মহামান্য রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো
বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ,
সংবাদমাধ্যমের সদস্যগণ, সেলামত সিয়াং
নমস্কার!
এই মহান এবং সুন্দর দেশে আমার এটা প্রথম সফর। আমি সবার আগে এই সফরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা এবং উষ্ণ অতিথিপরায়ণতার জন্য রাষ্ট্রপতি উইডোডোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ইন্দোনেশিয়ার বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ জাতীয় পোশাকে সাধারণ মানুষ এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আমাকে যে স্বাগত জানিয়েছে তা বিশেষভাবে আমার মন ছুঁয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের দূরদর্শিতার জন্য,তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য এবং আমাদের অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করার লক্ষ্যে তাঁর ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার বিষয়টিতে আমার মনে গভীর শ্রদ্ধা-ভালবাসা আছে।
বন্ধুগণ,
সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ইন্দোনেশিয়ার নির্দোষ মানুষদের মৃত্যু আমাকে গভীর দুঃখ দিয়েছে। ভারত এ ধরনের হামলার কড়া ভাষায় নিন্দা জানায়। এমন কঠিন সময়ে ভারত ইন্দোনেশিয়ার পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এরকম আতঙ্ক তৈরী করার মত ঘটনা এই বার্তাই দিচ্ছে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমবেতভাবে লড়াইয়ের যে প্রয়াস চলছে একে আরও দ্রুত এবং শক্তিশালী করা জরুরি।
বন্ধুগণ,
ইন্দোনেশিয়ার যে পঞ্চশীল দর্শন,ইন্দোনেশিয়ার মানুষের বিবেক এবং দূরদর্শিতা সমৃদ্ধ জীবনই এর প্রমাণ। এতে ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অবাধ মেলবন্ধন ঘটেছে। সামুদ্রিক পড়শী এবং সামরিক অংশীদার হিসেবে আমাদের চিন্তাভাবনা প্রায় একরকম। সমুদ্র পথের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। তা আমাদের আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থেও জরুরি। আজকের পরিবর্তনশীল ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ ভৌগোলিক কৌশলগত অবস্থান রয়েছে। আমরা একইধরণের বিকাশ ও পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে একে অপরের প্রগতি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের পক্ষেও জরুরি। আর এজন্যই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রের জন্য একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম্মতি পাওয়া গেছে।
বন্ধুগণ,
ভারতের পূর্বে সক্রিয়তা নীতি-অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির সঙ্গে ‘সাগর’–এই অঞ্চলের সবার নিরাপত্তা এবং বিকাশপ্রসঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি উইডোডোর ম্যারিটাইম ফুলক্রাম পলিসি-র অনেক মিল রয়েছে। ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি উইডোডোর ভারত সফরের সময় আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরী করেছিলাম। আজকে আমাদের আলোচনায় এর বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। আজ আমাদের মধ্যে হওয়া সমঝোতার মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার সুবিধে হবে। আমি খুশি যে, আমাদের সহযোগিতার বিষয়কে সম্প্রসারিত কৌশলগত অংশিদারিত্ব(কম্প্রিহেনসিভ স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ) হিসেবে মানোন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ২০২৫ এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে ৫০বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে নিজেদের প্রয়াসকে দ্বিগুণ করব। আর এই প্রয়াসে (সিইও ফোরাম)মুখ্য কার্যনির্বাহীদের মঞ্চের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বন্ধুগণ,
ভারত-আসিয়ান অংশীদারিত্ব এমন এক শক্তি, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্র তো বটেই, এর চেয়েও বিস্তৃত পরিসরে শান্তি ও সমবেত অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আসিয়ানে ইন্দোনেশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। একইসঙ্গে ব্যাপক আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতির জন্য এই সংস্থার প্রয়াসকে উদাহরণ এবং প্রেরণার বিষয় বলেও দেখি। আমি আসিয়ানে ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার সার্বিক সমর্থনের জন্য রাষ্ট্রপতি উইডোডোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আগস্টে ১৮তম এশীয় ক্রীড়ার আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সেটা নিঃসন্দেহে এক আকর্ষণীয়, সফল এবং ঐতিহাসিক আয়োজন হয়ে উঠবে। আর রমজানের এই পবিত্র মাসে ভারতের ১২৫ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে ইন্দোনেশিয়ার সমস্ত মানুষের সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করছি। একইসঙ্গে আগামী ঈদ-উল-ফিতর উৎসবের জন্যও সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
তারিমা কাসি বন্যাক!
PM @narendramodi in his press remarks: सामुद्रिक पड़ोसियों एवं सामरिक साझेदारों के रूप में हमारी चिन्ताएं एक जैसी हैं। सामुद्रिक मार्गों की सुरक्षा एवं संरक्षा सुनिश्चित करना हमारा कर्तव्य है। यह हमारे आर्थिक हितों की रक्षा के लिए भी आवश्यक है। Link at https://t.co/M5SB6j3jkq pic.twitter.com/ZTc3f9RfWo
— Raveesh Kumar (@MEAIndia) May 30, 2018