building, culture and people to people ties. President Santokhi expressed appreciation for India's continued support for development cooperation to Suriname, in particular to community development projects, food security initiatives and small and medium enterprises.

Both leaders also exchanged views on regional and global developments. Prime Minister thanked President Santokhi for the support given by Suriname to India’s membership of the UN Security Council.