আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ দীপাবলির শুভদিন। আপনাদের সবাইকে দীপাবলির অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমাদের এখানে বলা হয়েছে –
শুভম্ করোতি কল্যাণং আরোগ্যং ধনসম্পদাম।
শত্রুবুদ্ধিবিনাশায় দীপজ্যোতির্নমোস্তুতে।
কত সুন্দর বার্তা । এই শ্লোকে বলা হয়েছে – আলো জীবনে সুখ, সুস্বাস্থ্য আর সমৃদ্ধি নিয়ে আসে, যা বিপরীত বুদ্ধির বিনাশ করে সদ্বুদ্ধি নিয়ে আসে।এরকম দিব্যজ্যোতিকে আমার প্রণাম। দীপাবলিকে মনে রাখার জন্য এর থেকে আরভালো চিন্তাধারা কি হতে পারে, এই আলোকে আমরা ছড়িয়ে দিই, ‘পজিটিভিটি’র বৃদ্ধি হোক এবং শত্রুতার ভাবনাকে বিনষ্ট করার প্রার্থনা করি। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীপাবলি উদযাপিত হয়। বিশেষ করে এই উৎসবে কেবল ভারতীয়রাই সামিল হন এটা নয়, অনেক দেশের সরকার, ঐ দেশের নাগরিক, সামাজিক সংগঠন দীপাবলি উৎসবকে হর্ষ উল্লাসের সঙ্গে পালন করে। একরকমের ভারত সেখানে তৈরি হয়ে যায়।
বন্ধুগণ, পৃথিবীতে উতসব পর্যটনের একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। আমাদের ভারত হলো উতসবের দেশ, এখানে উতসব পর্যটনের বিশাল সুযোগ রয়েছে। আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ যে হোলী হোক, দীপাবলি হোক, ওণম হোক, পোঙ্গল হোক, বিহু হোক, এই সমস্ত উৎসবের প্রচার করি আর এই খুশীতে অন্য রাজ্যের, অন্য দেশের লোকেদেরও সামিল করি। আমাদের এখানে প্রতি রাজ্যে, প্রতি অঞ্চলে এত রকমের বিভিন্ন উৎসব আছে – অন্য দেশের লোকেদের এই সব উৎসবের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। এই কারণে ভারতে উতসব পর্যটনের উন্নতির জন্য দেশের বাইরে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
আমার প্রিয় দেশবাসী, গত ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমি ঠিক করেছিলাম, এই দীপাবলি উপলক্ষে কিছু আলাদা করবো। আমি বলেছিলাম- আসুন, আমরা সবাই এই দীপাবলিতে ভারতীয় নারী শক্তি এবং ওঁদের সাফল্যকে উদযাপন করি, অর্থাৎ ভারতের লক্ষ্মীর সম্মান করি। দেখতে দেখতে এর ঠিক পরে স্যোসাল মিডিয়াতেঅসংখ্য অনুপ্রেরণামূলক কাহিনীর ভীড় উপচে পড়ছে। ওয়ারেংলের কোড়িপাকা রমেশ, নমো অ্যাপে লিখেছেন “আমার মা আমার শক্তি। ১৯৯০ তে যখন আমার বাবা মারা গেলেন, আমার মা পাঁচ ছেলের দায়িত্ব গ্রহন করলেন। আজ আমরা পাঁচ ভাই ভালো জীবিকায় আছি। আমার মা আমার ভগবান। আমার সব কিছু, ঠিক ভাবে দেখলে তিনি ভারতের লক্ষ্মী”।
রমেশজী, আপনার মাকে আমার প্রণাম। ট্যুইটারে সক্রিয়গীতিকা স্বামীর বক্তব্য হলো – তাঁর কাছে মেজর খুশবু কঁয়ার ভারতের লক্ষ্মী, যিনি বাস কন্ডাকটরের মেয়ে আর তিনি আসাম রাইফেলসের মহিলা বাহিনীর নেতৃত্ব করেছিলেন। কবিতা তিওয়ারিজীর কাছে ওঁর মেয়ে ভারতের লক্ষ্মী, যে ওঁর শক্তিও বটে। উনি গর্বিত যে ওঁর মেয়ে খুব ভালো ছবি আঁকে , আর ক্ল্যাটের পরীক্ষায় খুব ভালো স্থান দখল করেছে। আবার মেঘা জৈন লিখেছেন- ৯২ বছর বয়স্ক এক মহিলা অনেক বছর ধরে গোয়ালিয়র রেল স্টেশনে যাত্রিদের জলদান করছেন। মেঘাজী, ভারতের এই লক্ষ্মীর বিনম্র স্বভাব আর করুণা থেকে খুব অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এরকম অনেক কাহিনী লোকেরা ভাগ করে নিয়েছেন। আপনারা অবশ্যই পড়ুন, প্রেরণা গ্রহণ করুন আর নিজেও আশেপাশের কিছু কথা ভাগ করুন। ভারতের এই সব লক্ষ্মীদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
আমার প্রিয় দেশবাসী, সপ্তদশ শতাব্দীর বিখ্যাত মহিলা কবি সাচি হোন্নাম্মা, উনি সপ্তদশ শতকে কন্নড় ভাষায় একটি কবিতা লিখেছিলেন। সেই ভাব, সেই সবশব্দ ভারতের সেইসব লক্ষ্মী, যাঁদের কথা আমরা বলছি, মনে হয় এর ভিত সপ্তদশ শতকেরচনা করে দিয়েছিলেন। কত সুন্দর শব্দ, কত সুন্দর ভাব ব্যক্ত করেছেন, আর কত উচ্চ বিচারধারা কন্নড় ভাষার এই কবিতার মধ্যে রয়েছে-
পেণ্ণিন্দা পেরমেগনডনু হিমাবঁতন্তু,
পেণ্ণিন্দা ভৃগূ পের্চিদনু
পেণ্ণিন্দা জনকরায়নু জসবডেদনূ
এর মানে, হিমাবঁতন্তু অর্থাৎ পর্বতরাজ নিজের মেয়ে পার্বতীর জন্য, ঋষি ভৃগু নিজের মেয়ে লক্ষ্মীর জন্য এবং জনক নিজের মেয়ে সীতার জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। আমাদের মেয়েরা আমাদের গৌরব আর এই মেয়েদের মহৎ কার্যের মাধ্যমে আমাদের সমাজের এক মজবুত পরিচয় রয়েছে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ১২ ই নভেম্বর ২০১৯, এই দিনটিতেই সারাবিশ্বে শ্রী গুরু নানক দেবজীর ৫৫০ তম আবির্ভাব উৎসব পালন করা হবে। গুরু নানক দেবজীর প্রভাব শুধু ভারতেই নয় বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। এই পৃথিবীর অনেক দেশেই আমাদের শিখ ভাইবোনেরা আছেন যারা গুরু নানক দেবজীর আদর্শে তাদের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত করেছেন। আমি ভ্যানকুভার ও তেহরানে আমার গুরুদুয়ারা যাত্রার কথা কখনো ভুলতে পারবো না। শ্রী গুরু নানক দেবজী-র বিষয়ে এমন অনেক কথা আছে যা আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি। কিন্তু এর জন্য মন কি বাত এর অনেক পর্ব লেগে যাবে। উনি সর্বদাই সেবামূলক কাজকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। গুরু নানক দেবজী বিশ্বাস করতেন নিঃস্বার্থভাবে করা সেবামূলক কাজ অমূল্য। উনি অস্পৃশ্যতার মতো সামাজিক অভিশাপ এর বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করেছেন। শ্রী গুরু নানক দেব-জী, তাঁর বার্তা পৃথিবীর দূর-দূরান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। উনি তাঁর সময়ের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন । অনেক জায়গাতেই উনি গিয়েছিলেন আর যেখানেইগিয়েছেন নিজের সারল্য, নম্রতা, শুদ্ধত্মার মাধ্যমে সকলের হৃদয় জয় করেছেন। গুরু নানক দেবজী অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ধার্মিকস্থানেযাত্রাকরেছেন। সেগুলি, ‘উদাসী’ নামে পরিচিত। সৎ চিন্তা ও সাম্যের ভাবনা নিয়ে তিনি উত্তর হোক বা দক্ষিণ, পূর্ব হোক বা পশ্চিম, সব দিকেই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানকার সাধারণ মানুষ, ঋষি, সাধুদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বলা হয় যে আসামের প্রখ্যাত সাধু, শংকরদেবও ওঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। উনি হরিদ্দারের পবিত্র মাটিতেও যাত্রা করেছিলেন। এরকম বলা হয় যে , কাশির এক পবিত্র স্থান, ‘গুরুপাক গুরুদুয়ারায় ‘ গুরু নানক দেবজী কিছুটাসময়কাটিয়েছিলেন।উনি বৌদ্ধ ধর্মের সাথে সম্পর্কিত, ‘রাজগীর’
এবং ‘গয়ার’ মত ধার্মিক স্থানেও গিয়েছিলেন। দক্ষিনে, গুরু নানক দেবজী শ্রীলংকা পর্যন্ত যাত্রা করেছিলেন। কর্নাটকের বিদার যাত্রার সময় গুরু নানক দেবজী, সেখানের জলের সমস্যার সমাধান করেছিলেন।বিদরে,গুরুনানকদেবজী-কেউৎসর্গিত, ‘গুরুনানক জীরা সাহেব’ নামক এক বিখ্যাত স্থান রয়েছে, যা আমাদের তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এক উদাসীর সময় গুরু নানকজী উত্তরে কাশ্মীর এবং তার আশেপাশের স্থানগুলিতেও যাত্রা করেছিলেন। এর ফলে, শিখ
ধর্ম অনুগামীদের এবং কাশ্মীরের মধ্যে এক দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। গুরুনানক দেবজী তিব্বতেও গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ওঁকে ‘গুরু’ রূপে স্বীকারকরা হয়। উনি উজবেকিস্তানের যাত্রাও করেছিলেন এবং সেখানেও উনি পূজনীয়।আর এক উদাসীর সময়, উনি ব্যাপকভাবে ইসলামিক দেশগুলিতে যাত্রা করেছিলেন যারমধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ইরাক এবং আফগানিস্তান। উনি লক্ষ লক্ষ মানুষেরহৃদয়ে বসবাস করেন। সেই মানুষেরা, পূর্ণ শ্রদ্ধার সাথে, ওঁর উপদেশগুলিকেঅনুসরণ করেছিলেন এবং আজও করে চলেছেন। এই কিছুদিন আগেই 85 টি দেশেররাষ্ট্রদূত দিল্লি থেকে অমৃতসর গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির দর্শন করেন। আর এই যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল গুরু নানক দেবজী-র, ৫৫0 তম প্রকাশ পর্বের উদযাপনের উদ্দেশ্যে। সেখানে, সেই সকল রাজদূতেরা, গোল্ডেন টেম্পল দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে, শিখ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কেওজানার সুযোগ পান। আগত রাষ্ট্রদূতেদের অনেকেই সেখানকার ছবি সোশ্যালমিডিয়াতে দিয়েছিলেন। নিজেদের সুন্দর, গৌরবময় অভিজ্ঞতার কথাওলিখেছিলেন। আমি আশা করি, গুরু নানক দেবজীর, ৫৫0 তম প্রকাশ পর্ব, আমাদেরওঁর বিচারধারা এবং আদর্শগুলি নিজেদের জীবনে অনুসরণ করার জন্য অনুপ্রাণিতকরবে। আমি আবারও নতমস্তকে গুরু নানক দেবজীর উদ্দেশ্যে প্রণাম জানাই।
আমার প্রিয় ভাইবোনেরা। আমার বিশ্বাস যে ৩১শে অক্টোবর দিনটিকেআপনাদের সবার অবশ্যই মনে আছে। এই দিনটি ভারতের লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী। উনি ছিলেন এমন এক মহানায়ক, যিনি দেশকে একতারসূত্রে আবদ্ধ করেছিলেন। সর্দার প্যাটেলের যেমন মানুষকে একত্রিত করার একআশ্চর্য ক্ষমতা ছিল, ঠিক তেমনি যাঁদের সাথে মতাদর্শগত পার্থক্য দেখা দিত, তাঁদের সাথেও সমন্বয় স্থাপন করতে সক্ষম ছিলেন। সর্দার প্যাটেলক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলিও, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন এবং পরীক্ষাকরে দেখতেন। এই ব্যাপারে আক্ষরিক অর্থেই তিনি, ‘ম্যান অফ ডিটেইল’ ছিলেন ।এর পাশাপাশি তিনি সাংগঠনিক দক্ষতাতেও নিপুণ ছিলেন। পরিকল্পনা প্রণয়ন এবংরণকৌশল তৈরিতেও উনি বিশেষভাবে পারদর্শী ছিলেন। সর্দার সাহেবেরকর্মপদ্ধতির বিষয়ে যখন পড়া হয় বা শোনা হয় তখন জানতে পারা যায় যে ওঁরপ্ল্যানিং কত অসাধারণ হত। ১৯২১ সালে, কংগ্রেসের আমেদাবাদ অধিবেশনে যোগদিতে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার প্রতিনিধি আগত হন। এই অধিবেশনেরব্যবস্থাপনার সমগ্র দায়িত্বভার ছিল সর্দার প্যাটেলের উপর। তিনি এইসুযোগটির সদ্ব্যবহার করেন, শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে।তিনি সুনিশ্চিত করেন, কেউ যেন জল কষ্টে না ভোগেন। শুধু তাই নয়, তিনি এইবিষয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, প্রতিনিধিদের জিনিসপত্র বা তাদের জুতো যেনঅধিবেশন স্থল থেকে চুরি না হয়। আর এই বিষয়টিকেমাথায় রেখে সর্দারপ্যাটেল যা করেছিলেন, তা জেনে আপনি খুব অবাক হয়ে যাবেন। উনি কৃষকদেরসাথে যোগাযোগ করেন এবং খাদির ব্যাগ তৈরির আহ্বান জানান।কৃষকরা সেই খাদির ব্যাগ তৈরি করেন এবং আমণ্ত্রিত প্রতিনিধিদের বিক্রি করেন ।এই ব্যাগে তাঁরা তাদের জুতো রেখে পরম নিশ্চিন্তে সভায় মন দিলেন ! আবার দেখুন , এরজন্যে খাদির বিক্রি ও অনেক বেড়ে গেলো। সংবিধান পরিষদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করার জন্যে দেশ চিরকাল সর্দার প্যাটেলের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। উনি আমাদের মৌলিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেন, যাতে আর জাতি অথবা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করার সম্ভাবনাই না থাকে |
বন্ধুগণ, আমরা সকলেই জানি যে ভারতের প্রথম স্বরাস্ট্র মন্ত্রী হিসেবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এই দেশের খন্ড খন্ড রাজ্য আর প্রান্তগুলিকে এক করার ঐতিহাসিক এবং মহৎ কাজটি করেছিলেন । সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মধ্যে এক বৈশিষ্ট ছিল যে কোনো কিছুই তাঁর দৃষ্টি এড়িয়ে যেতনা, সব দিকেই তাঁর নজর ছিল । একদিকে যেমন তাঁর দৃষ্টি হায়দরাবাদ, জুনাগড় আর অন্য রাজ্যের ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল। , তেমনই সুদূর দক্ষিণের লাক্ষাদ্বীপ ও তাঁর লক্ষ্য এড়িয়ে যায়নি | প্রকৃতপক্ষে, আমরা যখন সর্দার প্যাটেলের প্রয়াসের উল্লেখ করি তখন এই দেশের শুধুমাত্র কিছু বিশেষ প্রান্তে ওঁর ভূমিকার আলোচনা করি । লাক্ষাদ্বীপের মতো একটি ছোট প্রান্তের জন্যেও কিন্তূ উনি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করেছিলেন । এই কথাটিকে হয়তো বা কেউ মনে রাখে ।আপনারা জানেন লাক্ষাদ্বীপ কয়েকটি দ্বীপের সমূহ । এই ভারতের অপূর্ব সুন্দর কয়েকটি জায়গার মধ্যে এটি একটি । ১৯৪৭ এ দেশভাগের পর , আমাদের প্রতিবেশীর নজর এই লাক্ষাদ্বীপের ওপর পড়লো এবং তাদের পতাকা বহনকারী একটি জাহাজকেও পাঠানো হয়েছিল । এই সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই , কালবিলম্ব না করে সর্দার প্যাটেল তৎক্ষণাৎ কড়া পদক্ষেপ নিয়ে নিলেন । উনি মুদালিয়ার ভ্রাতৃদ্বয় , আর্কট রামস্বামী মুদালিয়ার আর আর্কট লক্ষ্মনস্বামী মুদালিয়ার কে নির্দেশ পাঠালেন যে ট্রেভঙ্করের অধিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে অবিলম্বে ওখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন | লাক্ষাদ্বীপে যেন ভারতীয় তেরঙা প্রথমেই তোলা হয় । তাঁর নির্দেশ মতো তৎক্ষণাৎ তেরঙ্গা তোলা হয় আর লাক্ষাদ্বীপের ওপর প্রতিবেশীর কব্জা করার অভিসন্ধি পরাস্ত হয় । এই ঘটনার পর সর্দার প্যাটেল মুদালিয়ার ভ্রাতৃদ্বয় কে বলেন যে তাঁরা যেন ব্যক্তিগত ভাবে সুনিশ্চিত করেন যে লাক্ষাদ্বীপের উন্নয়নে যেন সবরকম সহায়তা পাওয়া যায় । আজ ভারতবর্ষের অগ্রগতিতে লাক্ষাদ্বীপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান করছে । এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য ও বটে । আমি আশা করবো আপনারা এই সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ আর তাদের সমুদ্রসৈকত এ বেড়াতে যাবেন ।।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ৩১এ অক্টোবর ২০১৮ র দিনটি তে সর্দার সাহেবের স্মৃতিতে নির্মিত স্ট্যাচু অফ ইউনিটি সারা দেশ এবং বিশ্ব কে উৎসর্গ করা হয় । এইটি বিশ্বের দীর্ঘতম মানবমূর্তি । দৈর্ঘে এটি আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দ্বিগুন । বিশ্বের দীর্ঘতম মূর্তি প্রত্যেক ভারতীয়র বুক গর্বে ভরে দেয় (ভারতীয় হিসেবে বুক গর্বে ভরে ওঠে যখন ভাবি যে বিশ্বের দীর্ঘতম মূতিটি আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত ) । আত্মাভিমানে প্রত্যেক ভারতীয়র মাথা উঁচু হয়ে যায় । আপনাদের জেনে আনন্দিত হবেন যে এক বছরেই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি মূর্তিটি দেখতে ২৬ লক্ষ পর্যটক এসেছিলেন । অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে আট হাজার মানুষ এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র গৌরব চাক্ষুষ করেছে । সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্যে তাদের হৃদয়ে যে আস্থা , যে শ্রদ্ধা রয়েছে এইটাই তো অভিব্যক্ত হয়েছে । এখন তো ঐখানে ক্যাকটাসের বাগান , প্রজাপতি উদ্যান, জাঙ্গল সাফারি , শিশু পুষ্টি পার্ক, একতা নার্সরীর মতন নানান আকর্ষণকেন্দ্র ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে আর এইজন্যে স্থানীয় অর্থব্যবস্থার ও উন্নতি হচ্ছে, লোকেরাও নানা নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পাচ্ছে । হোমস্টে বা বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের সুযোগ সুবিধার পেশাদারি প্রশিক্ষণ ও দেওয়া হচ্ছে । স্থানীয় মানুষ তো এখন ড্রাগন ফ্রুটের চাষবাস ও শুরু করে দিয়েছেন আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এটি ওদের জীবিকা অর্জনের মুখ্য উপায় হয়ে উঠবে ।বন্ধুগণ , দেশের জন্যে , প্রত্যেকটি রাজ্যের জন্যে, পর্যটন শিল্পের জন্যে এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, একটি অধ্যয়নের বিষয় হতে পারে । আমরা তো সাক্ষী কিভাবে একটি স্থান একটি বছরের মধ্যেই একটি বিশ্ব প্রসিদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে , যেখানে দেশের – বিদেশের লোক আসছে । পরিবহন ব্যবস্থা, থাকবার জায়গা , গাইড-দের উপস্থিতি , পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা – একের পর এক প্রত্যেকটি উন্নত হয়ে চলেছে । খুব বড় ধরণের অর্থনৈতিক উন্নতি শুরু হয়েছে এবং পর্যটকদের প্রয়োজন মতো , স্থানীয় মানুষ পরিষেবা উদ্ভাবন করছেন । সরকার ও নিজের দায়িত্ত্ব পালন করছে । বন্ধুরা , এমন কোনো ভারতীয় আছে কি যার এইটা জেনে গর্ব হবেনা যে কয়েকদিন আগেই টাইম পত্রিকা বিশ্বের একশোটি শ্রেষ্ঠ পর্যটনস্থলের মধ্যে এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি কে উচ্চ আসনে বসিয়েছে | আমার আশা আপনারা সবাই আপনাদের মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা অবকাশ বের করে এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তো দেখতে যাবেনই , উপরন্তু আমার একান্ত ইচ্ছে যে প্রত্যেক ভারতীয় যিনি ভ্রমণের জন্যে বেরিয়ে পড়েন , তিনি সপরিবারে দেশের অন্ততঃ পনেরোটি গন্তব্যস্থলে বেড়াতে যান এবং সেখানে রাত্রিবাস করেন ।
বন্ধুরা, আপনারা জানেন যে, ২০১৪ থেকে প্রত্যেক বছর ৩১ শে অক্টোবর দিনটি রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে উদযাপিত হচ্ছে। এই দিনটি আমাদের দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সুরক্ষা কে যেকোন মুল্যে বজায় রাখার বার্তা দেয়। এবারও এদিন ‘রান ফর ইউনিটি’- র আয়োজন করা হচ্ছে।এতে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ সামিল হবেন।আমাদের দেশের একতার প্রতীক ‘রান ফর ইউনিটি’। গোটা ভারত বর্ষ এক পথে একই লক্ষ্যের দিকে চলেছে।সেই লক্ষ্যটি হলো ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’।
গতপাঁচ বছরে দেখা গেছে যে, শুধুমাত্র দিল্লীই নয়, ভারতের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল , প্রতিটি রাজধানী শহরে, জেলায় ছোট ছোট দ্বিতীয় ও তৃতীয়শ্রেণীশহরের প্রচুর মানুষ – পুরুষ ,মহিলা, শিশু ও দিব্যাঙ্গজন এই দৌড়ে সামিল হয়েছেন।আজকাল ম্যারাথন -র প্রতি মানুষের এক নতুন আগ্রহ দেখা দিয়েছে ‘রান ফর ইউনিটি’-ও এমনই একটি উপলক্ষ্য।দৌড়ানো, মন এবং শরীর দুয়ের পক্ষেই লাভজনক। ‘রান ফর ইউনিটি’- একইসঙ্গে ‘ফীট ইন্ডিয়া’ এবং ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এই দুটি আদর্শকেই একসঙ্গে সফল করতে সাহায্য করে ।পাশাপাশি, ভারতের ঐক্য এবং অগ্রগতিরআদর্শ-ও মনের মধ্যে গঠিত হয় ।তাই আপনারা যে শহরের-ই বাসিন্দা হ’ন না কেন , নিজেদের কাছাকাছি অঞ্চলে ‘রান ফর ইউনিটি’-র সম্বন্ধে খোঁজখবর নিন।এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে।এই পোর্টাল টি হল ‘runforunity.gov.in ।এখানে, দেশের যে সমস্ত স্থানে ‘রান ফর ইউনিটি’ আয়োজন করা হচ্ছে সে ব্যাপারে জানা যাবে। আমি আশা রাখি যে, আপনারা সকলে 31 শে অক্টোবর দৌড়ে অংশগ্রহণ করবেন – দেশের একতা এবং নিজেদের শরীর সুস্থ রাখার উদ্দেশ্যে ।
আমার প্রিয় দেশবাসী, সর্দার প্যাটেল দেশকে ঐক্যের সূত্রে বেঁধেছিলেন।ঐক্যের এই মন্ত্র আমাদের জীবনের সংস্কার- স্বরূপ।ভারতবর্ষের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশে প্রত্যেক স্তরে, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে, ঐক্যের মন্ত্রকে দৃঢ় করার চেষ্টা করা উচিত।আমার প্রিয় দেশবাসী, দেশের ঐক্য ও সেই সংক্রান্ত চিন্তাকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সমাজ সবসময়ই খুব সক্রিয় এবং সতর্ক থেকেছে।আমাদের চারপাশে এমন বহু উদাহরণ পাওয়া যাবে যারা এই উদ্দেশ্যে কাজ করে চলেছেন ।তবে অনেক সময় তাদের কথা আমাদের স্মৃতি থেকে খুব তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যায়।
বন্ধুরা, আমার মনে পড়ছে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা, যখন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাম জন্মভূমি সংক্রান্ত রায় দিয়েছিল।একটু মনে করে দেখুন ওই সময়ের পরিস্থিতি।জাতিতে জাতিতে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য বহু মানুষ মাঠে নেমে পড়েছিলেন ।বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন কৌশল করছিল ।পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য উস্কানিমূলক ভাষা বলা হচ্ছিল।কিন্তু, এসবের পরে, যখন হাইকোর্টের রায় এলো, তখন সারাদেশে এক আশ্চর্য এবং আনন্দজনক পরিবর্তন দেখা গেল।তার আগের দু-সপ্তাহে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল।কিন্তু, হাইকোর্টের রায়ের পরে তৎকালীন সরকার, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সিভিল সোসাইটি – সকলেই নিজেদের বয়ানে সংযম ও নিয়ন্ত্রন রক্ষা করেছিলেন, যাতে দেশের পরিস্থিতিতে হিংসা ও উত্তাপ কমানো যায়।আজও এ কথা মনে পড়লেআমার মন খুশিতে ভরে যায়।বিচার ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গৌরব ও সম্মান দেওয়া হয়েছিল।কোথাও উত্তাপও হিংসা ছড়াতে দেওয়া হয়নি।একথা আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত। এ আমাদের এক বড় শক্তি।ঐক্যের স্বর দেশকে কতখানি শক্তি দিতে পারে তারই এক উদাহরণ।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ৩১ অক্টোবর, আমাদের দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা দেবীকেও এই দিনেই হত্যা করা হয়।দেশে এক গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।আমি আজ ওঁকেও আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ যদি প্রত্যেক বাড়িতে, প্রত্যেক গ্রামে একটি গাথা ধ্বনিত হয়, পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতবর্ষের প্রত্যেক প্রান্তে যদি একটি কাহিনী মুখরিত হয়, তবে তা হল স্বচ্ছতার।প্রত্যেক ব্যক্তিকে, প্রত্যেক পরিবারকে, প্রত্যেক গ্রামকে স্বচ্ছতা সম্পর্কে আমার আনন্দময় অভিজ্ঞতার কথা বলতে ইচ্ছে করছে, কারণ স্বচ্ছতার এই প্রচেষ্টা সওয়া’শো কোটি ভারতীয়র মিলিত প্রচেষ্টা।তাই এর সুফলের অধিকারীও সওয়া’শো কোটি ভারতীয়ই।কিন্তু একটি আনন্দদায়ক এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাও আছে।আমি শুনেছি এবং আপনাদেরও শোনাতে চাই।আপনারা কল্পনা করুন, পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে তাপমাত্রা ৫০, ৬০ ডিগ্রী মাইনাসে চলে যায়, ওখানে অক্সিজেনের পরিমানওনামমাত্র।এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে, এত প্রতিকূলতার মধ্যে থাকাও কম বীরত্বের ব্যাপার নয়।এরকম ভয়ানক অবস্থার মধ্যে আমাদের নির্ভীক জওয়ানরা যে কেবল বীর-বিক্রমে দেশের সীমা সুরক্ষিত রাখছেন তাই নয়, তাঁরা ওখানেস্বচ্ছ সিয়াচেন অভিযানও চালাচ্ছেন।আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই অসামান্য দায়বদ্ধতা কে দেশবাসীর তরফ থেকে আমি সম্মান জানাচ্ছি।কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।ওখানে এত ঠাণ্ডা যে কোনও কিছুই গলতেচায় না।এরকম পরিস্থিতিতে আবর্জনা আলাদা করা, তার ব্যবস্থাপনা করাই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।এরকম অবস্থায় হিমবাহ এবং চারপাশ থেকে ১৩০ টন এবং তার থেকেও বেশী আবর্জনা পরিষ্কার করা ওই এলাকার ভঙ্গুর পরিবেশ ব্যবস্থার- মাঝে! কি বিশাল সেবা এটা! এটি একটি এমন পরিবেশ ব্যবস্থা যেখানে তুষার চিতার মত দুর্লভ প্রজাতির বাস।এখানে ইবেক্স এবং বাদামী ভল্লুকের মত দুর্লভ প্রাণীও থাকে।আমরা সবাই জানি যে সিয়াচেন এমন একটিহিমবাহ যা নদী ও শুদ্ধ জলের উৎস।এরকম একটি জায়গায় স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালানো মানে যারা নীচু এলাকায় থাকে তাদের জন্য শুদ্ধ জলের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা।এর সঙ্গে নুব্রা ও শিওক-এর মত নদীর জল ব্যবহার করেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, উৎসব এমন একটি পর্ব যা আমাদের সবার জীবনে একটি নতুন চেতনা জাগায়।আর দীপাবলিতে তো বিশেষ করে কিছু-না-কিছু নতুন কেনা, বাজার থেকে কিছু আনা কম-বেশি সব পরিবারেই হয়।আমি একবারবলেছিলাম যে আমরা চেষ্টা করি স্থানীয় জিনিসপত্র কিনি।যদি আমাদের প্রয়োজনের জিনিসপত্রগুলি যদি আমরা নিজেদের গ্রামেই পাই তাহলে তহসিলে যাওয়ার দরকার নেই।তহসিলে যদি পাই তাহলে জেলায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।যত বেশি আমরা লোকাল জিনিস কেনার প্রচেষ্টা করি, ততই বেশি গান্ধী ১৫০ আপনা-আপনি এক মহৎ উৎসবে পরিনত হবে।আর আমি তো সবসময়ই এই অনুরোধ করি যে আমাদের তাঁতির হাতে বোনা, আমাদের খাদি কর্মীদের হাতে তৈরি কিছু-না-কিছু তো আমাদের কেনা উচিৎ।এই দীপাবলিতেও, দীপাবলির আগেই অনেকে অনেক কিছু কিনে ফেলেছেন, কিন্তু এরকমও অনেকে আছেন যারা মনে করেন যে দীপাবলির পরে গেলে হয়ত জিনিসপত্র কিছুটা সস্তায় পাওয়া যাবে।তাই এরকম অনেক মানুষ থাকবেন যাঁদের কেনাকাটা এখনো বাকি।তাই দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে-সঙ্গে আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে আসুন আমরা স্থানীয় কেনায় ইচ্ছুক হই, স্থানীয় জিনিস কিনি।দেখুন, মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্ন সফল করতে আমরাও কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি।আমি আরেকবার দীপাবলির এই পুণ্যতিথির অনেক শুভকামনা আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি।দীপাবলি তে সবার মত আমরা বাজীর ব্যবহার করি।কিন্তু অনেক সময় অসাবধানতাবসত আগুন লেগে যায়।কখনও আহত হয়ে যায়।আমার আপনাদের সবার কাছে এই অনুরোধ যে আপনারা সাবধানে থাকুন এবং উৎসব প্রচুর উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করুন।আমার অনেক-অনেক শুভকামনা রইল।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
PM @narendramodi begins today’s #MannKiBaat by conveying Diwali greetings. pic.twitter.com/5hbthflNuF
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Today Diwali has become a global festival, says PM @narendramodi in #MannKiBaat. pic.twitter.com/qONmzJMM1e
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
May our festivals bring more tourists to India. #MannKiBaat pic.twitter.com/cIHRJ5airJ
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
During the last #MannKiBaat I had spoken about #BharatKiLaxmi and the response has been excellent. pic.twitter.com/lH6aKSFYcy
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
The world bows to Shri Guru Nanak Dev Ji. #MannKiBaat pic.twitter.com/eVjaEai5a7
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
From Shri Guru Nanak Dev Ji we learn the importance of service. #MannKiBaat pic.twitter.com/BI9syUNRhA
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
The Udasis of Shri Guru Nanak Dev Ji took him to several parts of India and the world.
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Everyone was positively influenced by his thoughts. #MannKiBaat pic.twitter.com/PyyR67kM9t
Let us pledge to realise the ideals of Shri Guru Nanak Dev Ji. #MannKiBaat pic.twitter.com/REYeqtKxUx
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Paying tributes to Sardar Patel, the stalwart who unified India. #MannKiBaat pic.twitter.com/jOAw93MXMW
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Sardar Patel was a person of detail. He was an excellent organiser. #MannKiBaat pic.twitter.com/g42upaK5S7
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
An interesting anecdote about the meticulous planning of Sardar Patel. #MannKiBaat pic.twitter.com/vPfvmop7Vo
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
We remember the efforts of Sardar Patel towards articulating and strengthening Fundamental Rights in our Constitution. #MannKiBaat pic.twitter.com/DmcOL4mOEG
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
We all know about Sardar Patel’s efforts towards unifying some of the bigger places such as Hyderabad and Junagadh. But, do you know such was the man that he also focused on smaller places like Lakshadweep. #MannKiBaat pic.twitter.com/dC6qdJDvdf
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
The ‘Statue of Unity’ completes a year! #MannKiBaat. pic.twitter.com/EiMDrIXVzA
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Will you take part in this year’s ‘Run for Unity’ #MannKiBaat pic.twitter.com/vZFH5VbVAR
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Let us always promote the spirit of unity, as Sardar Patel would have desired. #MannKiBaat pic.twitter.com/55xVXqJuSn
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
PM @narendramodi says why he vividly remembers the day Allahabad HC delivered the Ram Janmabhoomi verdict.
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019
Thanks to the people of India, social organisations, Saints, Seers and leaders of all faiths, it became a day that furthered unity and the judiciary was also respected. pic.twitter.com/p2AoC46AEm
Swachhata in Siachen! #MannKiBaat pic.twitter.com/foYVf1EZwO
— PMO India (@PMOIndia) October 27, 2019