ইংরাজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভুটানের ড্রুক গ্যালপো মিঃ জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক এবং প্রধানমন্ত্রী মিঃ লোনছেন (ডঃ) লোটে শেরিং, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মিঃ গোটাবায়া রাজাপাকসা এবং প্রধানমন্ত্রী মিঃ মাহিন্দা রাজাপাকসা, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মিঃ ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী শ্রী কে পি শর্মা অলি-র সঙ্গে দূরাভাষিক আলাপচারিতা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন বছর উপলক্ষে এই সমস্ত নেতাদের তাঁর এবং দেশবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ভারতের ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির প্রতি অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন এবং ভারতের সব বন্ধু ও এই অঞ্চলের অংশীদারদের শান্তি, সুরক্ষা, সমৃদ্ধি ও প্রগতি কামনা করেন।
ভুটানের রাজার সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী গত বছর ভারত ও ভুটানের বিশেষ সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যগুলির উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সর্বশেষ ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে দেশের মানুষের যে ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দু’দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এও জানান, ভুটানের রাজার আসন্ন ভারত সফরের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মিঃ গোটাবায়া রাজাপাকসা প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা গ্রহণের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার বিষয়ে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই লক্ষ্যে উভয় নেতা একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মিঃ মাহিন্দা রাজাপাকসার সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসা তাঁর আন্তরিক ইচ্ছার কথা জানান।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে শ্রী মোদী শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং মালদ্বীপের উন্নয়নের প্রয়াসে সে দেশের মানুষের সাফল্য প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপতি সোলিহ-ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করা এবং দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার ওপর দুই রাষ্ট্রনেতাই জোর দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে শ্রী মোদী আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামি লিগের সভাপতি হিসেবে পুনর্নিবাচিত হওয়ায় শ্রীমতী হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলির অকাল প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী শোক ব্যক্ত করেন। ২০১৯ সালে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের অগ্রগতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন যা তাঁর সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলির সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে ভারত-নেপাল সম্পর্কের উন্নয়নে সন্তোষ ব্যক্ত করেন। ভারতের মোতিহারি ও নেপালের আমলেখগঞ্জের মধ্যে পেট্রোপণ্যের পাইপলাইনের কাজ রেকর্ড সময়ে শেষ হওয়া সহ বিভিন্ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময় সম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। উভয় নেতৃবৃন্দ বিরাটনগরে সুসংহত চেক পোস্ট এবং আবাসন পুনর্গঠন প্রকল্প শীঘ্রই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করেন।