QuoteIndia is working to become a $5 trillion economy: PM Modi in Houston #HowdyModi
QuoteBe it the 9/11 or 26/11 attacks, the brainchild is is always found at the same place: PM #HowdyModi
QuoteWith abrogation of Article 370, Jammu, Kashmir and Ladakh have got equal rights as rest of India: PM Modi #HowdyModi
QuoteData is the new gold: PM Modi #HowdyModi
QuoteAnswer to Howdy Modi is 'Everything is fine in India': PM #HowdyModi
QuoteWe are challenging ourselves; we are changing ourselves: PM Modi in Houston #HowdyModi
QuoteWe are aiming high; we are achieving higher: PM Modi #HowdyModi

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প, অনেক ধন্যবাদ, কেমন আছেন বন্ধুরা? আমার সামনে এই যে দৃশ্য, এই পরিবেশ অকল্পনীয়। আর যখনই টেক্সাসের কথা ওঠে, সবকিছুকে বড় করে তোলা, বিশাল করে তোলা টেক্সাসের স্বভাবের মধ্যে রয়েছে। আজ টেক্সাসের এই প্রাণশক্তি এখানেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এই অপার জনসমুদ্রের উপস্থিতি শুধুই সংখ্যা দিয়ে পরিগণনা করা যাবে না, আজ এখানে আমরা একটি নতুন ইতিহাস রচিত হতে দেখছি। আর দেখছি, একটি নতুন রসায়নও।

|

এনআরজি-র ‘এনার্জি’, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ‘সিনার্জি’র সাক্ষী-স্বরূপ। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের এখানে আসা আর আমেরিকার মহান গণতন্ত্রের রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট – ভিন্ন ভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, প্রত্যেকের মুখে ভারতের জন্য প্রশংসা-সূচক বক্তব্য ও শুভেচ্ছা প্রদান, স্টেনি এইচ হোয়ে সিনেটর জন কর্নিন এবং অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিরা ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন, যেভাবে প্রশংসা করেছেন, তা আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সামর্থ্য ও তাঁদের সাফল্যের সম্মান-স্বরূপ। ১৩০ কোটি বা ১.৩ বিলিয়ন ভারতীয়র সম্মান।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও অনেক আমেরিকান বন্ধু আজকের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আমি প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। এই কর্মসূচির আয়োজকদেরও অভিনন্দন জানাই। আমাকে বলা হয়েছে যে, এর জন্যে আরও বিপুল সংখ্যায় মানুষ নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন, কিন্তু স্থানাভাবে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসতে পারেননি। যাঁরা আস্তে পারেননি, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।

দু’দিন আগে হঠাৎ আবহ বদলের পর, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে আমি টেক্সাস প্রশাসনের অনেক অনেক প্রশংসা করবো। তাঁরা সমস্ত সুচারুভাবে সমস্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন। আজ যেভাবে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলছিলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, হাউস্টন শক্তিশালী।

|

বন্ধুগণ, এই কর্মসূচির নাম ‘হাউডি মোদী’ …. ‘মোদী কেমন আছেন?’ কিন্তু, মোদী একা কিছুই নয়। আমি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আদেশে কাজ করতে থাকা একজন সাধারণ মানুষ। আর সেজন্যই যখন আপনারা যখন জিজ্ঞেস করেছেন, ‘মোদী কেমন আছেন?’ তখন আমার মনে হয়, এই প্রশ্নের সঠিক জবাব হ’ল, ভারতে সবাই ভালো আছে ‘সব চাঙ্গা সি’।

বন্ধুগণ, আমাদের আমেরিকাবাসী বন্ধুরা হয়তো অবাক হচ্ছেন যে, আমি কি বলছি? রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমার প্রিয় আমেরিকান বন্ধুগণ, আমি বিভিন্ন ভাষায় এটুকুই বলেছি যে, সবকিছু ভালো আছে। আমাদের লিবারেল এবং ডেমোক্রেটিক সমাজ হয়তো ভালোভাবেই জানে যে, বহু শতাব্দী ধরে আমাদের দেশের হাজার হাজার ভাষা আর হাজার রকম কথার মানুষেরা সহ-অস্তিস্তের ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আর আজও কোটি কোটি মানুষ নিজেদের মাতৃভাষাতেই কথা বলেন। বন্ধুগণ, শুধু ভাষা নয়, আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, অসংখ্য সম্প্রদায়, ভিন্ন ভিন্ন পূজা-পদ্ধতি, হাজার হাজার আঞ্চলিক খাদ্য, নানা পরিধান, বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া ও ঋতুচক্র আমাদের দেশকে অতুলনীয় করে তুলেছে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই হ’ল আমাদের ঐতিহ্য – এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য।

|

ভারতের এই বৈচিত্র্য আমাদের স্পন্দিত গণতন্ত্রের ভিত্তি। এটাই আমাদের শক্তি ও প্রেরণা। আমরা যেখানেই যাই, বৈচিত্র্য ও গণতান্ত্রিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে যাই। আজ এই স্টেডিয়ামে উপবিষ্ট ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতবাসী এই মহান পরম্পরার প্রতিনিধি রূপে এখানেও উপস্থিত। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব ২০১৯ – এর সাধারণ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

সত্যি এটা এমন নির্বাচন ছিল, যা  গোটা বিশ্বে ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তির জয়ধ্বজা উড়িয়েছে। এই নির্বাচনে ৬১ কোটি অর্থাৎ ৬১০ মিলিয়নেরও বেশি ভোটদাতা অংশগ্রহণ করেছেন। আমেরিকার মোট জনসংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। তাঁদের মধ্যে ৮ কোটি বা ৮০ মিলিয়ন তরুণ-তরুণীরা প্রথমবার ভোট দিয়েছেন। ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এবার সর্বাধিক মহিলা ভোটদাতা ভোট দিয়েছেন। আর এবার সর্বাধিক মহিলা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।

|

বন্ধুগণ, ২০১৯ – এর সাধারণ নির্বাচন আরেকটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। ৬০ বছর পর সংখ্যাধিক্যের ভোটে নির্বাচিত কোনও সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করার পর আবারও নির্বাচিত হয়েছে আগের তুলনায় বেশি সংখ্যার শক্তি নিয়ে। এসব কিছু কেন হয়েছে? কার জন্য হয়েছে? একদমই নয়, মোদীর জন্য হয়নি – এসব কিছু ভারতবাসীর ইচ্ছাতেই হয়েছে।

বন্ধুগণ, অপার ধৈর্য্য শক্তি হ’ল ভারতবাসীর অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আমরা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অত্যন্ত অধৈর্য্য, একবিংশ শতাব্দীতে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। আজ ভারতে সর্বাধিক চর্চিত শব্দ হল – উন্নয়ন। আজ ভারতের মন্ত্র হল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আজ ভারতের সবচাইতে বড় নীতি হ’ল – গণঅংশীদারিত্ব। আজ ভারতে সর্বাধিক ধ্বনি হল – সংকল্প সে সিদ্ধি, আর আজ ভারতের সবচাইতে বড় সংকল্প হ’ল – নতুন ভারত।

ভারত আজ নতুন ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কথা হ’ল আমরা অন্যদের সঙ্গে নয়, নিজেদের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নেমেছি। আমরা নিজেদের সামনেই প্রতিস্পর্ধা তুলে ধরছি, নিজেদের বদলে নিচ্ছি।

|

বন্ধুগণ, আজ ভারত আগের তুলনায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে চায়। আজ ভারত কিছু মানুষের এমন ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, যাঁরা ভাবতেন যে, ভারতে কোনও পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়।

বিগত পাঁচ বছরে ১৩০ কোটি ভারতবাসী মিলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে এমন সুফল পেয়েছে, যা আগেই কেউ কল্পনাও করতে পারতেন না। আমরা উঁচু লক্ষ্য স্থির করছি, উচ্চতম লক্ষ্যে পৌঁছচ্ছি।

ভাই ও বোনেরা, বিগত সাত দশকে দেশে গ্রামীণ শৌচালয় ৩৮% শতাংশে পৌঁছেছে। পাঁচ বছরে আমরা ১১ কোটি অর্থাৎ, ১১০ মিলিয়ন থেকেও বেশি শৌচালয় নির্মাণ করেছি। আজ গ্রামীণ শৌচালয় ৯৯% শতাংশে পৌঁছেছে। দেশে ৫৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা সেটা ৯৫ শতাংশে পৌঁছে দিয়েছি। মাত্র পাঁচ বছরে ১৫ কোটিরও বেশি মানুষকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ভারতে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ছিল ৫৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে তা আমরা ৯৭ শতাংশ করে দিয়েছি। মাত্র পাঁচ বছরে আমরা দেশের গ্রামাঞ্চলে ২ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক নির্মাণ করেছি। পাঁচ বছর আগে দেশে ৫০ শতাংশেরও কম মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। আমরা পাঁচ বছরে প্রায় ১০০ শতাংশ পরিবারকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করেছি। পাঁচ বছরে আমরা ৩৭ কোটিরও বেশি মানুষের নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি।

বন্ধুগণ, আজ যখন জনগণকে মৌলিক প্রয়োজনগুলি নিয়ে কম ভাবতে হচ্ছে, তখন তাঁরা বড় বড় স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছেন। আর সেইসব স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করছে।

বন্ধুগণ, আমরা ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’কে যতটা গুরুত্ব দিই, ‘ইজ অফ লিভিং’কেও ততটাই গুরুত্ব দিই। এর মাধ্যম হ’ল ক্ষমতায়ন। যখন দেশে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন হবে, তখনই দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।

আমি আজ আপনাদেরকে উদাহরণ দিচ্ছি। বন্ধুগণ, আজকাল বলা হয় যে, ডেটা-ই হ’ল নতুন জ্বালানি। আপনারা হিউস্টনের বাসিন্দা। আপনারা এই জ্বালানি সম্পর্কে ভালোভাবেই অবহিত। আমি এর সঙ্গে একটি নতুন আখ্যা যোগ করবো – ডেটা-ই হ’ল নতুন সোনা। আর আজ সারা পৃথিবীতে …… একটু ভালো করে শুনুন। আজ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে কম দামে যে দেশে ‘ডেটা’ পাওয়া যায় সেদেশের নাম হ’ল ভারত। আজ ভারতে ১ জিবি ডেটার মূল্য হ’ল মাত্র ২৫ – ৩০ সেন্ট বা ১ ডলারের এক-চতুর্থাংশ। অথচ, সারা পৃথিবীতে ১জিবি ডেটার গড় মূল্য এরচেয়ে ২৫ – ৩৯ গুণ বেশি।

এই সস্তা ডেটা ভারতে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার একটি নতুন পরিচয় তুলে ধরছে। এই সস্তা ডেটা ভারতে প্রশাসনকে পুনর্সংজ্ঞায়িত করেছে। আজ ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির প্রায় ১০ হাজার পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।

বন্ধুগণ, একটা সময় ছিল, যখন পাসপোর্ট তৈরি হতে দুই – তিন মাস লেগে যেত। এখন এক সপ্তাহেরও কম সময়ে পাসপোর্ট বাড়িতে চলে আসে। আগে ভিসা পেতে কত সমস্যা হ’ত তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু আজ আমেরিকাই হ’ল ভারতে ই-ভিসার সবচেয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম।

বন্ধুগণ, একটা সময় ছিল, যখন নতুন কোম্পানি নথিভুক্ত করাতে দুই – তিন সপ্তাহ লেগে যেত। এখন ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নথিভুক্ত হয়।

একটা সময় ছিল যে, কর দাখিল করতে মাথা খারাপ হয়ে যেত। আর প্রদেয় কর বাবদ ফেরতযোগ্য অর্থ পেতে কয়েক মাস লেগে যেত। এক্ষেত্রে এখন কেমন পরিবর্তন এসেছে, তা শুনলে আপনারা চমকে যাবেন। এ বছর ৩১শে আগস্টে এক দিনে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ অনলাইনে কর দাখিল করেছেন। হ্যাঁ, আমি এক দিনের কথাই বলছি। অর্থাৎ, মাত্র এক দিনেই হিউস্টনের জনসংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ কর দাখিল করেছেন। আর এখন প্রদেয় কর বাবদ ফেরতযোগ্য অর্থ ৭ – ১০ দিনের মধ্যেই সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসছে।

ভাই ও বোনেরা, যে কোনও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে সাধারণ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প থাকার প্রয়োজন রয়েছে। দরিদ্র জনগণের জন্য বিভিন্ন ‘ওয়েলফেয়ার স্কিম’ চালু করার পাশাপাশি নতুন ভারত নির্মাণের জন্য বেশ কিছু জিনিসকে ‘ফেয়ারওয়েল’ও জানানো হয়েছে। আমরা ‘ওয়েলফেয়ার’কে যতটা গুরুত্ব দিয়েছি, ‘ফেয়ারওয়েল’কেও ততটাই গুরুত্ব দিচ্ছি।

এই দোসরা অক্টোবর যখন আমরা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী পালন করবো, তার সঙ্গে ভারত উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্মকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানাবে। বিগত পাঁচ বছরে ভারত ১ হাজার ৫০০-রও বেশি পুরনো আইনকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানিয়েছে। দেশে কয়েক ডজন করের জাল ছিল, তা দেশে বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল। আমাদের সরকার এই করের জালকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানিয়ে জিএসটি চালু করেছে।

অনেক বছর পর দেশে ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা দুর্নীতিকেও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। দুর্নীতিকে প্রত্যেক স্তরে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানানোর জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিগত দু-তিন বছরে ভারতে সাড়ে তিন লক্ষ ভুয়ো  কোম্পানিকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানিয়েছি। তেমনই, সারা দেশে সরকারি পরিষেবা গ্রহণকারী ৮ কোটিরও বেশি ভুয়ো নামকে ফেয়ারওয়েল জানিয়েছি। এদের নাম শুধু কাগজে ছিল, আর এদের নামে কোটি কোটি টাকার পরিষেবা বরাদ্দ হ’ত।

বন্ধুগণ, আপনারা কল্পনা করতে পারেন, এই ভুয়ো নামগুলিকে ফেয়ারওয়েল জানিয়ে দেশের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আমরা দেশে একটি স্বচ্ছ বাস্তু ব্যবস্থা গড়ে তুলছি, যাতে উন্নয়নদ্বারা প্রত্যেক ভারতবাসী লাভবান হন। দেশের একজন ভাই কিংবা বোন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকবেন – তা আমরা মেনে নিতে পারবো না।

৭০ বছর ধরে দেশের সামনে আরেকটি বড় সমস্যা ছিল, যাকে আমরা সম্প্রতি ফেয়ারওয়েল জানিয়েছি। আপনারা বুঝে গেছেন, সেটি হ’ল সংবিধানের ৩৭০ ধারা। এর ফলে,  জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের জনগণ উন্নয়ন মূল ধারা থেকে, সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এর ফলে, সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহ প্রদানকারীরা নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছিল।

এখন ভারতের সংবিধান দেশের সমস্ত নাগরিককে যেসব অধিকার দিয়েছে, জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখের মানুষও সেসব অধিকার পাচ্ছেন। সেখানকার মহিলা, শিশু ও দলিতরা বিভিন্ন বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়েছেন।

বন্ধুগণ, আমাদের সংসদে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষে ঘন্টার পর ঘন্টা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা সারা পৃথিবীর মানুষ সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন। এখনও আমাদের রাজ্যসভায় আমাদের দলের সংখ্যাধিক্য নেই। তা সত্ত্বেও লোকসভা ও রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাধিক্যে পাশ হয়েছে। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি যে, ভারতে সমস্ত সংসদ সদস্যদের জন্য স্ট্যান্ডিং ওভেশন জানান। হ্যাঁ, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারত নিজের দেশে যা করছে, তাতে কিছু এমন মানুষের সমস্যা হচ্ছে, যারা নিজের দেশ ঠিকভাবে সামলাতে পারছে না। তারা ভারতের প্রতি ঘৃণাকেই নিজেদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে। তারাই সেই মানুষ, যারা অশান্তি চায়, সন্ত্রাসকে সমর্থন করে, সন্ত্রাসকে লালন-পালন করে। এখন সারা পৃথিবী তাদেরকে খুব ভালোভাবে চেনে। আমেরিকায় ৯/১১ হোক কিংবা মুম্বাইয়ে ২৬/১১ –র ষড়যন্ত্রকারীরা কোথায় রয়েছে?

বন্ধুগণ, এখন সময় এসেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসবাদের উৎসাহ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ফলদায়ক যুদ্ধ লড়তে হবে। আমি এখানে জোর দিয়ে বলতে চাই যে, এই লড়াইয়ে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প পূর্ণ শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। একবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের এই মনোবলকেও আমরা সবাই মিলে স্ট্যান্ডিং ওয়েবশন জানাবো। ধন্যবাদ, ধন্যবাদ বন্ধুগণ।

ভাই ও বোনেরা, ভারতে এখন অনেক কিছু হচ্ছে, অনেক কিছু বদলাচ্ছে, আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেগুলিকে বাস্তবায়নের জেদ নিয়ে আমরা কাজ করছি। দেশের এই ভাবনা নিয়ে কিছুদিন আগে আমি একটি কবিতা লিখেছি, তার দুটি পঙক্তি শোনাচ্ছি। হাতে বেশি সময় নেই, পুরোটা বলবো না –

‘যত সমস্যার পাহাড় রয়েছে,

সেগুলিই আমার উৎসাহের মীনার’।

বন্ধুগণ, আজ ভারত কোনও চ্যালেঞ্জকে সরিয়ে রাখছে না, মোকাবিলা করছে। ভারত আজ সামান্য ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনে বিশ্বাস করে না। যে কোনও সমস্যার পূর্ণ সমাধান চায়। সেজন্য অসম্ভব মনে হওয়া অনেক কিছু ভারত সম্ভব করে দেখাচ্ছে।

বন্ধুগণ, আজ ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিধর দেশ হয়ে ওঠার জন্য কোমর বেঁধেছে। আমরা পরিকাঠামো, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা জন-বান্ধব, উন্নয়ন-বান্ধব এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলেছি। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে চলেছি।

বন্ধুগণ, বিগত পাঁচ বছরে সারা পৃথিবীতে যত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাই থাকুক না কেন, ভারতের উন্নয়নদর গড়ে ৭.৫ শতাংশ বজায় রয়েছে। আর লক্ষ্য রাখবেন, ভারতের পূর্ববর্তী কোনও সরকারের সম্পূর্ণ শাসনকালের গড় উন্নয়ন দর এই উচ্চতায় পৌঁছয়নি। এই প্রথম একসঙ্গে কম মুদ্রাস্ফীতি, কম রাজস্ব ঘাটতি এবং অধিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ গন্তব্যগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। ২০১৪ – ১৯ – এর মধ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, আমরা সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেলের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম-কানুন সরল করেছি।

কয়লা উত্তোলন এবং কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে এখন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ১০০ শতাংশ হতে পারে। গতকাল আমি হাউস্টনের এনআরজি সেন্টারে সিইও-দের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতে কর্পোরেট ট্যাক্স অনেক কম করার সিদ্ধান্তে উৎসাহিত হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি যে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নেতৃত্বের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতকে আরও শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী করে তুলবে।

বন্ধুগণ, ভারতীয়দের জন্য আমেরিকা, আমেরিকায় এবং আমেরিকানদের জন্য ভারত এখন এগিয়ে যাওয়ার অপার সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে। ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির জন্য নতুন ভারতের অভিযান আর রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকার মজবুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এই সম্ভাবনাগুলির ডানায় নতুন পালক জুড়বে।

রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নিজের বক্তব্যে যে অর্থনৈতিক আশ্চর্যগুলির কথা বলেছেন, সেগুলি সব সোনায় সোহাগা হবে। আগামী ২ – ৩ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সঙ্গে আমার নিবিড় আলোচনা হবে। আমি আশা করি, তা থেকেও কিছু ইতিবাচক ফল পাবো। এমনিতে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমাকে ‘টাফ নেগোশিয়েটর’ বলেন। কিন্তু তিনি নিজে দর কষাকষিকে শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারেন আর আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি।

বন্ধুগণ, একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই এগিয়ে চলা এখন আরও ত্বরান্বিত হবে। আপনাদের মতো বন্ধুরা এর গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন। আপনারা নিজের মাটি থেকে এত দূরে রয়েছেন, কিন্তু দেশের সরকার আপনাদের থেকে দূরে নেই।

গত পাঁচ বছরে আমরা প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে বার্তালাপের অর্থ এবং পদ্ধতি বদলে দিয়েছি। এখন বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলি নিছকই সরকারি দপ্তর নয়, সেই দেশগুলিতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিকটতম বন্ধুর ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে কর্মরত বন্ধুদের জন্য, তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মিত কাজ করে চলেছে। ‘মদদ’, ‘ই-মাইগ্রেট’, বিদেশ যাওয়ার আগে ‘প্রি-ডিপার্চার’ প্রশিক্ষণ, প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য বিমা প্রকল্পের সংস্কার, সমস্ত পিআইও কার্ডকে ওসিআই কার্ডের সুবিধা প্রদান, বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় এবং বিদেশগামী দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সরকার ইন্ডিয়ান কম্যুনিটি ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ শক্তিশালী করেছে। বিদেশের অনেক নতুন শহরে প্রবাসী ভারতীয় সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, আজ এই মঞ্চ থেকে যে বার্তা বেরিয়ে এলো, তা একবিংশ শতাব্দীতে অনেক নতুন পরিভাষা ও নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে। আমাদের সম-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের শক্তি রয়েছে। উভয় দেশে নবনির্মাণের সংকল্প রয়েছে, যা আমাদের উভয়কেই অবশ্যই একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

মিঃ প্রেসিডেন্ট, আমি চাই যে, আপনি সপরিবারে ভারতে আসুন এবং আমাদের স্বাগত সংবর্ধনার সুযোগ দিন। আমাদের দু’জনের এই বন্ধুত্ব ভারত ও আমেরিকার যৌথ স্বপ্ন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে নতুন উচ্চতা প্রদান করবে। আমি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প, এখানে উপস্থিত সমস্ত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও বাণিজ্যিক জগতের সমস্ত নামী নেতাদের এখানে আসার জন্য আরেকবার হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। টেক্সাসের সরকার এবং এখানকার স্থানীয় প্রশাসনকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

ধন্যবাদ হাউস্টন, ধন্যবাদ আমেরিকা, আপনাদের ওপর ঈশ্বরের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Modi’s India hits back: How Operation Sindoor is the unveiling of a strategic doctrine

Media Coverage

Modi’s India hits back: How Operation Sindoor is the unveiling of a strategic doctrine
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
From the land of Sindoor Khela, India showcased its strength through Operation Sindoor: PM Modi in Alipurduar, West Bengal
May 29, 2025
QuoteThis is a decisive moment for West Bengal’s young generation. You hold the key to transforming the future of Bengal: PM in Alipurduar
QuoteFrom the land of Sindoor Khela, India showcased its strength through Operation Sindoor: PM Modi in West Bengal
QuoteTMC deliberately deny these benefits to Bengal’s poor, SC/ST/OBC communities, and tribal populations: PM’s strike against the TMC governance
QuoteThe voice of Bengal is loud and clear: Banglar chitkar, lagbe na nirmam shorkar! (Bengal’s cry: We reject a ruthless government!): PM Modi
QuoteA BJP-NDA government would bring development, security, and justice to every citizen: PM Modi’s reassurance in Bengal
QuoteTMC’s brutal governance has led to violence, unemployment, and corruption: PM while addressing Alipurduar

भारत माता की जय! जय जोहार
नॉमोश्कार।
बोरोरा आमार प्रोणाम नेबेन, छोटोरा भालोबाशा !
आप इतनी विशाल संख्या में यहां हमें आशीर्वाद देने आए हैं…मैं हृदय से बंगाल की जनता का अभिनंदन करता हूं। आज एवरेस्ट डे भी है। आज के दिन तेनजिंग नॉर्गे जी ने एवरेस्ट पर अपना परचम लहराया था। उनके सम्मान में हम भी अपना तिरंगा फहराएंगे। और आज ही महान स्वतंत्रता सेनानी रामानंद चटर्जी की जयंती भी है। ये महान संतानें, हमें प्रेरित करती हैं…बड़े संकल्पों की सिद्धि के लिए हौसला देती हैं।

साथियों,
21वीं सदी में भारत नए सामर्थ्य के साथ समृद्धि की नई गाथा लिख रहा है। आज देश का हर नागरिक…भारत को विकसित राष्ट्र बनाने के लिए जुटा है दिन रात जुटा हुआ है। और विकसित भारत बनाने के लिए पश्चिम बंगाल का विकसित होना बहुत ज़रूरी है। इसलिए... पश्चिम बंगाल को भी नई ऊर्जा के साथ जुटना है। बंगाल को फिर उसी भूमिका में आना होगा, जो कभी यहां की पहचान थी। इसके लिए ज़रूरी है कि पश्चिम बंगाल फिर से नॉलेज का...ज्ञान-विज्ञान का केंद्र बने। बंगाल- मेक इन इंडिया का एक बहुत बड़ा सेंटर बने। बंगाल, देश में पोर्ट लेड डवलपमेंट को गति दे। बंगाल अपनी विरासत पर गर्व करते हुए..उसे संरक्षित करते हुए तेज गति से आगे बढ़े।

|

साथियों,
केंद्र की भाजपा सरकार...इसी संकल्प के साथ काम कर रही है। भाजपा, पूर्वोदय की नीति पर चल रही है। बीते दशक में बीजेपी सरकार ने यहां के विकास के लिए हजारों करोड़ का निवेश किया है। अब से कुछ देर पहले यहां सिटी गैस डिस्ट्रीब्यूशन नेटवर्क का शुभारंभ भी हुआ है। केंद्र सरकार के प्रयासों से ही..कल्याणी एम्स बना है। न्यू अलीपुरद्वार और न्यू जलपाईगुड़ी जैसे रेलवे स्टेशनों का पुनर्विकास किया जा रहा है। बंगाल की व्यापारिक गतिविधियों को उत्तर भारत से जोड़ने के लिए.....डेडिकेटेड फ्रेट कॉरिडोर बन रहा है। कोलकाता मेट्रो का अभूतपूर्व विस्तार किया गया है। ऐेसे अनेक प्रोजेक्ट हैं जो भारत सरकार यहां पूरे करवाने का प्रयास कर रही है। भाजपा सरकार ईमानदारी से सबका साथ सबका विकास के मंत्र को लेकर बंगाल की प्रगति के लिए समर्पित है।
क्योंकि-
बांग्लार उदय तबेई,
विकशित भारोतेर जॉय!

साथियों,
ये समय पश्चिम बंगाल के लिए बहुत अहम है। ऐसे में, पश्चिम बंगाल के हर नौजवान पर आप सब पर बहुत बड़ा दायित्व है। आप सबने मिलकर के बंगाल का भविष्य तय करना है। आज पश्चिम बंगाल एक साथ कई संकटों से घिरा हुआ है। एक संकट समाज में फैली हिंसा और अराजकता का है। दूसरा संकट- माताओं-बहनों की असुरक्षा का है, उन पर हो रहे जघन्य अपराधों का है। तीसरा संकट- नौजवानों में फैल रही घोर निराशा का है, बेतहाशा बेरोजगारी का है। चौथा संकट, घनघोर करप्शन का है, यहां के सिस्टम पर लगातार कम होते जन विश्वास का है। और पांचवां संकट, गरीबों का हक छीनने वाली सत्ताधारी पार्टी की स्वार्थी राजनीति का है।

साथियों,
यहां मुर्शीदाबाद में जो कुछ हुआ...मालदा में जो कुछ हुआ… वो यहां की सरकार की निर्ममता का उदाहरण हैं। दंगों में गरीब माताओं-बहनों की जीवनभर की पूंजी राख कर दी गई। तुष्टीकरण के नाम पर गुंडागर्दी को खुली छूट दे दी गई है। जब सरकार चलाने वाले एक पार्टी के लोग, विधायक, कॉर्पोरेटर ही लोगों के घरों को चिन्हित करके जलाते हैं… और पुलिस तमाशा देखती है… तो उस भयावह स्थिति की कल्पना की जा सकती है। मैं बंगाल की भद्र जनता से पूछता हूं...क्या सरकारें ऐसे चलती हैं? ऐई भाबे शोरकार चले की ?

|

साथियों,
बंगाल की जनता पर हो रहे इन अत्याचारों से यहां की निर्मम सरकार को कोई फर्क नहीं पड़ता। यहां बात-बात पर कोर्ट को दखल देना पड़ता है। बिना कोर्ट के बीच में आए, कोई भी मामला सुलझता ही नहीं है। बंगाल की जनता को अब टीएमसी सरकार के सिस्टम पर भरोसा नहीं है। यहां की जनता के पास अब सिर्फ कोर्ट का आसरा ही है। इसलिए पूरा बंगाल कह रहा है---
बंगाल में मची चीख-पुकार...
नहीं चाहिए निर्मम सरकार
बांग्लार चीत्कार
लागबे ना निर्मम शोरकार

साथियों,
भ्रष्टाचार का सबसे बुरा असर नौजवानों पर पड़ता है, गरीब और मिडिल क्लास परिवारों पर होता है। भ्रष्टाचार कैसे चारों तरफ बर्बादी लाता है, ये हमने टीचर भर्ती घोटाले में देखा है। टीएमसी सरकार ने अपने शासनकाल में हज़ारों टीचर्स का फ्यूचर बर्बाद कर दिया है। उनके परिवारों को तबाह कर दिया, उनके बच्चों को असहाय छोड़ दिया। टीएमसी के घोटालेबाज़ों ने सैकड़ों गरीब परिवार के बेटे-बेटियों को अंधकार में धकेल दिया है। ये सिर्फ कुछ हज़ार टीचर्स के भविष्य के साथ खिलवाड़ नहीं है… बल्कि पश्चिम बंगाल के पूरे एजुकेशन सिस्टम को बर्बाद किया जा रहा है। टीचर्स के अभाव में लाखों बच्चों का भविष्य दांव पर है। इतना बड़ा पाप टीएमसी के नेताओं ने किया है। हद तो ये है कि ये लोग आज भी अपनी गलती मानने को तैयार नहीं है। उलटा देश की अदालत को न्यायपालिका को, कोर्ट को दोषी ठहराते हैं।

साथियों,
टीएमसी ने चाय बगान में काम करने वाले साथियों को भी नहीं छोड़ा है। यहां सरकार की कुनीतियों के कारण, टी गार्डन लगातार बंद होते जा रहे हैं...मजदूरों के हाथ से काम निकलता जा रहा है। यहां PF को लेकर जो कुछ भी हुआ है, वो बहुत शर्मनाक है। ये गरीब मेहनतकश लोगों की कमाई पर डाका डाला जा रहा है। TMC सरकार इसके दोषी लोगों को बचाने की कोशिश कर रही है। और मैं बंगाल के भाई-बहन आपको विश्वास दिलाने आया हूं कि भाजपा ये नहीं होने देगी।

साथियों,
राजनीति अपनी जगह पर है...लेकिन गरीब, दलित, पिछड़े, आदिवासी और महिलाओं से TMC क्यों दुश्मनी निकाल रही है? पश्चिम बंगाल के गरीब, SC/ST/OBC के लिए जो भी योजनाएं देश में चल रही हैं... उनमें से बहुत सारी योजनाएं यहां लागू ही नहीं होने दी जा रही है। पूरे देश में करोड़ों लोगों को आयुष्मान योजना के तहत मुफ्त इलाज मिल चुका है। लेकिन मुझे दुख के साथ कहना पड़ रहा है कि इसका फायदा पश्चिम बंगाल के मेरे भाइयो-बहनों को नहीं मिल रहा है। पश्चिम बंगााल का कोई साथी अगर दिल्ली, बेंगलुरू, चेन्नई गया है...उसको वहां मुफ्त इलाज नहीं मिल पाता है। क्योंकि निर्मम सरकार ने बंगाल के अपने लोगों को आयुष्मान कार्ड देने ही नही दिया। आज देशभर में 70 वर्ष से ऊपर के बुजुर्गों को 5 लाख रुपए तक मुफ्त इलाज की सुविधा मिल रही है। मैं तो चाहता हूं कि पश्चिम बंगाल में भी 70 वर्ष से ऊपर के सभी बुजुर्गों को मुफ्त इलाज की सुविधा मिले। लेकिन टीएमसी सरकार ये नहीं करने दे रही है। केंद्र की बीजेपी सरकार, देशभर में गरीब परिवारों को पक्के घर बनाकर दे रही है। लेकिन पश्चिम बंगाल में लाखों परिवारों का घर नहीं बन पा रहा है। क्योंकि टीएमसी के लोग इसमें कट-कमीशन की मांग कर रहे हैं। आखिर TMC सरकार आप लोगों को लेकर इतनी निर्मम क्यों हैं?

|

साथियों,
यहां की निर्मम सरकार के जितने उदाहरण दूं...वो कम हैं। पश्चिम बंगाल में बहुत बड़ी संख्या में हमारे विश्वकर्मा भाई-बहन है। ये लोग हाथ के हुनर से अनेक प्रकार के काम करते हैं। इनके लिए पहली बार भाजपा सरकार विश्वकर्मा योजना लाई है। इसके तहत देश के लाखों लोगों को ट्रेनिंग मिली है, पैसा मिला है, नए टूल मिले हैं, आसान ऋण मिला है। लेकिन पश्चिम बंगाल में 8 लाख एप्लीकेशन अभी लटकी पडी है। निर्मम सरकार उसपर बैठ गई है क्योंकि टीएममसी सरकार इस योजना को भी लागू नहीं कर रही है।

साथियों,
टीएमसी सरकार की मेरे आदिवासी भाई-बहनों से भी दुश्मनी कुछ कम नहीं है। देश में पहली बार जनजातियों में भी सबसे पिछड़ी जनजातियों के लिए पीएम जनमन योजना बनाई गई है। पश्चिम बंगाल में बहुत बड़ा आदिवासी समाज है। TMC सरकार, गरीब आदिवासियों का विकास भी नहीं होने दे रही है। उसने पीएम जनमन योजना को यहां लागू नहीं किया। टीएमसी हमारे आदिवासी समाज को भी वंचित ही रखना चाहती है।

साथियों,
TMC को आदिवासी समाज के सम्मान की परवाह नहीं है। 2022 में जब NDA ने एक आदिवासी महिला को राष्ट्रपति उम्मीदवार बनाया,
तो सबसे पहले विरोध करने वाली पार्टी TMC थी। बंगाल के आदिवासी इलाकों की उपेक्षा भी यही दिखाती है... कि इन्हें आदिवासी समाज से टीएमसी वालों कोई लगाव नहीं है, कोई लेनादेना नहीं है।

साथियों,
कुछ दिन पहले दिल्ली में नीति आयोग की गवर्निंग काउंसिल की बहुत महत्वपूर्ण बैठक हुई। ये एक अहम मंच होता है, जहां देशभर के मुख्यमंत्री मिलकर विकास पर चर्चा करते हैं। लेकिन अफसोस की बात है कि इस बार बंगाल सरकार इस बैठक में मौजूद ही नहीं रही। दूसरे गैर-भाजपा शासित राज्य आए, सभी दल के नेता आए। हमने साथ बैठकर चर्चा की। लेकिन TMC को तो सिर्फ और सिर्फ 24 घंटा पॉलिटिक्स करना है और कुछ करना ही नहीं है। पश्चिम बंगाल का विकास, देश की प्रगति...उनकी प्राथमिकता में है ही नहीं।

|

साथियों,
केंद्र सरकार की जिन योजनाओं को यहां लागू किया भी है, उनको पूरा नहीं किया जा रहा। पीएम ग्राम सड़क योजना के तहत पश्चिम बंगाल के गांवों के लिए 4 हजार किलोमीटर की सड़कें स्वीकृत की गई हैं। इनको पिछले साल तक पूरा हो जाना था। चार हज़ार किलोमीटर तो छोड़िए...यहां चार सौ किलोमीटर सड़कें भी नहीं बन पाई हैं।

साथियों,
इंफ्रास्ट्रक्चर के काम से सुविधाएं भी बनती हैं, और रोजगार भी बनते हैं। लेकिन हालत ये है कि पश्चिम बंगाल में 16 बड़े इंफ्रास्ट्रक्चर प्रोजेक्ट यहां की सरकार ने अटकाए हुए हैं। ये 90 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक के प्रोजेक्ट हैं। कहीं रेल लाइन आनी थी, रुकी पड़ी है कहीं मेट्रो बननी थी रुकी पड़ी है, कहीं हाईवे बनना था, बंद पड़ा है , कहीं अस्पताल बनना था..कोई पूछने वाला नहीं। ऐसे प्रोजेक्ट्स को ये टीएमसी ने लटका कर रखा है। ये पश्चिम बंगाल के आप लोगों के साथ बहुत बड़ा धोखा है।

साथियों,
आज जब सिंदूर खेला की इस धरती पर आया हूं...तो आतंकवाद को लेकर भारत के नए संकल्प की चर्चा स्वभाविक है। 22 अप्रैल को पहलगाम में जम्मू-कश्मीर में आतंकियों ने जो बर्बरता की, उसके बाद पश्चिम बंगाल में भी बहुत गुस्सा था। आपके भीतर जो आक्रोश था...आपका जो गुस्सा था...उसको मैं भलीभांति समझता था। आतंकवादियों ने हमारी बहनों का सिंदूर मिटाने का दुस्साहस किया...हमारी सेना ने उनको सिंदूर की शक्ति का अहसास करा दिया... हमने आतंक के उन ठिकानों को तबाह किया...जिनकी पाकिस्तान ने कल्पना तक नहीं की थी।

साथियों,
आतंक को पालने वाले पाकिस्तान के पास दुनिया को देने के लिए कुछ भी पॉजिटिव नहीं है। जबसे वो अस्तित्व में आया है...तबसे ही उसने सिर्फ आतंक को पाला है। 1947 में बंटवारे के बाद से ही उसने भारत पर आतंकी हमला किया। कुछ सालों के बाद, उसने यहां पड़ोस में...आज के बांग्लादेश में जो आतंक फैलाया...पाकिस्तान की सेनाओं ने जिस प्रकार बांग्लादेश में रेप किए, मर्डर किए....वो कोई भूल नहीं सकता। आतंक और नरसंहार...ये पाकिस्तानी सेना की सबसे बड़ी expertise है। जब सीधा युद्ध लड़ा जाता है, तो उसकी हार तय होती है। उसका पराजय निश्चित होता है, उसको मुंह की खानी पड़ती है। यही कारण है कि – पाकिस्तान की सेना आतंकियों का सहारा लेती है। लेकिन पहलगाम हमले के बाद अब भारत ने दुनिया को बता दिया है...भारत पर अब आतंकी हमला हुआ...तो दुश्मन को उसकी बड़ी कीमत चुकानी पड़ेगी। और पाकिस्तान समझ ले, तीन बार घर में घुसकर मारा है तुमको। हम शक्ति को पूजने वाले लोग हैं...हम महिषासुरमर्दिनी को पूजते हैं... बंगाल टाइगर की इस धरती से ये 140 करोड़ भारतीयों का ऐलान है...ऑपरेशन सिंदूर अभी खत्म नहीं हुआ है।

|

साथियों,
पश्चिम बंगाल को, अब हिंसा की, तुष्टिकरण की, दंगों की, महिला अत्याचार की, घोटालों की राजनीति से मुक्ति चाहिए। अब पश्चिम बंगाल के सामने भाजपा का विकास मॉडल है। आज भाजपा, देश के कई राज्यों में सरकारें चला रही है। देश के लोग बार-बार भाजपा को अवसर दे रहे हैं। पड़ोस में असम हो..त्रिपुरा हो या फिर ओडिशा...यहां भाजपा सरकारें, तेजी से विकास कार्यों में जुटी हैं। मैं बंगाल के सभी भाजपा कार्यकर्ता साथियों से कहूंगा...हमें कमर कसकर तैयार रहना है। हमारे सामने एक बड़ी चुनौती है...कि लोकतंत्र पर पश्चिम बंगाल की जनता के विश्वास को फिर से कैसे बहाल करें। हमें पश्चिम बंगाल के हर परिवार को सुरक्षा की, सुशासन की और समृद्धि की गारंटी देनी है। इसके लिए आने वाले दिनों में अपने प्रयासों को हमें और तेज़ करना होगा।

साथियों,
विकसित भारत बनाने के लिए, पश्चिम बंगाल का तेज़ विकास बहुत ज़रूरी है। हमें पश्चिम बंगाल को उसका पुराना गौरव लौटाना है। ये हम सभी मिलकर करेंगे...और करके रहेंगे।
एक बार फिर आप सभी को इतनी बड़ी संख्या में यहां आने के लिए बहुत-बहुत आभार व्यक्त करता हूं!
मेरे साथ तिरंगा ऊंचा कर के बोलिए...
भारत माता की...

भारत माता की...

भारत माता की...

भारत माता की...

बहुत-बहुत धन्यवाद