Quote“ব্রিটিশদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীজির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলে আমরা ব্রিটিশ সরকারকে ভারতীয়দের সম্মিলিত শক্তি সম্পর্কে বোঝাতে পেরেছিলাম”
Quote“একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, আমাদের ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু তা এখন পরিবর্তিত হয়েছে। যখন লোকেরা এই ইউনিফর্ম পরা কর্মীদের দেখেন, তারা সাহায্যের আশ্বাস পান”
Quote“দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য এখন চাপমুক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রয়োজন”

গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিমল প্যাটেলজি, আধিকারিকরা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, তাদের মা-বাবা, অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ! 
 
রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা আমার কাছে দারুণ একটি ব্যাপার। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যেসব যুবক-যুবতী তাঁদের ভবিষ্যৎ গড়তে চান, তাঁদের বলি, এটি শুধু একটি ইউনিফর্ম বা ক্লাব ভাবলেই হবে না – এর ব্যাপ্তি বিশাল। আজ এই মুহূর্তে এই ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের খুব প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সময় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একবিংশ শতাব্দীর চাহিদাগুলি বিবেচনা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে, যাঁরা এই ব্যবস্থাগুলি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের চাহিদার কথাও মনে রাখা হয়। প্রাথমিক স্তরে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুজরাটের রক্ষা শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে কেন্দ্র একে সারা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেয়। আজ দেশের এই রত্ন দেশবাসীর জন্য বড় এক উপহার। এর সাহায্যে  আগামী দিনে পরিকল্পনা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন আস্থা অর্জন করবে। আজ যেসব ছাত্রছাত্রী এখান থেকে ডিগ্রি লাভ করলেন, তারা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। 
 
আজকের দিনটি বড়ই পবিত্র। আজকের দিনে এখান থেকে লবণ সত্যাগ্রহের জন্য ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। বৃটিশদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীজীর নেতৃত্বে সেই আন্দোলন থেকে বৃটিশ সরকার ঐক্যবদ্ধ ভারতবাসীর ক্ষমতা সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। আজ যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছি, সেই আবহে ডান্ডি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল সত্যাগ্রহী এবং সাহসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।  
 
|
 
বন্ধুগণ, 
 
ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও মা-বাবার জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একই সঙ্গে, এটি আমার জন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা। অমিতভাই যেমন বললেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সময় আমি অনেক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। আমরা সেই সময়  সারা বিশ্ব জুড়ে যা যা ঘটে চলেছে এবং তার প্রভাবগুলি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। এর ফলশ্রুতি হিসাবে গুজরাটের মাটিতে এই ছোট্ট উদ্যোগ গড়ে ওঠে। বৃটিশ যুগে প্রতিরক্ষার বিষয়ে ধারণা সম্পর্কে জানার জন্য আমরা দেখেছি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা সেই সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলার আওতাধীন ছিল। তাই, বৃটিশরা শক্তিশালী লোকদের নিয়োগ করতেন, যাদের  শাসনের মাধ্যমে তারা সাম্রাজ্যকে পরিচালনা করতেন। সেই সময় বৃটিশরা বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষকে বাছাই করতেন, তাদের কাজই ছিল, ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে বৃটিশরা সহজেই শাসন কাজ চালিয়ে যেতে পারে। স্বাধীনতার পর এই ক্ষেত্রে সংস্কার ও  আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। ফলস্বরূপ, সাধারণ মানুষ সবসময় পুলিশের থেকে দূরে থাকেন।
 
সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ইউনিফর্ম পরেন। কিন্তু, সেনাবাহিনীর বিষয়ে আমাদের ধারণা কি? মানুষ যে কোনও সঙ্কটের শেষে উপলব্ধি করেন, যখনই তাঁদের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই তাঁরা সেনাবাহিনীকে পেয়েছেন। সেনাবাহিনী সম্পর্কে এটিই সাধারণ মানুষের ধারণা। আর তাই, ভারতের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে এ ধরনের মানবসম্পদ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি – যাঁদের উপস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ও সদ্ভাব তৈরি হয়। আমাদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ঘটানো খুব প্রয়োজন। অনেক আলোচনার পর আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হল। 
 
অতীতে নিরাপত্তার অর্থ  ছিল ইউনিফর্ম, ক্ষমতা, পিস্তল ইত্যাদি, সেই দিন আজ আর নেই। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এখন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। আগে একটি জায়গায় কোনও কিছু ঘটলে তার খবর পাশের গ্রামে পৌঁছতে একদিন সময় লেগে যেত। প্রশাসনের কাছে সেই খবর পৌঁছতে ২৪-৪৮ ঘণ্টা লেগে যেত। এরপর, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিত। আজ যে কোনও খবর এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ছড়িয়ে পড়ে।  
 
এমন অবস্থায় একটি জায়গায় যদি সব ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ থাকত, সেখান থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লেগে যেত। তাই, প্রত্যেক ইউনিটের সমান দক্ষতা, ক্ষমতা ও সমসংখ্যক সদস্য থাকা প্রয়োজন। তা হলেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ত্বের বিচারেই নয়, প্রতিটি পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের প্রয়োজন – যাঁরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবেন, সবধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন এবং সাধারণ মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে তাঁদের ধারনা থাকবে। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কিভাবে মতবিনিময় করবেন, আবার গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কেমন করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, যার মাধ্যমে আলোচনায় বসার সুযোগ তৈরি হবে – এই সবকিছুই তাঁদের জানতে হবে।
 
|
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের অভাবে আলোচনায় বসার সুযোগ নষ্ট হতে পারে, কখনও একটি ভুল শব্দ প্রয়োগের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। আমি বলতে চাই যে, আমাদের এমন মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, যাঁরা সমাজ বিরোধীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, আবার গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি মেনে জনকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাজের সঙ্গে সুন্দরভাবে  মিশবেন। আমরা প্রায়শই বিশ্বের নানা প্রান্তের পুলিশের সুন্দর ভাবমূর্তির কথা জানতে পারি। কিন্তু, আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য এই যে — যদি কোনও সিনেমা তৈরি করা হয়, তা হলে দেখবেন,  সেখানে পুলিশ কর্মীর চরিত্রটিকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি। সংবাদপত্রেও একই ছবি পাওয়া যায়। ফলস্বরূপ, আমাদের কাছে আসল খবরগুলো পৌঁছয় না। ইদানিংকালে, সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে করোনা সময়কালের অনেক ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে পুলিশ কর্মীরা প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। রাতে একজন পুলিশ কর্মী ক্ষুধার্থের ক্ষিদে মেটাচ্ছেন। অথবা লকডাউনের কারণে যাঁদের ঘরে ওষুধ নেই, পুলিশ তাঁদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। পুলিশের এই মানবিক ছবিটা করোনার সময় সামনে এলেও কালের নিয়মে তা অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 
 
এর অর্থ এটা নয় যে, সব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু, আগে থেকে কিছু ধারনা মনের মধ্যে থাকায় এবং একটি নেতিবাচক পরিবেশে কেউ যদি ভালো কিছু করতে যান, তা হলে তিনি হতোদ্যম হয়ে পড়বেন। আপনারা, তরুণ বন্ধুরা এই পরিবেশকে বদলে ফেলুন। আপনাদের মা-বাবারা এখানে আপনাদের পাঠিয়েছেন, কারণ তাঁরা আশা করেন, আপনারা সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করবেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেবেন এবং একটি শান্ত ঐক্যবদ্ধ ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনাদেরই নিজেদের ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে, যাতে প্রত্যেক মানুষ আনন্দের সঙ্গে জীবনধারণ করতে পারেন এবং   যে কোনও উৎসব মানুষ আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে পালন করতে পারে। নিরাপত্তা বাহিনীর নিরিখে দেশের সেবার জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আর তাই, আমাদের প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের প্রয়োজন। আজকের দিকে পরিবারগুলি ছোট হয়ে যাচ্ছে। আগে যৌথ পরিবারে মা-বাবা, দাদু-দিদা, তুতো ভাই-বোনেরা এবং দাদা-বৌদিরা থাকতেন। যাঁরা তাঁদের বাড়ির কোনো সদস্য পুলিশ বিভাগে দীর্ঘক্ষণ ডিউটি করে ফিরলে তাঁর যত্ন নিতেন। আর সেই পুলিশ কর্মী বাড়িতে আরাম করতেন এবং আবার পরদিন কাজে যাবার জন্য প্রস্তুত হতেন। কিন্তু, আজ ছোট পরিবার। তাই, একজন জওয়ান দিনে ৬-১৬ ঘণ্টা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ডিউটি করার পর বাড়ি ফিরলেও সেখানে তাঁর জন্য কেউ অপেক্ষা করেন না। তাঁর বাবা-মা সেখানে নেই, কেউ তাঁর কোনও খোঁজ নেন না।
 
এই পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলির কাছে মানসিক চাপ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একজন জওয়ান তাঁর পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানসিক চাপে থাকেন। তাই, নিরাপত্তা বাহিনীগুলিতে মনের চাপ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই কাজে প্রশিক্ষকের প্রয়োজন। রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের প্রশিক্ষক তৈরি করতে পারেন, যাঁরা ইউনিফর্ম পরা মানুষদের মনমেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করবেন।
 
আজ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে যোগাসনের জন্য প্রচুর শিক্ষকের প্রয়োজন। যাঁরা মানসিক চাপ কমাবেন। এগুলি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন কাজের সুযোগ। 
 
একইভাবে, প্রযুক্তিও এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি দেখেছি, বিশেষজ্ঞদের অভাবে নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের যা করার প্রয়োজন ছিল, তা করতে পারিনি। অনেক দেরীতে সেই কাজ শুরু হয়েছে। যেমন – সাইবার নিরাপত্তা বা অপরাধ জগতে প্রযুক্তির ব্যবহার। আবার দেখুন, প্রযুক্তি অপরাধকে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। অতীতে কোথাও চুরি হলে চোরকে খুঁজে পেতে লম্বা সময় লাগতো। কিন্তু, এখন সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। তাই, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে কোনও ব্যক্তি-বিশেষের গতিবিধি সম্পর্কে জানা যায়। আর তাকে ধরতে কৃত্রিম মেধার সাহায্য নেওয়া হয়।
 
অপরাধ জগৎ এখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। আবার একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে প্রযুক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠেছে। কিন্তু, প্রশিক্ষণ ছাড়া সঠিক লোক কখনোই সঠিক অস্ত্র দিয়ে সঠিক সময়ে কাজ করতে পারবেন না। আপনারা যখন কেস স্টাডি করেন, তখন আপনারা দেখতে পান, কিভাবে অপরাধীরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ করছে। আবার একই সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অপরাধগুলিকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। 
 
আজ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শারীরিক কসরত এবং ভোরবেলা উঠে প্যারেড করা যথেষ্ট নয়। কখনও আমার মনে হয়, শারীরিকভাবে সক্ষম না হওয়া সত্ত্বেও আমার দিব্যাঙ্গ বা ভিন্নভাবে সক্ষম ভাই-বোনেরা রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কিছু কি করতে পারেন না! আজ অনেক সুযোগ রয়েছে। এই রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেইদিকে এগোতে হবে, যাতে এই সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
  
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যেমন বললেন, গান্ধীনগর এখন শিক্ষা জগতের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তার মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর কোথাও নেই। সারা পৃথিবীরে কোথাও ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় বা শিশুদের বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যা গান্ধীনগরে আছে।
 
একইভাবে, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্ত করে বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কিন্তু, এর প্রকৃত ফল তখনই পাওয়া যাবে, যখন এই ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা-আলাদাভাবে নয় বরং একযোগে কাজ করবে। তখনই আমরা কাঙ্খিত ফল পাবো।  
 
আজ যখন আমি আপনাদের মধ্যে রয়েছি, তখন সব আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ রাখবো, প্রতি তিন মাস অন্তর এই ৩টি বিশ্ববিদ্যালইয়ের ছাত্রছাত্রী এবং ফ্যাকাল্টিদের নিয়ে একটি সিম্পোজিয়ামের ব্যবস্থা করুন। এর মধ্য দিয়ে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নতুন মডেল তৈরি হবে। জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিচার কাজে ফরেন্সিক সায়েন্স কিভাবে সাহায্য করতে পারে, সে বিষয়ে ধারনা পাবে। 
 
যারা অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য পড়াশুনো করছেন, তাঁরা দেখবেন, কোন প্রমাণকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা মামলাটির কিভাবে সমাধান করবেন এবং ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিভাবে কারিগরি সহায়তা পাবেন। একইসঙ্গে, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনি সহায়তার মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করবেন এবং দেশকে রক্ষা করবেন। যখন বিচার ব্যবস্থা সঠিক সময়ে বিচার নিশ্চিত করে এবং অপরাধীকে শাস্তি দেয়, তখন অপরাধীরাও অন্যায় করতে  মধ্যে ভয় পায়। 
 
আমি চাই যে, রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এমন ছাত্রছাত্রী তৈরি করুক, যাঁরা দেশের কারাগার ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবে। কারাগারগুলিতে কিভাবে আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যায়, কেমন করে কারাবন্দীদের অথবা বিচারাধীন বন্দীদের মনস্তত্ত্ব বুঝে তাঁদের অপরাধ জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক। তাঁরা জানুন, কোন পরিস্থিতিতে এইসব মানুষ অপরাধ জগতে পা রাখতে বাধ্য হয়েছে। রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
 
আমরা কি এ ধরনের ছাত্রছাত্রী গড়ে তুলতে পারি, যারা কারাগারগুলিতে সংস্কার আনতে পারবে, কারাগারের পরিবেশ বদল করতে পারবে, কারাবন্দীদের মনস্তত্ত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং যখন কারাগার থেকে এইসব বন্দীরা বেরিয়ে আসবেন, তখন তাঁরা  যাতে ভালো মানুষ হয়ে ওঠেন, তা নিশ্চিত করবে। এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যদি কেউ পুলিশ বাহিনীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করেন, সেই সময় তাঁকে হঠাৎ করে কারাগার নিয়ে কাজ করতে বলা হয়, তিনি হয়তো সমস্যায় পড়বেন। কারণ, তাঁর অপরাধীদের নিয়ে কাজ করার প্রশিক্ষণ নেই। কিন্তু, এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো দরকার। আমি মনে করি, এই ক্ষেত্রটির প্রসার ঘটানো প্রয়োজন, যাতে আমরা তাঁদের যে কোনও কাজে লাগাতে পারি। 
 
আজ রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। যখন আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি খুঁজছিলাম, তখন অনেক প্রশ্ন উঠেছিল, অনেক চাপ এসেছিল। সবাই বলতেন, আপনারা এগুলো কি করছেন? আর তাও আবার এত দূরে। কিন্তু, আমি বলতাম, কেউ যদি গান্ধীনগর থেকে ২৫-৫০ কিলোমিটার দূরে পড়তে যান, তার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কমবে না। যদি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা থাকে, তা হলে সেটিই  গান্ধীনগরের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে। আজ এখানে এতগুলি ভবন দেখে আমার মনে হচ্ছে, শুরুটা ঠিকই হয়েছিল। 
 
এই ভবনগুলির রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব শুধুমাত্র একজন ঠিকাদার বা সরকারি বাজেটের উপর নির্ভর করছে না। এখানে যাঁরা বসবাস করবেন, তাঁরা যদি এই বাড়িগুলিকে নিজের মনে করেন এবং প্রতিটি দেওয়াল, দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ঠিকঠাক রক্ষণা-বেক্ষণ করেন, তা হলে কোনও সমস্যা থাকে না।
 
৫০ বছর আগে আমেদাবাদে যখন আইআইএম তৈরি হয়েছিল, তখন এর ক্যাম্পাসকে দেশের আদর্শ ক্যাম্পাস বলে মনে করা হত। পরবর্তীতে যখন জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হল, তখন সারা দেশের মানুষ এর প্রতি আকৃষ্ট হলেন। আমি দৃঢ় বিশ্বাসী, রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও আগামী দিনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। আইআইটি, শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণও আরেকটি রত্ন বলে বিবেচিত হবে। এই কারণে, আপনাদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। 
 
আমি সমাজের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বলবো, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহেলা করার কোনও কারণ নেই। দেশ সেবার কাজে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রচুর সুযোগ  দিতে পারে। একইভাবে, যাঁরা এখানে এসেছেন, আমাদের পুলিশ কর্মীরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বন্ধুরা – তাঁরা যেন এটিকে নিছক একটি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় না ভাবেন। এটি প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে গোটা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য মানবসম্পদ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে যেসব ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি অর্জন করবেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যাবেন। এইসব ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জন্য পুষ্টির দিক নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন। কেউ আবার অপরাধ মোকাবিলা করতে এমন সফট্ওয়্যার তৈরি করবেন, যেখানে অনেক বিশেষজ্ঞ যুক্ত থাকবেন। শুধুমাত্র ইউনিফর্ম পরাটাই জরুরি নয়, একসঙ্গে সকলে মিলে কাজ করলে ফল ভালো পাওয়া যায়,  এই ভাবনা নিয়ে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির কথা বিবেচনা করবো। 
 
ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ছোটবেলা থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী ভাবে, তারা ক্রীড়াবিদ হবে কিংবা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়র। ইউনিফর্মের বিষয়ে একটি নেতিবাচক ভাবনা সমাজের মধ্যে যদিও রয়েছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত, যদি ইউনিফর্ম পরা এই বাহিনীর সদস্যরা মানবিক মূল্যবোধকে সম্মান দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন, তা হলে আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারনার পরিবর্তন ঘটাতে পারবো এবং আস্থা অর্জন করতে পারবো। আজ বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব প্রসার ঘটছে। অনেক নতুন নতুন স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে, যারা শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। আপনাদের প্রশিক্ষণ এই ধরনের নতুন স্টার্টআপ – এর দুনিয়ায় ঢুকতে সাহায্য করবে।
 
যখন দেশের যুবসম্প্রদায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেই সময় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেমন বলছিলাম, আলোচনা করাটাও কিন্তু একটা শিল্পকর্ম। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই ভালো আলোচনাকারী হয়ে ওঠা সম্ভব। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এইসব আলোচনাকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ক্রমশ, আপনারা আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনাকারী হয়ে উঠবেন। 
 
আমি মনে করি, সমাজের আরও একটি চাহিদা আছে। আপনি যদি জনরোষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে না পড়াশুনা করেন, অনেক মানুষ এক জায়গায় জড়ো হলে, তাঁদের চিন্তাভাবনাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিশ্লেষণ না করতে পারেন, তা হলে আপনি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন না। এই রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমরা চাই, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারার মতো দক্ষ  জনসম্পদ গড়ে উঠুক। দেশ রক্ষার জন্য প্রতিটি স্তরে আমাদের প্রয়োজনীয় কর্মশক্তি গড়ে তুলতে হবে। আমি আশা করবো, একসঙ্গে মিলে আমরা সেই কাজ করতে পারবো। 
 
আজ যাঁরা পড়াশুনো শেষ করেছেন, আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু, একই সঙ্গে, আমি আপনাদের বলবো, যখন আপনারা ইউনিফর্মে থাকবেন, তখন কোনও ভুল কাজ করবেন না। যখন মানবিকতা বজায় থাকবে, আপনার কাজের মধ্যে পরদুঃখকাতরতা থাকবে, আপনি যখন মা, বোন, সমাজের পিছিয়ে পড়া বা নির্যাতিত, অবহেলিত মানুষের জন্য কিছু করতে চাইবেন, তখন আপনার এই পোশাকটার সম্মান অনেক বেড়ে যাবে। তাই বন্ধুরা, আমরা মনে করি, জীবনে মানবিক মূল্যবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাজে সকলকে নিয়ে চলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আর তাই আমি চাই, এই পোশাক সেক্ষেত্রে তার প্রভাব বিস্তার করুক। কিন্তু, কখনই যেন তা মানবিক মূল্যবোধ শূন্য না হয়। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যদি এই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলে, তা হলে আমরা ভালো ফল পাবোই। 
 
আমি যখন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে ডিগ্রি দিচ্ছিলাম, তখন আমার মনে হল – এখানে ছাত্রীদের সংখ্যা বোধ হয় বেশি। এর জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। অর্থাৎ পুলিশ বাহিনীতে প্রচুর মহিলারা কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, আজ আমাদের মেয়েরা সেনাবাহিনীতেও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। একই সঙ্গে আমি লক্ষ্য করেছি, এনসিসি-তেও বিপুল সংখ্যক মেয়েরা যুক্ত হচ্ছে। আজ কেন্দ্র এনসিসি থেকে প্রশিক্ষিতদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করেছে। সীমান্ত অঞ্চলের স্কুলগুলিতে কখনও কখনও আপনারাও এনসিসি-র মাধ্যমে কাজ করতে পারেন।
 
সৈনিক বিদ্যালয়গুলিতে মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দেখেছি, আমাদের মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর এটিই তাঁদের শক্তি। যখন অলিম্পিকে বিজয় নিশ্চিত হয়েছে, বিজ্ঞান ও শিক্ষায় মেয়েরা আরও বেশি সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে, তখন আমি মনে করি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমরা এর জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের প্রথম ব্যাচের উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব হল – সেগুলিকে সফল করে তোলা।  
 
আমি আপনাদের সামনে গুজরাটের ২টি ঘটনা তুলে ধরবো। এর মধ্য দিয়ে আপনারা বুঝতে পারবেন, কিভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে এর গুরুত্ব কতটা। বহুদিন আগে আমেদাবাদের মহাজনরা, সমাজের বিশিষ্ট মানুষরা এবং ব্যবসায়ীরা গুজরাটে একটি ফার্মেসি কলেজ গড়ে তোলা পরিকল্পনা করেন। ৫০ বছর আগে সেই ফার্মেসি কলেজই আজকের গুজরাটকে ওষুধ উৎপাদন শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ঐ কলেজ থেকে পাশ করা ছেলেরা গুজরাটকে ওষুধ শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্ব আজ ভারতকে ওষুধ ভান্ডার হিসাবে বিবেচনা করে।
 
একইভাবে, আমেদাবাদ আইআইএম কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এখান থেকে কোনও ডিগ্রি কোর্সও পড়ানো হয় না। এটি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু সার্টিফিকেট কোর্স পড়ানো হয়। যখন এই প্রতিষ্ঠান তার যাত্রা শুরু করে, অনেকেই সেই সময় ভেবেছিলেন, ৬ মাস, ৮ মাস বা ১২ মাসের একটা সার্টিফিকেট কোর্সের কি হবে। কিন্তু, আজ আইআইএম  স্বনামধন্য একটি  প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বেশিরভাগ মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকরাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
 
বন্ধুগণ, আমি রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ছবিটাই বদলে দেবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন সুযোগ এনে দেবে। প্রথম প্রজন্মের ক্ষেত্রে দায়িত্ব অনেক বেশি। বিশেষ করে, প্রথম সমাবর্তনে যেসব ছাত্রছাত্রী তাঁদের ডিগ্রি পেলেন, তাঁদের দায়বদ্ধতা যথেষ্ট বেশি। তাই, আমি বলবো, যাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং প্রথম সমাবর্তনে তাঁদের ডিগ্রি লাভ করলেন, তাঁরা কাজের মাধ্যমে  বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান আরও বাড়াবেন। এটিই আপনাদের জীবনের মন্ত্র হয়ে উঠুক। সম্ভাবনাময় ছেলেমেয়েদের এই ক্ষেত্রের প্রতি উৎসাহিত করুন। আপনারা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। 
 
যদি আপনারা এই কাজ করতে পারেন, তা হলে আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে যে যাত্রার সূচনা হল, স্বাধীনতার শততম বর্ষে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের নতুন পরিচিতি  তৈরি করতে তা সহায়ক হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র সম্পর্কে মানুষের ভাবনা আলাদা হবে। সাধারণ দেশবাসী, সীমান্তে প্রহরারত জওয়ান, আপনার অঞ্চলের নিরাপত্তা কর্মী – প্রত্যেকে দেখবেন কিভাবে দেশকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সমাজ ও একটি ব্যবস্থা একযোগে কাজ করছে। স্বাধীনতার শতবর্ষ যখন উদযাপিত হবে, সেই সময় আমরা এই শক্তিতে বলিয়ান হয়ে উঠবো। আর এই বিশ্বাস নিয়ে আমি সমস্ত যুবসম্প্রদায়কে আমার শুভেচ্ছা জানাই, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও শুভেচ্ছা রইলো। 
 
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
  • Jitender Kumar BJP Haryana State MP January 12, 2025

    My old email id officialmailforjk@gmail.com uwudlove2knowme@yahoo.in After these all mobile number such as 9711923991 and start from v8130189862
  • krishangopal sharma Bjp December 23, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
  • krishangopal sharma Bjp December 23, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
  • krishangopal sharma Bjp December 23, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
  • JBL SRIVASTAVA July 04, 2024

    नमो नमो
  • MLA Devyani Pharande February 17, 2024

    जय हो
  • Vaishali Tangsale February 15, 2024

    🙏🏻🙏🏻
  • Jaynti Bhai July 01, 2023

    श्री नरेन्द्र मोदी जी प्रधानमंत्री भारत सरकार । आपके सभी प्रोग्राम टीवी चैनल पर देखता हूँ आपकी अमेरिका, मिस्र की यात्रा से लेकर डीयु युनिवर्सिटी दिल्ली व राज्य के मिटींग प्रोग्राम देखता हूँ व खुशी बहोत होतीं हैं राषृ के उत्थान के लिए प्रयास व जनता को समझना व समझाना जमीनी हकीकत को जनता के सामने प्रस्तुत करना व 9 वर्ष में कैसे कार्य संपन्न हुआ है । यह संदेश गाँव गाँव की जनता से संपर्क करें कार्यकर्ता व समझाए भविष्य के लिए आगे बढ़ेगा भारत राषृ । मुझे उम्मीद है ऐसा होना । यह ही सत्य है धर्मवीर जन सेवक राषृ सेवक विश्व सेवक श्री जयंतिभाई ओझा । गाँव हाथल राजस्थान गुजरात महाराष्ट्र भारत के ।
  • अनन्त राम मिश्र October 17, 2022

    बहुत खूब अति सुन्दर जय हो सादर प्रणाम
  • अनन्त राम मिश्र October 17, 2022

    जय हो
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India dispatches second batch of BrahMos missiles to Philippines

Media Coverage

India dispatches second batch of BrahMos missiles to Philippines
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
In the past 10 years, India has moved beyond incremental change to witness impactful transformation: PM Modi on Civil Services Day
April 21, 2025
QuoteThe policies we are working on today, the decisions we are making, are going to shape the future of the next thousand years: PM Modi
QuoteIndia’s youth, farmers and women have soaring dreams, fulfilling them needs extraordinary speed: PM Modi
QuoteReal progress is full-scale impact-clean water, quality education, financial access, and digital inclusion for all: PM Modi
QuoteQuality in governance is determined by how deeply schemes reach the people and their real impact on the ground: PM Modi
QuoteIn the past 10 years, India has moved beyond incremental change to witness impactful transformation: PM Modi
QuoteIndia is setting new benchmarks in governance, transparency and innovation: PM Modi
QuoteThe approach of 'Janbhagidari' turned the G20 into a people's movement and the world acknowledged,India is not just participating, it is leading: PM Modi
QuoteIn the age of technology, governance is not about managing systems, it is about multiplying possibilities: PM Modi
QuoteTo build a future-ready civil service, we must enhance competence hence Mission Karmayogi and Capacity Building Programme are key: PM Modi

मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी डॉ. जितेंद्र सिंह जी, शक्तिकांत दास जी, डॉ. सोमनाथन जी, अन्य वरिष्ठ अधिकारीगण, देशभर से जुड़े सिविल सर्विसेज के सभी साथी, देवियों और सज्जनों!

साथियों,

आप सभी को सिविल सर्विसेज डे की बहुत-बहुत शुभकामनाएं! इस बार का सिविल सर्विसेज डे कई वजहों से विशेष हैं। इस साल हम अपने संविधान का 75वां वर्ष बना रहे हैं और ये सरदार वल्‍लभभाई पटेल जी की 150वी जयंती का भी साल है। 21 अप्रैल 1947 को सरदार वल्‍लभभाई पटेल ने आप सभी को Steel Frame of India कहा था। उन्होंने स्वतंत्र भारत की Bureaucracy की नई मर्यादाएं तय की थीं। एक ऐसा सिविल सर्वेंट, जो राष्‍ट्र की सेवा को अपना सर्वोत्तम कर्तव्य माने। जो लोकतांत्रिक तरीके से प्रशासन चलाए। जो ईमानदारी से, अनुशासन से, समर्पण से भरा हुआ हो। जो देश के लक्ष्यों के लिए दिन-रात काम करे। आज जब हम विकसित भारत बनाने के संकल्प के साथ आगे बढ़ रहे हैं, तो सरदार वल्‍लभभाई पटेल की ये बातें और ज़्यादा प्रासंगिक हो जाती है। मैं आज सरदार साहब के विजन को नमन करता हूं और उनको भावभीनी श्रद्धांजलि भी देता हूं।

साथियों,

कुछ समय पहले मैंने लाल किले से कहा था कि आज के भारत को आने वाले एक हजार साल की नींव को मजबूत करना है। एक हिसाब से देखें तो एक हजार साल की सहस्त्राब्दी में पहले 25 साल बीत गए हैं। ये नई शताब्‍दी का 25वां साल है और नए मिलेनियम यानी नई सहस्त्राब्दी का भी 25वां साल है। हम आज जिन नीतियों पर काम कर रहे हैं, जो निर्णय ले रहे हैं, वो एक हजार साल का भविष्य तय करने वाले हैं। हमारे शास्त्रों में कहा गया है यथा हि एकेन चक्रेण न रथस्य गतिर्भवेत्। एवं पुरूषकारेण विना दैवं न सिध्यति॥ यानी जैसे एक चक्र से रथ नहीं चल सकता है, उसी प्रकार बिना मेहनत के सिर्फ भाग्य के भरोसे सफलता नहीं मिलती। विकसित भारत के हमारे लक्ष्य के लिए भी विकास रथ के हर चक्र को मिलकर चला है, दृढ़ प्रतिज्ञ होकर हर दिन, हर क्षण इस लक्ष्य के लिए काम करना है, लक्ष्य को प्राप्त करने के लिए जीना है, जिन्दगी खपानी है।

साथियों,

पूरी दुनिया को तेज गति से बदलते हुए देख रहे हैं। अपने परिवार में भी आप देखते होंगे कि परिवार में अगर 10-15 साल का बच्चा है और जब उससे बात करते हैं, तो आप फील करते हैं, आप आउटडेटेड हैं। ये इसलिए होता है क्योंकि समय बहुत तेजी से बदल रहा है। हर 2-3 साल में Gadgets कैसे बदल रहे हैं। कुछ समझे, सीखें उसके पहले नया आ जाता है। हमारे छोटे-छोटे बच्चे इन तेज बदलावों के साथ बड़े हो रहे हैं। हमारी Bureaucracy, हमारा कामकाज, हमारी पॉलिसी मेकिंग भी पुराने ढर्रे पर नहीं चल सकती। इसलिए 2014 के बाद से देश में व्यवस्था परिवर्तन का एक बहुत बड़ा महायज्ञ शुरू हुआ है। हम इस तेज स्‍पीड के साथ खुद को ढाल रहे हैं। आज भारत की Aspirational Society, भारत के युवा, भारत के किसान, भारत की महिलाएं, उनके सपनों की उड़ान आज जिस ऊंचाई पर है, वो वाकई अभूतपूर्व है। इन अभूतपूर्व आकांक्षाओं की पूर्ति के लिए अभूतपूर्व गति भी आवश्यक है। आने वाले वर्षों में भारत कितने ही बड़े-बड़े पड़ावों से गुजरेगा। एनर्जी सिक्योरिटी से जुड़े लक्ष्य, क्लीन एनर्जी से जुड़े लक्ष्य, स्पोर्ट्स से लेकर स्पेस को लेकर, यानी ऐसे अनेक नए लक्ष्‍य, हर सेक्टर में देश का परचम और नई ऊंचाइयों पर लहराना है। और ये जब मैं बात करता हूं तब और देश जब सोचता है तब, हर किसी की नजर आप पर है, भरोसा आप सभी पर है, बहुत बड़ा दायित्व आप सब मेरे साथियों पर है। आपको जल्द से जल्द भारत को दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी इकोनॉमी भी बनाना है। इस काम में विलंब न हो, ये आप सभी को सुनिश्चित करना है।

साथियों,

मुझे खुशी है कि इस बार Civil Services Day की थीम, Holistic Development of India रखी गई है। ये सिर्फ एक थीम नहीं है, ये हमारा कमिटमेंट है, देश की जनता से हमारा वादा है, Holistic Development of India यानी No village left behind, No family left behind, No citizen left behind. असल प्रगति का मतलब छोटे बदलाव नहीं, बल्कि Full-scale impact होता है। हर घर में clean water, हर बच्चे को quality education, हर entrepreneur को financial access और हर गांव को digital economy का लाभ, ऐसी ही बातें हैं जो Holistic Development, मैं मानता हूँ, Quality in Governance सिर्फ schemes launch करने से नहीं आती। बल्कि Quality in Governance इससे तय होती है कि वो scheme कितनी गहराई तक जनता के बीच पहुंची, और उसका कितना real impact हुआ। आज राजकोट हो, गोमती हो, तिनसुकिया हो, कोरापुट हो, ऐसे कितने ही जिलों में हम यही impact देख रहे हैं। स्कूल में अटेंडेंस बढ़ाने से लेकर सोलर पावर तक, अनेक जिलों ने बहुत अच्छा काम किया और जो तय किया वो पूरा करके दिखाया और उसमें से कई जिलों को आज पुरस्कार दिया गया है। मैं इन सभी जिलों और योजनाओं से जुड़े साथियों को भी आज विशेष बधाई देता हूं।

साथियों,

बीते 10 सालों में भारत ने Incremental change से आगे बढ़कर Impactful transformation तक का सफर देखा है। आज भारत का governance model, Next Generation Reforms पर फोकस कर रहा है। हम technology और innovation और innovative practices के जरिए सरकार और नागरिकों के बीच की दूरी समाप्त कर रहे हैं। इसका impact ग्रामीण और शहरी क्षेत्रों के साथ-साथ दूरदराज के इलाकों में भी दिख रहा है। आपसे Aspirational Districts की कई बार चर्चा हुई है, लेकिन Aspirational Blocks की सफलता भी उतनी ही शानदार है। आप जानते हैं, ये प्रोग्राम दो साल पहले जनवरी 2023 में लॉन्च हुआ था। सिर्फ दो साल में इन blocks ने जो बदलाव दिखाए हैं, वो अभूतपूर्व हैं। इन ब्लॉक्स में Health, Nutrition, Social Development और Basic Infrastructure के कई indicators में शानदार प्रगति हुई है और कुछ स्थान पर तो राज्य की एवरेज से भी आगे निकल गए हैं। राजस्थान के टोंक जिले के पीपलू ब्लॉक में, दो साल पहले आंगनवाड़ी सेंटर्स में बच्चों की measurement efficiency, सिर्फ 20 प्रतिशत थी। अब ये 99 परसेंट से भी ज्यादा हो गई है। बिहार के भागलपुर में जगदीशपुर ब्लॉक हैं। वहां, पहली तिमाही में ही गर्भवती महिलाओं का रजिस्ट्रेशन पहले सिर्फ 25 परसेंट था। अब ये बढ़कर 90 परसेंट से ज्यादा हो गया है। जम्मू-कश्मीर के मारवाह ब्लॉक में Institutional deliveries पहले 30 प्रतिशत थी जो बढ़कर के 100 प्रतिशत हो गई है। झारखंड के गुरडी ब्लॉक में नल से जल का कनेक्शन 18 परसेंट से बढ़कर के 100 परसेंट हो गया है। ये सिर्फ आंकड़े नहीं हैं, ये Last-mile delivery के हमारे संकल्प की सिद्धि को दिखाता हैं, ये दिखाते हैं कि सही intent, सही planning और सही execution से, दूर-दराज के हिस्सों में भी इच्छित परिवर्तन संभव है।

साथियों,

पिछले 10 सालों में भारत ने कई transformative बदलाव करके दिखाए हैं। उपलब्धियों की नई ऊंचायों को छुआ है। भारत आज सिर्फ growth की वजह से नहीं जाना जा रहा, बल्कि governance, transparency और innovation के नए benchmarks आज भारत सेट कर रहा है।

G20 Presidency भी इसका एक उदाहरण है। 60 से ज्यादा शहरों में 200 से ज़्यादा meetings, इतना बड़ा और inclusive footprint, G20 के इतिहास में पहली बार हुआ और यही तो Holistic Approach है। जनभागीदारी की अप्रोच ने ये दूसरे देशों से 10-11 साल आगे हैं। पिछले 11 वर्षों में, हमने delay system को खत्म करने की कोशिश की है। हम नए processes बना रहे हैं, हम technology के माध्यम से Turnaround Time को घटा रहे हैं। Ease of business को बढ़ावा देने के लिए, हमने 40 हजार से ज्यादा compliances को खत्म किया है, हमने 3,400 से ज्यादा legal provisions को भी decriminalize कर दिया है। मुझे याद है, जब हम Compliance का बर्डन कम करने के लिए काम कर रहे थे, जब व्यापार-कारोबार के दौरान होने वाली कुछ गलतियों को decriminalise कर रहे थे, तो मेरे लिए आश्चर्य था कुछ कोने में विरोध के भी स्वर भी उठा करते थे। कई लोग कहते थे "आज तक नहीं हुआ, आप क्यों कर रहे हैं? चलता है, चलने दो। इससे आपको क्या फर्क पड़ता है? Compliance करने दीजिए, आप क्यों अपना काम बढ़ा रहे हैं? चारों तरफ से चर्चाएं चलती थीं, जवाब आते थे लेकिन जिस लक्ष्य को प्राप्त करना था, उस लक्ष्य का दबाव इन दबावों से ज्यादा था और इसलिए दबाव से दबे नहीं, हम लक्ष्य के लिए चल पड़े। हम पुरानी लीक पकड़कर चलेंगे तो हमें नए परिणाम मिलना मुश्किल होगा। जब हम कुछ अलग करेंगे और तभी तो अलग परिणाम भी मिलेंगे। और आज इसी सोच की वजह से हमारी Ease of Doing Business Rankings में काफी सुधार हुआ है। आज दुनिया भारत में निवेश करने के लिए बहुत उत्सुक है, और ये हमारा काम है कि हम अवसर जाने न दें, हमें इस अवसर का पूरा लाभ उठाना है। हमें राज्यों के स्तर पर, जिला और ब्लॉक स्तर पर, red tape की हर गुंजाइश को खत्म करना है। तभी आप राज्यों के स्तर पर, जिला स्तर पर, अपने लक्ष्यों को प्राप्त कर पाएंगे।

साथियों,

पिछले 10-11 साल की देश की जो सफलताएं रही हैं, उन्होंने विकसित भारत की नींव को बहुत मजबूत किया है। अब देश इस मजबूत नींव पर विकसित भारत की भव्य इमारत का निर्माण शुरू कर रहा है। लेकिन निर्माण की इस प्रक्रिया में हमारे सामने चुनौतियां भी कम नहीं हैं। भारत अब दुनिया का सबसे अधिक जनसंख्या वाला देश बन चुका है। ऐसे में बेसिक सुविधाओं की सैचुरेशन हमारे लिए प्राथमिकता होनी ही चाहिए। आपको Last Mile Delivery पर हमेशा बहुत ज्यादा फोकस करते रहना है। समय के साथ देशवासियों की needs और aspirations, दोनों तेजी से बदल रही हैं। अब Civil Service को contemporary challenges के हिसाब से खुद को adapt करना होगा, तभी वो relevant बनी रह सकती हैं। हमें खुद के लिए नई-नई कसौटियां भी नित्य बनाते रहना होगा और हर कसौटी को पार करते रहना होगा। और सफलता की सबसे बड़ी कुंजी यही है कि खुद को चुनौती देते रहो। कल किया था वो संतोष के लिए नहीं था, कल जो पाया था वो चुनौती का कारण बनते रहना चाहिए, ताकि कल मैं उससे ज्यादा कर पाऊं। अब सिर्फ पिछली सरकारों से तुलना करके, अपने काम, अपनी परफॉर्मेंस को हम तय नहीं कर सकते। मेरे पहले डिस्ट्रिक्ट में फलाने भाई थे, उन्‍होंने इतना किया, मैंने इतना कर दिया, जी नहीं, अब हमें अपनी कसौटी बनाना है, 2047 के विकसित भारत के लक्ष्य से हम कितना दूर हैं? हम कहां तक पहुंचे हैं, वो हिसाब-किताब का वक्त समाप्त हो चुका है। अब जहां हैं वहां से जहां जाना है वहां अभी कितनी दूरी बाकी है, उस दूरी को पाटने का मेरा रोडमैप क्‍या है, मेरी गति क्‍या है, और मैं औरों से जल्‍दी 2047 तक कैसे पहुंच कर के सारे लक्ष्यों को प्राप्त कर लूं, यही हमारा सपना है, यही हमारा मकसद है, यही हमारा लक्ष्य होना चाहिए।

हमें हर सेक्टर में देखना होगा कि जो लक्ष्य हमने तय किए हैं, क्या उनको पाने के लिए हमारी वर्तमान स्पीड काफी है। अगर नहीं है तो, हमें उसे बढ़ाना है। हमें याद रखना है, आज जो टेक्नॉलॉजी हमारे पास है, वो पहले नहीं थी। हमें टेक्नॉलॉजी की ताकत के साथ आगे बढ़ना है। 10 साल में हमने 4 करोड़ गरीबों के लिए पक्के घर बनाए, लेकिन अभी 3 करोड़ नए घर बनाने का लक्ष्य हमारे सामने है। हमने 5-6 सालों में 12 करोड़ से ज्यादा ग्रामीण घरों को नल कनेक्शन से जोड़ा है। अब हमें जल्द से जल्द गांव के हर घर को नल कनेक्शन से जोड़ना है। 10 साल में हमने गरीबों के लिए 11 करोड़ से ज्यादा शौचालय बनाए हैं, अब हमें Waste Management से जुड़े नए लक्ष्यों को जल्द से जल्द प्राप्त करना है, कोई सोच भी नहीं सकता था कि करोड़ों गरीबों को 5 लाख रुपए तक का मुफ्त इलाज मिलेगा। अब हमें देश की जनता में न्यूट्रिशन को लेकर नए संकल्पों को सिद्ध करना है। हमारा एक ही लक्ष्य होना चाहिए, 100 परसेंट coverage, 100 परसेंट impact, इसी अप्रोच ने 10 साल में 25 करोड़ लोगों को गरीबी से बाहर निकाला है। यही अप्रोच, भारत को गरीबी से पूरी तरह मुक्त करेगा।

साथियों,

एक दौर ऐसा था जब bureaucracy का role एक regulator का होता था, जो industrialization और entrepreneurship की speed को control करती थी। इस सोच से भी देश आगे निकल चुका है। आज हम ऐसा environment create कर रहे हैं, जो citizens में enterprise को promote करे और उन्हें हर barrier को cross करने में मदद दे। इसलिए Civil Service को enabler बनना होगा। सिर्फ rule book के keeper के रूप में ही नहीं, बल्कि growth के facilitator के रूप में अपना विस्तार करना होगा। मैं आपको MSME सेक्टर का उदाहरण दूंगा। आप जानते हैं देश ने मिशन मैन्युफैक्चरिंग शुरू किया है। इसकी सफलता का बहुत बड़ा आधार हमारा MSME सेक्टर है। आज दुनिया में हो रहे बदलावों के बीच, हमारे MSMEs, स्टार्टअप्स और युवा उद्यमियों के पास एक अभूतपूर्व ऐतिहासिक अवसर आया है। ऐसे में ये ज़रूरी है कि हम ग्लोबल सप्लाई चेन में अधिक Competitive बनें। हमें ये भी याद रखना है कि MSMEs, का Competition सिर्फ छोटे Entrepreneurs से नहीं है। इनकी प्रतिस्पर्धा पूरी दुनिया से है। अगर एक छोटे से देश में किसी इंडस्ट्री के पास हमसे बेहतर Ease of Compliances है, तो वो हमारे देश के स्टार्टअप का ज्यादा मजबूती से मुकाबला करेगा। इसलिए हमें ये निरंतर देखना होगा कि Global Best Practices में हम कहां Stand कर रहे हैं। भारत की इंडस्ट्री का लक्ष्य अगर ग्लोबली बेस्ट प्रोडक्ट बनाने का है, तो भारत की ब्यूरोक्रेसी का लक्ष्य, दुनिया में सबसे बेस्ट ease of compliances environment देने का होना चाहिए।

साथियों,

आज की tech-driven दुनिया में civil servants को ऐसी skills चाहिए जो ना उन्हें सिर्फ technology समझने में मदद करें, बल्कि उसे smart और inclusive governance के लिए इस्तेमाल भी कर सकें। “In the age of technology, governance is not about managing systems, it is about multiplying possibilities.” हमें Tech Savvy होना पड़ेगा, ताकि हर policy और scheme को technology के ज़रिए ज्यादा efficient और accessible बनाया जा सके। हमें Data-Driven Decision making में एक्सपर्ट बनना होगा, जिससे policy designing और implementation ज्यादा accurate हो सके। आजकल आप देख रहे हैं कि Artificial Intelligence और Quantum Physics कितनी तेजी से विकसित हो रही है। जल्द ही, technology के use में एक नया revolution आएगा। ये उस digital और information age से कहीं आगे होगा, जिनसे आज जिससे परिचित है उससे भी आपको फ्यूचर की technology revolution के लिए खुद को तैयार करना होगा, पूरी सिस्‍टम को तैयार करने की व्यवस्था भी विकसित करनी पड़ेगी। ताकि हम नागरिकों को best services भी दे पाएं और उनकी aspirations को भी पूरा कर सकें। हमें civil servants की क्षमता को बढ़ाना होगा, ताकि हम एक future-ready civil service तैयार कर सकें। और इसलिए Mission कर्मयोगी और Civil Service Capacity Building प्रोग्राम, और जिसका जिक्र अभी किया, मैं इन दोनों को मेरे लिए वो बहुत अहम मानता हूं।

साथियों,

तेजी से बदलते समय में हमें global challenges पर भी गहरी नज़र रखनी है। आप देख रहे हैं, Food, water और energy सिक्योरिटी अब भी बड़ी चुनौती बनी हुई है। विशेष रूप से Global South के लिए ये बहुत बड़ा संकट है। लंबे समय से चल रहे संघर्षों के कारण, कई देशों में हालात और मुश्किल होते जा रहे हैं। इसका असर लोगों पर पड़ता है, रोजमर्रा के जीवन पर पड़ता है। Domestic और external पहलुओं के बीच बढ़ते interconnection को हमें समझते हुए हमें अपने रीति और नीति को बदलना होगा, हमें आगे बढ़ना होगा। क्लाइमेट चेंज हो, प्राकृतिक आपदाएं हों, महामारी हो, साइबर क्राइम के खतरे हों, सभी में एक्शन के लिए भारत को 10 कदम आगे रहना ही होगा। हमें लोकल लेवल पर स्ट्रैटिजी बनानी होगी, रजीलियन्स डेवलपमेंट करनी होगी।

साथियों,

मैंने लाल किले से पंच प्राण की बात कही है। विकसित भारत का संकल्प, गुलामी की मानसिकता से मुक्ति, अपनी विरासत पर गर्व एकता की शक्ति और कर्तव्यों को ईमानदारी से निभाना। आप सभी इन पंच प्राणों के प्रमुख वाहक हैं। “हर बार जब आप integrity को convenience पर, innovation को inertia पर, या service को status पर प्राथमिकता देते हैं, तब आप राष्ट्र को आगे बढ़ाते हैं।” मुझे आप पर पूरा भरोसा है। वो युवा अधिकारी जो अपनी professional journey में कदम रख रहे हैं, आज उन सभी से मैं एक और बात कहूंगा, समाज में कोई भी ऐसा नहीं होता है, जिसके जीवन में, जिसकी सफलता में सोसायटी का, समाज का कुछ न कुछ योगदान न हो। समाज के योगदान के बिना, किसी के लिए भी एक कदम भी आगे बढ़ना मुश्किल होता है। और इसलिए, हर कोई अपने-अपने सामर्थ्य के हिसाब से समाज को लौटाना चाहता है। आप सभी तो बहुत भाग्यशाली हैं, कि आपके पास समाज को लौटाने का इतना बड़ा अवसर आपके पास है। आपको देश ने, समाज ने बहुत बड़ा मौका दिया है कि आप ज्यादा से ज्यादा समाज को लौटाएं।

साथियों,

ये वक्त, civil servants के Reforms को Re-imagine करने का है। हमें Reforms की Pace बढ़ानी है, scale भी बढ़ानी है। इंफ्रास्ट्रक्चर हो, रीन्यूएबल एनर्जी के लक्ष्य हों, इंटरनल सेक्योरिटी हो, करप्शन ख़त्म करने का हमारा लक्ष्य हो, सोशल वेलफेयर स्कीम्स हों, ओलंपिक से जुड़े, स्पोर्ट्स से जुड़े लक्ष्य हों, हर सेक्टर में हमें नए Reforms करने हैं। हमने अब तक जितना achieve किया है, अब उससे भी कई गुना ज्यादा हासिल करके दिखाना है। और इन सबके बीच हम सबको हमेशा-हमेशा एक बात याद रखनी है, No matter how technology-driven the world becomes, we should never forget the importance of human judgement. संवेदनशील रहिए, गरीब की आवाज सुनिए, गरीब की तकलीफ समझिए, उनका समाधान करना अपनी प्राथमिकता बनाइए, जैसे अतिथि देवो भव: होता है, वैसे ही नागरिक देवो भव: इस मंत्र को लेकर के हमें चलना है। आपको सिर्फ भारत के civil servants के रूप में ही नहीं, विकसित भारत के शिल्पकार के रूप में अपने आपको दायित्व के लिए तैयार करना है।

वो एक वक्त था, आप civil servants बनें, civil servants के रूप में आगे बढ़े और आज भी civil servants के रूप में सेवा कर रहे हैं। लेकिन अब वक्त बदल चुका है साथियों, मैं जिस रूप में आने वाले भारत को देख रहा हूं, जिन सपनों को मैं हिन्‍दुस्‍तान के 140 करोड़ देशवासियों की आंखों में देख रहा हूं और इसलिए मैं अब कह रहा हूं कि आप सिर्फ civil servants नहीं हैं, आप नए भारत के शिल्पकार हैं। शिल्पकार का उस दायित्व निभाने के लिए हम स्वयं को सक्षम बनाएं, हम समय को लक्ष्य के लिए समर्पित करें, हर सामान्‍य व्‍यक्ति के सपने को खुद के सपने बनाकर के जिएं, आप देखिए विकसित भारत आपकी आंखों के सामने आप देख पाएंगे। मैं आज ये लेक्चर कर रहा हूं, तब मेरी नजर एक छोटी सी गुड़िया पर गई, वहां बैठी है, हो सकता है वो 2047 में शायद यहां कहीं बैठी होगी। ये सपने हमारे होने चाहिए, विकसित भारत का यही हमारा लक्ष्य होना चाहिए। बहुत-बहुत शुभकामनाएं। बहुत-बहुत धन्यवाद!