“গুরবাণী থেকে আমরা যে নীতি-নির্দেশিকা পাই, তা আমাদের ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও উন্নত ভারত গঠনের জন্য পথ দেখায়”
“প্রতিটি প্রকাশ পরবের আলো আমাদের দেশকে দিশা দেখায়”
“গুরু নানক দেবজীর চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত হয়ে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর উন্নয়নের জন্য এগিয়ে চলেছে দেশ”
“আজাদি কা অমৃতকালে দেশ বৈভব ও আধ্যাত্মিক পরিচিতি পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে”
“কর্তব্যের প্রতি সর্বাত্মক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহ দিতে দেশ এই সময়কে কর্তব্যকাল হিসাবে পালনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে”

ওয়াহে গুরুজি কা খালসা, ওয়াহে গুরুজি কা ফতে, জো বোলে সো নিহাল! সত শ্রী অকাল!

(অর্থাৎ, ওয়াহে গুরুজির খালসা, ওয়াহে গুরুজির জয়, যিনি একথা উচ্চারণ করবেন তিনি আনন্দে থাকবেন! সত্য শ্রী মহাকাল!)

গুরুপরবের এই পবিত্র উৎসব উপলক্ষে উপস্থিত আমার সরকারের সহকর্মীগণ, মাননীয় শ্রী হরদীপ সিং পুরীজি, শ্রী জন বার্লাজি, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী লালপুরাজি সিং সাহেব, ভাই রঞ্জিত সিংজি, শ্রী হরমিত সিং কালকাজি, এবং এখানে উপস্থিত আমার প্রিয় সমস্ত ভাই ও বোনেরা!

আমি আপনাদের সকলকে এবং সকল দেশবাসীকে আলোর উৎসব গুরপরব উপলক্ষে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ দেশে দেব-দীপাবলিও পালিত হচ্ছে  বিশেষত কাশীতে, একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। আমি আপনাদের সবাইকে শুভ দেব-দীপাবলির জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

আপনারা সকলেই জানেন যে, আমি পাঞ্জাবের মাটির একজন কর্মকর্তা হিসাবে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি এবং সেই সময়ে আমার অমৃতসরে হরমন্দির সাহেবের সামনে গুরপরবে প্রার্থনা করার সৌভাগ্যও হয়েছে।  এখন আমি সরকারের দায়িত্বে আছি, এটাকেও আমার এবং আমার নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি বড় সৌভাগ্য বলে মনে করি যে আমাদের আমলে শিখ গুরুদের এতগুলি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এসেছে। গুরু গোবিন্দ সিংজির ৩৫০ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে প্রকাশ পর্ব উদযাপন করার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে প্রকাশ পর্ব লাল কেল্লায় উদযাপন করার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে এবং যেমনটি একটু আগে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি ছিল একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক ঘটনা আর সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা প্রদানকারী। তিন বছর আগে আমরা গুরু নানক দেবজির ৫৫০ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রকাশ পর্বও দেশে এবং বিদেশে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সাড়ম্বরে উদযাপন করেছি।

বন্ধুগণ,

এই বিশেষ উৎসবগুলি উদযাপনের মাধ্যমে দেশবাসী তাঁদের গুরুদের কাছ থেকে যে আশীর্বাদ পেয়েছে, যে অনুপ্রেরণা পেয়েছে, তা আমাদের নতুন ভারত গড়ার শক্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ, যখন আমরা গুরু নানক দেবজির পাঁচশ তিপ্পান্নতম  জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে প্রকাশ পর্ব উদযাপন করছি, তখন এটাও দেখতে পাচ্ছি যে, বিগত ৮ বছরে গুরু নানক দেবজির আশীর্বাদে দেশ কত ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে।

বন্ধুগণ,

শিখ পরম্পরায় প্রকাশ পর্বের যে অনুভব ছিল, যে গুরুত্ব ছিল, আজ দেশ সেই গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব ও সেবার ঐতিহ্যকে একইরকম নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। প্রতিটি প্রকাশ পর্বের আলোকমালা দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এটা আমার সৌভাগ্য যে আমি প্রতিনিয়ত এই ধরণের অলৌকিক অনুষ্ঠানে অংশীদার হওয়ার, সেবায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছি। প্রার্থনা করি, গুরুগ্রন্থ সাহেবের প্রতি নতমস্তকে প্রণাম জানানোর এই সুখ প্রতিনিয়ত বর্ষিত হতে থাকুক, গুরুবাণী পাঠের অমৃত কানে প্রবেশ করতে থাকুক, আর ভক্তরা লঙ্গরের প্রসাদের আনন্দ উপভোগ করতে থাকুন! এসব কিছু জীবনে তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়, আর দেশের জন্য, সমাজের প্রতি নিবেদন ভাব নিয়ে অবিরাম কাজ করতে থাকার প্রাণশক্তিও অক্ষয় থাকে।আমাদের প্রতি এই অশেষ করুণার জন্য  গুরু নানক দেবজি ও আমাদের সকল পূজ্য গুরুদের চরণে অনেক অনেক প্রণাম জানাই।

বন্ধুগণ,

গুরু নানক দেবজি আমাদের সুন্দর জীবন যাপনের পথ দেখিয়েছেন। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য গুরু নানক মাত্র ৩টি শপথ নিতে বলেছিলেন। ‘বন্ধ চাকো’ অর্থাৎ সকলের সঙ্গে মেলামেশা করো, ‘কিরাৎ করো’, অর্থাৎ সৎ  জীবনযাপন করো, আর ‘নাম জাপনা’ বা ঈশ্বরের নাম জপো। তিনি অন্যত্র বলেছিলেন – “জাপো নাম, কিরাৎ করো, ছাঁক ছোঁক”। অর্থাৎ ভগবানের নাম জপ করো, নিজের কর্তব্যের পথে চলার সময় কঠোর পরিশ্রম করো এবং একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে খাও। এই একটি বাক্যে আধ্যাত্মিক মননও আছে, বৈষয়িক সমৃদ্ধির সূত্রও আছে, আর সামাজিক সম্প্রীতির অনুপ্রেরণাও আছে। আজ, স্বাধীনতার অমৃতকালে, এই গুরু মন্ত্র অনুসরণ করে দেশের সরকার ১৩০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণের ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার অমৃতকালে, সরকার দেশের সংস্কৃতি, তার ঐতিহ্য এবং মানুষের মনে আমাদের আধ্যাত্মিক পরিচয়ে গর্ববোধের উন্মেষ ঘটিয়েছে। দেশবাসী স্বাধীনতার অমৃতকালকে কর্তব্যের চরম শিখরে পৌঁছানোর সময় বলে মনে করেছে  এবং স্বাধীনতার এই অমৃতকালে, দেশ সাম্য, সম্প্রীতি, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ঐক্যের জন্য 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস' - এই মন্ত্র অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে। অর্থাৎ,  কয়েক শতাব্দী আগে গুরুবাণীর কাছ থেকে দেশ যে পথনির্দেশ পেয়েছিল, তা আজ আমাদের কাছে যতটা ঐতিহ্য, ততটাই আস্থা ও বিশ্বাসের উৎস, ততটাই ভবিষ্যতের উন্নত ভারতের রূপকল্পও বটে।

বন্ধুগণ,

গুরু গ্রন্থসাহেব রূপে আমাদের কাছে যত অমৃতবাণী রয়েছে, এগুলির মহিমা, এগুলির তাৎপর্য সময়কাল ও ভূগোলের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উর্দ্ধে। আমরা এটাও দেখি যে সংকট যখন বড় হয় তখন সমাধানের প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়ে যায়। বিশ্বে আজ যত অস্থিরতা, বিশ্ব আজ যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গুরু সাহেবদের শিক্ষা এবং গুরু নানক দেবজির জীবন একটি মশালের মতো পৃথিবীকে দিশা দেখাচ্ছে। গুরু নানক দেবজির প্রেমের বাণী বড়ো বড়ো ব্যবধান মেটাতে পারে, আর আমরা আজ এই ভারতের মাটি থেকে তার প্রমাণ দিচ্ছি। এত ভাষা, এত উপভাষা ও কথ্যভাষা, এত বিচিত্র খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার তারতম্য থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতীয় হয়ে বেঁচে থাকি, দেশের উন্নয়নে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করি। অতএব, আমরা যত বেশি আমাদের গুরুদের আদর্শ অনুসরণ করে বেঁচে থাকব, পারস্পরিক বিভেদ দূর করে 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত' - এর চেতনাকে যত বেশি শক্তিশালী করব, ততই আমরা মানবতার মূল্যবোধগুলিকে প্রাধান্য দেব; আমাদের গুরুদের বাণী হয়ে উঠবে তত বেশি প্রাণবন্ত, আর তা তত স্পষ্টভাবে ক্রমে বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

বন্ধুগণ,

গত ৮ বছরে, আমরা গুরু নানক দেবজির আশীর্বাদে শিখ ঐতিহ্যের গৌরব বৃদ্ধির জন্য অবিরাম কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এবং এই ধারাবাহিকতা আজও বজায় রেখেছি। আপনারা হয়তো জানেন, কিছুদিন আগে আমি উত্তরাখন্ডের মানা গ্রামে গিয়েছিলাম। সেই সফরে আমার গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সৌভাগ্য হয়েছে। একইভাবে দিল্লি থেকে ঊনা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও এখন চালু হয়েছে। এর ফলে আনন্দপুর সাহিবগামী তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি নতুন আধুনিক পরিষেবা শুরু হয়েছে। এর আগে গুরু গোবিন্দ সিংজির স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিতেও রেল পরিষেবার আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। আমাদের সরকার দিল্লি – কাটরা - অমৃতসর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজও এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এতে দিল্লি ও অমৃতসরের মধ্যে সফরের সময় ৩ - ৪ ঘণ্টা কমে যাবে। সেজন্য আমাদের সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করতে চলেছে। হরমন্দির সাহিবের দর্শন সহজ করে তোলার জন্য আমাদের সরকারের এটিও একটি পবিত্র প্রচেষ্টা।

আর বন্ধুগণ,

এটি কেবল পরিষেবা এবং পর্যটন সম্ভাবনার বিষয় নয়। এর জন্য আমাদের তীর্থস্থানগুলির প্রাণশক্তি, শিখ ঐতিহ্যের ঐতিহ্য এবং একটি ব্যাপক মূল্যবোধও জড়িত রয়েছে। এই মূল্যবোধের উপলব্ধি সেবার উপলব্ধি, এই উপলব্ধি প্রেমের, এই উপলব্ধি আত্মীয়তার আর এই উপলব্ধি বিশ্বাসের। কয়েক দশকের অপেক্ষার সমাপনে  যখন কর্তারপুর সাহেব করিডোর খুলে দেওয়া হল, সেদিনের সেই উপলব্ধি ভাষায় বর্ণনা করা আমার পক্ষে কঠিন। শিখ ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করার জন্য, শিখ পরম্পরাকে দীর্ঘজীবী করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কয়েক মাস আগে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কীভাবে খারাপ হয়েছিল তা আপনারা ভালো করেই জানেন। আমরা সেখান থেকে হিন্দু-শিখ পরিবারগুলোকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য অভিযান শুরু করেছি। আমরা নিরাপদে  গুরু গ্রন্থ সাহেবের ‘স্বরূপ’গুলিকেও উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। গুরু গোবিন্দ সিংজির মহান আত্মত্যাগের স্মরণে দেশ প্রতি বছর ২৬ ডিসেম্বর তারিখে  'বীর বাল দিবস' উদযাপন শুরু করেছে। দেশের প্রত্যেক প্রান্তে, ভারতের বর্তমান প্রজন্ম, ভারতের আগামী প্রজন্ম যাতে জানতে পারে যে এই মহান ভূখণ্ডের ঐতিহ্য কীরকম ছিল। যে মাটিতে আমরা জন্ম নিয়েছি, সেই মাতৃভূমির জন্য সাহেবজাদাদের মতো আত্মত্যাগ করা, কর্তব্যের সেই পরাকাষ্ঠা, যা সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসেও খুব কমই পাওয়া যাবে।

বন্ধুগণ,

দেশবিভাগের সময় আমাদের পাঞ্জাব ও অন্যান্য রাজ্যের জনগণের আত্মত্যাগের স্মরণে দেশে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ পালন শুরু করা হয়েছে। আমরা সিএএ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশভাগে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু-শিখ পরিবারগুলিকে দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদানের একটি উপায় তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, গুজরাট বিদেশে নির্যাতিত ও বিতাড়িত শিখ পরিবারগুলির সদস্যদেরকে নাগরিকত্ব দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে তাঁদেরকে একটি বার্তা দিয়েছে যে বিশ্বের যেখানেই শিখরা থাকুন না কেন, ভারত তাঁদের বাড়ি, তাঁদের নিজেদের দেশ!

আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন আমি গুরুদ্বার কোট লাখপত সাহিবের সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করার সুযোগ পেয়েছি।

বন্ধুগণ,

এই সমস্ত কাজের ধারাবাহিকতার মূলে রয়েছে গুরু নানক দেবজির প্রদর্শিত পথের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। গুরু অর্জনদেব এবং গুরু গোবিন্দ সিংয়ের অসীম আত্মত্যাগের ঋণ স্বীকারের আকুতি এই ধারাবাহিকতার মূলে রয়েছে, আমি মনে করি, প্রতি পদে পদে এই ঋণ পরিশোধ করা আমাদের কর্তব্য। আমি নিশ্চিত, গুরুদের কৃপায় ভারত তার শিখ ঐতিহ্যের গৌরব ক্রমে আরও বাড়াতে থাকবে এবং অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। এই ভাবনা নিয়ে আমি আবারও গুরুদের চরণে প্রণাম জানাই। আর একবার, আমি আপনাদের সবাইকে, সমস্ত দেশবাসীকে, গুরু পরবের শুভেচ্ছা জানাই!  অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

Prime Minister Shri Narendra Modi paid homage today to Mahatma Gandhi at his statue in the historic Promenade Gardens in Georgetown, Guyana. He recalled Bapu’s eternal values of peace and non-violence which continue to guide humanity. The statue was installed in commemoration of Gandhiji’s 100th birth anniversary in 1969.

Prime Minister also paid floral tribute at the Arya Samaj monument located close by. This monument was unveiled in 2011 in commemoration of 100 years of the Arya Samaj movement in Guyana.