The human face of 'Khaki' uniform has been engraved in the public memory due to the good work done by police especially during this COVID-19 pandemic: PM
Women officers can be more helpful in making the youth understand the outcome of joining the terror groups and stop them from doing so: PM
Never lose the respect for the 'Khaki' uniform: PM Modi to IPS Probationers

নমস্কার।

মন্ত্রী পরিষদের আমার সহকর্মীবৃন্দ শ্রী অমিত শাহজী, ডঃ জিতেন্দ্র সিংজী, শ্রী জি কিষাণ রেড্ডিজী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল জাতীয় পুলিশ অ্যাকাডেমির আধিকারিকবৃন্দ সকলকে আইপিএস শিক্ষানবিশদের ‘দীক্ষান্ত প্যারেড’ – এ উপস্থিত থাকার জন্য অভিনন্দন। সেই সঙ্গে, অভিনন্দন জানাই ৭১ জন আইপিএস শিক্ষানবিশকে, যাঁরা অচিরেই অদম্য মানসিক জেদ নিয়ে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের নেতৃত্ব দেবেন।

সাধারণত, এই পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে আমি দিল্লিতে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করি। এটা আমার সৌভাগ্য যে, আমি তাঁদেরকে আমার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানাই এবং পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গী বিনিময় করি। কিন্তু, এবার করোনা মহামারীজনিত প্রতিকূল পরিস্থিতির দরুণ এই সুযোগ আমার হচ্ছে না। এ সত্ত্বেও আমি নিশ্চিত যে, আমার কার্যকালের মেয়াদে অন্য যে কোনও সময় আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।

বন্ধুগণ,

এখানে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে, আপনারা যতদিন শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করছেন, ততদিনই আপনারা এক সুরক্ষিত বাতাবরণ পাচ্ছেন। আপনারা এটাও জানেন যে, কোনও ভুলভ্রান্তির ক্ষেত্রে আপনার সহকর্মী বা আপনাকে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁরা আপনার ভুল সংশোধন করে দেবেন। তবে, এরকম পরিবেশ দীর্ঘস্থায়ী নয়, তা রাতারাতি পাল্টে যায়। যে মুহূর্তে আপনি এই অ্যাকাডেমির বাইরে পা ফেলবেন, তখন আপনি আর সুরক্ষিত বাতাবরণের সুবিধা পাবেন না। একজন সাধারণ মানুষ আপনাকে কখনই নতুন আধিকারিক হিসাবে কাজে যোগ দেওয়া ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করবেন না এবং আপনার অভিজ্ঞতা কম – এই বিষয়টিও মেনে নেবেন না। ঐ ব্যক্তি ভাববেন, আপনি একজন উর্দিধারী সাহেব। তিনি একথাও ভাববেন, কেন আপনি তাঁর কাজ করে দিচ্ছেন না। একজন সাহেব হিসাবে কিভাবে আপনি তাঁর সঙ্গে এই আচরণ করতে পারেন? আপনি ব্যর্থ হলেই আপনার প্রতি ঐ ব্যক্তির মানসিকতায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটবে।

আপনার প্রতি সারাক্ষণ নজর রাখা হবে। কিভাবে আপনি নিজের কর্তব্য পালন করছেন এবং অন্যদের সঙ্গে আপনার আচরণ কিরকম তা সবাই লক্ষ্য রাখবেন ।

আমি আপনাদের একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আপনার কর্মক্ষেত্রে কাজে যোগ দেওয়ার গোড়ার দিকে অন্যদের মনে আপনার যে ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে, সেটাই হবে আপনার প্রথম ও শেষ ভাবমূর্তি। আপনি যখন একজন বিশেষ আধিকারিক হিসাবে পরিচিত হবেন, কর্মসূত্রে আপনি যেখানেই বদলি হন না কেন আপনাকে সেই পরিচয় বয়ে বেড়াতে হবে। এই পরিচয় থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। তাই, আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপ সাবধানে ফেলতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের সমাজে কিছু ঘাটতি রয়েছে। যখন আমরা নির্বাচনের পর দিল্লিতে এসে পৌঁছাই, ২-৪ জন এমন ব্যক্তি আছেন যাঁরা প্রায়শই আমাদের আশেপাশে আঠার মতো লেগে থাকেন। এরা কারা আমরা তা জানি না। এমনকি, খুব শীঘ্রই এরা আপনাকে বিভিন্ন রকম সাহায্য ও পরিষেবার কথা প্রস্তাব দেবে। এদের কেউ কেউ বলবে, সাহেব আপনার গাড়ি প্রয়োজন বা জলের দরকার – আমি এইসব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সাহেব, আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, আপনি এখনও খেয়ে ওঠেননি। আপনি জানেন না, এই ভবনের খাবার ভালো নয়। তাই, আমি অন্য ভবন থেকে আপনার খাবার এনে দিচ্ছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি না – এই পরিষেবাদাতারা কারা। যেখানেই আপনি যাবেন, আপনি এ ধরনের কিছু মানুষ খুঁজে পাবেন। কর্মসূত্রে আপনি যেখানে যাবেন, আপনার কাছে সেই জায়গা হবে নতুন এবং সেখানে আপনার একাধিক প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ঐ ধরনের মানুষের প্রলোভনের ফাঁদে পা দেন, তা হলে আপনার পক্ষে ঐ প্রলোভনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে উঠবে । প্রাথমিকভাবে, নতুন জায়গা হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই আপনার মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনাকে চোখ-কান খোলা রেখে প্রতিটি বিষয় উপলব্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। তাই, কর্মজীবনের গোড়ার দিকে যতটা সম্ভব আপনার চোখ-কান খোলা রাখুন ও সতর্ক থাকুন।

নেতৃত্বদানের ক্ষমতায় আপনি যদি সাফল্য লাভ করতে চান, তা হলে আপনার বিচক্ষণতা অত্যন্ত জরুরি। অবশ্য আমি একথা বলছি না যে, আপনি আপনার চোখ-কান বন্ধ রাখুন। আমি কেবল বলছি, সতর্ক ও সজাগ থাকতে। এই পন্থা যদি আপনি অবলম্বন করতে পারেন, তা হলে কর্মজীবনে যখনই প্রয়োজন পড়বে, আপনি আপনার কর্তব্য পালনে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবায় ব্রতী হবেন। যখন কোনও আধিকারিক নতুন জায়গায় বদলি হিসাবে যান, সাধারণ মানুষ তখন তাঁকে ডাস্টবিন বা আস্তাকুড় হিসাবে গণ্য করেন। তাই আপনি যতই ক্ষমতাবান আর শক্তিশালী হন না কেন, সাধারণ মানুষ আপনাকে তত বড়ই আস্তাকুড়ের বস্তু হিসাবে গণ্য করবে। সাধারণ মানুষ সেই আস্তাকুড়ে আপনার ওপর জঞ্জালের স্তুপ বানিয়ে ফেলবেন। আর আপনিও এটাকে নিয়তি মনে করবেন। তাই, আমরা যদি আমাদের চেতনাকে সজাগ রাখি, তা হলে তা আমাদের পক্ষে লাভজনক হয়ে উঠবে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হ’ল – আমরা কি কখনও আমাদের পুলিশ থানাগুলির কর্মসংস্কৃতির বিষয়ে ভেবেছি? কিভাবে আমাদের পুলিশ থানাগুলি সামাজিক আস্থার কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে? আজ আমরা যখন কোনও থানায় যাই, সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে – এটা নিঃসন্দেহে ভালো দিক। এছাড়াও, কোনও কোনও এলাকায় এমন থানা রয়েছে, যেগুলি অনেক পুরনো এবং সেগুলির অবস্থাও জরাজীর্ণ। আমি এ ব্যাপারে অবগত রয়েছি কিন্তু থানাগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ কোনোভাবেই জটিল নয়।

আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কর্মসূত্রে আমরা যেখানে যাবো, সেখানেই ১২-১৫টি বিষয়ের কথা কাগজেই লিখে রাখবো এবং সেগুলিকে বাস্তবায়নের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবো। একজন ব্যক্তির মানসিকতায় পরিবর্তন আনা সত্যি কঠিন কাজ কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন কঠিন কাজ নয়। তাই, এই পরিবেশ বদলে ফেলা যেতে পারে এবং এ ধরনের পরিবেশ গড়ে তোলা কি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকতে পারে না? থানায় কিভাবে ফাইলপত্র গুছিয়ে রাখতে হয়, থানায় আপনার সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসবেন, তাঁদেরকে সিটে বসার অনুরোধ জানাতে হয় – ছোট ছোট এই সমস্ত বিষয়গুলিতে আপনি নিজেই পরিবর্তন আনতে পারেন।

কিছু পুলিশ আধিকারক রয়েছেন, যখন তাঁরা কর্মজীবনের গোড়ায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তাঁদের মধ্যে কর্তৃত্ব প্রদর্শনের মানসিকতা গড়ে ওঠে। তাঁদের ধারণা হয়, সাধারণ মানুষ তাঁকে ভয় পান এবং শ্রদ্ধায় অবনত থাকুন বা সম্ভ্রম দেখান। অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িতদের আমার নাম শুনেই কাঁপুনি ধরুক – এ রকম চিন্তাভাবনা পোষণ করে থাকেন। যে সমস্ত মানুষ সিংহমের মতো ছবি দেখে বড় হয়ে উঠছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এরকম চিন্তাভাবনা মানায়। এদের এই মানসিকতার ফলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ পড়ে যায়। আপনার অধীনে যাঁরা কাজ করছেন, আপনি তাঁদের মধ্যে নৈতিক পরিবর্তন আনতে পারেন এবং তাঁদেরকে নিয়ে একটি ভালো দল গড়তে পারেন। আপনি এরকম কাজ করলেই আপনার প্রতি সাধারণ মানুষেরও মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে।

আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সাধারণ মানুষ আপনাকে সম্ভ্রম দেখাবেন কিনা। আপনি এটাও ভাবতে পারেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্ভ্রমের পরিবর্তে ভালোভাসার সেতু গড়তে চান কিনা। তাই, আপনি যদি সাধারণ মানুষের প্রতি আপনাদের কর্তৃত্বের প্রভাব বিস্তার করতে চান, তা হলে তা হবে ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু আপনি যদি ভালোভাসা ও করুণার বন্ধন গড়ে তুলতে চান, তা হলে সাধারণ মানুষ আপনাদের অবসরের পরও মনে রাখবেন। যে এলাকায় আপনি আপনার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, সেখানকার মানুষ আপনার অবসরের পরও ২০ বছরে আগে আপনি কেমন ছিলেন – সেকথা স্মরণ করবেন। একবার আপনি যদি সাধারণ মানুষের মন জয় করে নেন, তা হলে সবকিছুই স্বাভাবিকভাবেই আপনার আয়ত্ত্বে আসবে। পুলিশি ব্যবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণা রয়েছে, যখন আমি প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হই, সে সময় দীপাবলী উৎসবের পর ছিল গুজরাটি নববর্ষ। এই উপলক্ষে এক ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে পুলিশ কর্মীরা দীপাবলী মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আমার আগে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন, তাঁরা এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার সময় আমিও এই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমি যখন প্রথমবার গিয়েছিলাম, আমি সকলের সঙ্গেই দেখা করেছিলাম। সেখানে একজন পুলিশ আধিকারিক আমাকে বলেছিলেন, কেন আপনি সকলের সঙ্গে করমর্দন করছেন? এটা না করাই ভালো। কারণ, করমর্দন করতে গিয়ে আপনার হাত ফুলে যাবে এবং আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন পড়বে। এ ব্যাপারে আমি ঐ পুলিশ আধিকারিককে বলেছিলাম, তিনি এরকম ভাবছেন কেন। অবশ্য পুলিশ দপ্তর সম্পর্কে এরকম একটা ধারণা রয়েছে যে, সেখানে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়।

উর্দিধারী পুলিশের কৃত্রিম ভাবমূর্তি প্রকৃত রূপ নয়। করোনা সঙ্কটের সময় আমরা পুলিশের প্রকৃত ভূমিকা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। একজন পুলিশ কর্মীও আমাদের মতোই মানুষ। তিনিও মানবজাতির কল্যাণে তাঁর কর্তব্য পালন করে চলেছেন। আমাদের আচার-আচরণের মাধ্যমে সমাজে পুলিশের প্রতি ইতিবাচক ধারণাকে আরও সুদৃঢ় করা যেতে পারে।

আমি অনেকবার দেখেছি, রাজনৈতিক নেতারা প্রথমেই পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উর্দিধারী পুলিশ কর্মীরা রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন এবং আপনি এটাও দেখতে পাবেন যে, ৫-৫০ জন এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সুনজরে পড়ার জন্য বারবার হাততালি দেন।

আমাদের একথা ভুললে চলবে না যে, আমরা সকলেই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ। একটি গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল যাই হোক না কেন, নির্বাচিত প্রতিনিধির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির প্রতি সম্মান পক্ষান্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই সম্মান জানানোর পন্থা। দু’জন ব্যক্তির মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু এই মতভেদ দূর করার উপায়ও রয়েছে। কিন্তু কি সেই পদ্ধতি আমাদের আপন করে নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিছি। আমি যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, এখন যিনি আপনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, সেই অতুল আমাকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাই আমিও তাঁর অধীনে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। কারণ, আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন অতুলজী ছিলেন আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক।

হঠাৎ করেই একদিন সেই অতুল যিনি অতুল গাড়োয়াল আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে নিলেন এবং সাক্ষাতের দিন আমার কক্ষে দেখা করতে এলেন। তখন আমি জানতাম না যে, সে আমায় চিনতে পারবেন কিনা! কিন্তু, তা হয়নি। তিনি আমায় চিনেছিলেন এবং তখনকার কথা স্মরণ করেছিলেন।

এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, তা হ’ল প্রযুক্তি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, এখন প্রযুক্তি আমাদের কাছে কতটা উপকারী হয়ে উঠেছে। এক সময় পুলিশী ব্যবস্থা তথ্য ও গোয়েন্দা সূত্র একত্রিত করে পরিচালিত হ’ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ এ ধরনের প্রথার অবলুপ্তি ঘটছে। এ সত্ত্বেও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, পুলিশের কাজকর্মের ক্ষেত্রে তথ্যের বড় ভূমিকা রয়েছে। আজকাল প্রযুক্তি অপরাধ চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। তা সে নজরদারী ক্যামেরাই হোক বা মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংই হোক। এটাও মনে রাখা প্রয়োজন সাম্প্রতিককালে যেসব পুলিশ কর্মী বরখাস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে তাদের দুর্ব্যবহার,লোভ, সংযম হারিয়ে ফেলা বা ভয়ানক ঘটনা হিসাবে সহ-পুলিশ কর্মীকে গুলি চালানো প্রভৃতি প্রমাণ করার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়েছে।

প্রযুক্তি এখন আশীর্বাদ এবং অভিশাপ দুটোই হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে পুলিশের উপর। আজ তথ্যের কোনও অভাব নেই। তথ্য সংগ্রহের জন্য বিগডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সোশ্যাল মিডিয়া প্রভৃতি মাধ্যম এসে গেছে। এরফলে, একদিকে তথ্য সংগ্রহ যেমন বেড়েছে। অন্যদিকে তথ্যের কারচুপিও হয়েছে। এক্ষেত্রে সহায়তার জন্য পুলিশকে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে হয়েছে। তাই বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আপনাদেরকেও সম্যক ধারণা অর্জন করতে হবে।

আমি আপনাদের যে কোনও প্রাকৃতিক বা অযাচিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সর্বদাই প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ করবো। আজ বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সামিল করে পুলিশের এক নতুন ভাবমূর্তি গড়ে উঠছে। মানুষ এখন বলছেন, সঙ্কটের সময় পুলিশ এসে পৌঁছেছে। ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংস স্তুপ থেকে আটকে পড়া মানুষকে যথাসময়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছে – এগুলি সবই পুলিশের কাছে গর্বের বিষয়।

সম্প্রতি সরকার মিশন কর্মযোগী নামে এক নতুন কর্মসূচি সূচনা করেছে। দিনকয়েক আগেই মন্ত্রিসভা এই কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছে। আমরা চাইছি যে, মিশন কর্মযোগীর মাধ্যমে পুলিশের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকেও যথাযোগ্য অগ্রাধিকার দিতে।

আমি নিশ্চিত যে, আপনারা দেশ সেবার যে সুযোগ পেয়েছেন, তা একাগ্র চিত্তে পালন করবেন এবং মানবজাতির সেবায় ব্রতী হবেন আর এভাবেই আপনারা আমাদের জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবেন এবং ভারতীয় সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা বজায় রেখে দেশের সেবা করে যাবেন।

তাই, আমরা যদি আমাদের কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করি, সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা আরও বাড়বে।

আমি আরও একবার আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, খাকি উর্দির গর্ব বাড়াতে আপনারা কোনোভাবেই আপোষ করবেন না। আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের জানাতে চাই, আপনাদের প্রতি আমার কর্তব্যের কোনও ঘাটতি থাকবে না। আপনার পরিবারের প্রতিও কোনও বৈষম্য থাকবে না। যেমন থাকবে না আপনার প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধার। এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আপনাদের সকলকে আরও একবার শুভ কামনা জানাই।

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।