সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পরিণাম প্রকাশের পর এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক নতুন উদ্যোগের অনুমতি পাওয়া গেছে। যার ফলে, পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত কোটি কোটি ব্যক্তি উপকৃত হবেন এবং গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।
মন্ত্রিসভা গবাদিপশুর মুখ ও খুরে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার ফলে পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন লাভবান হবেন। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হ’ল – আগামী পাঁচ বছরে দেশে গবাদি পশুর মুখ ও খুরে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগব্যাধি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। একই সঙ্গে, পর্যায়ক্রমে এ ধরণের অসুখ নির্মূল করা। কর্মসূচি রূপায়ণে ১৩ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, গরু, বলদ, মহিষ, ভেড়া, ছাগল, শুকর প্রভৃতি গবাদিপশুর মধ্যে মুখ ও খুরে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রায়শই দেখা যায়। যদি কোনও গরু বা মহিষ এ ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়, তা হলে প্রদেয় দুধের পরিমাণ ৪ – ৬ মাস পর্যন্ত ১০০ শতাংশ হ্রাস পায়। এমনকি, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের ফলে পশুর জীবৎকালে প্রদেয় দুগ্ধের পরিমাণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এছাড়াও, গবাদিপশুর গর্ভধারণ ক্ষমতাতেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত এই রোগের ফলে গবাদি পশুর দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে পারেন। সর্বোপরি এ ধরণের অসুখ গবাদিপশুর দুগ্ধ উৎপাদন এবং অন্যান্য পশুজাত পণ্যের ক্ষেত্রেও সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে গবাদি পশু পালনের সঙ্গে যুক্ত দেশের কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। গবাদিপশুর এ ধরণের রোগ নিয়ন্ত্রণে যে কর্মসূচিটি চালু ছিল, তার খরচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি ভাগাভাগি করে নিত। এবার থেকে এই কর্মসূচি রূপায়ণের সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে বলেই স্থির হয়েছে।