-
ইকনোমিক্স টাইমস —গ্লোবাল বিজনেস সামিটে দেশ-বিদেশ থেকেআসা অতিথিগণ, এখানে উপস্থিত সমস্ত অভ্যাগতরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
নিউইন্ডিয়া বা নব ভারতের সংকল্পের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা সবাই ‘নিউ ইকোনোমি —নিউ রুলস ’ নিয়েআলোচনা করার জন্য সম্মিলিত হয়েছেন| প্রশ্ন হচ্ছে যে, এতে নতুন কী আছে? ইকোনোমিক্সটাইমস-ও প্রতিদিন ছাপা হয়, পেপারের গুণমান প্রতিদিন এরকমই হয়, প্রিন্টিং-এর গুণমানওপ্রতিদিন এরকমই হয়, ব্যানারের মধ্যে আপনারা যে পত্রিকার নাম লিখেন, তার ফন্ট ওস্টাইলও একই থাকে| তারপরও আমরা বলে থাকি প্রতিদিন নতুন পত্রিকা বের হয়| ব্যতিক্রমহয় শুধুমাত্র এর বিষয়ের| আর এই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই আপনারা বলেন, এটা তাজা খবর,নতুন খবর|
বন্ধুগণ,আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের সরকার চার বছর সম্পূর্ণ করতে যাচ্ছে| দেশ সেটাই,মানুষও সেই, আমলাতন্ত্রও সেটাই, কিন্তু তারপরও একটা পরিবর্তন দেশ-বিদেশে স্পষ্টদেখা যাচ্ছে| দেশের আর্থিক ও সামাজিক বিষয়ে আসা এই পরিবর্তনেই নিউ ইন্ডিয়া, নিউইকোনোমির নিউ রুলস বা নতুন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে|
আপনাদেরমনে থাকবে, চার বছর আগে গোটা দুনিয়ায় যখন ভারতের অর্থব্যবস্থার আলোচনা হতো, তখনবলা হতো, ফ্র্যাজিল ফাইভ বা ভঙ্গুর পাঁচ…| গোটা পৃথিবী আমাদের নিয়ে হাসাহাসিকরতো আর চোখ তুলে বলতো, এই দেশটা নিজেও ডুববে, আর আমাদেরও ডোবাবে| আজ সেইফ্র্যাজিল ফাইভ নয়, ভারতের ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনাহচ্ছে| আজ দুনিয়া ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে চাইছে|
বন্ধুগণ,ভারতের উন্নয়ন, গোটা বিশ্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে|
· গত তিন-চার বছরে ভারত নিজের সঙ্গেগোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে শক্তিশালী করেছে|
· বিশ্বের জি.ডি.পি.-তে যদি আমরানমিন্যাল টার্মের ডেটা-কে দেখি, তাহলে খুব আকর্ষণীয় তথ্য সামনে আসে| আন্তর্জাতিকমুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুসারে ২০১৩ সালের শেষে বিশ্ব জি.ডি.পি.-তে নমিন্যাল টার্মেভারতের অবদান ২.৪ শতাংশ ছিল| আমাদের সরকারের প্রায় ৪ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩.১শতাংশ হয়ে গেছে|
· বিশ্ব অর্থব্যবস্থার যে অংশ পেতে ভারতের ৮ বছরলেগেছিল, তা আমাদের সরকারের ৪ বছরে হয়েছে| তার চেয়েও চমকপ্রদ তথ্য আই.এম.এফ.-এরডেটা থেকে বেরিয়ে আসে| বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় নমিন্যাল টার্মে গত ৪ বছরে যা বৃদ্ধিহয়েছিল, তার ২১ শতাংশ ভারতে হওয়া বৃদ্ধির জন্যই হয়েছে|
· এখন আপনারা নিজেরাই ধারণা করতে পারেন, যে দেশবিশ্ব জি.ডি.পি. ’র শুধুমাত্র ৩ শতাংশ অংশ ছিল, তাবিশ্ব অর্থব্যবস্থার বৃদ্ধিতে ৭ গুণ বেশি অবদান রাখছে|
· আপনারা যেকোনো ম্যাক্রো-ইকনোমিক মানদণ্ড দেখুন,তা সে মুদ্রাস্ফীতি হোক, কারেন্ট একাউন্ট ঘাটতি হোক, ফিস্কাল ঘাটতি হোক, জি.ডি.পি.বৃদ্ধি হোক, সুদের হার হোক, এফ.ডি.আই. ’র অন্তর্প্রবাহহোক, ভারত সমস্ত ক্ষেত্রেই আরও ভালো কাজ করছে|
· দেশের কারেন্ট একাউন্ট ঘাটতি, যা ৪ শতাংশেরবিপজ্জনক স্তরে ছিল, তাকে কমিয়ে দিয়ে আমাদের সরকার প্রথম তিন-সাড়ে তিন বছরে গড়ে একশতাংশে নিয়ে এসেছে|
· আগের সরকারের সময় ফিস্কাল ঘাটতি,যা ৪.৫ শতাংশের অশেপাশে ছিল, তা আমাদের সরকার কমিয়ে ৩.৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে|
· আমাদের সরকারের সাড়ে তিন বছরেপ্রায় ২০৯ বিলিয়ন ডলার গ্রস এফ.ডি.আই. এসেছে, যেখানে আগের সরকারের তিন বছরে ১১৭বিলিয়ন ডলার এফ.ডি.আই. এসেছিল|
· আজ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারপ্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪১৯ বিলিয়ন ডলারের স্তরে রয়েছে| এছাড়াও ২০১৩ সালের সংকটের সময় করা স্পেশাল ফরেন কারেন্সি নন-রেসিডেন্ট ডেপজিটঅর্থাত এফ.সি.এন.আর.-এর প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধও দেশ সম্পূর্ণ করেছে|
· মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রিতরাখতে আর উচ্চ উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য টাকা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও ভালো রয়েছে|সুদের হারে এক শতাংশের বেশি কম হওয়ার লাভ গ্রাহক, আবাসন ক্ষেত্র ও অন্যান্যউদ্যোগীরা পাচ্ছেন|
বছরের পর বছর আমাদের সরকারসমস্ত মাইক্রো-ইকনোমিক সূচককে উন্নত করতে সফল হয়েছে| কিন্তু পুরনো পদ্ধতিতে এটা কিসম্ভব ছিল? না| পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে গিয়ে এই পরিবর্তন সম্ভব ছিলনা|
দেশে এইপরিবর্তন আসার কারণ হচ্ছে দেশ এখন এক নতুন কর্মসংস্কৃতির সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে|নিজের শক্তি, নিজের সম্পদের ওপর ভরসা করে নিউ ইন্ডিয়া ’র সংকল্পের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে|
গত তিনবছরে দেশের অর্থনৈতিক বিশ্ব এক নতুন বিষয় শিখেছে, আর তা হচ্ছে প্রতিযোগিতা…| যখনসামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা থাকবে না, যখন এক স্বাস্থ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা হবেনা, তখন যেমন গতি আসবে না, তেমনি দিগন্ত বিস্তৃত মাত্রায় গিয়ে চিন্তাও করতে পারবোনা|
বন্ধুগণ,আজ ভারতের এই প্রতিযোগিতার বিষয়টিকে গোটা দুনিয়া মূল্যায়ন করছে, অভিবাদনজানাচ্ছে|
· আঙ্কটাড (ইউ.এন.সি.টি.এ.ডি.)-এরবিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন অনুসারে ভারত বিশ্বের মধ্যে পছন্দের এফ.ডি.আই.গন্তব্যগুলোর একটি|
· বিশ্বের প্রথম তিনটি সম্ভাব্যআহ্বানকারী অর্থনীতির মধ্যেও ভারতের নাম রয়েছে|
· এফ.ডি.আই. বিশ্বস্ততা সূচকেরমধ্যে শীর্ষ দুই উদীয়মান বাজার নিষ্পাদকের মধ্যে একটি ভারত|
· বিশ্ব ব্যাঙ্কের বাণিজ্য সহজতাররেঙ্কিং-এ আমরা মাত্র তিন বছরে ৪২ স্থান উপরে এগিয়েছি| আজ আমরা ১৪২ থেকে ১০০নম্বরে পৌঁছে গেছি| সব ধরনের রেটিং এজেন্সিগুলো ভারতের রেটিংকে উন্নত করছে|
· ভারত আজ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্মুক্তঅর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি|
বন্ধুগণ,আমি এর আগের বার যখন আপনাদের এই অনুষ্ঠানে এসেছিলাম, সেইসময় জি.এস.টি. শুধুমাত্রসম্ভাবনার মধ্যে ছিল|
আজজি.এস.টি. এক সত্য বিষয়| স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে বড় এই কর সংস্কার কার্যকরহয়ে ৭ মাস হয়ে গেছে| জি.এস.টি. দেশকে এক উন্নত কর অনুবর্তী পদ্ধতি, উন্নত রাজস্বপদ্ধতি দিয়েছে| এটা পণ্যের দ্রুত চলাচলে উত্সাহ দিয়েছে, পরিবহন ব্যয় কমিয়েছে আররফতানিতে এক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করেছে|
· ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে ৭0বছরের অপ্রত্যক্ষ কর পদ্ধতি সত্বেও প্রায় ৬0 লক্ষ ব্যবসায়ীই ছিলেন, যারাঅপ্রত্যক্ষ করের অধীনে ছিলেন|
· জি.এস.টি. ’র শুধুমাত্র ৭ মাসের মধ্যেই ৪৪ লক্ষের বেশি নতুন মানুষ এই প্রত্যক্ষ করপদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন|
· এর ফলে দেশে সৎ ব্যবসার সংস্কৃতিতো শক্তিশালী হয়েছেই, করের এই বিস্তারের ফলে ন্যায়নিষ্ঠ করদাতারা কম করেরপুরস্কারও পেয়েছেন|
বন্ধুগণ,আপনারা এটা জানেন যে, আমাদের সরকার টুইন ব্যালেন্স শিটের কী ধরনের উত্তরাধিকারপেয়েছিল| ব্যাংকের আগের ব্যবস্থা সম্পর্কে তো আপনারা অবগত আছেন যে, কীভাবেস্বজনপোষণ পুঁজিবাদের (ক্রনি ক্যাপিটালিজম) পরিবেশ ব্যাপকভাবে সমস্ত ব্যবস্থারমধ্যে প্রোথিত ছিল| একে উন্নত করার জন্য ইনসলভেন্সি ও ব্যাঙ্করাপটসি কোড-এর মতোবিশাল সংস্কার আমরা করেছি|
আজ দেশেদুই হাজারের বেশি ইন্সলভেন্সি প্রফেশনাল এবং ৬২ ইন্সলভেন্সি এনটিটি ২৪ ঘণ্টা ধরেএই সমস্যা দূর করার জন্য নিযুক্ত রয়েছেন| শুধুমাত্র তিন মাসেই আমাদের সরকার২৭০০-এর বেশি মামলার নিষ্পত্তি করেছে|
আরও একটিপ্রতিকূলতা আমার বিষয় ছিল, রফতানির বিষয়| আমরা যদি ২০১৫-১৬ সালে আমদানি ও রফতানির তথ্য দেখি তাহলে দেখতে পাবো যে, দুইক্ষেত্রেই প্রায় ১৫ শতাংশ পতন হয়েছে| এই পতন কেন হয়েছে, তা নিয়ে অনেক ধরনের মতামতএসেছে| একটি সম্ভাবনা আরও রয়েছে, যেখানে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করা উচিত|
বন্ধুগণ,২০১৪ সালে সরকার গঠন হওয়ার পর, কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের সরকারেরপ্রথম বড় সিদ্ধান্ত ছিল, সিট (এস.আই.টি.) গঠন করা| ‘সিট ’ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আমদানি-রফতানিতে অতিরিক্ত-চালানও খুব গুরুতরবিষয়| এই প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য থেকে সরকার অতিরিক্ত-চালানের মোকাবিলায় কঠোরপদক্ষেপ গ্রহণ করেছে| এখন তা অর্থনীতিবিদদের জন্য গবেষণার বিষয় যে,বাণিজ্য-ঘাটতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হয়েও কেনো আমদানি-রফতানিতে এক ধরনেরইনিম্নগামী প্রবণতা আসছিল? এর পেছনের কারণ কি অতিরিক্ত-চালান ছিল, নাকি বেস-কারেকশনছিল?
বিনীতজি,এবার কালকেই আপনি ছাপিয়ে দেবেন না যে, রফতানির পতনে মোদির সাফাই| আমি একটিদৃষ্টিকোণ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, যা নিয়ে আপনাদের সবাইকেই ভাবা উচিত| তাছাড়াআপনারা এটাও জানবেন যে, নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ির দীর্ঘ সময়ের পর এখন রফতানির বর্তমানেতথ্য এটা জানাচ্ছে যে, পরিস্থিতির এখন উন্নতি ঘটছে|
বন্ধুগণ,আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দেখতে পাই যে, যখন আমরা জল গরম করি, তখন এক বিশেষতাপমাত্রায় পৌঁছানোর পরই তা বাষ্পে রুপান্তরিত হয়| সেই তাপমাত্রায় পৌঁছানোর আগে জলগরমও হয়না, আর বাষ্পও হয়না| সেভাবেই সরকারের উদ্যোগ মানুষের কাছে যাতে পৌঁছে, তারজন্য গতি, মাত্রা ও সংবেদনশীলতার (স্পিড, স্কেল ও সেনসিটিভিটি) প্রয়োজনীয়তা রয়েছে|
স্পিড,স্কেল ও সেনসিটিভিটির সঙ্গে কাজ হলে এর সাফল্যও পাওয়া যাবে| আমাদের সরকার আটকেদেওয়া-বিপথে চালিত করা-ঝুলিয়ে রাখার (আটকানে-ভটকানে-লটকানে) সংস্কৃতি সমাপ্ত করেদিয়েছে| এ ফলে গোটা ব্যবস্থার মধ্যে এক নতুন গতি এসেছে|
· আগের সরকারের সময় যে গতিতে রেললাইনের ব্রডগেজে রূপান্তর হচ্ছিল, আজ তার দ্বিগুণ গতিতে ব্রডগেজে রূপান্তর হচ্ছে|
· আগের সরকারের সময় যে গতিতে গ্রামেসড়ক নির্মাণ হচ্ছিল, জাতীয় মহাসড়ক তৈরি হচ্ছিল, এখন এই সরকার সেই কাজ দ্বিগুণগতিতে করছে|
· আগের সরকারের সময় যে গতিতেবিদ্যুতের পরিবাহী তার টানা হচ্ছিল, এখন সেই কাজই তার দ্বিগুণ গতিতে করা হচ্ছে|
· আগের সরকারের সময় যে গতিতেবিদ্যুত উত্পাদন ক্ষমতা যুক্ত হচ্ছিল, এখন তার চেয়ে বেশি গতিতে কাজ হচ্ছে|
· আগের সরকারের সময় ৩ বছরেরপ্রচেষ্টায় যেখানে মাত্র ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত করাহয়েছিল, সেখানে আমরাও ৩ বছরে ১ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপটিক্যালফাইবারে যুক্ত করেছি|
· প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের (ডি.বি.টি.)অধীনে আগে মাত্র ২৮টি প্রকল্পের অর্থ ব্যাংকে সরাসরি হস্তান্তর করা হতো, সেখানেএখন ৪০০ টির বেশি যোজনা এই ডি.বি.টি. ’র সঙ্গে যুক্তহয়েছে|
· আপনারা ভাবুন, ছোট একটি এল.ই.ডি. বাল্ব-এরজন্য আগে সাড়ে তিনশ টাকা লাগতো| একে কমিয়ে কমিয়ে আমরা ৪০-৫0 টাকায় নিয়ে এসেছি|পৃথিবীর অনেক দেশেই আজও এই এল.ই.ডি. ’র জন্য ৩ ডলারলাগে| কিন্তু আমাদের সরকার এর দাম ১ ডলারেরও কমে নিয়ে এসেছে|
· ২০১৪ সালে আগে আমাদের দেশে যেখানেমাত্র ৩টি মোবাইল নির্মাতা কোম্পানি ছিল, সেখানে এদের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে এখন ১২০-এরআশেপাশে পৌঁছে গেছে| এর ফলেই ২০১৪-১৫ সালে যেখানে দেশে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশিমূল্যের মোবাইল আমদানি করা হতো, সেখানে এখন তা কমে গিয়ে অর্ধেক হয়ে গেছে|
এই পরিবর্তন কি এমনি এমনিএসে গেছে? এই বদল কি এমনি এমনি হয়ে গেছে? এর জন্য যে ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন হয়েথাকে, তা আমাদের সরকার দেখিয়েছে| এটাইহচ্ছে নতুন অর্থনীতির নতুন নিয়ম|
ভাই ও বোনেরা, ২০১৪ সালেসরকার গঠন করার পর থেকে আমরা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, সম্পদ নির্ভর উন্নয়ন নীতিও উন্নয়ন নীতি নির্ভর বাজেটের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি|
· আজ দেশে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে,কৃষির ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটাবিনিয়োগ করা হচ্ছে, ততটা এর আগে কখনো করা হয়নি|
· প্রথম বারের মতো দেশে এভিয়েশনপলিসি তৈরি করা হয়েছে| যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এফ.ডি.আই. নিয়ে কেউ ভাবতেই পারত না,সেই ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে|
· আমাদের সরকার দেশের পরিবহনক্ষেত্রকে একবিংশ শতকের প্রয়োজনীয়তার দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলোকেসংহত করা হচ্ছে|
এই সমস্তবিনিয়োগ ও সরকারের প্রকল্পগুলো একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ নিয়েও আসছে|গত চার বছরে আমাদের সরকার দেশে কর্মসংস্থান-কেন্দ্রিকের পাশাপাশি জন-কেন্দ্রিকবৃদ্ধির দিকেও গুরুত্ব দিয়েছে| এ এমন এক অর্থব্যবস্থা যেখানে দেশের গরিব মানুষদেরঅর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিও হবে, যা মধ্যবিত্তের আকাঙ্ক্ষার দিকেও মনোযোগ দেবে|
বন্ধুগণ,আমাদের সরকারের কাছে এই দম্ভ নেই যে, আমরাই সমস্ত কিছু জানি| ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ ’-এর মন্ত্র মেনে চলে আমরা সবারমতামত ও সবার অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি| আমাদের সরকার সম্পূর্ণসংবেদনশীলতার সঙ্গে তাদের আবশ্যকতা, তাদের উদ্বেগের বিষয় শুনে থাকে, আর সেজন্যঅনেক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার উদ্ভাবনাপূর্ণ সমাধান বেরিয়ে আসছে|
প্রথমদিন থেকে আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে যে, ব্যবস্থার মধ্যে যাতে অনুভূমিক ও উলম্বসংবেদনশীলতাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়| আমি স্বয়ং নানা সময়ে কৃষকদের, নবযুবদের,ছাত্রছাত্রীদের, যুব সি.ই.ও.-দের সঙ্গে সাক্ষাত করে আলাদা আলাদা মঞ্চে মত বিনিময়করে যাচ্ছি| আমরা এমন ব্যবস্থা তৈরি করেছি যেখানে মানুষের প্রতিক্রিয়া আমরাপ্রত্যক্ষভাবে পাচ্ছি| অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টিতেও আমাদের সরকার অনেক বেশি মনোযোগদিয়েছে|
বন্ধুগণ,অনেক ক্ষেত্রেই যেসব তাত্ত্বিক সমাধান অনেক সঠিক বলে মনে হতে থাকে, সেগুলোইব্যবহারিক সমস্যার উত্স হয়ে দাঁড়ায়| এটাকে তখনই বোঝা যায়, যখন সরকার সংবেদনশীলতারসঙ্গে সমস্ত খুঁটিনাটিকে বোঝে থাকে|
যেমনবাঁশের ক্ষেত্রে সম্প্রতি নেওয়া সিদ্ধান্ত, ইউরিয়ায় ১০০ শতাংশ নীমের কোটিং,গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি ’র চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ তুলেদেওয়ার সিদ্ধান্ত, গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে প্রত্যায়িত করার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ারসিদ্ধান্ত| এই কাজগুলো আগেই করা যেতো, কিন্তু সংবেদনশীলতার ঘাটতির জন্য, জনগণেরসঙ্গে সংযুক্তির ঘাটতির জন্য এটা হয়নি|
বন্ধুগণ,আমাদের এখানে স্বাস্থ্য এমন এক ক্ষেত্র, যা সার্বিক মনোযোগ থেকে সবসময়ই দূরে রয়ে গেছে|স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প আগেও হয়েছে, কিন্তু সেগুলোতে সংবেদনশীলতার ঘাটতি ছিল|আমরা উন্নত স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি উন্নত স্বাস্থ্যও সুনিশ্চিত করছি|
· মিশন ইন্দ্রধনুষ-এর জন্য দেশেটিককরণের বিস্তার বৃদ্ধির গতি ৬ গুণ বেড়েছে|
· তিন হাজারেরও বেশি জন-ঔষধি দোকানে৮০০-এর বেশি ওষুধ কম দামে দেওয়া হচ্ছে| আমাদের সরকার স্টেন্ট-এর দাম ৮০ শতাংশকমিয়ে দিয়েছে| হাঁটুর প্রতিস্থাপনের খরচও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে| ডায়াবেটিসের প্রায়আড়াই লক্ষ রোগীকে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ ডায়ালিসিস সেশন বিনামূল্যে করানো হয়েছে|
· এবারকার বাজেটে আমরা দেশের ১০কোটি গরিব পরিবারকে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার স্বাস্থ্য নিশ্চয়তা প্রকল্প —আয়ুষ্মান ভারতের ঘোষণা দিয়েছে| এর অধীনে প্রতিটি গরিব পরিবারকে গুরুতরঅসুখের চিকিত্সার জন্য বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য নিশ্চয়তা দেওয়াহবে|
বন্ধুগণ,ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ান মিশনের ভিত্তি হচ্ছে আমাদের সমাজকে ডিজিট্যালভাবে সক্ষম একসমাজ হিসেবে পরিবর্তিত করা এবং দেশের অর্থব্যবস্থাকে জ্ঞান-নির্ভর অর্থনীতিতেপরিবর্তিত করা| ১০০ কোটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট, ১০০ কোটি আধার কার্ড, ১০০ কোটি মোবাইলফোনের ত্রয়ী-সংযুক্তি এক এমন বাস্তুতন্ত্র তৈরি করবে, যা গোটা দুনিয়ায় সম্পূর্ণভিন্ন এক বিষয় হবে|
বন্ধুগণ,এম.এস.এম.ই. ’র বাস্তুতন্ত্র আমাদের অর্থ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড| এইক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি| যত বেশি সম্ভব লঘুউদ্যোগকে প্রথাগত ক্ষেত্রে নিয়ে আসার জন্য উচ্চ মাত্রার ঋণ সহায়তা, মূলধন ও ঋণভর্তুকি এবং উদ্ভাবনার দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে|
এতেঅর্থনৈতিক প্রযুক্তি অর্থাত ফিন-টেক এরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে|এম.এস.এম.ই.-কে আর্থিক অধিগম্যতা প্রদান করার জন্য, এর উন্নয়নে আরও গতি নিয়ে আসারজন্য ফিন-টেক এর ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে| এর বর্দ্ধিত ব্যবহার, দেশের অর্থব্যবস্থাকে শক্তিশালী করছে|
বন্ধুগণ,আমি যখন এর আগে আপনাদের এই আয়োজনে এসেছিলাম, তখন আমি সবার জন্য আবাস, সবার অন্যবিদ্যুত, সবার জন্য পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি, সবার জন্য স্বাস্থ্য, সবার জন্যবিমা ’র কথা বলেছিলাম|
· দেশে গত তিন বছরে গরিব ওনিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য প্রায় এক কোটি ঘরের নির্মাণ করা হয়েছে|
· ৪ কোটি ঘরকে বিদ্যুতের মাধ্যমেউজ্জ্বল করে তোলার জন্য সৌভাগ্য যোজনা শুরু করা হয়েছে|
· উজ্জ্বল যোজনার মাধ্যমে ৩ কোটি ৪০লক্ষ মহিলাকে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে|
· শুধুমাত্র ৯০ পয়সা প্রতিদিন এবংএক টাকা মাসে প্রিমিয়াম দিয়ে আমাদের সরকার ১৮ কোটির বেশি গরিব জনগণকে সুরক্ষা কবচপ্রদান করা হয়েছে| এই বিমা যোজনার মাধ্যমে গরিব মানুষকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার কোটিটাকারও বেশি দাবির টাকা প্রদান করা হয়েছে|
বন্ধুগণ,আমাদের সরকারের নীতি, নিযুক্তি, সিদ্ধান্ত, উদ্দেশ্য, নিয়ম সবকিছুর একই লক্ষ্য —দেশের উন্নয়ন, দেশের গরিব মানুষের উন্নয়ন| সবার সঙ্গে-সবার উন্নয়নেরমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে গিয়ে আমরা গরিবকে সক্ষম করার কাজ করছি|
· গত তিন সাড়ে তিন বছরে জনধন যোজনারঅধীনে দেশে ৩১ কোটিরও বেশি গরিব জনগণের ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হয়েছে| শুধুমাত্রএকাউন্টই নয়, এতে আজ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে|
· এই সময়ের মধ্যে সরকার ৬ কোটিরওবেশি শৌচালয় তৈরি করেছে| দেশে গ্রামীণ স্বচ্ছতার এলাকা ২০১৪ সালের প্রায় ৪০ শতাংশথেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭৮ শতাংশেরও বেশি হয়ে গেছে|
· সরকার মুদ্রা যোজনার অধীনে ১১কোটি ঋণ দিয়েছে| যার মাধ্যমে ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ কোনো ব্যাঙ্কগ্যারান্টি ছাড়াই যুব অংশকে ও মহিলাদের প্রদান করা হয়েছে| এই যোজনায় দেশের প্রায়তিন কোটি নতুন উদ্যমী পাওয়া গেছে|
· এখন পর্যন্ত ১১ কোটিরও বেশিমৃত্তিকা স্বাস্থ্যপত্র বিতরণ করা হয়েছে| ২০ লক্ষ হেক্টর থেকে বেশি জমিকে লঘুসেচের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে|
বন্ধুগণ,এই বছরের বাজেটে নতুন অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত আরও বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে|
বিজ্ঞাপিতসিদ্ধান্তের জন্য, ন্যুনতম সহায়ক মূল্য —অর্থাত এম.এস.পি.,এর ব্যয় কমপক্ষে দেড় গুণ ঘোষিত করা হবে| এই ব্যয়ে কৃষক যে অন্য কৃষি শ্রমিকনিয়েছেন, তার পরিশ্রমের মূল্য, নিজের গবাদি পশু বা মেশিন অথবা ভাড়ায় নেওয়া গবাদিপশু বা মেশিনের খরচ, বীজের মূল্য, সমস্ত রকম সারের মূল্য, সেচের খরচ, রাজ্য সরকারকে দেওয়া জমির রাজস্ব, ব্যাংকেরমূলধনের ওপর দেওয়া সুদ, লিজে নেওয়া জমির জন্য দেওয়া ভাড়া সহ অন্যান্য সমস্ত খরচযুক্ত রয়েছে| এটুকুই নয়, কৃষকের স্বয়ং এবং তার পরিবারের সদস্যদের দেওয়া শ্রমেরমূল্য, উত্পাদন ব্যয়ের মধ্যে যুক্ত করা হবে|
দেশেরপরিশ্রমী কৃষকদের আয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ| যদিও কিছুঅর্থশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিতও দিয়েছেন|
বন্ধুগণ,এইসব অর্থশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের এটাও তো দেখা উচিত যে, আমাদের অন্নদাতা, আমাদেরকৃষকদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব কী হওয়া উচিত? আমি মনে করি কৃষকদের আয় বৃদ্ধির সঙ্গেযুক্ত সমস্ত সিদ্ধান্তকে আমাদের সমর্থন করা উচিত| আর সরকার এই পদক্ষেপে আয়ের উত্সচিহ্নিত করলে নিঃসংকোচে নিজের অংশ গ্রহণ বাড়ানো উচিত|
বন্ধুগণ,সরকার গত তিন বছর ধরে সততাকে প্রাতিষ্ঠানিক করার কাজ করেছে| প্রযুক্তির মাধ্যমেপদ্ধতিকে নিপুন করা হচ্ছে, মাঝপথে যে লিকেজ হতো, তা বন্ধ করা হচ্ছে|
· ডি.বি.টি. ’র মাধ্যমে সরকার ৫৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ভুল হাতে পড়া থেকেবাঁচানো গেছে|
· দুই লক্ষেরও বেশি সন্দেহভাজনকোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে| এই কোম্পানিগুলোর ডিরেক্টরদের একাউন্টওফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে| আর অন্য কোনো কোম্পানিতে তাদের ডিরেক্টর হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞাআরোপ করা হয়েছে|
এখানে এইঅনুষ্ঠানে আমি দেশের উদ্যোগ জনগত, সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষদের, সমস্ত পেশাজীবীদেরআহ্বান জানাতে চাই| দেশের বর্তমান প্রয়োজনীয়তা কী, ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা কী, এইবিষয়গুলোকে সবসময় নিজের মনে রাখুন|
আরও একটিআহ্বান আমি করতে চাই যে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে নিয়ম ও উদ্দেশ্য অর্থাতনৈতিকতা বজায় রাখার দায়িত্ব যাদেরকে দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গেতাদের দায়িত্ব পালন করেন| বিশেষ করে যাদেরকে পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রদান করা হয়েছে|
আমিস্পষ্ট করতে চাই যে, এই সরকার আরিঠিক বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোরপদক্ষেপ গ্রহণ করবে| নিয়ম বহির্ভূতভাবে জনগণের টাকা নিয়ে যাওয়া, এই ব্যবস্থায়গ্রহণীয় হবে না| এটাই হচ্ছে নতুন অর্থনীতি-নতুন নিয়মের মূল মন্ত্র|
বন্ধুগণ,এখানে নতুন অর্থনীতির কথা আলোচনা হচ্ছে| আমি এখানে হওয়া আলাদা আলাদা বিভিন্নআলোচনার বিষয় নিয়ে জানার পর আমারও মনে একটা বিষয় এসেছে| এই বিষয়টি দেশের অর্থব্যবস্থার সঙ্গে অত্যন্ত গভীরভাবে যুক্ত| আমার মনে হয়, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনএকসঙ্গে করলে যে ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব দেশের ওপর পড়বে, তা নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত|
এইবিষয়টা শুধুমাত্র ভারত পর্যন্ত সীমিত নয়| বিদেশি কোম্পানিগুলোও তো এর দ্বারাপ্রভাবিত হয়| বিনয়োগও এর ফলে প্রভাবিত হয়| বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের সময়, মাস ও দিনপর্যন্ত স্থির থাকে| সেইসব দেশে এর ফলে উদ্যোগের ওপর কী প্রভাব পড়ে, এগুলো নিয়েওআলোচনা করা যেতে পারে|
ভারতেরআর্থিক উন্নয়ন, ভারতে সু-প্রশাসনের প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা, ভারতে বৈশ্বিক মানদণ্ডকেপাওয়ার নীতি ও প্রচেষ্টা, বিশ্বের সঙ্গে আর্থিক ও বাণিজ্যিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেব্যাপক সহমতের প্রয়াস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনের কেন্দ্রে দীর্ঘস্থায়ীউন্নয়নের প্রাথমিকতা —ইত্যাদি সমস্ত বিষয় গোটা বিশ্বের কাছেস্পষ্ট হয়ে উঠছে, তাতে তারা ভারতের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন|
আধুনিকপরিবেশ, নতুন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভারত সামনের সারির শক্তি হতে পারে, প্রযুক্তিরক্ষেত্রে, উদ্ভাবনার ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে|
আমাদেরমধ্যে এই সামর্থ্য রয়েছে, আমাদের কাছে এই সম্পদ রয়েছে যে, আমরা নব ভারতের স্বপ্নপূরণ করতে পারি| আর আমাদের উন্নয়ন শুধুমাত্র আমাদেরই নয়, এটা গোটা বিশ্বে সমৃদ্ধিনিয়ে আসবে|
আসুন,আমাদের সামনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে সুযোগে পরিবর্তন করে, আমরা নব ভারত নির্মাণ করি,আমাদের সংকল্প পূরণ করি|
আরওএকবার আপনাদের সবাইকে এই আয়োজনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনার সঙ্গে আমার ভাষণসমাপ্ত করছি|
সবাইকেঅনেক অনেক ধন্যবাদ!!!