#NarmadaSevaYatra is a unique move in history: PM Modi
Maa Narmada is a life giver, says PM Modi #NarmadaSevaYatra 
Success of Swachh Bharat Mission is not due to governments but efforts of people: PM Modi

বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আমাদের শাস্ত্রে একটা জিনিস মানা হয় যে, যদি আমরা কোনও তীর্থযাত্রায় নাযেতে পারি, তা হলে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের প্রণাম করলে তীর্থের পুণ্য লাভ হয়। আমিএখানে উপস্থিত সকল তীর্থযাত্রীকে প্রণাম জানিয়ে আপনারা যে পুণ্য অর্জন করেছেন, তারসামান্য অংশ ভিক্ষা করছি। এই ভিক্ষা আমি নিজের জন্য করছি না, আপনাদের অর্জিত পুণ্যভারতমাতার কাজে, ১২৫ কোটি দেশবাসীর কাজে, এদেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিরজীবনে উন্নতিসাধনের কাজে লাগাতে চাই।

আমি বিশ্বাস করি যে, নর্মদাযাত্রাই একমাত্র তীর্থযাত্রা যাকে নর্মদাপরিক্রমার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আমি এই শাস্ত্র নিবিড়ভাবে জানি। আমিও কখনও এভাবেবাঁচার চেষ্টা করেছি। সেজন্য জানি, নর্মদা পরিক্রমা করলে কিভাবে সমস্ত অহঙ্কারচূর্ণ হয়ে যায়, মাটিতে মিশে যায়। মা নর্মদা প্রত্যেক পরিক্রমাকারীকে মাটিতে দাঁড়করিয়ে দেন। সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্ত করিয়ে দেন। যিনি যত পদ ও উপাধি দ্বারা অভিভূষিতএই পরিক্রমাকালে সবকিছু থেকে মুক্তির স্বাদ মেলে। মা নর্মদা আর নর্মদা সেবকদেরমধ্যে কোনও দ্বৈততা অবিশিষ্ট থাকে না, এক অদ্বৈতের অনুভূতি পরিব্যাপ্ত হয়। আপনারাওআজ মা নর্মদার এই মহান সেবা করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন ।

যখন সময় বদলায়, আমরা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যাই। আর যখন অতিকায় ভাব প্রবলহয়ে ওঠে, কর্তব্যভাবে ক্ষীণ হয়ে যায়, তখনই নানা সমস্যা জন্ম নেয়। সেজন্য আজ আমাদেরনর্মদা সেবার জন্য পথে নামতে হয়েছে। এই মা নর্মদা হাজার হাজার বছর ধরে আমাদেরবাঁচিয়ে রেখেছেন, আমাদের জীবনদান করেছেন। আমাদের পূর্বজদের রক্ষা করেছেন। কিন্তুআমরা একে অধিকার বলে মনে করেছি, কর্তব্য বিমুখ হয়েছি, আর মা নর্মদাকে যতটা লুন্ঠনকরতে পারি, লুটেছি। নিজেদের স্বার্থে যাচ্ছেতাইভাবে অত্যাচার করেছি। এর ফলে, যে মাএতদিন আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন, আজ তাঁকে বাঁচানোর জন্য আমাদের ঘাম ঝরাতে হচ্ছে।আমাদের সৌভাগ্য যে সময় থাকতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও জনগণ সচেতন হয়ে উঠেছেন।

ভারতে এখন এরকম অনেক নদী আছে, যেগুলিকে শুধু মানচিত্রে দেখা যায়, বাস্তবেসেগুলিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা ইতিহাসের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের কেরলপ্রদেশে একটি নদী আছে, সম্ভবত দেশে ঐ একটি নদীরই নামের সঙ্গে আমাদের দেশের নামজড়িত, সেই নদীটির নাম ‘ভারত পূজা’। সেই নদীটিরও অস্তিত্ব প্রায় বিলীয়মান। এমন নয়যে জল বেশি খরচ করলে নদী শুকিয়ে যায়। নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দু’পারের জনগণ যদিতাঁদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করেন, তবেই নদী শুকিয়ে যায় – মানবজাতির কত বড়ক্ষতি হয়।



আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে, মা নর্মদার উৎস কোনও তুষারশুভ্র পর্বত থেকেনয়। উৎসস্থলে ঘন অরণ্যের প্রত্যেকটি বৃক্ষের অবদান এই নদীর প্রবাহ হয়ে আমাদেরজীবনকে সুজলা-সুফলা করে তোলে। আর সেজন্যই মধ্যপ্রদেশ সরকার মা নর্মদার উজ্জ্বলভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করে তুলতে সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যে কাজটি হাতে নিয়েছে, তাহল – বৃক্ষরোপণ। আজ আমরা যে গাছ লাগাচ্ছি, আমরা কল্পনাও করতে পারব না যে, এরমাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কত বড় সেবা করছি। আমাদের পূর্বজদের তপস্যা, সাধনাএবং সেবার পরিণাম-স্বরূপ আজ পর্যন্ত মা নর্মদা সজীব রয়েছেন। আজ আমরা যদি পরিশ্রম করেবৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মা নর্মদাকে দীর্ঘজীবী করতে পারি, তা হলে আগামী অনেক প্রজন্মআমাদের কথা মনে রাখবে ।

প্রায় দেড়শো দিনের তীর্থযাত্রা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমাদের দেশেরদুর্ভাগ্য যে, কোনও উদ্যোগের সঙ্গে সরকার যুক্ত হলে কোনও রাজনৈতিক নেতা যুক্ত হলে,তার মাহাত্ম্য খন্ডিত করার চেষ্টা করা হয়। অথচ, এ ধরণের উদ্যোগ, লক্ষ লক্ষমধ্যপ্রদেশবাসী মানুষ এই নর্মদাযাত্রার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন – আমি আজ নর্মদার পারেবসবাসকারী সকল নাগরিককে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই। বিশ্বের অন্যকোনও দেশে এরকমএকটি নদীকে বাঁচানোর জন্য দেড়শো দিন ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ পদযাত্রা ও বৃক্ষরোপণেরমাধ্যমে যদি এত তপস্যা করতেন, তা হলে – তা নিয়ে সেই দেশের সংবাদ মাধ্যম সারা পৃথিবীতেআলোড়ন সৃষ্টি করতো। তাঁদের উদ্যোগেই বিশ্বের বড় বড় টিভি চ্যানেলে এই ঘটনাকেবিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতো। কিন্তু আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে,সবকিছুই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। আমাদের নানা প্রচেষ্টা কতটা সামর্থ্যনির্মাণ করতে পারে, সেটা আমরা বুঝতে পারি না আর সুযোগ হারাই।

আজ কোথাও একটি ‘সৌর পার্ক’ গড়ে উঠলে সারা দুনিয়ায় খবর পৌঁছে যায় যে অমুকদেশের তমুক অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ‘সৌর পার্ক’ নির্মিত হয়েছে। এখানে একটিবড় নদীকে বাঁচানোর জন্যে এত বড় কাজ হয়েছে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এত বড় কাজহয়েছে, ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংকল্প গ্রহণ করেছেন। কোটি কোটি মানুষ এর সঙ্গেযুক্ত হয়েছেন, শরীরকে কষ্ট দিয়েছেন, পায়ে হেঁটে ধরিত্রীমা’কে রক্ষা করার স্বার্থে,একটি নদী রক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ এবং মানবতার সপক্ষে এত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপনিয়েছেন।এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি শিবরাজজি এবং তাঁর পুরো টিমকে,মধ্যপ্রদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।

 

আমার জন্ম গুজরাটে হয়েছে। নর্মদা মায়ের একেকটি বিন্দু জলের মূল্য কতটা, তাগুজরাটের মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। আপনারা নর্মদার ভবিষ্যতের কথা ভেবে এত বড়অভিযানে সামিল হওয়ায় আমি গুজরাটের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক, রাজস্থানের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক,মহারাষ্ট্রের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক এবং এই তিনটি রাজ্যের প্রত্যেকনাগরিকের পক্ষ থেকে আমি শিবরাজজির নেতৃত্বাধীন সরকারের পুরো টিমকে এবং মধ্যপ্রদেশের জনগণকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ।

আজ দেশে পরিচ্ছন্নতার অভিযান ইতিমধ্যেই একটি পরিকাঠামোগত ব্যবস্থারঅন্তর্গত হয়েছে। সারা দেশে নিয়মিত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এর মূল্যায়ন হচ্ছে। কোন্‌রাজ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান কিভাবে চলছে, কোন্‌ শহর কিরকম পরিচ্ছন্ন তারপ্রতিদিনকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গণতন্ত্রে সবচাইতে বড় শক্তি হ’ল, গণঅংশীদারিত্ব।জনসামর্থ্য, জনশক্তি এবং গণঅংশীদারিত্বকে উপেক্ষা করলে সরকারগুলি কিছুই ভালভাবেকরে উঠতে পারবে না। যত ভালো ইচ্ছাই থাকুক না কেন, যত ভালো নেতাই হন না কেন, যতসুন্দর পরিকাঠামো থাকুক না কেন, জনসমর্থন ছাড়া আজকের দিনে কোনও কিছুই সফল হয় না।আর জনসমর্থনের মাধ্যমে সাফল্য কিভাবে আসে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হ’ল মধ্যপ্রদেশ।

গতবার যখন সমীক্ষা হয়েছিল, তখন পরিচ্ছন্নতার নিরিখে মধ্যপ্রদেশ ছিল প্রায়সবার শেষে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের মানুষ এই কলঙ্ক মোচনের সংকল্প গ্রহণ করে গণজাগরণেরমাধ্যমে, গণঅংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করে আজ অনেক এগিয়ে গেছে। এবারের সমীক্ষায় দেশের১০০টি পরিচ্ছন্নতম শহরের মধ্যে মধ্যপ্রদেশেরই ২২টি শহর রয়েছে। এটা বিরাট সাফল্য। এথেকে দেশের অন্যান্য রাজ্য প্রেরণা গ্রহণ করে মধ্যপ্রদেশের অভিজ্ঞতাগুলিকে কাজেলাগাতে পারবে। ইন্দোর এবং ভোপাল ভারতের পরিচ্ছন্নতম শহরগুলির মধ্যে প্রথম এবংদ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

১০০টির মধ্যে যে রাজ্যের ২২টি শহর পরিচ্ছন্নতার নিরিখে এত দ্রুত দেশে বিশেষস্থান করে নিয়েছে, তার মানে এ রাজ্যের প্রশাসন এবং জনগণ এই পরিচ্ছন্নতাকে কতটাগুরুত্ব দিয়েছে, তা বোঝা যায়। এই সাফল্যের সঙ্গে আজ যুক্ত হ’ল নর্মদা যোজনা সেবাযাত্রার সাফল্য। এই সাফল্য কেবলই সরকারের শক্তিতে হয়নি, জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণেসম্ভব হয়েছে। শিবরাজজি আগামী ২ জুলাই-এর মধ্যে ৬ কোটি বৃক্ষরোপণের যে লক্ষ্যমাত্রাধার্য করেছেন, তার ব্যবস্থা করতে বিগত দেড় বছর ধরে লাগাতার কাজ চলছে। হঠাৎ করেতিনি এরকম ঘোষণা করতে পারেননি। আগে রাজ্যের নার্সারিগুলিতে অঙ্কুরোদগম থেকে শুরুকরে এই ৬ কোটি চারাগাছগুলির লালন-পালন করতে হয়েছে। আমরা যেমন পরিবারে সন্তানদেরলালন-পালন করি, তেমনই লালন-পালন না করলে এই চারাগাছগুলি কেমন করে মহীরূহে পরিণতহবে।

আমাদের শাস্ত্রে বলা হয় যে, যিনি এক বছরের কথা ভাবেন, তিনি শস্য ফলান। আরযিনি ভবিষ্যতের কথা ভাবেন, তিনি ফলের গাছ লাগান। ফলের গাছ লাগিয়ে তাকে ঠিকভাবেলালন-পালন করলে আগামী অনেক বছর ধরে সেই গাছ পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের কারণহয়ে ওঠে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মধ্যপ্রদেশ সরকারও এরকম চিন্তাভাবনা মাথায় রেখেই এইপ্রকল্প গড়ে তুলেছেন, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালিয়েছেন। আমিমধ্যপ্রদেশ সরকারের এই পরিকল্পনা ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছি, সেখানে প্রত্যেকের কাজআলাদা, প্রত্যেক জায়গার কাজ আলাদা; কখন করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, তার নির্দেশসেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। এই পরিকল্পনার শ্বেতপত্র যে কত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন তাআমি অনুভব করেছি। আমি দেশের অন্যান্য রাজ্যকেও অনুরোধ করব যে, মধ্যপ্রদেশেরঅভিজ্ঞতাকে জানতে। শিবরাজজি-কেও অনুরোধ করব যে, দেশের সকল রাজ্যে আপনাদের এইপরিকল্পনার প্রতিলিপি পাঠান। সকল প্রাকৃতিক উপাদানের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করেরাজ্যের উন্নয়নকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, মধ্যপ্রদেশসরকার।

আমরা সবাই বলি, জলই জীবন। আমরা সবাই বলি, নদী আমাদের মা। এই নদীমাতৃক দেশেআমাদের অর্থ ব্যবস্থাই জলনির্ভর। এই নর্মদা অভিযানের সাফল্য হিসাবে ইতিমধ্যেইমধ্যপ্রদেশ কৃষির উন্নতিতে ২০ শতাংশ অগ্রগতি করতে পেরেছে। এই শক্তি, কৃষকের জীবনপরিবর্তনের এই শক্তি মা নর্মদার রয়েছে।

ভারত সরকার, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক কৃষকের আয় দ্বিগুণ করারসংকল্প নিয়ে যে কাজ শুরু করেছে, মধ্যপ্রদেশ সরকার এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমিনিশ্চিত যে, কৃষকদের সহযোগিতায় ভারতের প্রত্যেক গ্রাম লাভবান হবে।

ভাই ও বোনেরা, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি হচ্ছে। এই দেশকেস্বাধীন করতে যেসব মহাপুরুষরা আত্মবলি দিয়েছেন, নিজেদের সম্পূর্ণ যৌবন কারান্তরালেকাটিয়েছেন, হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন, নিজেদের জীবন ও পরিবারের কথা নাভেবে ভারতমাতাকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন আজও সফল হয়নি।এটি অত্যন্ত লজ্জার কথা। দেশের স্বাধীন হওয়ার ৭০ বছর পরও আমরা এই মহামানবদেরস্বপ্নকে বাস্তবরূপ দিতে পারিনি। এখন ৭৫ বছর পূর্তির পাঁচ বছর বাকি। ভারতের ১২৫কোটি জনগণ কি সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন যে, ঐ মহামানবদের স্মরণে তাঁদেরপরিবারবর্গের ত্যাগ ও তিতিক্ষার সম্মানে আমরা ২০২২ সালের মধ্যে তাঁদের সকলস্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেব। আমাদের গ্রাম ও শহরে প্রত্যেকে মিলে এই অসম্পূর্ণকাজগুলি করব। প্রত্যেক সংস্থা, প্রত্যেক সমাজ, প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিটি মানুষ এইসংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই।

২০২২ সালে ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার এই স্বপ্নের সঙ্গে প্রত্যেক ভারতবাসীকেজুড়তে হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন দেশের মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন, আজ দেশকে নতুনউচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন ভারত নির্মাণের জন্য তেমনই সকলকে যুক্ত করতে হবে।সবাই একসঙ্গে বসে ঠিক করুন যে, আপনার পরিবার, আপনাদের সংস্থা, আপনার সংগঠন, আপনারসমাজ, আপনার দল কী কী কাজ করবে? একবার দেশে এই সংকল্পের আবহ গড়ে উঠলে আগামী পাঁচবছরে দেশকে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দেব! আমি নিশ্চিত, দেশের ১২৫ কোটি মানুষ দেশেরস্বার্থে এক পা এগিয়ে গেলে দেশ পাঁচ বছরে ১২৫ কোটি পা এগিয়ে যাবে। আমাদের এইসংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

 

আমি আজ পূজনীয় অবধেশানন্দজির কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, তিনি আমার জন্য যেআশীর্বাণী উচ্চারণ করেছেন, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের সবার মধ্যে সেইক্ষমতা জেগে উঠুক, সেই ভালো গুণগুলি জাগ্রত হোক, সেই সমর্পণ ভাব; যাতে আমরা সকলেদেশের সেবার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারি। আমি তাঁর এই আশীর্বাণীর জন্য অন্তরথেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই, তাঁকে প্রণাম জানাই।

আমি আপনাদের সবাইকেও হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই, শিবরাজজি যেমন বলেছেন, এইতীর্থযাত্রা এখানে শেষ হ’ল ঠিকই কিন্তু এই যাত্রাকালে আমরা যা ভেবেছি, যা দেখেছিএবং যা করেছি, সেগুলি চরিতার্থ করার কর্মযজ্ঞ এখান থেকে শুরু হ’ল। যাত্রা সমাপ্তহ’ল, যজ্ঞ শুরু হ’ল। যজ্ঞে আহুতি দিতে হয়, সময় দিতে হয়, নিজের ইচ্ছা ওআকাঙ্খাগুলিকে সমাজের জন্য আহুতি দিতে হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নর্মদার উজ্জ্বলভবিষ্যতের কথা ভেবে আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই যজ্ঞও সফল হবে। এই ভাবনা নিয়েআপানারা সবাই আমার সাথে সমস্বরে বলুন, দু’হাত মুষ্টিবদ্ধ করে উপরে তুলে বলুন – আমিবলব, নর্মদে, আর আপনারা বলবেন সর্বদে।

নর্মদে – সর্বদে

আপনাদের আওয়াজ নর্মদার ওপারের মানুষ যেন শুনতে পান, ‘খম্বাত কি খাড়ি’পর্যন্ত যেন শোনা যায়।

নর্মদে – সর্বদে

নর্মদে – সর্বদে

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।