“ব্রিটিশদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীজির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলে আমরা ব্রিটিশ সরকারকে ভারতীয়দের সম্মিলিত শক্তি সম্পর্কে বোঝাতে পেরেছিলাম”
“একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, আমাদের ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু তা এখন পরিবর্তিত হয়েছে। যখন লোকেরা এই ইউনিফর্ম পরা কর্মীদের দেখেন, তারা সাহায্যের আশ্বাস পান”
“দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য এখন চাপমুক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রয়োজন”

গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিমল প্যাটেলজি, আধিকারিকরা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, তাদের মা-বাবা, অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ! 
 
রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা আমার কাছে দারুণ একটি ব্যাপার। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যেসব যুবক-যুবতী তাঁদের ভবিষ্যৎ গড়তে চান, তাঁদের বলি, এটি শুধু একটি ইউনিফর্ম বা ক্লাব ভাবলেই হবে না – এর ব্যাপ্তি বিশাল। আজ এই মুহূর্তে এই ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের খুব প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সময় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একবিংশ শতাব্দীর চাহিদাগুলি বিবেচনা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে, যাঁরা এই ব্যবস্থাগুলি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের চাহিদার কথাও মনে রাখা হয়। প্রাথমিক স্তরে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুজরাটের রক্ষা শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে কেন্দ্র একে সারা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেয়। আজ দেশের এই রত্ন দেশবাসীর জন্য বড় এক উপহার। এর সাহায্যে  আগামী দিনে পরিকল্পনা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন আস্থা অর্জন করবে। আজ যেসব ছাত্রছাত্রী এখান থেকে ডিগ্রি লাভ করলেন, তারা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। 
 
আজকের দিনটি বড়ই পবিত্র। আজকের দিনে এখান থেকে লবণ সত্যাগ্রহের জন্য ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। বৃটিশদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীজীর নেতৃত্বে সেই আন্দোলন থেকে বৃটিশ সরকার ঐক্যবদ্ধ ভারতবাসীর ক্ষমতা সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। আজ যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছি, সেই আবহে ডান্ডি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল সত্যাগ্রহী এবং সাহসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।  
 
 
বন্ধুগণ, 
 
ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও মা-বাবার জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একই সঙ্গে, এটি আমার জন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা। অমিতভাই যেমন বললেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সময় আমি অনেক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। আমরা সেই সময়  সারা বিশ্ব জুড়ে যা যা ঘটে চলেছে এবং তার প্রভাবগুলি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। এর ফলশ্রুতি হিসাবে গুজরাটের মাটিতে এই ছোট্ট উদ্যোগ গড়ে ওঠে। বৃটিশ যুগে প্রতিরক্ষার বিষয়ে ধারণা সম্পর্কে জানার জন্য আমরা দেখেছি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা সেই সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলার আওতাধীন ছিল। তাই, বৃটিশরা শক্তিশালী লোকদের নিয়োগ করতেন, যাদের  শাসনের মাধ্যমে তারা সাম্রাজ্যকে পরিচালনা করতেন। সেই সময় বৃটিশরা বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষকে বাছাই করতেন, তাদের কাজই ছিল, ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে বৃটিশরা সহজেই শাসন কাজ চালিয়ে যেতে পারে। স্বাধীনতার পর এই ক্ষেত্রে সংস্কার ও  আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। ফলস্বরূপ, সাধারণ মানুষ সবসময় পুলিশের থেকে দূরে থাকেন।
 
সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ইউনিফর্ম পরেন। কিন্তু, সেনাবাহিনীর বিষয়ে আমাদের ধারণা কি? মানুষ যে কোনও সঙ্কটের শেষে উপলব্ধি করেন, যখনই তাঁদের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই তাঁরা সেনাবাহিনীকে পেয়েছেন। সেনাবাহিনী সম্পর্কে এটিই সাধারণ মানুষের ধারণা। আর তাই, ভারতের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে এ ধরনের মানবসম্পদ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি – যাঁদের উপস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ও সদ্ভাব তৈরি হয়। আমাদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ঘটানো খুব প্রয়োজন। অনেক আলোচনার পর আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হল। 
 
অতীতে নিরাপত্তার অর্থ  ছিল ইউনিফর্ম, ক্ষমতা, পিস্তল ইত্যাদি, সেই দিন আজ আর নেই। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এখন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। আগে একটি জায়গায় কোনও কিছু ঘটলে তার খবর পাশের গ্রামে পৌঁছতে একদিন সময় লেগে যেত। প্রশাসনের কাছে সেই খবর পৌঁছতে ২৪-৪৮ ঘণ্টা লেগে যেত। এরপর, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিত। আজ যে কোনও খবর এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ছড়িয়ে পড়ে।  
 
এমন অবস্থায় একটি জায়গায় যদি সব ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ থাকত, সেখান থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লেগে যেত। তাই, প্রত্যেক ইউনিটের সমান দক্ষতা, ক্ষমতা ও সমসংখ্যক সদস্য থাকা প্রয়োজন। তা হলেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ত্বের বিচারেই নয়, প্রতিটি পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের প্রয়োজন – যাঁরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবেন, সবধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন এবং সাধারণ মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে তাঁদের ধারনা থাকবে। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কিভাবে মতবিনিময় করবেন, আবার গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কেমন করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, যার মাধ্যমে আলোচনায় বসার সুযোগ তৈরি হবে – এই সবকিছুই তাঁদের জানতে হবে।
 
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের অভাবে আলোচনায় বসার সুযোগ নষ্ট হতে পারে, কখনও একটি ভুল শব্দ প্রয়োগের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। আমি বলতে চাই যে, আমাদের এমন মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, যাঁরা সমাজ বিরোধীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, আবার গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি মেনে জনকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাজের সঙ্গে সুন্দরভাবে  মিশবেন। আমরা প্রায়শই বিশ্বের নানা প্রান্তের পুলিশের সুন্দর ভাবমূর্তির কথা জানতে পারি। কিন্তু, আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য এই যে — যদি কোনও সিনেমা তৈরি করা হয়, তা হলে দেখবেন,  সেখানে পুলিশ কর্মীর চরিত্রটিকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি। সংবাদপত্রেও একই ছবি পাওয়া যায়। ফলস্বরূপ, আমাদের কাছে আসল খবরগুলো পৌঁছয় না। ইদানিংকালে, সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে করোনা সময়কালের অনেক ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে পুলিশ কর্মীরা প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। রাতে একজন পুলিশ কর্মী ক্ষুধার্থের ক্ষিদে মেটাচ্ছেন। অথবা লকডাউনের কারণে যাঁদের ঘরে ওষুধ নেই, পুলিশ তাঁদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। পুলিশের এই মানবিক ছবিটা করোনার সময় সামনে এলেও কালের নিয়মে তা অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 
 
এর অর্থ এটা নয় যে, সব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু, আগে থেকে কিছু ধারনা মনের মধ্যে থাকায় এবং একটি নেতিবাচক পরিবেশে কেউ যদি ভালো কিছু করতে যান, তা হলে তিনি হতোদ্যম হয়ে পড়বেন। আপনারা, তরুণ বন্ধুরা এই পরিবেশকে বদলে ফেলুন। আপনাদের মা-বাবারা এখানে আপনাদের পাঠিয়েছেন, কারণ তাঁরা আশা করেন, আপনারা সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করবেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেবেন এবং একটি শান্ত ঐক্যবদ্ধ ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনাদেরই নিজেদের ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে, যাতে প্রত্যেক মানুষ আনন্দের সঙ্গে জীবনধারণ করতে পারেন এবং   যে কোনও উৎসব মানুষ আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে পালন করতে পারে। নিরাপত্তা বাহিনীর নিরিখে দেশের সেবার জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আর তাই, আমাদের প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের প্রয়োজন। আজকের দিকে পরিবারগুলি ছোট হয়ে যাচ্ছে। আগে যৌথ পরিবারে মা-বাবা, দাদু-দিদা, তুতো ভাই-বোনেরা এবং দাদা-বৌদিরা থাকতেন। যাঁরা তাঁদের বাড়ির কোনো সদস্য পুলিশ বিভাগে দীর্ঘক্ষণ ডিউটি করে ফিরলে তাঁর যত্ন নিতেন। আর সেই পুলিশ কর্মী বাড়িতে আরাম করতেন এবং আবার পরদিন কাজে যাবার জন্য প্রস্তুত হতেন। কিন্তু, আজ ছোট পরিবার। তাই, একজন জওয়ান দিনে ৬-১৬ ঘণ্টা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ডিউটি করার পর বাড়ি ফিরলেও সেখানে তাঁর জন্য কেউ অপেক্ষা করেন না। তাঁর বাবা-মা সেখানে নেই, কেউ তাঁর কোনও খোঁজ নেন না।
 
এই পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলির কাছে মানসিক চাপ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একজন জওয়ান তাঁর পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানসিক চাপে থাকেন। তাই, নিরাপত্তা বাহিনীগুলিতে মনের চাপ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই কাজে প্রশিক্ষকের প্রয়োজন। রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের প্রশিক্ষক তৈরি করতে পারেন, যাঁরা ইউনিফর্ম পরা মানুষদের মনমেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করবেন।
 
আজ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে যোগাসনের জন্য প্রচুর শিক্ষকের প্রয়োজন। যাঁরা মানসিক চাপ কমাবেন। এগুলি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন কাজের সুযোগ। 
 
একইভাবে, প্রযুক্তিও এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি দেখেছি, বিশেষজ্ঞদের অভাবে নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের যা করার প্রয়োজন ছিল, তা করতে পারিনি। অনেক দেরীতে সেই কাজ শুরু হয়েছে। যেমন – সাইবার নিরাপত্তা বা অপরাধ জগতে প্রযুক্তির ব্যবহার। আবার দেখুন, প্রযুক্তি অপরাধকে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। অতীতে কোথাও চুরি হলে চোরকে খুঁজে পেতে লম্বা সময় লাগতো। কিন্তু, এখন সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। তাই, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে কোনও ব্যক্তি-বিশেষের গতিবিধি সম্পর্কে জানা যায়। আর তাকে ধরতে কৃত্রিম মেধার সাহায্য নেওয়া হয়।
 
অপরাধ জগৎ এখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। আবার একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে প্রযুক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠেছে। কিন্তু, প্রশিক্ষণ ছাড়া সঠিক লোক কখনোই সঠিক অস্ত্র দিয়ে সঠিক সময়ে কাজ করতে পারবেন না। আপনারা যখন কেস স্টাডি করেন, তখন আপনারা দেখতে পান, কিভাবে অপরাধীরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ করছে। আবার একই সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অপরাধগুলিকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। 
 
আজ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শারীরিক কসরত এবং ভোরবেলা উঠে প্যারেড করা যথেষ্ট নয়। কখনও আমার মনে হয়, শারীরিকভাবে সক্ষম না হওয়া সত্ত্বেও আমার দিব্যাঙ্গ বা ভিন্নভাবে সক্ষম ভাই-বোনেরা রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কিছু কি করতে পারেন না! আজ অনেক সুযোগ রয়েছে। এই রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেইদিকে এগোতে হবে, যাতে এই সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
  
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যেমন বললেন, গান্ধীনগর এখন শিক্ষা জগতের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তার মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর কোথাও নেই। সারা পৃথিবীরে কোথাও ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় বা শিশুদের বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যা গান্ধীনগরে আছে।
 
একইভাবে, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্ত করে বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কিন্তু, এর প্রকৃত ফল তখনই পাওয়া যাবে, যখন এই ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা-আলাদাভাবে নয় বরং একযোগে কাজ করবে। তখনই আমরা কাঙ্খিত ফল পাবো।  
 
আজ যখন আমি আপনাদের মধ্যে রয়েছি, তখন সব আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ রাখবো, প্রতি তিন মাস অন্তর এই ৩টি বিশ্ববিদ্যালইয়ের ছাত্রছাত্রী এবং ফ্যাকাল্টিদের নিয়ে একটি সিম্পোজিয়ামের ব্যবস্থা করুন। এর মধ্য দিয়ে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নতুন মডেল তৈরি হবে। জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিচার কাজে ফরেন্সিক সায়েন্স কিভাবে সাহায্য করতে পারে, সে বিষয়ে ধারনা পাবে। 
 
যারা অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য পড়াশুনো করছেন, তাঁরা দেখবেন, কোন প্রমাণকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা মামলাটির কিভাবে সমাধান করবেন এবং ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিভাবে কারিগরি সহায়তা পাবেন। একইসঙ্গে, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনি সহায়তার মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করবেন এবং দেশকে রক্ষা করবেন। যখন বিচার ব্যবস্থা সঠিক সময়ে বিচার নিশ্চিত করে এবং অপরাধীকে শাস্তি দেয়, তখন অপরাধীরাও অন্যায় করতে  মধ্যে ভয় পায়। 
 
আমি চাই যে, রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এমন ছাত্রছাত্রী তৈরি করুক, যাঁরা দেশের কারাগার ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবে। কারাগারগুলিতে কিভাবে আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যায়, কেমন করে কারাবন্দীদের অথবা বিচারাধীন বন্দীদের মনস্তত্ত্ব বুঝে তাঁদের অপরাধ জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক। তাঁরা জানুন, কোন পরিস্থিতিতে এইসব মানুষ অপরাধ জগতে পা রাখতে বাধ্য হয়েছে। রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
 
আমরা কি এ ধরনের ছাত্রছাত্রী গড়ে তুলতে পারি, যারা কারাগারগুলিতে সংস্কার আনতে পারবে, কারাগারের পরিবেশ বদল করতে পারবে, কারাবন্দীদের মনস্তত্ত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং যখন কারাগার থেকে এইসব বন্দীরা বেরিয়ে আসবেন, তখন তাঁরা  যাতে ভালো মানুষ হয়ে ওঠেন, তা নিশ্চিত করবে। এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যদি কেউ পুলিশ বাহিনীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করেন, সেই সময় তাঁকে হঠাৎ করে কারাগার নিয়ে কাজ করতে বলা হয়, তিনি হয়তো সমস্যায় পড়বেন। কারণ, তাঁর অপরাধীদের নিয়ে কাজ করার প্রশিক্ষণ নেই। কিন্তু, এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো দরকার। আমি মনে করি, এই ক্ষেত্রটির প্রসার ঘটানো প্রয়োজন, যাতে আমরা তাঁদের যে কোনও কাজে লাগাতে পারি। 
 
আজ রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। যখন আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি খুঁজছিলাম, তখন অনেক প্রশ্ন উঠেছিল, অনেক চাপ এসেছিল। সবাই বলতেন, আপনারা এগুলো কি করছেন? আর তাও আবার এত দূরে। কিন্তু, আমি বলতাম, কেউ যদি গান্ধীনগর থেকে ২৫-৫০ কিলোমিটার দূরে পড়তে যান, তার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কমবে না। যদি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা থাকে, তা হলে সেটিই  গান্ধীনগরের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে। আজ এখানে এতগুলি ভবন দেখে আমার মনে হচ্ছে, শুরুটা ঠিকই হয়েছিল। 
 
এই ভবনগুলির রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব শুধুমাত্র একজন ঠিকাদার বা সরকারি বাজেটের উপর নির্ভর করছে না। এখানে যাঁরা বসবাস করবেন, তাঁরা যদি এই বাড়িগুলিকে নিজের মনে করেন এবং প্রতিটি দেওয়াল, দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ঠিকঠাক রক্ষণা-বেক্ষণ করেন, তা হলে কোনও সমস্যা থাকে না।
 
৫০ বছর আগে আমেদাবাদে যখন আইআইএম তৈরি হয়েছিল, তখন এর ক্যাম্পাসকে দেশের আদর্শ ক্যাম্পাস বলে মনে করা হত। পরবর্তীতে যখন জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হল, তখন সারা দেশের মানুষ এর প্রতি আকৃষ্ট হলেন। আমি দৃঢ় বিশ্বাসী, রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও আগামী দিনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। আইআইটি, শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণও আরেকটি রত্ন বলে বিবেচিত হবে। এই কারণে, আপনাদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। 
 
আমি সমাজের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বলবো, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহেলা করার কোনও কারণ নেই। দেশ সেবার কাজে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রচুর সুযোগ  দিতে পারে। একইভাবে, যাঁরা এখানে এসেছেন, আমাদের পুলিশ কর্মীরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বন্ধুরা – তাঁরা যেন এটিকে নিছক একটি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় না ভাবেন। এটি প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে গোটা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য মানবসম্পদ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে যেসব ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি অর্জন করবেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যাবেন। এইসব ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জন্য পুষ্টির দিক নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন। কেউ আবার অপরাধ মোকাবিলা করতে এমন সফট্ওয়্যার তৈরি করবেন, যেখানে অনেক বিশেষজ্ঞ যুক্ত থাকবেন। শুধুমাত্র ইউনিফর্ম পরাটাই জরুরি নয়, একসঙ্গে সকলে মিলে কাজ করলে ফল ভালো পাওয়া যায়,  এই ভাবনা নিয়ে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির কথা বিবেচনা করবো। 
 
ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ছোটবেলা থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী ভাবে, তারা ক্রীড়াবিদ হবে কিংবা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়র। ইউনিফর্মের বিষয়ে একটি নেতিবাচক ভাবনা সমাজের মধ্যে যদিও রয়েছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত, যদি ইউনিফর্ম পরা এই বাহিনীর সদস্যরা মানবিক মূল্যবোধকে সম্মান দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন, তা হলে আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারনার পরিবর্তন ঘটাতে পারবো এবং আস্থা অর্জন করতে পারবো। আজ বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব প্রসার ঘটছে। অনেক নতুন নতুন স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে, যারা শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। আপনাদের প্রশিক্ষণ এই ধরনের নতুন স্টার্টআপ – এর দুনিয়ায় ঢুকতে সাহায্য করবে।
 
যখন দেশের যুবসম্প্রদায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেই সময় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেমন বলছিলাম, আলোচনা করাটাও কিন্তু একটা শিল্পকর্ম। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই ভালো আলোচনাকারী হয়ে ওঠা সম্ভব। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এইসব আলোচনাকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ক্রমশ, আপনারা আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনাকারী হয়ে উঠবেন। 
 
আমি মনে করি, সমাজের আরও একটি চাহিদা আছে। আপনি যদি জনরোষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে না পড়াশুনা করেন, অনেক মানুষ এক জায়গায় জড়ো হলে, তাঁদের চিন্তাভাবনাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিশ্লেষণ না করতে পারেন, তা হলে আপনি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন না। এই রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমরা চাই, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারার মতো দক্ষ  জনসম্পদ গড়ে উঠুক। দেশ রক্ষার জন্য প্রতিটি স্তরে আমাদের প্রয়োজনীয় কর্মশক্তি গড়ে তুলতে হবে। আমি আশা করবো, একসঙ্গে মিলে আমরা সেই কাজ করতে পারবো। 
 
আজ যাঁরা পড়াশুনো শেষ করেছেন, আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু, একই সঙ্গে, আমি আপনাদের বলবো, যখন আপনারা ইউনিফর্মে থাকবেন, তখন কোনও ভুল কাজ করবেন না। যখন মানবিকতা বজায় থাকবে, আপনার কাজের মধ্যে পরদুঃখকাতরতা থাকবে, আপনি যখন মা, বোন, সমাজের পিছিয়ে পড়া বা নির্যাতিত, অবহেলিত মানুষের জন্য কিছু করতে চাইবেন, তখন আপনার এই পোশাকটার সম্মান অনেক বেড়ে যাবে। তাই বন্ধুরা, আমরা মনে করি, জীবনে মানবিক মূল্যবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাজে সকলকে নিয়ে চলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আর তাই আমি চাই, এই পোশাক সেক্ষেত্রে তার প্রভাব বিস্তার করুক। কিন্তু, কখনই যেন তা মানবিক মূল্যবোধ শূন্য না হয়। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যদি এই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলে, তা হলে আমরা ভালো ফল পাবোই। 
 
আমি যখন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে ডিগ্রি দিচ্ছিলাম, তখন আমার মনে হল – এখানে ছাত্রীদের সংখ্যা বোধ হয় বেশি। এর জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। অর্থাৎ পুলিশ বাহিনীতে প্রচুর মহিলারা কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, আজ আমাদের মেয়েরা সেনাবাহিনীতেও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। একই সঙ্গে আমি লক্ষ্য করেছি, এনসিসি-তেও বিপুল সংখ্যক মেয়েরা যুক্ত হচ্ছে। আজ কেন্দ্র এনসিসি থেকে প্রশিক্ষিতদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করেছে। সীমান্ত অঞ্চলের স্কুলগুলিতে কখনও কখনও আপনারাও এনসিসি-র মাধ্যমে কাজ করতে পারেন।
 
সৈনিক বিদ্যালয়গুলিতে মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দেখেছি, আমাদের মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর এটিই তাঁদের শক্তি। যখন অলিম্পিকে বিজয় নিশ্চিত হয়েছে, বিজ্ঞান ও শিক্ষায় মেয়েরা আরও বেশি সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে, তখন আমি মনে করি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমরা এর জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের প্রথম ব্যাচের উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব হল – সেগুলিকে সফল করে তোলা।  
 
আমি আপনাদের সামনে গুজরাটের ২টি ঘটনা তুলে ধরবো। এর মধ্য দিয়ে আপনারা বুঝতে পারবেন, কিভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে এর গুরুত্ব কতটা। বহুদিন আগে আমেদাবাদের মহাজনরা, সমাজের বিশিষ্ট মানুষরা এবং ব্যবসায়ীরা গুজরাটে একটি ফার্মেসি কলেজ গড়ে তোলা পরিকল্পনা করেন। ৫০ বছর আগে সেই ফার্মেসি কলেজই আজকের গুজরাটকে ওষুধ উৎপাদন শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ঐ কলেজ থেকে পাশ করা ছেলেরা গুজরাটকে ওষুধ শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্ব আজ ভারতকে ওষুধ ভান্ডার হিসাবে বিবেচনা করে।
 
একইভাবে, আমেদাবাদ আইআইএম কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এখান থেকে কোনও ডিগ্রি কোর্সও পড়ানো হয় না। এটি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু সার্টিফিকেট কোর্স পড়ানো হয়। যখন এই প্রতিষ্ঠান তার যাত্রা শুরু করে, অনেকেই সেই সময় ভেবেছিলেন, ৬ মাস, ৮ মাস বা ১২ মাসের একটা সার্টিফিকেট কোর্সের কি হবে। কিন্তু, আজ আইআইএম  স্বনামধন্য একটি  প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বেশিরভাগ মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকরাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
 
বন্ধুগণ, আমি রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ছবিটাই বদলে দেবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন সুযোগ এনে দেবে। প্রথম প্রজন্মের ক্ষেত্রে দায়িত্ব অনেক বেশি। বিশেষ করে, প্রথম সমাবর্তনে যেসব ছাত্রছাত্রী তাঁদের ডিগ্রি পেলেন, তাঁদের দায়বদ্ধতা যথেষ্ট বেশি। তাই, আমি বলবো, যাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং প্রথম সমাবর্তনে তাঁদের ডিগ্রি লাভ করলেন, তাঁরা কাজের মাধ্যমে  বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান আরও বাড়াবেন। এটিই আপনাদের জীবনের মন্ত্র হয়ে উঠুক। সম্ভাবনাময় ছেলেমেয়েদের এই ক্ষেত্রের প্রতি উৎসাহিত করুন। আপনারা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। 
 
যদি আপনারা এই কাজ করতে পারেন, তা হলে আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে যে যাত্রার সূচনা হল, স্বাধীনতার শততম বর্ষে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের নতুন পরিচিতি  তৈরি করতে তা সহায়ক হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র সম্পর্কে মানুষের ভাবনা আলাদা হবে। সাধারণ দেশবাসী, সীমান্তে প্রহরারত জওয়ান, আপনার অঞ্চলের নিরাপত্তা কর্মী – প্রত্যেকে দেখবেন কিভাবে দেশকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সমাজ ও একটি ব্যবস্থা একযোগে কাজ করছে। স্বাধীনতার শতবর্ষ যখন উদযাপিত হবে, সেই সময় আমরা এই শক্তিতে বলিয়ান হয়ে উঠবো। আর এই বিশ্বাস নিয়ে আমি সমস্ত যুবসম্প্রদায়কে আমার শুভেচ্ছা জানাই, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও শুভেচ্ছা রইলো। 
 
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait

Media Coverage

When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.