Metro will further strengthen the connectivity in Ahmedabad and Surat - what are two major business centres of the country: PM Modi
Rapid expansion of metro network in India in recent years shows the gulf between the work done by our government and the previous ones: PM Modi
Before 2014, only 225 km of metro line were operational while over 450 km became operational in the last six years: PM Modi

নমস্কার!

গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য দেবব্রতজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী ভাই অমিত শাহজি, হরদীপ সিং পুরীজি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানিজি, উপস্থিত গুজরাট সরকারের মন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ, আমার আমেদাবাদ ও সুরাটের প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

 

উত্তরায়ণের শুরুতেই আজ আমেদাবাদ এবং সুরাট অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপহার পাচ্ছে। দেশের দুটি বড় বাণিজ্য কেন্দ্র আমেদাবাদ এবং সুরাটে মেট্রো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। গতকালই কেভাড়িয়ামুখী নতুন রেলপথ এবং অনেক ক'টি নতুন ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। আমেদাবাদ থেকেও আধুনিক জনশতাব্দী এক্সপ্রেস এখন কেভাড়িয়া পর্যন্ত যাবে। এই শুভ সূচনার জন্য আমি গুজরাটের জনগণকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, অভিনন্দন জানাই।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আজ ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হচ্ছে। ১৭ হাজার কোটি টাকা এটা দেখায় যে করোনার এই সঙ্কটকালেও নতুন পরিকাঠামো নির্মাণ নিয়ে দেশের প্রচেষ্টা লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক দিনের মধ্যেই সারা দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমেদাবাদ ও সুরাট, দুটিই গুজরাট তথা ভারতের আত্মনির্ভরতাকে মজবুত করে তুলছে। আমার মনে পড়ে, যখন আমেদাবাদে মেট্রো রেল শুরু হয়েছিল, সেই দিন কত অদ্ভূত দৃশ্য সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ মানুষ কাতারে কাতারে বাড়ির ছাদে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যেকের চেহারায় এত আনন্দের ঝলক ছিল যা হয়তো কেউ কোনদিন ভুলতে পারবে না। আমি এটাও দেখছি যে আমেদাবাদের স্বপ্নগুলি সেখানকার পরিচয়কে কিভাবে নিজেদের মেট্রোর সঙ্গে যুক্ত করে নিয়েছে। আজ থেকে আমেদাবাদ মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। আমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্প এখন মোতেরা স্টেডিয়াম থেকে মহাত্মা মন্দির পর্যন্ত একটি করিডর হবে, আর দ্বিতীয় করিডরের মাধ্যমে জিএনএলইউ এবং গিফট সিটি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে শহরের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

 

বন্ধুগণ,

 

আমেদাবাদের পর গুজরাটের দ্বিতীয় বড় শহর হল সুরাট। এই শহরটি এখন থেকে মেট্রো রেলের মতো আধুনিক সরকারি যানবাহন পরিষেবার ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত হবে। সুরাটে মেট্রো নেটওয়ার্ক এক প্রকার গোটা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করবে। একটি করিডর সরথনাকে ড্রিম সিটির সঙ্গে যুক্ত করবে, আর দ্বিতীয় করিডরটি ভেসনকে সরোলীর লাইনের সঙ্গে যুক্ত করবে। মেট্রোর এই প্রকল্পগুলির সবচাইতে বড় বৈশিষ্ট্য হল এগুলি আগামী বছরগুলির সম্ভাব্য প্রয়োজনের কথা ভেবে তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ, আজ যে বিনিয়োগ হচ্ছে, তা থেকে আমাদের শহরগুলি আগামী অনেক বছর ধরে উন্নত পরিষেবা পাবে।

ভাই ও বোনেরা,

 

পূর্ববর্তী সরকারগুলির যে দৃষ্টিকোণ ছিল, আর আমাদের কাজ করার দৃষ্টিকোণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর সবচাইতে প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল এই মেট্রো রেলের বিস্তার। ২০১৪ সালের আগের ১০-১২ বছরে মাত্র ২০০ কিলোমিটার মেট্রো লাইন চালু ছিল। আর গত ছয় বছরে ৪,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি মেট্রো লাইন চালু হয়েছে। এই সময় দেশের ২৭টি শহরে ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি নতুন মেট্রো নেটওয়ার্কের কাজ চলছে।

 

বন্ধুগণ,

 

একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশে মেট্রো নির্মাণ নিয়ে কোনও আধুনিক ভাবনা ছিল না। দেশের মেট্রো রেল সংক্রান্ত কোনও নীতি ছিল না। ফলস্বরূপ, ভিন্ন ভিন্ন শহরে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের মেট্রো, ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাসম্পন্ন মেট্রো গড়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল শহরের অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে মেট্রোর কোনও সামঞ্জস্য ছিল না। আজ আমরা শহরগুলিতে পরিবহণ ব্যবস্থাকে একটি সংহত ব্যবস্থা রূপে বিকশিত করে তুলছি। অর্থাৎ, বাস-মেট্রো-রেল সব নিজের নিজের মতো করে যাতায়াত করবে না। একটি সামগ্রিক ব্যবস্থা রূপে পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠবে। যেমন এই আমেদাবাদ মেট্রোতেই যে ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ড আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর চালু হয়েছে, সেটি যে কোনও যানবাহনে কাজে লাগবে। ভবিষ্যতে এই ইন্টিগ্রেশন সর্বত্র মানুষের সহায়ক হয়ে উঠতে চলেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের শহরগুলিতে আজ কি প্রয়োজন? আগামী ১০-২০ বছরে কেমন প্রয়োজন হবে? এই দূরদৃষ্টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। যেমন সুরাট আর গান্ধীনগরের দৃষ্টান্তই নিন না। দু'দশক আগে সুরাট নিয়ে কোথাও আলোচনা হলে উন্নয়নের থেকে বেশি করে প্লেগ মহামারী নিয়ে আলোচনা হত। কিন্তু সুরাটবাসীদের চরিত্রে সবাইকে বুকে জড়িয়ে ধরার স্বাভাবিক গুণ রয়েছে। এই চরিত্রই সেখানকার পরিস্থিতিকে বদলাতে শুরু করে দিয়েছে। প্রত্যেক উদ্যোগকে বুকে করে নেওয়ার সুরাটের যে প্রাণশক্তি আমরা সেটির ওপর জোর দিয়েছি। আজ সুরাট জনসংখ্যার নিরিখে একদিকে দেশের অষ্টম বড় শহর। কিন্তু বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বিশ্বের প্রত্যেক ১০টি হীরার মধ্যে নয়টিরই প্রক্রিয়াকরণ সুরাটে হয়। আজ দেশের মোট হাতে তৈরি ফ্যাব্রিকের ৪০ শতাংশ আর হাতে তৈরি ফাইবারের ৩০ শতাংশ উৎপাদন সুরাটে হয়। আজ সুরাট দেশের দ্বিতীয় পরিচ্ছন্নতম শহর।

ভাই ও বোনেরা,

 

এইসব কিছু উন্নত পরিকল্পনা এবং সম্পূর্ণতার ভাবনা নিয়ে কাজ করার ফলে সম্ভব হয়েছে। আগে সুরাটে প্রায় ২০ শতাংশ জনসংখ্যা বস্তিতে বসবাস করত। এখন গরীবদের পাকা বাড়ি করে দেওয়ার ফলে এই হার হ্রাস পেয়ে ৬ শতাংশে এসেছে। শহরকে ভিড় ও যানজটমুক্ত করার জন্য উন্নত ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সহ আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ সুরাটে ১০০টিরও বেশি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ৮০টিরও বেশি বিগত ২০ বছরে তৈরি করা হয়েছে। আরও আটটি সেতুর কাজ চলছে। এভাবে পয়ঃপ্রণালী পরিশোধন প্রকল্পগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ সুরাটে প্রায় এক ডজন পয়ঃপ্রণালী পরিশোধন প্রকল্প কাজ করছে। পয়ঃপ্রণালী পরিশোধনের মাধ্যমেই সুরাট প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করছে। বিগত বছরগুলিতে সুরাটে বেশ কিছু উন্নতমানের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুরাটে 'ইজ অফ লিভিং' উন্নত হয়েছে। আজ আমরা দেখছি যে সুরাট 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর কত প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এখানে আমরা পূর্বাঞ্চল, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত ও দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজের ভাগ্য অন্বেষণে আসা অসংখ্য মানুষকে দেখতে পাই। আমাদের উদ্যমী জনগণ, শিষ্টাচার এবং সমর্পণভাব নিয়ে কাজ করা মানুষজন,  দু'চোখে স্বপ্ন নিয়ে সুরাটের মিনি ভারতে একটি নতুন সংস্কৃতি অঙ্কুরিত হচ্ছে। সকলেই মিলেমিশে সুরাটের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতা প্রদানের জন্য এই মিনি ভারতের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

এভাবে গান্ধীনগর আগে এর পরিচয় কেমন ছিল? এই শহর আগে সরকারি চাকুরিজীবীদের শহর ছিল, অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের শহর ছিল। ঢিলেঢালা, ধীরগতির এমন একটি অঞ্চল হয়ে উঠেছিল যাকে আর শহরই বলা যায় না। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আমরা গান্ধীনগরের সেই চিত্র দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হতে দেখেছি। এখন যেখানেই যান, গান্ধীনগরে আপনারা নবীন প্রজন্মের মানুষদের দেখবেন, যুব সম্প্রদায়কে কাজ করতে দেখবেন, তাঁদের দু'চোখ ভরা স্বপ্ন দেখবেন। আজ গান্ধীনগরের পরিচয় হয়ে উঠেছে – আইআইটি গান্ধীনগর, গুজরাট ন্যাশনাল ল' ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, রক্ষা শক্তি ইউনিভার্সিটি, এনআইএফটি। এছাড়াও পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টিচার এডুকেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন, বাইসেগ – এরকম অসংখ্য অসংখ্য নাম বলতে পারি। এত কম সময়ে ভবিষ্যতে ভারতের ভাগ্য নির্ধারণকারী মানুষদের গড়ে তোলা কাজ গান্ধীনগরের মাটিতে হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেনি, এই প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সাথে বিভিন্ন কোম্পানির ক্যাম্পাসও এখানে আসা শুরু হয়েছে। গান্ধীনগরের যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। এভাবে গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির থাকার ফলে কনফারেন্স ট্যুরিজমও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সারা দেশ থেকে অনেক পেশাদার মানুষ কূটনীতিক, চিন্তাবিদ এবং নেতারা এখানে এসে কনফারেন্স করেন। এর ফলে শহরের একটি নতুন পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। আর এই পরিচিতিই শহরটিকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। আজ গান্ধীনগরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, আধুনিক রেল স্টেশন, গিফট সিটি, অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প, পরিকাঠামোর অনেক আধুনিক প্রকল্প – এইসব কিছু মিলেমিশে গান্ধীনগরকে সজীব করে তুলেছে। এক প্রকার স্বপ্ননীল শহরে পরিণত করেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

গান্ধীনগরের পাশাপাশি, আমেদাবাদেও এ ধরনের অনেক প্রকল্প কার্যকর হয়েছে যা আজ শহরের পরিচিতি বদলাচ্ছে। সবরমতী রিভার ফ্রন্ট থেকে শুরু করে কাঙ্কারিয়া লেক ফ্রন্ট, ওয়াটার এরোড্রোম, বাস র‍্যাপিড ট্র্যানজিট সিস্টেম, মোতেরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম, সরখেজে ছয় লেনবিশিষ্ট গান্ধীনগর হাইওয়ে – এরকম অসংখ্য প্রকল্প বিগত বছরগুলিতে শহরের চিত্র বদলে দিয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে আমেদাবাদের পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখে শহরটিকে আধুনিকতার আবরণ পরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমেদাবাদকে ভারতের প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমেদাবাদের অদূরেই ধোলেরাতে নতুন বিমানবন্দর গড়ে উঠছে। এই বিমানবন্দর থেকে আমেদাবাদের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমেদাবাদ-ধোলেরা মোনোরেল প্রকল্প সম্প্রতি মঞ্জুর করা হয়েছে। এভাবে আমেদাবাদ এবং সুরাটকে দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

 

গুজরাটের শহরগুলির পাশাপাশি গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রেও বিগত বছরগুলিতে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়ক, বিদ্যুৎ সরবরাহ, জল সরবরাহ যেভাবে বিগত দুই দশকে উন্নত হয়েছে তা গুজরাটের উন্নয়ন যাত্রার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজ গুজরাটের প্রতিটি গ্রামে সব মরশুমে চলাচলের উপযোগী রাস্তা রয়েছে। জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির গ্রামে গ্রামেও এই সব মরশুমে চলাচলের উপযোগী রাস্তা পৌঁছে গেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের মধ্যে অধিকাংশই সেই দিনগুলি দেখেছি যখন গুজরাটের গ্রামে গ্রামে ট্রেন এবং ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল পৌঁছতে হত। আজ গুজরাটের প্রতিটি গ্রামে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে গেছে। শুধু তাই নয়, আজ প্রায় ৮০ শতাংশ বাড়িতেও নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে গেছে। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে রাজ্যে ১০ লক্ষ নতুন জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত গুজরাটের প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে যাবে।

 

বন্ধুগণ,

 

শুধু পানীয় জল নয়, সেচের জলের জন্য আজ গুজরাটের সেই অঞ্চলগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যেখানে কখনও সেচের সুবিধা অকল্পনীয় ছিল, স্বপ্নেও কেউ ভাবতেন না। সর্দার সরোবর বাঁধ থেকে শুরু করে সৌওনী পরিকল্পনা, ওয়াটার গ্রিডের নেটওয়ার্ক, গুজরাটের খরাগ্রস্ত এলাকাগুলিকে সবুজ করার জন্য ব্যাপক কাজ করা হয়েছে। মা নর্মদার জল এখন শত শত কিলোমিটার দূরবর্তী কচ্ছ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ক্ষুদ্র সেচের ক্ষেত্রেও গুজরাট এখন দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম হয়ে উঠেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

গুজরাটে এক সময় ভীষণ বিদ্যুতের সঙ্কট ছিল। এই সঙ্কট গ্রামগুলিতে তো ভয়ঙ্কর ছিল। কিন্তু আজ গুজরাটে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুজরাট দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম। কিছুদিন আগেই কচ্ছ-এ বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের প্রকল্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে যেখানে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। আজ কৃষকদের কাছে সর্বোদয় যোজনার মাধ্যমে সেচের জন্য স্বতন্ত্রভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রথম রাজ্য হয়ে উঠেছে গুজরাট। আরোগ্যের ক্ষেত্রে গুজরাট গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে নিরন্তর মজবুত করেছে। বিগত ছয় বছরে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত যে প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে সেগুলি থেকেও গুজরাটের মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে গুজরাটের ২১ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। সুলভে ওষুধ বিক্রি করার জন্য ৫২৫টিরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র আজ গুজরাটে কাজ করছে। এগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। গ্রামের গরীবদের সুলভে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুজরাট দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পিএম আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর মাধ্যমে গুজরাটের গ্রামে গ্রামে ২.৫ লক্ষেরও বেশি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে গুজরাটের গ্রামে গ্রামে ৩৫ লক্ষেরও বেশি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। গুজরাটের গ্রামগুলির উন্নয়নের কাজ কত দ্রুতগতিতে হচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ হল 'ডিজিটাল সেবা সেতু'। এর মাধ্যমে রেশন কার্ড, জমির দলিল, পেনশন স্কিম এবং আরও অনেক ধরনের শংসাপত্র ও সংশ্লিষ্ট অনেক পরিষেবা গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই 'ডিজিটাল সেবা সেতু' গত বছর অক্টোবর মাসেই উদ্বোধন করা হয়েছিল। অর্থাৎ, মাত্র ৪-৫ আগে। আর আমাকে বলা হয়েছে যে অতি শীঘ্রই এই 'ডিজিটাল সেবা সেতু' ৮ হাজার গ্রামে পৌঁছে যাবে। এর মাধ্যমে ৫০-এরও বেশি সরকারি পরিষেবা সরাসরি গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছবে। আমি এই কাজের দ্রুত রূপায়ণের জন্য গুজরাট সরকারের পুরো টিমকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ ভারত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আর সেই সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণের কাজও দ্রুতগতিতে করছে। আজ ভারতে শুধু পরিমানগত দিক থেকেই বেশি কাজ হচ্ছে না, উৎকৃষ্ট কাজও হচ্ছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ মূর্তি ভারতে রয়েছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সুলভ গৃহ নির্মাণ অভিযান ভারতে চলছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ হেলথকেয়ার অ্যাস্যুরেন্স প্রোগ্রামও ভারতে চলছে। ৬ লক্ষ গ্রামকে দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে যুক্ত করার বিরাট কাজও ভারতে হচ্ছে। গত পরশুই করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানও ভারতে শুরু হয়েছে।

 

এখানে গুজরাটে বিগত দিনে দুটি এমন কাজ সম্পন্ন হয়েছে যার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। এই সাফল্য থেকে প্রমাণিত হয়, কিভাবে দ্রুতগতিতে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত করলে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা যায়। প্রথমটি হল ঘোঘা এবং হাজিরার মধ্যে রো-প্যাক্স পরিষেবা, আর দ্বিতীয়টি হল গিরনার রোপওয়ে।

 

বন্ধুগণ,

 

গত বছর নভেম্বর মাসে অর্থাৎ, আজ থেকে চার মাস আগেই ঘোঘা আর হাজিরার মধ্যে রো-প্যাক্স পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাট উভয় এলাকার জনগণের অনেক বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। সেখানকার মানুষ এর দ্বারা অত্যন্ত লাভবান হচ্ছেন। এই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে ঘোঘা আর হাজিরার মধ্যে ৩৭৫ কিলোমিটারেরও বেশি যাত্রাপথ সমুদ্রপথে ৯০ কিলোমিটারে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, যে দূরত্ব যেতে আগে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লাগত এখন ৪ থেকে ৫ ঘন্টাতেই সেই দূরত্ব অতিক্রম করা যাচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের সময় সাশ্রয় হচ্ছে, পেট্রোল-ডিজেলের খরচ বাঁচছে, সড়কপথে যাতায়াত কম হওয়ায় পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রেও অনেক লাভ হচ্ছে। মাত্র দু'মাসে আমাকে যেমন বলা হয়েছে, মাত্র দু'মাসে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পরিষেবা দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। ১৪ হাজারেরও বেশি গাড়ি এই রো-প্যাক্স ফেরির মাধ্যমে পারাপার করেছে। সুরাটের সঙ্গে সৌরাষ্ট্রের এই নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৌরাষ্ট্রের কৃষক ও পশুপালকদের ফল, সব্জি ও দুধ সুরাট পৌঁছনোর পথ সহজ করে দিয়েছে। আগে সড়কপথে ফল, সব্জি ও দুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকত। এখন সমুদ্রপথে কৃষকরা তাঁদের ফসল দ্রুতগতিতে সুরাটের শহরগুলিতে পৌঁছে দিতে পারছেন। তেমনই সুরাটের ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক বন্ধুদের জীবনেক অনেক সহজ করে তুলেছে এই ফেরি পরিষেবা।

 

বন্ধুগণ,

 

এই ফেরি পরিষেবা যে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে তা এখন সেখানকার মানুষকে দেখলে বোঝা যাবে না। সবাই এই যাত্রাপথকে এত দ্রুত আপন করে নিয়েছেন যে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। গত বছর অক্টোবর মাসে গিরনারে যে রোপওয়ে শুরু হয়েছিল, সেটাও তো মাত্র ৪-৫ মাসই হল। আগে গিরনার পর্বত দর্শন করতে হলে ৯ হাজার সিঁড়ি চড়ে যেতে হত। আর কোনও বিকল্প ছিল না। এখন এই রোপওয়ের মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা আরেকটি পরিষেবা পেয়ে গেছেন। ফলে, আগে মন্দিরে যেতে যে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগত, তা এখন তীর্থযাত্রীরা মাত্র কয়েক মিনিটে যেতে পারছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে গত আড়াই মাসে ২ লক্ষ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পরিষেবার সুযোগ নিয়ে তীর্থযাত্রায় গেছেন। আপনারা কল্পনা করতে পারেন মাত্র আড়াই মাসে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ? এ থেকে বোঝা যায় যে এই পরিষেবাটির কত প্রয়োজন ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিশেষ করে বয়স্ক মা-বোনেদের জন্য, অন্যান্য বয়স্কদের জন্যও এই পরিষেবা চালু হওয়ায় তাঁরা আমাদের দু'হাত ভরে আশীর্বাদ দিচ্ছেন। আর সেই আশীর্বাদ থেকে আমরা আরও অনেক কাজ করার শক্তি পাচ্ছি।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

নতুন ভারতের এই লক্ষ্য, জনগণের প্রয়োজনীয়তা বুঝে, জনমানসের আকাঙ্ক্ষা বুঝে দ্রুতগতিতে কাজ করার মাধ্যমেই বাস্তবায়িত করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে আরেকটি প্রচেষ্টা হল, যা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না কিন্তু হওয়া উচিৎ। এই প্রচেষ্টাটি হল কেন্দ্রীয় স্তরে 'প্রগতি' নামক ব্যবস্থা। যখন আমি গুজরাটে ছিলাম, তখন 'স্বাগত' কর্মসূচির অনেক চর্চা হত। কিন্তু আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর 'প্রগতি' নামে যে কর্মসূচি চালু করেছি সেটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প, পরিকাঠামো প্রকল্প রূপায়ণ ত্বরান্বিত করতে এই 'প্রগতি' মঞ্চের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যুক্ত সবাই জানেন, এই 'প্রগতি' বৈঠকগুলিতে আমি স্বয়ং ঘন্টার পর ঘন্টা রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বসে এক একটি প্রকল্প নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করি, আর তাদের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য চেষ্টা করি। 'প্রগতি' বৈঠকে আমি চেষ্টা করি যাতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে অনেক দশক ধরে আটকে থাকা প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করা যায়। বিগত পাঁচ বছরে এই 'প্রগতি'র বৈঠকগুলির মাধ্যমে ১৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই বৈঠকগুলিতে দেশের জন্য জরুরি কিন্তু অনেক বছর ধরে অসম্পূর্ণ হয়ে থাকা প্রকল্পগুলি পুনর্বিবেচনা করার পর সেগুলির যথোচিত সমাধান করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

অনেক বছর ধরে আটকে থাকা ও ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলিকে গতি প্রদান করায় আমাদের সুরাটের মতো শহরগুলির দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্যোগগুলি, বিশেষ করে ক্ষুদ্রশিল্প, যেমন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হওয়ার ফলে যেমন বিশ্বের বড় বাজারে প্রতিযোগিতায় নামতে পারছে, তেমনই তাদের কাছে উন্নত দেশগুলির মতো পরিকাঠামোও রয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে এই ক্ষুদ্র শিল্পগুলির জন্য অনেক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে সঙ্কট থেকে বের করে আনার জন্য একদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা সহজ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যদিকে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে অধিক সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সরকার সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পরিভাষা বদলে দিয়ে তাদের বিনিয়োগের সীমা বাড়িয়েছে। আগে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের শিল্পোদ্যোগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে তেমন সাহস পেতেন না। কিন্তু এখন সরকারের আনুকূল্য থাকায় তাঁরা সেই সাহস পাচ্ছেন। সরকার অনেক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে এই শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য নতুন নতুন পথ খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি নতুন পরিভাষায় উৎপাদন ক্ষেত্র এবং পরিষেবা ক্ষেত্রগুলির মধ্যে বৈষম্য দূর করে দিয়েছে। ফলে পরিষেবা ক্ষেত্রের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তেমনই সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি যেন বেশি সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে এই চেষ্টা করা হয়েছে যাতে আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির খুব উন্নতি হয়, আর সেখানে কর্মরত শ্রমিক বন্ধুরাও উন্নত সুযোগ-সুবিধা পান এবং তাঁদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়।

 

বন্ধুগণ,

 

এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ও বহুমুখী প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে একবিংশ শতাব্দীর যুব সম্প্রদায়, ভারতের অগণিত যুবক-যুবতীদের আকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলি বুনিয়াদি পরিষেবা এবং সুরক্ষার অভাবে বাস্তবায়িত করা কঠিন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই কঠিন বিষয়গুলিকে দূর করতে যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্নগুলিকে সামর্থ্য দিতে সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমেদাবাদ এবং সুরাটের এই মেট্রো প্রকল্পও এই শহর দুটির প্রত্যেক বন্ধুর আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা পূরণ করবে।

 

এই বিশ্বাস নিয়ে গুজরাটের সকল ভাই-বোনেদের বিশেষ করে, আমেদাবাদ ও সুরাটের ভাই-বোনেদের আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।