Guru Gobind Singh ji has inspired several people: PM Modi
Guru Gobind Singh ji put knowledge at the core of his teachings and inspired so many people through his thoughts and ideals: PM
Guru Gobind Singh ji did not believe in any form of social discrimination and he treated everyone equally: PM Modi
Bihar will play a major role in the development of the nation: PM Modi

শ্রী পাটনা সাহিব, গুরুর নগরীতে দশমেশ পিতা সাহিব শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংজিমহারাজের ৩৫০তম জন্ম শতবার্ষিকীতে গুরু সাহেবের আশীর্বাদ গ্রহণে আগতসাধু-সন্ন্যাসীদের আমি স্বাগত জানাই। এই পবিত্র জন্মদিবস উদযাপনের অবসরে আপনাদেরসকলকে ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।

আমাদের সৌভাগ্য যে আজ আমরা পাটনা সাহিবের এই পবিত্র ভূমিতে আলোক উৎসব পালনেউপস্থিত হতে পেরেছি। আজ গোটা পৃথিবীতে যেখানে যেখানে ভারতীয়রা রয়েছেন, শিখসম্প্রদায় রয়েছেন সর্বত্র ভারত সরকার আমাদের দূতাবাসগুলির মাধ্যমে এই‘প্রকাশ-পর্ব’ বা আলোক উৎসব উদযাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যাতে শুধু ভারত নয়,সারা পৃথিবী অনুভব করে যে ৩৫০ বছর আগে ভারতে এমন এক মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, মানবতারস্বপক্ষে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রেরণাদায়ক।

আমি বিহারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় নীতিশজি ও তাঁর সরকারের সকলকর্মীদের, বিহারের আপামর জনতাকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। পাটনা সাহিবে এই আলোকউৎসব উদযাপনের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভারতের ঐক্য, অখন্ডতা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ,সামাজিক সাম্য এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের দৃঢ় বার্তা প্রদানের শক্তি এই পাটনা সাহিবেরআলোক উৎসব উদযাপনে রয়েছে। আর সেই জন্যই নীতিশজি যে পরিশ্রমের জন্য নিজে দাঁড়িয়েথেকে, আমাকে বলা হয়েছে যে তিনি নিজে গান্ধী ময়দানে এসে প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে দেখেএই বিশাল সমারোহের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছেন।

এই অনুষ্ঠানস্থল পাটনা সাহিবে হলেও এর প্রেরণা গোটা ভারত, গোটা পৃথিবীতেপৌঁছে যাবে – আমাদের সংস্কার, আমাদের মূল্যবোধ, আমরা মানবজাতিকে কী দিতে পারি, এসবকথা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে নতুন শক্তি নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ারসুযোগ রয়েছে।

গুরু গোবিন্দ সিংজি মহারাজ ছিলেন একজন ত্যাগের প্রতিমূর্তি। নিজের চোখেরসামনে তিনি পিতার হত্যা দেখেছেন আর জীবিত অবস্থায় তিনি নিজের সন্তানদেরও আদর্শ ওমূল্যবোধের খাতিরে মানবতার সপক্ষে লড়াইয়ে শহীদ হতে দেখেছেন। আর তারপরও তাঁরত্যাগের পরাকাষ্ঠা দেখুন, তিনি তাঁর দূরদৃষ্টির মাধ্যমে গুরু পরম্পরাকে আর এগিয়েযেতে দেননি। তিনি গুরু গ্রন্থসাহিব’কে জ্ঞানের কেন্দ্রে রেখে এর শব্দগুলিকে জীবনেরমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের সকলকে বলে গেছেন, এখন থেকে তোমরা গুরুগ্রন্থসাহিব-ই অনুসরণ কর। এর প্রতিটি শব্দ, প্রত্যেক পৃষ্ঠা আগামী বহুযুগ ধরেআমাদের প্রেরণা যোগাবে। তিনি যখন ‘পঞ্চ প্যায়ারে’ এবং ‘খালসা পন্থে’ রচনা করেছেন,সেখানেও গোটা ভারতকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা ছিল।

আদি শঙ্করাচার্য ভারতের চার প্রান্তে চারটি মঠ নির্মাণ করে দেশের ঐক্যকেসুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং মহারাজও তেমনই ভারতের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে সেই মহর্ষি পঞ্চ প্যায়ারেদের নির্বাচন করে সেই যুগে সমগ্র ভারতকেখালসা পরম্পরার মাধ্যমে এক সূত্রে গাঁথার একটি অদ্ভূত চেষ্টা করেছিলেন। আজ এইদৃষ্টান্ত আমাদের ঐতিহ্য। আমি অন্তর থেকে অনুভব করি, ঐ পঞ্চ প্যায়ারেদের সঙ্গেআমার কেমন যেন রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদেরকে গুরু গোবিন্দ সিং একথা বলেননি যে,আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনাদের অমুক পদ দেওয়া হবে। তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যাঁরাএকবাক্যে নিজের মস্তিষ্ক মন্ডন করতে রাজি, তাঁরা এগিয়ে আসুন। এই ত্যাগের ভিত্তিতেইতাঁদের নির্বাচন হয়েছিল। নিজের মাথা কাটার আমন্ত্রণ পেয়ে যাঁরা এগিয়ে আসেন, তাঁদেরত্যাগের পরিমাপ করা যায় না। এঁদের মধ্যে একজন ছিলেন গুজরাটের দ্বারকার দর্জিসমাজের সন্তান। নিজের মস্তিষ্ক উৎসর্গ করতে এগিয়ে এলে গুরু গোবিন্দ সাহেব তাঁকেবুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং মহারাজ শুধু অন্যদের জন্য নয়, নিজেকেও সেইবন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই পঞ্চ প্যায়ারের নেতৃত্বে যে খালসাপরম্পরা গড়ে উঠল, তা আমি সহ সকল শিখদের করণীয় নির্ধারণ করবে। আমরা কী করব, কখনকরব, কিভাবে করব? সবকিছু তাঁদের নির্দেশ অনুযায়ী পালন করব।

তাঁর এই ত্যাগের পরিণাম-স্বরূপ আজ ৩৫০ বছর পরেও তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেপৃথিবীর সকল প্রান্তে আলোক উৎসব পালন করা হচ্ছে। শিখ পরম্পরার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত,তাঁরা ছাড়াও সকল ভারতীয় নত মস্তকে তাঁকে প্রণাম জানাচ্ছে। সবাই তাঁকে অনুসরণ করারসংকল্পবদ্ধ গ্রহণ করছেন।

এহেন মহাপুরুষের স্মৃতিতে কয়েকজন ঐতিহাসিক তাঁর শৌর্য ও বীরত্বের কথাই লিখেগেছেন। কিন্তু তাঁর বীরত্বের পাশাপাশি অসীম ধৈর্যও ছিল। অনেক যুদ্ধের পশাপাশি তাঁরত্যাগের পরাকাষ্ঠাও ছিল অভূতপূর্ব। তিনি সামাজিক কুসংস্কারগুলির বিরুদ্ধেও লড়াইকরেছিলেন। জাতপাতের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজকে একসূত্রেবাঁধার চেষ্টা তিনি করে গেছেন আজীবন।

এহেন সমাজ সংস্কারক, বীরত্ব, ত্যাগ ও তপস্যার প্রতিমূর্তি সর্বগুণসম্পন্নমানুষটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ভারতবাসীকে প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরাও এইসর্বধর্ম, সর্বপন্থ, সর্বভাব নিয়ে সমাজের প্রত্যেক বর্গের সাম্য সুনিশ্চিত করব। এইমহান সংকল্প নিয়ে আমরাও দেশকে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। তবেই দেশের ঐক্যসুদৃঢ় হবে, শক্তি বাড়বে, দেশ উন্নয়নের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছি। আমাদের বীরত্বওচাই, ধৈর্যও চাই, শৌর্যও চাই, পরাক্রমও চাই, ত্যাগও চাই, তপস্যাও চাই। তবেই আমরাগুরু গোবিন্দ সিং-এর সকল বাণীকে জীবনের প্রত্যেক পর্যায়ে এগিয়ে চলার পথে প্রেরণাহিসেবে গ্রহণ করতে পারব এবং এভাবেই এই মহাপুরুষের চরণে মাথা নত করে আমাদের সমাজব্যবস্থায় ভারসাম্য বজায় রাখতে পারব।

এখানে আমার আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রদ্ধেয় নীতিশ কুমারজি একটিগুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতাব্দীউদযাপনের কথা বলেছেন। আমি নীতিশজিকে এজন্যে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। সমাজপরিবর্তনের কাজ অনেক কঠিন কাজ। এতে হাত লাগানোর সাহস করাও সহজ কাজ নয়। তা সত্ত্বেওতিনি যেভাবে নেশা-মুক্তির অভিযান চালিয়েছেন, যেভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নেশার কবলথেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁর জন্যে তাঁকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই,শুভেচ্ছা জানাই।

আজ আমিও সকল বিহারবাসীকে, সকল রাজনৈতিক দলের সদস্যদের, সকল সমাজকর্মীদেরঅনুরোধ করব যে, এই কাজ কেবল সরকারের নয়, এই এক নীতিশ কুমারের নয়, এই কাজ আমাদেরসকলের। এর সাফল্য বিহারকে গোটা দেশের সামনে প্রেরণার উৎস করে তুলেছে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, নীতিশজি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা অবশ্যই সফল হবে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেবাঁচানোর জন্য তাঁর উপর গুরু গোবিন্দ সিং-এর আশীর্বাদও বর্ষিত হবে। বিহারশক্তিশালী হয়ে উঠবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিহারের অবদানঅনস্বীকার্য। এই বিহারের মাটি গুরু গোবিন্দ সিং থেকে শুরু করে দেশকে অনেক মহাপুরুষউপহার দিয়েছে। ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের কথা ভাবুন, চম্পারণ সত্যাগ্রহের কল্পনাভূমিএই বিহার, জয়প্রকাশ নারায়ণ কর্পূরী ঠাকুরের মতো মহাপুরুষদের উপহার দিয়েছে এইপ্রদেশ।

বিশ্বের যেখানে যেখানে ভারত সরকারের নানা দূতাবাসের মাধ্যমে এই আলোক উৎসবপালন করা হচ্ছে, অংশগ্রহণকারী সকলকে আমি অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।ভারত সরকার দেশে এবং বিদেশে এই উদযাপনের জন্য সমিতি গঠন করে প্রকল্পের বাস্তবায়নেএগিয়ে এসেছে। একাজে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছড়াও, ভারতীয় রেল আরও প্রায়৪০ কোটি টাকা খরচ করে এই আলোক উৎসবের স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ভারত সরকারেরসাংস্কৃতিক বিভাগও প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে নানা প্রকল্প সাকার করার জন্য কাজকরেছে, যাতে এই উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রেরণা যোগাতে থাকে। এই পবিত্র অনুষ্ঠানেউপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমার জীবন ধন্য। আমি আরেকবারআপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই।

জো বোলে সো নিহাল, সৎ শ্রী অকাল।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
5 Days, 31 World Leaders & 31 Bilaterals: Decoding PM Modi's Diplomatic Blitzkrieg

Media Coverage

5 Days, 31 World Leaders & 31 Bilaterals: Decoding PM Modi's Diplomatic Blitzkrieg
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister urges the Indian Diaspora to participate in Bharat Ko Janiye Quiz
November 23, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi today urged the Indian Diaspora and friends from other countries to participate in Bharat Ko Janiye (Know India) Quiz. He remarked that the quiz deepens the connect between India and its diaspora worldwide and was also a wonderful way to rediscover our rich heritage and vibrant culture.

He posted a message on X:

“Strengthening the bond with our diaspora!

Urge Indian community abroad and friends from other countries  to take part in the #BharatKoJaniye Quiz!

bkjquiz.com

This quiz deepens the connect between India and its diaspora worldwide. It’s also a wonderful way to rediscover our rich heritage and vibrant culture.

The winners will get an opportunity to experience the wonders of #IncredibleIndia.”