মিঃ মাইকেল ব্লুমবার্গ, শিল্প জগতের কর্ণধার, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যাঁরা ব্লুমবার্গ নতুন অর্থনীতি ফোরামে এসেছেন,

আমি প্রথমেই মাইকেল এবং ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজে কর্মরত তাঁর দলের লোকেদের দুর্দান্ত কাজের প্রশংসা করছি। এই দলটি ভারতের স্মার্ট সিটিজ মিশনের জন্য যে পরিকল্পনা করেছিল তা চমৎকার।

 

বন্ধুগণ,

আমরা আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছি। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি নাগরিক বর্তমানে শহরাঞ্চলে থাকেন। আগামী দুই দশকে, ভারত এবং আফ্রিকার কোনও কোনও দেশ নগরায়নের দিকে বিরাটভাবে এগিয়ে যাবে। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে পৃথিবীর সামনে এই মুহূর্তে বিরাট কিছু চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে, আমাদের শহরগুলি, যেগুলি আসলে আমাদের উন্নয়ন চালিকাশক্তি, সেগুলি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। চূড়ান্ত মন্দাভাবের পর পৃথিবীর অনেক শহর নিজেদের আর্থিকভাবে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় থাকার কথা ঘোষণা করেছে। এখান থেকে যে প্রশ্নটি  বেরিয়ে আসে সেটি হল একটি শহরে থাকার যৌক্তিকতা। সম্প্রদায়গতভাবে জমায়েত হওয়া, খেলাধূলা, শিক্ষা, বিনোদন এগুলি এখন আর আগের মতো নেই। সবথেকে বড় যে প্রশ্ন পৃথিবীর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে  সেটি হল কিভাবে আবার সবকিছু শুরু করা যাবে? পরিবর্তন ছাড়া আবার নতুন করে শুরু করা সম্ভব নয়। চিন্তাভাবনার পরিবর্তন, পদ্ধতির পরিবর্তন এবং অভ্যাসের পরিবর্তন।

 

বন্ধুগণ,

আমার মনে হয়, দুটি বিশ্বযুদ্ধর পর ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের সুযোগ এখন আমরা আবার পেয়েছি আর এর মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে অনেকগুলি বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে গোটা পৃথিবী নতুন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছিল, নতুন নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল এবং পৃথিবী নিজেই পরিবর্তিত হয়েছে। কোভিড-১৯ আমাদের সামনে নতুন নতুন নিয়ম তৈরি করার সেই সুযোগ আবারও এনে দিয়েছে। পৃথিবীর এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিৎ। যদি আমরা একটি প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই, তাহলে তা খুবই জরুরি। কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বের চাহিদাগুলি কি হবে আমাদের সেগুলি ভাবনা-চিন্তা করা উচিৎ। আমাদের শহরাঞ্চলগুলির প্রাণসঞ্চারের জন্য নতুনভাবে ভালো কিছু শুরু করা প্রয়োজন।

 

বন্ধুগণ,

এখানে আমি ভারতীয় শহরগুলির ইতিবাচক দিকগুলি আপনাদেরকে জানাতে চাই। সঙ্কটের এই সময়ে ভারতীয় শহরগুলি অভূতপূর্ব একটি উদাহরণ আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় শহরগুলি লকডাউনের  প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে মেনে চলেছে। এর কারণ হল, আমাদের জন্য আমাদের শহরের বড় বড় ভবনগুলি কংক্রিটেরই তৈরি নয়, সেটি আসলে এক একটি সম্প্রদায়। এই মহামারী আমাদের সমাজ ও ব্যবসা বাণিজ্যকে জনসাধারণের জন্য সব থেকে বড় সম্পদ বলে গুরুত্ব দিয়েছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে এই ভাবনাগুলিকেই কাজে লাগাতে হবে যার মধ্য দিয়ে সম্পদের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়। শহরগুলি উন্নয়নের প্রাণবন্ত চালিকাশক্তি। তারা বহু প্রতীক্ষিত এই পরিবর্তনের মূল শক্তির আধার। 

জনসাধারণ প্রায়শই শহরমুখী হয়, কারণ শহর তাঁদের কাজ দেয়। কিন্তু এখনও কি সময় আসেনি যে আমরা শহরগুলিকে জনসাধারণের জন্য তৈরি করব? কোভিড-১৯ আমাদের কাছে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে যাতে জনসাধারণের কাছে শহর আরও বেশি করে বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। আবাসনের সুবিধা, উন্নত কাজের পরিবেশ, কম সময়ে দ্রুত যাতায়াত করার সুবিধা – এগুলি সবই এর মধ্যে রয়েছে। লকডাউনের এই সময়ে অনেক শহর পরিচ্ছন্ন হ্রদ, নদী এবং মুক্ত বায়ুর অভিজ্ঞতা পেয়েছে। আমরা অনেকেই পাখির কলতান শুনতে পেয়েছি যা আমরা আগে কখনও খেয়াল করিনি। আমরা কি শহরগুলিকে এরকমভাবে গড়ে তুলতে পারি যেখানে এই বৈশিষ্ট্যগুলিই স্বাভাবিক হবে, অর্থাৎ ব্যতিক্রম হবে না? আমরা ভারতে উদ্যোগ নিয়েছি শহরের কেন্দ্র গড়ে তুলব যেখানে গ্রামের ভাবনাও থাকবে আর সেইসঙ্গে শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধাও থাকবে।

 

বন্ধুগণ,

মহামারীর এই সময়ে আমাদের নিরবচ্ছিন্ন কাজের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সাহায্য করেছে। ভিডিও কনফারেন্সের মতো একটা সামান্য জিনিসকে এর জন্য ধন্যবাদ। আমি অনেকগুলি মিটিং-এ যোগ দিতে পারি। এর ফলে দূরত্ব ঘুচবে এবং আপনাদের সকলের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু এখানেও একটা দারুণ প্রশ্ন উঠে আসছে। এই প্রশ্নটি কোভিড-পরবর্তী সময়ের জন্য। কোভিডের সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মতো বিভিন্ন ব্যবস্থাকে আমরা কি পরবর্তীকালেও বজায় রাখব? নাকি আমরা একটা সম্মেলনে যোগ দিতে এক মহাদেশ থেকে আর এক মহাদেশে যাব? শহরাঞ্চলের ব্যবস্থা আমাদের ক্লান্তিকে কমাবে কিনা সেটি নির্ভর করবে আমরা কোন বিষয়টিকে বেছে নিচ্ছি।

এই বাছাই করার মধ্য দিয়ে ভালো কাজ করা, জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি রয়েছে। আজকের পৃথিবীতে মানুষ যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন, যে কোনও জায়গায় থাকতে পারেন, যে কোনও অঞ্চল থেকে আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে উপাদান সরবরাহ করতে পারেন। আর তাই আমরা প্রযুক্তি এবং জ্ঞান-ভিত্তিক পরিষেবার জন্য সহজ-সরল কিছু নীতি-নির্দেশিকা ঘোষণা করেছি। এর ফলে, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম' এবং 'ওয়ার্ক ফ্রম এনিহোয়্যার' – এগুলির সুবিধা মানুষ পাবে।

 

বন্ধুগণ,

স্বল্পমূল্যের আবাসনের সুযোগ ছাড়া আমাদের শহরগুলির সমৃদ্ধি হবে না। এই বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৫ সালে আমরা 'সকলের জন্য আবাসন প্রকল্প' – হাউজিং ফর অল শুরু করেছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই কাজে আমরা এগিয়ে চলেছি। শহরাঞ্চলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ, ২০২২ সালের আগেই আমরা ১ কোটি বাড়ি যে সমস্ত পরিবারের প্রয়োজন, সেগুলি তাঁদের হাতে  তুলে দিতে পারব। মহামারীর ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে আমরা স্বল্পমূল্যে ভাড়া বাড়ি পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এর জন্য আমরা রিয়েল এস্টেট নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরি করেছি। রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে এর ফলে সংস্কার আসছে আর এই আইনের মাধ্যমে উপভোক্তা-কেন্দ্রিক স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে।

 

বন্ধুগণ,

প্রাণবন্ত শহরের জন্য স্থিতিশীল পরিবহণ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। ২৭টি শহরে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। ২০২২ সালের মধ্যে আমরা দেশে ১ হাজার কিলোমিটার মেট্রো রেলের কাজ শেষ করার দিকে এগিয়ে চলেছি। আমাদের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' উদ্যোগ উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশীয় পণ্যের জন্য দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে। একইভাবে, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনাতেও নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমাদের সুবিধা হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

ছোট, সমৃদ্ধশালী এবং প্রাণবন্ত শহর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি শহরকে দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায় এবং সকলের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়। আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাইছি যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দোকান-বাজার, খাদ্যসামগ্রী কেনাকাটার বিষয়গুলির বেশিরভাগই অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে। আমাদের শহরগুলি ব্যক্তিগত এবং ডিজিটাল উভয় পদ্ধতিতেই কাজের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া মিশনের মতো আমাদের কর্মসূচি এই ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। আমরা দুটি পর্যায়ে ১০০টি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। দেশ জুড়ে সহযোগিতামূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দর্শনের মাধ্যমে আমরা এই কাজ সম্পন্ন করব।

এই শহরগুলির জন্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা বা ৩ হাজার কোটি ডলারের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা বা ২ হাজার কোটি ডলারের কাজ হয় শেষ হয়েছে না হলে শেষ হওয়ার দিকে। প্রযুক্তির সমস্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন শহরে কম্যান্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ গড়ে তোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে কাজ করছে।

সবশেষে আমি আপনাদের আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা যদি নগরায়নের জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হন, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা যদি পরিবহণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চান, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা যদি উদ্ভাবন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চান, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা যদি স্থিতিশীল সমাধানের জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হন, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ, বিরাট বড় বাজারের জন্য এই সুযোগগুলি তৈরি হয়েছে। ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য সরকার সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

নগরায়নের দিকে ভারত এগিয়ে চলেছে। সুশীল সমাজ, শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের নাগরিক ও বিভিন্ন সম্প্রদায় অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট সকলের সাহায্যে আমরা প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধশালী আন্তর্জাতিক মানের শহর গড়ে তুলতে পারব বলে আমি নিশ্চিত।

ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।