Guru Gobind Singh ji has inspired several people: PM Modi
Guru Gobind Singh ji put knowledge at the core of his teachings and inspired so many people through his thoughts and ideals: PM
Guru Gobind Singh ji did not believe in any form of social discrimination and he treated everyone equally: PM Modi
Bihar will play a major role in the development of the nation: PM Modi

শ্রী পাটনা সাহিব, গুরুর নগরীতে দশমেশ পিতা সাহিব শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংজিমহারাজের ৩৫০তম জন্ম শতবার্ষিকীতে গুরু সাহেবের আশীর্বাদ গ্রহণে আগতসাধু-সন্ন্যাসীদের আমি স্বাগত জানাই। এই পবিত্র জন্মদিবস উদযাপনের অবসরে আপনাদেরসকলকে ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।

আমাদের সৌভাগ্য যে আজ আমরা পাটনা সাহিবের এই পবিত্র ভূমিতে আলোক উৎসব পালনেউপস্থিত হতে পেরেছি। আজ গোটা পৃথিবীতে যেখানে যেখানে ভারতীয়রা রয়েছেন, শিখসম্প্রদায় রয়েছেন সর্বত্র ভারত সরকার আমাদের দূতাবাসগুলির মাধ্যমে এই‘প্রকাশ-পর্ব’ বা আলোক উৎসব উদযাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যাতে শুধু ভারত নয়,সারা পৃথিবী অনুভব করে যে ৩৫০ বছর আগে ভারতে এমন এক মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, মানবতারস্বপক্ষে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রেরণাদায়ক।

আমি বিহারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় নীতিশজি ও তাঁর সরকারের সকলকর্মীদের, বিহারের আপামর জনতাকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। পাটনা সাহিবে এই আলোকউৎসব উদযাপনের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভারতের ঐক্য, অখন্ডতা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ,সামাজিক সাম্য এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের দৃঢ় বার্তা প্রদানের শক্তি এই পাটনা সাহিবেরআলোক উৎসব উদযাপনে রয়েছে। আর সেই জন্যই নীতিশজি যে পরিশ্রমের জন্য নিজে দাঁড়িয়েথেকে, আমাকে বলা হয়েছে যে তিনি নিজে গান্ধী ময়দানে এসে প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে দেখেএই বিশাল সমারোহের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছেন।

এই অনুষ্ঠানস্থল পাটনা সাহিবে হলেও এর প্রেরণা গোটা ভারত, গোটা পৃথিবীতেপৌঁছে যাবে – আমাদের সংস্কার, আমাদের মূল্যবোধ, আমরা মানবজাতিকে কী দিতে পারি, এসবকথা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে নতুন শক্তি নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ারসুযোগ রয়েছে।

গুরু গোবিন্দ সিংজি মহারাজ ছিলেন একজন ত্যাগের প্রতিমূর্তি। নিজের চোখেরসামনে তিনি পিতার হত্যা দেখেছেন আর জীবিত অবস্থায় তিনি নিজের সন্তানদেরও আদর্শ ওমূল্যবোধের খাতিরে মানবতার সপক্ষে লড়াইয়ে শহীদ হতে দেখেছেন। আর তারপরও তাঁরত্যাগের পরাকাষ্ঠা দেখুন, তিনি তাঁর দূরদৃষ্টির মাধ্যমে গুরু পরম্পরাকে আর এগিয়েযেতে দেননি। তিনি গুরু গ্রন্থসাহিব’কে জ্ঞানের কেন্দ্রে রেখে এর শব্দগুলিকে জীবনেরমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের সকলকে বলে গেছেন, এখন থেকে তোমরা গুরুগ্রন্থসাহিব-ই অনুসরণ কর। এর প্রতিটি শব্দ, প্রত্যেক পৃষ্ঠা আগামী বহুযুগ ধরেআমাদের প্রেরণা যোগাবে। তিনি যখন ‘পঞ্চ প্যায়ারে’ এবং ‘খালসা পন্থে’ রচনা করেছেন,সেখানেও গোটা ভারতকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা ছিল।

আদি শঙ্করাচার্য ভারতের চার প্রান্তে চারটি মঠ নির্মাণ করে দেশের ঐক্যকেসুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং মহারাজও তেমনই ভারতের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে সেই মহর্ষি পঞ্চ প্যায়ারেদের নির্বাচন করে সেই যুগে সমগ্র ভারতকেখালসা পরম্পরার মাধ্যমে এক সূত্রে গাঁথার একটি অদ্ভূত চেষ্টা করেছিলেন। আজ এইদৃষ্টান্ত আমাদের ঐতিহ্য। আমি অন্তর থেকে অনুভব করি, ঐ পঞ্চ প্যায়ারেদের সঙ্গেআমার কেমন যেন রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদেরকে গুরু গোবিন্দ সিং একথা বলেননি যে,আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনাদের অমুক পদ দেওয়া হবে। তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যাঁরাএকবাক্যে নিজের মস্তিষ্ক মন্ডন করতে রাজি, তাঁরা এগিয়ে আসুন। এই ত্যাগের ভিত্তিতেইতাঁদের নির্বাচন হয়েছিল। নিজের মাথা কাটার আমন্ত্রণ পেয়ে যাঁরা এগিয়ে আসেন, তাঁদেরত্যাগের পরিমাপ করা যায় না। এঁদের মধ্যে একজন ছিলেন গুজরাটের দ্বারকার দর্জিসমাজের সন্তান। নিজের মস্তিষ্ক উৎসর্গ করতে এগিয়ে এলে গুরু গোবিন্দ সাহেব তাঁকেবুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং মহারাজ শুধু অন্যদের জন্য নয়, নিজেকেও সেইবন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই পঞ্চ প্যায়ারের নেতৃত্বে যে খালসাপরম্পরা গড়ে উঠল, তা আমি সহ সকল শিখদের করণীয় নির্ধারণ করবে। আমরা কী করব, কখনকরব, কিভাবে করব? সবকিছু তাঁদের নির্দেশ অনুযায়ী পালন করব।

তাঁর এই ত্যাগের পরিণাম-স্বরূপ আজ ৩৫০ বছর পরেও তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেপৃথিবীর সকল প্রান্তে আলোক উৎসব পালন করা হচ্ছে। শিখ পরম্পরার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত,তাঁরা ছাড়াও সকল ভারতীয় নত মস্তকে তাঁকে প্রণাম জানাচ্ছে। সবাই তাঁকে অনুসরণ করারসংকল্পবদ্ধ গ্রহণ করছেন।

এহেন মহাপুরুষের স্মৃতিতে কয়েকজন ঐতিহাসিক তাঁর শৌর্য ও বীরত্বের কথাই লিখেগেছেন। কিন্তু তাঁর বীরত্বের পাশাপাশি অসীম ধৈর্যও ছিল। অনেক যুদ্ধের পশাপাশি তাঁরত্যাগের পরাকাষ্ঠাও ছিল অভূতপূর্ব। তিনি সামাজিক কুসংস্কারগুলির বিরুদ্ধেও লড়াইকরেছিলেন। জাতপাতের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজকে একসূত্রেবাঁধার চেষ্টা তিনি করে গেছেন আজীবন।

এহেন সমাজ সংস্কারক, বীরত্ব, ত্যাগ ও তপস্যার প্রতিমূর্তি সর্বগুণসম্পন্নমানুষটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ভারতবাসীকে প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরাও এইসর্বধর্ম, সর্বপন্থ, সর্বভাব নিয়ে সমাজের প্রত্যেক বর্গের সাম্য সুনিশ্চিত করব। এইমহান সংকল্প নিয়ে আমরাও দেশকে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। তবেই দেশের ঐক্যসুদৃঢ় হবে, শক্তি বাড়বে, দেশ উন্নয়নের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছি। আমাদের বীরত্বওচাই, ধৈর্যও চাই, শৌর্যও চাই, পরাক্রমও চাই, ত্যাগও চাই, তপস্যাও চাই। তবেই আমরাগুরু গোবিন্দ সিং-এর সকল বাণীকে জীবনের প্রত্যেক পর্যায়ে এগিয়ে চলার পথে প্রেরণাহিসেবে গ্রহণ করতে পারব এবং এভাবেই এই মহাপুরুষের চরণে মাথা নত করে আমাদের সমাজব্যবস্থায় ভারসাম্য বজায় রাখতে পারব।

এখানে আমার আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রদ্ধেয় নীতিশ কুমারজি একটিগুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতাব্দীউদযাপনের কথা বলেছেন। আমি নীতিশজিকে এজন্যে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। সমাজপরিবর্তনের কাজ অনেক কঠিন কাজ। এতে হাত লাগানোর সাহস করাও সহজ কাজ নয়। তা সত্ত্বেওতিনি যেভাবে নেশা-মুক্তির অভিযান চালিয়েছেন, যেভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নেশার কবলথেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁর জন্যে তাঁকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই,শুভেচ্ছা জানাই।

আজ আমিও সকল বিহারবাসীকে, সকল রাজনৈতিক দলের সদস্যদের, সকল সমাজকর্মীদেরঅনুরোধ করব যে, এই কাজ কেবল সরকারের নয়, এই এক নীতিশ কুমারের নয়, এই কাজ আমাদেরসকলের। এর সাফল্য বিহারকে গোটা দেশের সামনে প্রেরণার উৎস করে তুলেছে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, নীতিশজি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা অবশ্যই সফল হবে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেবাঁচানোর জন্য তাঁর উপর গুরু গোবিন্দ সিং-এর আশীর্বাদও বর্ষিত হবে। বিহারশক্তিশালী হয়ে উঠবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিহারের অবদানঅনস্বীকার্য। এই বিহারের মাটি গুরু গোবিন্দ সিং থেকে শুরু করে দেশকে অনেক মহাপুরুষউপহার দিয়েছে। ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের কথা ভাবুন, চম্পারণ সত্যাগ্রহের কল্পনাভূমিএই বিহার, জয়প্রকাশ নারায়ণ কর্পূরী ঠাকুরের মতো মহাপুরুষদের উপহার দিয়েছে এইপ্রদেশ।

বিশ্বের যেখানে যেখানে ভারত সরকারের নানা দূতাবাসের মাধ্যমে এই আলোক উৎসবপালন করা হচ্ছে, অংশগ্রহণকারী সকলকে আমি অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।ভারত সরকার দেশে এবং বিদেশে এই উদযাপনের জন্য সমিতি গঠন করে প্রকল্পের বাস্তবায়নেএগিয়ে এসেছে। একাজে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছড়াও, ভারতীয় রেল আরও প্রায়৪০ কোটি টাকা খরচ করে এই আলোক উৎসবের স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ভারত সরকারেরসাংস্কৃতিক বিভাগও প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে নানা প্রকল্প সাকার করার জন্য কাজকরেছে, যাতে এই উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রেরণা যোগাতে থাকে। এই পবিত্র অনুষ্ঠানেউপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমার জীবন ধন্য। আমি আরেকবারআপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই।

জো বোলে সো নিহাল, সৎ শ্রী অকাল।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।