আমার প্রিয় দেশবাসী, সাদর নমস্কার!
একদিকে যখন দেশ উৎসবে মেতে রয়েছে, তখন হিন্দুস্থানের কোনো প্রান্ত থেকে হিংসার খবর আসলে দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের দেশ বুদ্ধ এবং গান্ধীর দেশ। দেশের ঐক্যের জন্য
মন-প্রাণ সমর্পণকারী সর্দার প্যাটেলজীর দেশ। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পূর্বসূরীরা যে সর্বজনীন মূল্যবোধকে, অহিংসাকে, সম্প্রীতিকে লালন করে এসেছে, তা আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ – এটা আমরা শৈশব থেকে শুনে আসছি, বলে আসছি। আমি লালকেল্লা থেকেও বলেছিলাম, বিশ্বাসের নামে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। তা সাম্প্রদায়িক বিশ্বাস হতে পারে, রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রতি বিশ্বাস হতে পারে বা কোনো ব্যক্তি কি কোনো পরম্পরার প্রতি বিশ্বাস হতে পারে – কোনো ক্ষেত্রেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। বিশ্বাসের নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোরই নেই। ডা. বাবাসাহেব আম্বেদকর আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির সুবিচার পাওয়ার অধিকার সেখানে সুনিশ্চিৎ করা আছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বাস দিতে চাইছি, আইন হাতে তুলে নেওয়া লোকেদের বিরুদ্ধে, হিংসার পথে যাওয়া যে কাউকেই – ব্যক্তি বা সম্প্রদায় যেই হোক – কাউকেই সরকার বা দেশ বরদাস্ত করবে না। প্রত্যেককেই আইনের কাছে নতজানু হতেই হবে, আইন তার বিচার করবে ও অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের দেশ বৈচিত্র্যে ছেয়ে আছে এবং এই বৈচিত্র্য শুধু খাওয়া-দাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছদ, আচার-ব্যবহারের মধ্যেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের প্রতিটি আচরণের মধ্যেই এই বৈচিত্র্য নজরে আসে। এমনকি আমাদের উৎসবগুলিও বৈচিত্র্যে ভরপুর। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হাজার বছর পুরনো হওয়ায় সাংস্কৃতিক পরম্পরা, সামাজিক রীতি-নীতি, ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাব যে, ৩৬৫ দিনের প্রায় প্রতিটি দিনই আমাদের জীবন উৎসবময়। এছাড়াও, আমাদের প্রতিটি উৎসবই প্রকৃতিনির্ভর। আমাদের অনেক উৎসব সরাসরি কৃষক ও মৎস্যচাষী ভাই-বোনদের সঙ্গে যুক্ত।
আজ আমি উৎসবের কথা বলছি, তাই প্রথমেই আমি আপনাদের ‘মিচ্ছামি দুক্কড়ম’ বলতে চাই। গতকাল জৈন সমাজের ‘সম্বৎসরি’ উৎসব পালিত হয়েছে। জৈন সমাজে ভাদ্র মাসে ‘পর্যুষণ পরব’ পালন করা হয়। এই ‘পর্যুষণ পরব’-এর শেষ দিনে হয় সম্বৎসরি উৎসব, যা সত্যিই এক আশ্চর্য পরম্পরা। সম্বৎসরি উৎসব ক্ষমা, অহিংসা আর মৈত্রীর প্রতিক। আর একে ‘ক্ষমা-বাণী’ উৎসবও বলা হয় এবং এই দিনে একে অপরকে ‘মিচ্ছামি দুক্কড়ম’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর ঐতিহ্য আছে।
তাছাড়া আমাদের শাস্ত্রে আছে ‘ক্ষমা বীরস্য ভূষণম’ অর্থাৎ ক্ষমা বীরের ভূষণ। যাঁরা ক্ষমা করতে পারেন, তাঁরা প্রকৃত বীর। এই চর্চা আমরা বহুদিন ধরে শুনে আসছি এবং মহাত্মা গান্ধী প্রায়ই বলতেন – ক্ষমা করা একমাত্র শক্তিশালী ও বলবান ব্যক্তিরই বৈশিষ্ট্য।
শেক্সপীয়র তাঁর নাটক ‘দ্য মার্চেন্ট অফ ভেনিস’-এ ক্ষমার মহত্বকে বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন – “Mercy is twice blest, It blessath him that gives and him that takes”। অর্থাৎ, যিনি ক্ষমা করছেন এবং যাঁকে ক্ষমা করা হচ্ছে – উভয়েই ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এখন ভারতবর্ষের সর্বত্রই প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে গণেশ চতুর্থী পালন করা হচ্ছে। আর যখন গণেশ চতুর্থীর কথা উঠল তখন সর্বজনীন গণেশোৎসবের প্রসঙ্গ স্বাভাবিকভাবে চলে আসে। বালগঙ্গাধর লোকমান্য তিলক ১২৫ বছর আগে এই প্রথা চালু করেছিলেন। আর ১২৫ ধরে স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই তা স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাছাড়া স্বাধীনতালাভের পর এই উৎসব সমাজ-শিক্ষা, সামাজিক চেতনা বিকাশের এক প্রতীক হিসাবে মর্যাদা পেয়েছে। গণেশ চতুর্থীর এই মহা পরব ১০ দিন ধরে চলে। আর এই মহোৎসবকে ঐক্য, সাম্য আর পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে আমরা জানি। এই উপলক্ষে প্রত্যেক দেশবাসীকে জানাই গণেশোৎসবের অনেক অনেক শুভকামনা।
এখন কেরালায় ‘ওনাম’ উৎসব পালিত হচ্ছে। ভারতের বহুবর্ণের উৎসবের মধ্যে ‘ওনাম’ কেরালার এক প্রধান উৎসব। এই উৎসব নিজের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মহত্বের জন্য বিশিষ্ট। ওনাম উৎসব কেরালার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই উৎসব সমাজে প্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের বার্তা বয়ে আনে। পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের মনে নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনা ও নতুন বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। আর এখন তো এই উৎসবও পর্যটনের আকর্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া আমি তো দেশবাসীকে বলবই যে, গুজরাটের যেমন নবরাত্রি উৎসব বা পশ্চিমবাংলার দুর্গোৎসব – সেভাবেই আজ পর্যটনের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে – এই ওনাম। আমাদের দেশের অন্যান্য উৎসবগুলিতেও বিদেশিদের আকর্ষণ করার প্রচুর সুযোগ রয়ে গেছে। এই ভাবনায় – আমরা আগামী দিনে কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি – আমাদের ভাবতে হবে বৈকি!
উৎসবের এই আনন্দমেলায় ক’দিন পরেই ‘ঈদ-উল-জুহা’ পালিত হবে। সমস্ত দেশবাসীকে জানাই ‘ঈদ-উল-জুহা’র অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভকামনা! এই উৎসব আমাদের কাছে এক ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক তো বটেই, আমাদের ‘New India’-য় উৎসবকে স্বচ্ছতার প্রতীকরূপেও আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের পারিবারিক জীবনে তো উৎসব আর স্বচ্ছতা অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। উৎসবের প্রস্তুতিই শুরু হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্য দিয়ে। একথা নতুন নয়, কিন্তু স্বচ্ছতাকে সামাজিক স্বভাবে পরিণত করা খুব জরুরী। সর্বজনীনরূপে স্বচ্ছতা শুধুমাত্র আমাদের ঘরেই নয়, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি শহরে, আমাদের রাজ্যে, আমাদের দেশে – এই স্বচ্ছতা ও উৎসবকে এক সুতোয় বাঁধতে হবে – যে বন্ধন হবে অটুট।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আধুনিক হয়ে ওঠার পরিভাষা ক্রমশ বদলাচ্ছে। আজকাল এই নতুন dimension, নতুন parameter হয়েছে। আপনি কতটা সংস্কৃতিবান, কতটা আধুনিক, আপনার চিন্তা-চেতনা কতটা আধুনিক তা প্রমাণ করার জন্য আজকের এই নতুন মাপকাঠি হল – আপনার পরিবেশের প্রতি আপনার সচেতনতা। আপনার নিজের দিন যাপনে eco-friendly, environment friendly-র প্রয়োগ আছে কিনা – না কি তার বিপরীত, এটা জানা খুব জরুরী। যদি বিপরীত অবস্থানে থাকেন আপনি – সমাজ আপনাকে খারাপ চোখে দেখবে। আর এর পরিণামস্বরূপ আমরা দেখতে পাই যে এই গনেশোৎসবেও আজ পরিবেশ-বান্ধব গণপতি। আমাদের আজ মানতেই হবে যে এ এক বড় আন্দোলন হয়ে উঠেছে। YouTube-এ আপনারা দেখতে পাবেন, আজকাল বাচ্চারা বাড়িতে মাটি দিয়ে গণেশের মূর্তি তৈরি করছে। কেউ কেউ গণেশকে ভেষজ রঙ দিয়ে রঙ করছেন, কেউ আবার কাগজ কেটে আঠা দিয়ে তাতে লাগাচ্ছে। একটু একটু করে এর প্রয়োগ প্রতিটি পরিবারেই ক্রমশ বাড়ছে। ‘পরিবেশ সচেতনতা’র এই বিশাল কর্মকাণ্ড এই গনেশোৎসবেই দেখার সুযোগ হল, যা আগে কখনোই সম্ভব হয় নি। আমাদের Media House এই eco-friendly গণেশ মূর্তি তৈরির বিষয়ে সচেতন করে তুলছে, উৎসাহিত করছে এবং guide–ও করছে। দেখুন, কত বড় পরিবর্তন এসে গেছে – আর এই পরিবর্তন সত্যিই সুখের। আর যেটা আমি বলছিলাম যে আমাদের দেশ কোটি কোটি মেধাবী মানুষে পূর্ণ। খুব ভালো লাগে, যখন নতুন নতুন আবিষ্কারের কথা জানতে পারি। আমাকে কেউ একজন এমন এক ভদ্রলোকের কথা বলছিলেন, যিনি নিজে একজন ইঞ্জিনীয়র। তিনি বিশেষ ধরনের মাটি সংগ্রহ করে তাঁর সংমিশ্রণ ঘটিয়ে গণেশের এমন মূর্তি বানানোর প্রশিক্ষণ মানুষকে দিয়েছেন, যা ছোটো এক বালতির জলেই বিসর্জিত করা যায় এবং বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে জলের মধ্যে মিশে যায়। এরপরেও তিনি থেমে থাকেন নি, সেই বালতিতে তিনি একটি তুলসী চারাও রোপণ করে দেন।
তিনবছর আগে আমরা যে স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছিলাম, আগামী দোসরা অক্টোবর তার তৃতীয় বর্ষপূর্তি। ইতিমধ্যে তার ইতিবাচক দিকগুলো আমাদের নজরে এসেছে। শৌচালয়ের বিস্তার ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ হয়েছে এবং ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্ত স্থানে শৌচের দুরবস্থা থেকে নিজেদের মুক্ত ঘোষণা করেছে।
বিগত কিছুদিন ধরে গুজরাতের ভয়ংকর বন্যার কথা আমরা শুনছি। অসংখ্য প্রাণহানির খবর তো আছেই, তার ওপর বন্যার জল কমার সঙ্গে সঙ্গে জায়গায় জায়গায় নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার খবরও আসছে। এই রকম একটা সময়ে গুজরাতের বনাসকাঁঠা জেলার ধানেরায় ‘জমীয়ত-উলেমা-এ-হিন্দ’-এর কর্মকর্তারা বন্যা প্রভাবিত ২২টি মন্দির ও ৩টি মসজিদের
সাফ-সাফাই ও পরিচ্ছন্নতার সম্পূর্ণ কাজ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। নিজেরা ঘাম ঝরিয়েছেন এবং সবাই কাজে হাত লাগিয়েছেন।
স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার এমন এক অনুপম উদাহরণ ‘জমীয়ত-উলেমা-এ-হিন্দ’-এর কর্মকর্তারা প্রস্তুত করেছেন যা সবাইকে প্রেরণা দেবে। সমর্পিতভাবে স্বচ্ছতার জন্য করার এই প্রচেষ্টা যদি আমাদের স্বভাবের একটি স্থায়ী অঙ্গ হয়ে যায় তবে আমাদের দেশ কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যেতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আসুন, আবার একবার, দোসরা অক্টোবর ‘গান্ধী জয়ন্তী’র ১৫-২০ দিন আগে থাকতে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’-র প্রচার শুরু করি। যেরকম আগে বলা হত, ‘জল সেবাই প্রভু সেবা’ এবং ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ – ঠিক সেইরকম। পুরো দেশে স্বচ্ছতার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করি। যেরকম সুযোগ পাওয়া যাবে এবং যখনই সুযোগ মিলবে আমরা যেন সুযোগ খুঁজি ও তার সদ্ব্যবহার করি। কিন্তু অংশ নিতে হবে সবাইকে। একে মনে করুন দীপাবলী, নবরাত্রি বা দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। শ্রমদান করুন। ছুটির দিন বা রবিবারগুলোতে একত্রিত হয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। আশেপাশের বস্তি এলাকাগুলিতে যান, কাছেপিঠের গ্রামে যান, একে এক আন্দোলনের রূপ দিন। আমি সমস্ত এন-জি-ও, স্কুল, কলেজ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, সরকারী আমলা, কালেক্টর এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের কাছে আবেদন রাখছি, দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীর পনেরো দিন আগেই এমন এক আবহ তৈরি করি, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করি যাতে গান্ধীজীর স্বপ্নের ভারত বাস্তবায়িত হয়।
পানীয় জল ও স্বচ্ছতা মন্ত্রক, mygov.in-এ একটি বিভাগ তৈরি করেছে যেখানে শৌচালয় তৈরির পর আপনি আপনার নিজের নাম ও সেই পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেন, যাঁদের আপনি এই কাজে সাহায্য করেছেন। আমার সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা ভার্চুয়্যাল দুনিয়ায় এমন কিছু সৃজনশীল প্রচার চালাতে পারেন যা বাস্তবে প্রেরণাদায়ক হতে পারে।
পানীয় জল ও স্বচ্ছতা মন্ত্রক দ্বারা ‘স্বচ্ছ সংকল্প থেকে স্বচ্ছ সিদ্ধি’ অভিযানের অন্তর্গত প্রবন্ধ, স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র এবং ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। আপনারা বিভিন্ন ভাষায় প্রবন্ধ লিখতে পারেন এবং এই প্রতিযোগিতার কোনও নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। আপনারা নিজের মোবাইলে স্বচ্ছতা সংক্রান্ত দুই-তিন মিনিটের চলচ্চিত্র বানিয়ে পাঠাতে পারেন, যা যে কোনও ভাষায় হতে পারে, এমনকী নির্বাকও হতে পারে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে জেলাস্তরে তিনজন এবং রাজ্যস্তরে তিনজনকে সেরা নির্বাচিত করা হবে ও পুরস্কৃত করা হবে। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, স্বচ্ছতা অভিযানে আপনারা এভাবেও অংশ নিতে পারেন।
আমি আরও একবার বলতে চাই, আসুন, এই বছর দোসরা অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীর দিনটিকে আমরা ‘স্বচ্ছ দোসরা অক্টোবর’ হিসেবে পালন করার সংকল্প নিই এবং এর জন্য ১৫-ই সেপ্টেম্বর থেকেই ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ – এই মন্ত্রকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিই। স্বচ্ছতার জন্য কোন না কোন পদক্ষেপ অবশ্যই নিন। নিজে পরিশ্রম করুন, অংশগ্রহণ করুন, তাহলে দেখবেন গান্ধী জয়ন্তীর দিনটি অর্থাৎ দোসরা অক্টোবর কেমন সাফল্যমণ্ডিত হয়ে উঠবে। এই পনের দিনের সাফাই অভিযানের পর, ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ এই মন্ত্র পালনের পর, দোসরা অক্টোবর যখন আমরা গান্ধীজয়ন্তী পালন করব এবং পূজনীয় বাপুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব, তখন আমাদের মন এক নির্মল আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আপনাদের কাছে বিশেষভাবে ঋণ স্বীকার করতে চাই ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, কারণ আপনারা দীর্ঘদিন ধরে ‘মন কি বাত’-এর সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতি কোণ থেকে অসংখ্য মানুষ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চলেছেন। শ্রোতার সংখ্যা কয়েক কোটি এবং লক্ষাধিক মানুষ কখনও চিঠি মাধ্যমে, কখনও message পাঠিয়ে বা ফোনে যোগাযোগ করেন, বার্তা পাঠান যা আমার কাছে এক পরম প্রাপ্তি ও দুর্লভ সম্পদ। দেশের জনগণের ভাবনা ও মনের কথা জানার এটা আমার কাছে একটা বড় সুযোগ। আপনারা যতটা ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের অপেক্ষা করেন, তার চেয়ে বেশি অপেক্ষায় আমি থাকি আপনাদের খবরাখবরের। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি কারণ, আপনাদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি আমার কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলি পরখ করার সুযোগ পাই। আপনাদের ছোটো ছোটো মতামত অনেক পরিকল্পনাকে নতুন ভাবে ভাবতে সাহায্য করে এবং এইজন্যে আপনাদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ঋণস্বীকার করতে চাই।
আমি চেষ্টা করি আপনাদের মতামত যত বেশি সম্ভব নিজেই দেখার, শোনার, পড়ার ও জানার। আমি এমনই এক ফোন কলের কথা এখন বলতে চাই যা শুনে আপনাদের মনে হবে যে এরকম ভুল তো আপনারাও কখনো না কখনো নিশ্চয়ই করেছেন। কিছু কিছু কাজে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠি যে আমাদের মনেই হয় না কাজটা অনুচিত।
“প্রধানমন্ত্রীজী, আমি পুণা থেকে অপর্ণা বলছি। আমি আমার এক বান্ধবীর কথা আপনাকে জানাতে চাই। সে সবসময় লোকেদের সাহায্য করার চেষ্টা করে কিন্তু ওর একটা বদভ্যাস আছে যা দেখে আমি খুব আশ্চর্য হই। আমি একবার কেনাকাটা করতে ওর সঙ্গে মলে গিয়েছিলাম। দেখলাম ও একটা দু-হাজার টাকার শাড়ি কিনল, পিৎজার জন্য ৪৫০ টাকা অনায়াসে খরচ করল। অথচ ‘মল’-এ যাওয়ার জন্য অটোওয়ালার সঙ্গে পাঁচ টাকার জন্য অনেকক্ষণ দরদাম করল। ফেরার পথে সবজি কেনার সময়ও ও একই কাজ করল ও দরদাম করে চার-পাঁচটাকা বাঁচাল। আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমরা বড় বড় দোকানে বিনা বাক্যব্যয়ে অনেক টাকা খরচ করি, কিন্তু আমাদের শ্রমজীবী ভাই-বোনদের সঙ্গে সামান্য কয়টা টাকার জন্য বাগ্বিতণ্ডা করি, তাদের অবিশ্বাস করি! আপনি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করবেন।”
আমার বিশ্বাস, এই ফোনের বিষয়বস্তু শোনার পর আপনারা কেবল সজাগই হননি, এমন ভুল না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আপনার কি মনে হয় না কি আমাদের ঘরের আশেপাশে যখন কেউ জিনিস বিক্রি করতে আসে, ফেরি করতে আসে, কোনো ছোট দোকানদার, সব্জী বিক্রেতার সঙ্গে আমাদের কাজ পড়ে, কখনও অটো-রিকশার সঙ্গে দরকার পড়ে – যখনই কোনো মেহনতী মানুষের সঙ্গে কাজ পড়ে আমাদের, তখনই আমরা দরাদরি করি, দর কষতে লেগে যাই তার সঙ্গে – না এত নয়, দু’ টাকা কম করো, পাঁচ টাকা কম করো। আর আমাদের মত লোকই যখন কোনো বড় রেস্টুরেণ্টে খাবার খেতে যাই তখন বিলে কী লেখা আছে তা দেখিও না, সঙ্গে সঙ্গে টাকা বের করে দিয়ে দিই। শুধু তাই নয়, শোরুমে শাড়ি কিনতে গেলে কোনো দরাদরি করি না, কিন্তু কোনো গরীবের সঙ্গে কাজ পড়লে দরাদরি না করে ছাড়ি না। এতে গরীবের মনে কী হয় তা কখনও ভেবে দেখেছেন আপনি? তার জন্য বিষয়টা দু’টাকা-পাঁচ টাকার নয়। তার হৃদয়ে ব্যথা লাগে যে সে গরীব বলে আপনি তার সততাকে সন্দেহ করলেন। দু’ টাকা, পাঁচ টাকায় আপনার জীবনে কোনো ফারাক পড়বে না কিন্তু আপনার এই সামান্য আচরণ তার মনে কতটা গভীর আঘাত দেয় তা কখনও ভেবে দেখেছেন? ম্যাডাম, আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ, আপনি এমন হৃদয়স্পর্শী ফোন করে এক বার্তা দিলেন আমাকে। আমার বিশ্বাস যে আমার দেশবাসীর মধ্যে গরীবের সঙ্গে এই আচরণের অভ্যাস থাকলে নিশ্চিতভাবে তাঁরা তা ত্যাগ করবেন।
আমার প্রিয় তরুণ বন্ধুরা, ২৯শে অগাস্ট তারিখটা পুরো দেশ ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ হিসাবে উদযাপন করে। এই দিনটি মহান হকি খেলোয়াড় এবং হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদজীর জন্মদিন। হকিতে ওঁর অবদান অতুলনীয়। আমি এই ব্যাপারটাকে এই কারণে স্মরণ করছি কারণ আমি চাই যে আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত হোক। খেলাধুলো আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠুক। যদি আমরা বিশ্বের ‘তরুণ রাষ্ট্র’ হই তবে খেলার মাঠেও এই তারুণ্য নজরে পড়া উচিত। খেলাধুলো মানে ফিজিক্যাল ফিটনেস, মেন্টাল অ্যালার্টনেস, পার্সোনালিটি এনহ্যান্সমেন্ট। এর থেকে বেশি আর কি চাই? একদিক থেকে খেলাধুলো হৃদয়ের মেলবন্ধন ঘটানোর এক দারুণ দাওয়াই। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম খেলার জগতে এগিয়ে আসুক আর আজ কম্প্যুটারের যুগে আমি এ ব্যাপারেও সচেতন করতে চাইব যে প্লেয়িং ফিল্ড, প্লে-স্টেশনের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কম্প্যুটারে ফিফা খেলুন কিন্তু বাইরে ময়দানেও তো কখনও ফুটবলের সঙ্গে কসরৎ করে দেখান। কম্প্যুটারে হয়ত ক্রিকেট খেলেন, কিন্তু খোলা ময়দানে আকাশের নীচে ক্রিকেট খেলার আনন্দই আলাদা। একটা সময় ছিল যখন পরিবারের ছোটরা বাইরে গেলে মা সবার আগে জিজ্ঞাসা করতেন যে তুমি কখন ফিরবে? আজ অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বাচ্চারা ঘরে ফিরেই এক কোণে হয় কার্টুন ফিল্ম দেখতে শুরু করে আর নয়ত মোবাইল গেমে মশগুল হয়ে যায় আর তখন মা-কে চীৎকার করে বলতে হয় – তুই কখন বাইরে যাবি! সময় পালটে যায়, সে এক যুগ ছিল যখন মা ছেলেকে বলত কি তুই কখন আসবি আর আজ এমন অবস্থা হয়েছে যে মা-কে বলতে হয়, বাবা, তুই কখন বাইরে যাবি?
তরুণ বন্ধুরা, ক্রীড়া মন্ত্রক খেলাধুলোয় প্রতিভার খোঁজ করতে আর তার বিকাশের লক্ষ্যে একটা ‘স্পোর্টস ট্যালেন্ট সার্চ’ পোর্টাল বানিয়েছে যেখানে গোটা দেশ থেকে যে কোনো বাচ্চা, যে খেলাধুলোর ক্ষেত্রে কিছু কৃতিত্ব অর্জন করেছে, তার মধ্যে ট্যালেন্ট আছে – সে এই পোর্টালে নিজের বায়োডাটা বা ভিডিও আপলোড করতে পারে। সিলেক্টেড এমার্জিং প্লেয়ার্সদের ক্রীড়া মন্ত্রক ট্রেনিং দেবে আর মন্ত্রক আগামীকাল-ই এটাকে লঞ্চ করতে চলেছে। আমাদের তরুণদের জন্য খুশির খবর যে ৬ থেকে ২৮শে অক্টোবর ভারতে ফিফা আণ্ডার সেভেনটিন ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজিত হতে চলেছে। দুনিয়ার চব্বিশটি টিম ভারতকে নিজেদের ঘর বানাতে চলেছে। আসুন, বিশ্ব থেকে আসা আমাদের তরুণ অতিথিদের খেলার উৎসবের সঙ্গেই স্বাগত জানাই, খেলা এনজয় করি, দেশে এক উপযুক্ত পরিবেশ বানাই। যখন আজ আমি খেলার কথা বলছি তখন মনে পড়ে যাচ্ছে গত সপ্তাহের এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। দেশবাসীদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই সেটা। খুব কম বয়সের কিছু মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয় আমার আর তাদের মধ্যে কয়েকজনের তো হিমালয়ের কোলে জন্ম হয়েছে। সমুদ্রের সঙ্গে যাঁদের কোনোদিনই সংযোগ ছিল না। আমাদের দেশের এমন ছয় কন্যা যাঁরা নেভিতে কাজ করে – তাঁদের আবেগ, তাঁদের উৎসাহ আমাদের সবাইকে প্রেরণা দেবে। এই ছয় কন্যা, একটা ছোট নৌকো নিয়ে – ‘আই-এন-এস তারিণী’, সেটা নিয়ে সমুদ্র পার করতে বেরোবে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাবিকা সাগর পরিক্রমা’, আর ওঁরা গোটা বিশ্বের ভ্রমণ সেরে অনেক মাসের পর – বেশ কয়েক মাস পরে ভারতে পৌঁছবে। কখনও একটানা চল্লিশ দিন জলেই থাকবে। কখনও একসঙ্গে তিরিশ দিন জলে কাটাবে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মাঝে আমাদের এই সাহসী ছয় কন্যা, আর এটা বিশ্বের এমন প্রথম ঘটনা। কোন্ ভারতবাসী আছেন যিনি গর্বিত হবেন না আমাদের এই কন্যাদের নিয়ে! আমি এই মেয়েদের অনুভবকে সেলাম জানাই, আর আমি ওঁদের বলেছি যে গোটা দেশের সঙ্গে নিজেদের ভাবনা ভাগ করে নিতে। আমিও ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ ওঁদের ভাবনার জন্য একটা আলাদা ব্যবস্থা করব যাতে আপনারা সেগুলো পড়তে পারেন। কারণ, এটা এক দিক থেকে সাহসের আখ্যান, নিজেদের ভাবনার কথা হবে সেটা, আর আমার আনন্দ হবে এই মেয়েদের কথা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে। এই কন্যাদের প্রতি আমার অনেক-অনেক শুভেচ্ছা, ঢের-ঢের আশীর্বাদ।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ৫ই সেপ্টেম্বর আমরা সবাই ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করি। আমাদের দেশের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাধাকৃষ্ণণ-জীর জন্মদিন। উনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন কিন্তু গোটা জীবন ধরে নিজেকে একজন শিক্ষক হিসাবেই তৈরি করেছিলেন। উনি সবসময় শিক্ষক হিসাবে বাঁচতেই পছন্দ করতেন। তিনি শিক্ষার প্রতি সমর্পিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিদ্বান, রাজনীতিক, ভারতের রাষ্ট্রপতি, কিন্তু সর্বোপরি একজন শিক্ষক। তাঁকে আমার প্রণাম জানাই। মহান বৈজ্ঞানিক অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘... it is the supreme art of the teacher to awaken joy in creative expression and knowledge’। একজন শিক্ষকের মহত্ত্বম গুণ তাঁর ছাত্রদের মধ্যে সৃজনের মানসিকতা জাগানো এবং জ্ঞানার্জনের আনন্দ দান। আমরা এবার সবাই মিলে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করবো। কি, আমরা সবাই মিলে এই সংকল্প নিতে পারবো? এক mission mode–এ একটা অভিযান শুরু করতে পারি? ‘Teach to Transform, Educate to Empower, Learn to Lead’ এই শপথ নিয়ে, এই অঙ্গীকারে আমরা এগোতে পারি। প্রত্যেকেই পাঁচ বছরের জন্য একটা সংকল্প নিন, সেই সংকল্প সিদ্ধ করতে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা বানান, পাঁচ বছর ধরে পরিশ্রম করুন এবং জীবনে সাফল্যের স্বাদ পেতে পারেন – এমন এক ভাবনা আমাদের স্কুল, আমাদের কলেজ, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিতে পারে। আমাদের দেশে যখন transformation-এর কথা আসবে, ঠিক যেভাবে পরিবারের মায়ের কথা মনে আসে একইরকম ভাবে সমাজে শিক্ষকের ভূমিকার কথা মনে পড়বে। Transformation-এ শিক্ষকদের বিশাল ভূমিকা থাকে। প্রত্যেক শিক্ষকের জীবনে কোনো না কোনো ছাত্রের transformation কারিগর হওয়ার ঘটনা রয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে প্রয়াস করি। দেশের Transformation–এ তা অনেক বড় ভূমিকা নেবে। আসুন, ‘Teach to Transform’-এই মন্ত্র নিয়ে আমরা এগিয়ে চলি।
“প্রণাম প্রধানমন্ত্রীজী! আমার নাম ডাক্তার অনন্যা অবস্থি। আমি মুম্বইয়ের বাসিন্দা এবং হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির India Research Centre-এর সঙ্গে যুক্ত। গবেষক হিসেবে আর্থিক সংযোজনায় আমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। অর্থাৎ, Financial inclusion-এর মত social scheme–গুলোর বিষয়ে আমি আগ্রহী। আমার প্রশ্ন, ২০১৪ সালে যে ‘জন ধন যোজনা’ চালু করা হয়েছিল, পরিসংখ্যান কি বলছে, তার তিনবছর পরে ভারতবর্ষ আর্থিক দিক থেকে বেশি সুরক্ষিত হয়েছে? এই অধিক সশক্তিকরণের উপকার আমাদের মহিলারা, কৃষকরা, শ্রমিকরা পেয়েছেন কি? গ্রাম থেকে সর্বত্র তার প্রভাব পড়েছে? ধন্যবাদ!
আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’, Financial inclusion শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালের ২৮শে আগষ্ট একটা স্বপ্ন নিয়ে এই যোজনা শুরু হয়েছিল। কাল, ২৮শে আগষ্ট ‘প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা’র তিন বছর পূর্ণ হবে। ৩০ কোটি ভারতবাসী এই যোজনায় অংশগ্রহণ করে তাঁদের প্রথম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট খুলেছেন। বিশ্বের বহু দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি এই নতুন অ্যাকাউণ্টধারী নাগরিকের সংখ্যা। আজ আমার এক বড় সাফল্য মনে হয় যে, সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির গরীব ভাইয়েরা দেশের অর্থনীতির মূলস্রোতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন, এঁদের অভ্যাস বদলাতে শুরু করেছেন, নিজেদের অর্থের সুরক্ষা করতে শিখেছেন, ব্যাঙ্কে যাতায়াত করা শুরু করেছেন, সঞ্চয়ী মনোভাব হয়েছে। ঘরে বা পকেটে টাকা থাকলে বাজে খরচের দিকে মন যায়। এখন সংযম করতে শিখে তাঁরা ভাবছেন সঞ্চিত অর্থ ভবিষ্যতে তাঁদের সন্তানের কাছে আসবে। আগামী দিনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সে টাকা লাগতে পারে। শুধু তাই নয়, যখন দরিদ্র মানুষের কাছে Rupay Card থাকছে, তাঁর মনে হচ্ছে ধনী লোকেদের পকেটে যেমন Credit Card থাকে, আমার কাছে Rupay Card রয়েছে। এভাবে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’য় আমাদের দেশের গরীব মানুষেরা প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা জমা করেছেন। আবার ‘প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা’য় যাঁরা অ্যাকাউণ্ট খুলেছেন, ইন্সিওরেন্সের সুবিধাও পেয়েছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা’, ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা’ যথাক্রমে মাত্র একটাকা ও তিন টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে আজ ঐ গরীব মানুষের জীবনে নতুন আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। বহু পরিবারে এই গরীব মানুষ যখন সংকটে পড়েছে – পরিবারের প্রধানের মৃত্যু হয়েছে, ঐ একটা প্রিমিয়ামের সুফল দু’লাখ টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’, ‘স্টার্ট আপ যোজনা’, ‘স্ট্যাণ্ড আপ যোজনা’ – দলিত হোক কি আদিবাসী, মহিলা, সদ্য কলেজপাশ তরুণ-তরুণীরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পাওয়া কোটি কোটি যুবক-যুবতী বিনা গ্যারাণ্টিতে ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’য় অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন এবং শুধু নিজে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তা নয়, অনেকেই আরও দু-একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। কিছুদিন আগে ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ‘জনধন যোজনা’, ‘Rupay Card’, ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’, ইন্সিওরেন্সের জন্য সাধারণ মানুষের কতটা উপকার হয়েছে তার অনেক উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল আমাকে জানিয়েছেন। আজ এই নিয়ে বিস্তারিত বলার সময় নেই, তবে ব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের আমি বলব, এসব তথ্য mygov.in–এ আপলোড করে দিতে। সাধারণ মানুষ পড়তে পারবে, কোন যোজনা কত মানুষের জীবনে কতটা transformation ঘটিয়েছে, তার পরিসংখ্যান পেয়ে অনুপ্রাণিত হবেন। কীভাবে নতুন উদ্যম এসেছে, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠেছে তার শত উদাহরণ আমাদের সামনে এসেছে। আপনাদের কাছে আমি এইসব তথ্য পৌঁছনোর চেষ্টা করব এবং তেমন উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনা মিডিয়াও প্রচার করতে পারে। তারাও সফল ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের জানাই, ‘মিচ্ছামী দুক্কড়ম’! অনেক অনেক ধন্যবাদ!
On one hand we await our festivals but on the other hand, when we hear about instances of violence, it is natural to be worried: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
India is the land of Mahatma Gandhi and Lord Buddha. Violence is not acceptable in the nation, in any form: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Those who take the law in their hands or take to violence will not be spared, whoever they are: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
While talking about festivals, I want to say- Micchami Dukkadam. This is about values of forgiveness and compassion: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
India, a land of diversity. #MannKiBaat pic.twitter.com/x0J1EBbaQh
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Our festivals are linked with nature and welfare of farmers. #MannKiBaat pic.twitter.com/JGnxQ6HTyu
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Let us make our festivals as much about cleanliness. #MannKiBaat pic.twitter.com/0kkrWba9Km
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
PM @narendramodi conveys Onam greetings during #MannKiBaat. pic.twitter.com/EmyfKW96qH
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
I am happy that festivals like Ganesh Utsav are being celebrated with a concern for the environment: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
'Swachhata Hi Seva'- let us create a mass movement around this in the run up to Gandhi Jayanti & give renewed focus to cleanliness: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Join the movement towards a clean India. #MannKiBaat pic.twitter.com/MAQdLSj0Ga
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
It is important to trust our citizens. We have to trust the poor of India: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
PM @narendramodi greets sports enthusiasts on National Sports Day and calls for increased participation in sporting activities. #MannKiBaat pic.twitter.com/6xjsYdZttf
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Playing field over play stations...play on the computer but go out and play first. pic.twitter.com/NxZkIgJ7yM
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
India welcomes all teams coming here for the FIFA U-17 World Cup: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Was very proud to meet the team that is sailing across the world on INSV Tarini. Share your good wishes to them on the NM App: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
A pledge on Teachers Day. #MannKiBaat pic.twitter.com/lKdbETcgtX
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Teachers have a big role in transforming people's lives. #MannKiBaat pic.twitter.com/q5VKxKs58k
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
PM @narendramodi speaks on the exemplary success of the Government's financial inclusion initiatives. pic.twitter.com/vjOB0IOxpm
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017
Helping citizens in times of need. #MannKiBaat pic.twitter.com/gyxfFWNEAY
— PMO India (@PMOIndia) August 27, 2017