QuoteInnovation, integrity and inclusion have emerged as key mantras in the field of management: PM
QuoteFocus is now on collaborative, innovative and transformative management, says PM
QuoteTechnology management is as important as human management: PM Modi

জয় জগন্নাথ!

জয় মা সম্বলেশ্বরী!

ওড়িশার ভাই ও বোনেদের আমার প্রণাম

 

নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গলময় হোক।

ওড়িশার মাননীয় রাজ্যপাল প্রফেসর গণেশিলালজি, মুখ্যমন্ত্রী আমার বন্ধু, শ্রী নবীন পট্টনায়েকজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী, ডঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কজি, ওড়িশার সুপুত্র ভাই ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, শ্রী প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিজি, ওড়িশা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কগণ, আইআইএম সম্বলপুরের চেয়ারপার্সন শ্রীমতী অরুন্ধতি ভট্টাচার্যজি, ডায়রেক্টর প্রফেসর মহাদেব জয়সওয়ালজি, অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং আমার সমস্ত নবীন বন্ধুরা!

|

আজকের এই আইআইএম ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ওড়িশার নবীন সামর্থ্যকে নতুন শক্তি জোগাবে। আইআইএম, সম্বলপুরের স্থায়ী ক্যাম্পাস ওড়িশার মহান সংস্কৃতি এবং সম্পদের পরিচয়ের পাশাপাশি ওড়িশাকে ম্যানেজমেন্টের বিশ্বে নতুন পরিচয় প্রদান করবে। নতুন বছরের শুরুতেই এই শুভ আরম্ভ আমাদের সবার আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

বিগত দশকে দেশ একটি বিশেষ ঝোঁক দেখেছে। বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক বহুজাতিক সংস্থা ভারতে এসেছে আর এই মাটিতে তারা সমৃদ্ধ হয়েছে, অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু এই দশক এবং এই শতাব্দী ভারতেই অনেক নতুন নতুন বহুজাতিক সংস্থা গড়ে তোলার দশক এবং শতাব্দী হিসেবে প্রমাণিত হবে। ভারতের সামর্থ্য বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সময় এসেছে। আজকের স্টার্ট-আপগুলিই আগামীকাল বহুজাতিক সংস্থা হয়ে উঠবে। আর এই স্টার্ট-আপগুলি অধিকাংশই কোন শহরগুলিতে গড়ে উঠেছে? যে শহরগুলিকে আমরা সাধারণ ভাষায় টিয়ার-২ টিয়ার-৩ শহর বলি। আজ স্টার্ট-আপগুলির প্রভাব সেই জায়গাগুলিতে দেখা যাচ্ছে। এই স্টার্ট-আপগুলি, ভারতীয় নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের প্রতিষ্ঠিত নতুন কোম্পানিগুলিকে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হলে তাঁদের অনেক ভালো ভালো সক্ষম ম্যানেজার চাই। দেশের নতুন নতুন ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বেরিয়ে আসা ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞরা ভারতের কোম্পানিগুলিকে নতুন উচ্চতা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবেন।

 

বন্ধুগণ,

 

আমি কোথাও পড়েছিলাম যে এ বছর কোভিড সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও ভারত বিগত বছরগুলির তুলনায় অনেক বেশি ‘ইউনিকর্ন' দিয়েছে। আজ কৃষি থেকে শুরু করে মহাকাশ ক্ষেত্র পর্যন্ত যে অভূতপূর্ব সংস্কার সাধিত হচ্ছে, তাতে স্টার্ট-আপগুলির জন্য বিকশিত হওয়ার সুযোগ লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনাদের এই নতুন নতুন সম্ভাবনাগুলির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আপনাদের নিজেদের পেশাকে ভারতের আশা এবং অপেক্ষার সঙ্গে জুড়তে হবে। এই নতুন দশকে 'ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া'কে নতুন আন্তর্জাতিক পরিচয় প্রদানের দায়িত্ব আমাদের সকলের ওপর ন্যস্ত। বিশেষভাবে আমাদের নবীন প্রজন্মের ওপর এই দায়িত্ব রয়েছে।

বন্ধুগণ,

 

আইআইএম সম্বলপুরের আরাধ্য মন্ত্র হল –

'নবসর্জনম্‌ শুচিতা সমাবেশত্বম্‌’

অর্থাৎ, উদ্ভাবন, সংহতি এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ! আপনাদের এই মন্ত্রের শক্তি আত্মস্থ করে দেশকে নিজেদের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা দেখাতে হবে। আপনাদের নতুন নতুন সৃষ্টি ও নির্মাণকে প্রোৎসাহিত করতে হবে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার দিকে জোর দিতে হবে। যাঁরা উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় পেছনে পড়ে রয়েছেন, তাঁদেরকেও সঙ্গে নিতে হবে। যে জায়গায় আইআইএম-এর স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে উঠছে, সেখানে আগে থেকেই মেডিকেল ইউনিভার্সিটি রয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি রয়েছে, তিনটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে সৈনিক স্কুল, সিআরপিএফ এবং পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যাঁরা সম্বলপুর সম্পর্কে বেশি জানেন না, তাঁরা এখন কল্পনা করতে পারেন যে আইআইএম-এর মতো নামকরা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পর এই অঞ্চল কত বড় এডুকেশন হাব হয়ে উঠতে চলেছে। সম্বলপুর আইআইএম এবং এই অঞ্চলে পঠনপাঠনরত ছাত্রছাত্রীরা – পেশাদারদের জন্য সবচাইতে বিশেষ সুবিধা হবে যে এই গোটা এলাকাটাই আপনাদের জন্য এক ধরনের ফলিত গবেষণাগারের মতো। যে অঞ্চল প্রাকৃতিক রূপে এত সুন্দর, ওড়িশার গৌরব হিরাকুঁদ বাঁধ আপনাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়। বাঁধের পাশেই দেবরীগড় স্যাঙ্কচ্যুয়ারি সারা দেশের পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র। এর মাঝে সেই পূণ্য স্থানটিও রয়েছে, যেটিকে বীর সুরেন্দ্র সাঁইজি নিজের ডেরা বানিয়েছিলেন। এই এলাকার পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধির জন্য এখানকার ছাত্রছাত্রীদের ভাবনাচিন্তা এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অনেক কাজে লাগতে পারে। এমনিতেই সম্বলপুরী তাঁতশিল্প দেশ-বিদেশে বিখ্যাত। 'বান্ধা ইকত’ ফ্যাব্রিক, এর অভিনব নির্মাণশৈলী, নকশা এবং বুনন অত্যন্ত বিশেষ। এভাবে এই এলাকার হস্তশিল্পের যে কাজ হয়, সিলভার ফিলিগ্রি, পাথরে খোদাই শিল্প, কাঠের কাজ, পিতলশিল্পের কারুকার্য, আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেরাও এক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। আইআইএম-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য সম্বলপুরের ‘লোকাল’ গুলি নিয়ে ‘ভোকাল’ হওয়া – তাঁদের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

 

|

বন্ধুগণ,

আপনারা এটা খুব ভালোভাবেই জানেন যে সম্বলপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা খনি এবং খনিজ সম্পদের জন্য বিখ্যাত। উঁচুমানের লৌহ আকরিক, বক্সাইট, ক্রোমাইট, ম্যাঙ্গানিজ, কয়লা, চুনা পাথর থেকে শুরু করে সোনা, হীরে, মানিক- সব এখানে পাওয়া যায়। দেশের এই প্রাকৃতিক সম্পদের উন্নত ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে, কিভাবে এই সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়ন হবে, জনগণের উন্নয়ন হবে, তা নিয়েও আপনাদের নতুন নতুন ভাবনা দেশের কাজে লাগবে।

বন্ধুগণ,

আমি আপনাদের এরকম কিছু উদাহরণ দিলাম। ওড়িশার অরণ্যসম্পদ, খনিজ, রঙ্গবতী সঙ্গীত, আদিবাসী শিল্প ও হস্তকলা, স্বভাবকবি গঙ্গাধর মেহেরের কবিতা, ওড়িশায় কী নেই! যখন আপনাদের মধ্যে অনেক বন্ধু সম্বলপুরী তাঁতশিল্প কিংবা কটকের ফিলিগ্রি শিল্পকে আন্তর্জাতিক পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতাকে ব্যবহার করবেন, এখানকার পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবেন, তখন আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের পাশাপাশি উন্নয়নও অনেক গতি পাবে এবং নতুন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে।

বন্ধুগণ,

লোকালকে গ্লোবাল করে তোলার জন্য আপনাদের সবাইকে আইআইএম-এর নবীন বন্ধুদেরকে নতুন এবং উদ্ভাবক সমাধান খুঁজতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের আইআইএমগুলির আত্মনির্ভরতা দেশের বিভিন্ন মিশনে স্থানীয় পণ্য এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাঝে সেতুর কাজ করতে পারে। আপনাদের সবার যে এত বিশাল এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সমৃদ্ধ প্রাক্তনী নেটওয়ার্ক রয়েছে, সেই নেটওয়ার্কও আপনাদের চলার পথে খুব সাহায্য করতে পারে। ২০১৪ সালের আগে আমাদের দেশে মাত্র ১৩টি আইআইএম ছিল। এখন দেশে ২০টি আইআইএম রয়েছে। এত বড় বড় মেধার উৎসগুলি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে অনেক বিস্তার প্রদান করতে পারে।

বন্ধুগণ,

আজ বিশ্বে যেমন অনেক নতুন নতুন সুযোগ রয়েছে, তেমনই ব্যবস্থাপনার দুনিয়ায় অনেক নতুন নতুন সমস্যাও রয়েছে। এই সমস্যাগুলিকে আপনাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে। এখন যেমন অ্যাডিটিভ প্রিন্টিং কিংবা থ্রি-ডি প্রিন্টিং-এর সম্পূর্ণ উৎপাদন অর্থনীতিকেই আমূল বদলে দিচ্ছে! আপনারা হয়তো সম্প্রতি খবরে শুনেছেন, গত মাসে চেন্নাইয়ের একটি কোম্পানি একটি সম্পূর্ণ দোতলা বাড়িকে থ্রি-ডি প্রিন্ট করেছে। এভাবে যখন উৎপাদনের পদ্ধতি পরিবর্তিত হবে, তখন পণ্য পরিবহণ এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আসবে। এভাবে প্রযুক্তি আজ প্রত্যেক ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতাকে দূর করে দিচ্ছে। আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিংশ শতাব্দীর ব্যবসাকে সীমাহীন করে তুলেছে। তেমনই ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা একবিংশ শতাব্দীর ব্যবসা বাণিজ্যকে আমূল পরিবর্তন করে ফেলবে। 'ওয়ার্ক ফ্রম এনিহোয়্যার' অর্থাৎ, যেখানে খুশি বসে কাজ করার মাধ্যমে গোটা বিশ্ব গ্রামে পরিণত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তিত হচ্ছে। ভারতেও এর জন্য বিগত কয়েক মাস ধরে দ্রুতগতিতে সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় সংস্কার হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, শুধু সময়ের সঙ্গে চলা নয়, আমরা সময়ের আগে চলার চেষ্টা করছি।

 

|

বন্ধুগণ,

যেভাবে কাজের পদ্ধতি বদলাচ্ছে, সেভাবে ব্যবস্থাপনার দক্ষতার চাহিদাও বদলাচ্ছে। এখন 'টপ ডাউন' বা 'টপ হেভি ম্যানেজমেন্ট' বা মাথাভারী ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক, উদ্ভাবক এবং পরিবর্তনমুখী ব্যবস্থাপনার সময় এসেছে। এই সহযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনায় সমস্ত কর্মীদের সঙ্গ পাওয়া যেমন জরুরি, তেমনই 'বট্‌স' এবং 'অ্যালগোরিথমস'ও এখন দলের সদস্যদের মতোই আমাদের সঙ্গে থাকবে। সেজন্য আজ যতটা মানব ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন, ততটাই প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনারও প্রয়োজন। আমি আপনাদের কাছে এবং সারা দেশের আইআইএমগুলি থেকে বেরিয়ে আসা ছাত্রছাত্রীদের এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্কুলগুলিকে আরেকটি অনুরোধ জানাব, করোনা সংক্রমণের এই সম্পূর্ণ সময়ে প্রযুক্তি এবং টিমওয়ার্কের ভাবনা নিয়ে দেশ কিভাবে কাজ করেছে, কিভাবে ১৩০ কোটি দেশবাসীর নিরাপত্তার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ উঠিয়েছে, দায়িত্বের সঙ্গে এগিয়ে গেছে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, গণ-অংশীদারিত্বের অভিযান চালিয়েছে – এই সমস্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিৎ, নথি তৈরি হওয়া উচিৎ। ১৩০ কোটির দেশ সময়ের সঙ্গে কিভাবে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, ‘ক্যাপাসিটি অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটি'কে, ধারণক্ষমতা এবং সামর্থ্যকে ভারত অত্যন্ত কম সময়েই সম্প্রসারিত করেছে। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনার অনেক বড় শিক্ষা আছে। কোভিডের সময় দেশ পিপিই কিটের, মাস্কের, ভেন্টিলেটরের স্থায়ী সমাধান বের করতে সফল হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে একটা পরম্পরা তৈরি হয়েছিল যে যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য ‘শর্ট-টার্ম’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করা হত। দেশ এখন সেই ভাবনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে। এখন আমরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন থেকেও এগিয়ে গিয়ে সুদূরপ্রসারী সমাধানের দিকে জোর দিয়েছি। আর এক্ষেত্রেও ব্যবস্থাপনার ছাত্রছাত্রীদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের মধ্যে অরুন্ধতিজি রয়েছেন। দেশের গরীবদের জন্য জন ধন অ্যাকাউন্ট নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা হয়েছে, কিভাবে তা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার ব্যবস্থাপনা কী ছিল – এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার তিনি সাক্ষী ছিলেন, কারণ তিনি সেই সময় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদে আসীন ছিলেন। যে গরীবরা কখনও ব্যাঙ্কের দরজা পর্যন্ত যাননি, এরকম ৪০ কোটিরও বেশি গরীব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এত সহজ ছিল না। আর একথাগুলি আপনাদের এজন্য বলছি কারণ, ব্যবস্থাপনার মানে শুধুই বড় বড় কোম্পানি পরিচালনা করা নয়। প্রকৃত অর্থে ভারতের মতো দেশের জন্য ব্যবস্থাপনার মানে হল অনেক জীবনকে বাঁচানো। আমি আপনাদের আরেকটি উদাহরণ দিতে চাই, আর সেটা এজন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, ওড়িশারই সুপুত্র ভাই ধর্মেন্দ্র প্রধানজি এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে স্বাধীনতার প্রায় ১০ বছর পরই রান্নার গ্যাস এসে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এই রান্নার গ্যাস একটি শৌখিনতায় পরিণত হয়েছিল। ধনী লোকেদের অহঙ্কারের বিষয় ছিল। সাধারণ মানুষকে একটি রান্নার গ্যাস সংযোগের জন্য অনেক চক্কর লাগাতে হত, তবুও তাঁরা সহজে গ্যাস পেতেন না। এমন পরিস্থিতি ছিল ২০১৪ পর্যন্ত। আজ থেকে ছয় বছর আগে পর্যন্ত। দেশে রান্নার গ্যাসের কভারেজ মাত্র ৫৫ শতাংশ ছিল। যখন দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থায়ী সমাধানের ভাবনা না থাকে, তখন এমনই হয়। ৬০ বছরে দেশে রান্নার গ্যাসের কভারেজ ছিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। যদি দেশ সেই গতিতে চলত, তাহলে দেশের সমস্ত পরিবারের রান্নাঘরে রান্নার গ্যাস পৌঁছুতে এই শতাব্দীর অর্ধেক সময় পৌঁছে যেত। ২০১৪ সালে আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ঠিক করেছি যে এর স্থায়ী সমাধান বের করতেই হবে। আপনারা জানেন যে আজ দেশে রান্নার গ্যাসের কভারেজ কত? ৯৮ শতাংশেরও বেশি। আজ এখানে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আপনারা সবাই জানেন যে শুরু করে কিছুটা এগিয়ে যাওয়া খুব সহজ। কিন্তু আসল সমস্যা হয় কভারেজকে ১০০ শতাংশ করে তোলার চিন্তা মাথায় থাকলে।

বন্ধুগণ,

তাহলে প্রশ্ন ওঠে যে আমরা এই সাফল্য কিভাবে পেয়েছি? এটি আপনাদের মতো ব্যবস্থাপনার ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ভালো কেস স্টাডি হয়ে উঠতে পারে।

বন্ধুগণ,

আমরা একদিকে সমস্যাকে রেখেছি, আর অন্যদিকে স্থায়ী সমাধানকে। সমস্যা ছিল নতুন ডিস্ট্রিবিউটার তৈরি করার। আমরা ১০ হাজার নতুন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটার কমিশন করেছি। সমস্যা ছিল বটলিং প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটির। আমরা সারা দেশে নতুন নতুন বটলিং প্ল্যান্ট চালু করেছি, দেশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। সমস্যা ছিল ইমপোর্ট টার্মিনাল ক্যাপাসিটির। আমরা এক্ষেত্রে সংস্কার এনেছি। সমস্যা ছিল পাইপলাইন ক্যাপাসিটির। আমরা এই ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি এবং আজও করছি। সমস্যা ছিল গরীব সুবিধাভোগীদের বেছে নেওয়া। আমরা এই কাজও সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে করেছি। উজ্জ্বলা যোজনা চালু করেছি।

বন্ধুগণ,

স্থায়ী সমাধান প্রদানের এই ইচ্ছাশক্তিরই ফল হল আজ দেশে ২৮ কোটিরও বেশি রান্নার গ্যাস সংযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে ১৪ কোটি গ্যাস সংযোগ ছিল। ভাবুন, ৬০ বছরে ১৪ কোটি গ্যাস সংযোগ, আর ছয় বছরে দেশে আরও ১৪ কোটিরও বেশি সংযোগ আমরা দিয়েছি। এখন মানুষকে আর রান্নার গ্যাসের জন্য ছুটতে হয় না। কোথাও চক্কর কাটতে হয় না। এখানে, এই ওড়িশা রাজ্যেও উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৫০ লক্ষ গরীব পরিবারকে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই গোটা অভিযানের সময় দেশ যে ধারণ ক্ষমতা অর্জন করেছে, তার ফল বহুবিধ। যেমন, ওড়িশার ১৯টি জেলায় সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে।

বন্ধুগণ,

এই উদাহরণগুলি আমি আপনাদেরকে এজন্য দিলাম, যাতে আপনারা দেশের সমস্যাগুলি বুঝতে পারেন, দেশের প্রয়োজনগুলির সঙ্গে নিজেদেরকে জুড়তে পারেন। আর যতটা এভাবে বুঝতে ও জুড়তে পারবেন, আপনারা তত ভালো ম্যানেজার হয়ে উঠতে পারবেন। তত ভালো সমাধানও বের করতে পারবেন। আমি মনে করি, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রয়োজন তাঁরা যেন শুধুই বিশেষজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার না দেন। তাঁদের পরিধি ব্যাপক হওয়া উচিৎ। এতে এখানে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদেরও বড় ভূমিকা নিতে হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে 'ব্রডবেসড, মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি এবং হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ'কে জোর দেওয়া হয়েছে। অত্যধিক পেশাগত শিক্ষায় সমাজে এক ধরণের স্থবিরতাও এসে যায়; তা দূর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেককে মুখ্য ধারায় নিয়ে আসতে চাই। এটাও তো এক ধরনের অন্তর্ভুক্তিকরণ! আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবায়িত করবেন। আপনাদের প্রচেষ্টা, আইআইএম সম্বলপুরের প্রচেষ্টা, আত্মনির্ভর ভারতের অভিযানকে বাস্তবায়িত করবে। এই শুভকামনা রেখে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 নমস্কার।

 

  • शिवकुमार गुप्ता February 26, 2022

    जय भारत
  • शिवकुमार गुप्ता February 26, 2022

    जय हिंद
  • शिवकुमार गुप्ता February 26, 2022

    जय श्री राम
  • शिवकुमार गुप्ता February 26, 2022

    जय श्री सीताराम
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Over 88% Trust PM Modi On National Security Matters After Op Sindoor: News18 Survey

Media Coverage

Over 88% Trust PM Modi On National Security Matters After Op Sindoor: News18 Survey
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM highlights Nari Shakti's transformative role in the journey towards a developed India
June 08, 2025
QuoteOver the last 11 years, the NDA Government has redefined women-led development: PM
QuoteVarious initiatives, from ensuring dignity through Swachh Bharat to financial inclusion via Jan Dhan accounts, the focus has been on empowering our Nari Shakti: PM

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has highlighted the transformative role played by women in the journey towards a developed India, underlining the government’s focus on women-led development over the past 11 years.

The Prime Minister said that our mothers, sisters and daughters have seen times when they had to face difficulties at every step. But today they are not only participating actively in the resolution of a developed India, but are also setting examples in every field from education to business. Shri Modi further added that the successes of Nari Shakti in the last 11 years are a matter of pride for all citizens.

The Prime Minister noted that the NDA Government has redefined women-led development through a series of impactful initiatives. These include ensuring dignity through the Swachh Bharat Abhiyan, financial inclusion via Jan Dhan accounts, and empowerment at the grassroots level.

He cited Ujjwala Yojana as a milestone that brought smoke-free kitchens to several homes. He also highlighted how MUDRA loans have enabled lakhs of women to become entrepreneurs and pursue their dreams independently. The provision of houses in women’s names under the PM Awas Yojana has also made a remarkable impact on their sense of security and empowerment.

The Prime Minister also recalled the Beti Bachao Beti Padhao campaign, which he described as a national movement to protect the girl child.

Shri Modi affirmed that in all sectors- including science, education, sports, StartUps, and the armed forces-women are excelling and inspiring several people.

The Prime Minister shared these remarks through a series of posts on X;

"हमारी माताओं-बहनों और बेटियों ने वो दौर भी देखा है, जब उन्हें कदम-कदम पर मुश्किलों का सामना करना पड़ता था। लेकिन आज वे ना सिर्फ विकसित भारत के संकल्प में बढ़-चढ़कर भागीदारी निभा रही हैं, बल्कि शिक्षा और व्यवसाय से लेकर हर क्षेत्र में मिसाल कायम कर रही हैं। बीते 11 वर्षों में हमारी नारीशक्ति की सफलताएं देशवासियों को गौरवान्वित करने वाली हैं।

#11YearsOfSashaktNari"

"Over the last 11 years, the NDA Government has redefined women-led development.
Various initiatives, from ensuring dignity through Swachh Bharat to financial inclusion via Jan Dhan accounts, the focus has been on empowering our Nari Shakti. Ujjwala Yojana brought smoke-free kitchens to several homes. MUDRA loans enabled lakhs of women entrepreneurs to pursue dreams on their own terms. Houses under the women’s name in PM Awas Yojana too have made a remarkable impact.

Beti Bachao Beti Padhao ignited a national movement to protect the girl child.

In all sectors, including science, education, sports, StartUps and the armed forces, women are excelling and inspiring several people.

#11YearsOfSashaktNari"