প্রযুক্তি প্রত্যেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে আমরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
স্কুলে অটল টিঙ্কারিং ল্যাবের মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি প্রয়োগের মানসিকতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান সার্বজনীন, কিন্তু প্রযুক্তিকে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জোসেপ কোন্তে, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য ডঃ হর্ষ বর্ধন, প্রযুক্তি শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত প্রযুক্তি বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত ভারত এবং ইতালির সমস্ত বন্ধু, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গণ!

 

নমস্কার!

চাও, কোমে স্তাই!

ইতালি থেকে সমাগত সমস্ত অতিথিকে বিশেষভাবে আন্তরিক স্বাগত জানাই!

বেনওয়েনুতো ইন ইন্ডিয়া!

 

বন্ধুগণ,

 

এটি ২৪তম প্রযুক্তি শীর্ষ বৈঠক। এই বৈঠকে অংশীদার দেশ হিসেবে ইতালির অংশগ্রহণ আর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কোন্তের গৌরবময়ী উপস্থিতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

 

এখানে আসার আগে আমাদের সরকারি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী কোন্তের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর উৎসাহ ও দায়বদ্ধতা আমাকে প্রভাবিত করেছে।

 

এ বছরটি আমাদের কাছে এজন্যই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভারত এবং ইতালির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বছর। এ বছর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এই শুভ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কোন্তের ভারত সফরের একটি ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

এটা সেই সময় যখন প্রযুক্তি ছাড়া জীবন কল্পনা করা মুশকিল। আজ প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে প্রযুক্তি কোন না কোনভাবে যুক্ত। বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দ্রুত পরিবর্তন এসেছে। এই গতি এত দ্রুত যে একটি প্রযুক্তির প্রভাব সমাজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই উন্নততর প্রযুক্তি চলে আসে। সেজন্য সকল দেশের সামনে পরিবর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা যত সমস্যা সৃষ্টি করে, তত সুযোগও তৈরি করে।

 

ভারত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক ন্যায়, ক্ষমতায়ন, যোগাযোগ এবং সরকারি ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করে তুলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি পরিষেবা সমাজের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, ডিজিটাল প্রযুক্তির এক ব্যাপক পরিকাঠামো বিকশিত করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই সমস্ত পরিষেবার দ্বারা উপকৃত হতে পারেন। আমরা প্রযুক্তিকে ‘ইজ অফ লিভিং’-এর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে মনে করি।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারতে আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর প্রকল্প চালু রয়েছে। সরকারি সাহায্যে সরাসরি উপকৃতদের ব্যাঙ্কের খাতায় অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে বার্ধক্যভাতা পর্যন্ত অনেক পরিষেবা আজ অনলাইন হয়েছে। তিনশোরও বেশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি পরিষেবাকে ‘উমঙ্গ’ অ্যাপ-এর মাধ্যমে একটি মঞ্চে আনা হয়েছে।

 

ডিজিটাল পেমেন্ট আজকাল প্রায় মাসে ২৫০ কোটি লেনদেনের মাত্রা ছাড়িয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার গ্রামে গ্রামে অনলাইন পরিষেবা প্রদান করছে।

 

বিগত চার বছরে ভারতে ১ জিবি ডেটার দাম ৯০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। ভারতে এই সুলভ ডেটা দেশের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

বন্ধুগণ,

 

ভারত এখন সফ্‌টওয়্যার ক্ষেত্রে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়কে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে চলেছে। আমরা ভারতে বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ থেকে প্রযুক্তি-নির্ভর সমাজ গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছি।

 

সারা দেশে ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’-এর মাধ্যমে বিদ্যালয়স্তরে উদ্ভাবনের জন্যে একটা আবহ তৈরি করা হচ্ছে। ‘অটল উদ্ভাবন মিশন’-এর মাধ্যমে সারা দেশে এরকম সৃষ্টিশীল নবীনদের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে যাঁরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে উঠবে।

 

সরকারের এই সকল প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)-এর বিশ্ব উদ্ভাবন তালিকার র‍্যাঙ্কিং-এ আমরা একুশ ধাপ উঠে এসেছি। তাছাড়া, আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ব্যবস্থা ভারতে তৈরি হয়েছে।

 

ভারতে যেসব উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলির উৎকর্ষ সুনিশ্চিত করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতের মহাকাশ প্রকল্প এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ এবং এর সাফল্য ইতালিও অনুভব করছে।

 

আজ ভারত ইতালি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপগ্রহ অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ করছে। এই উপগ্রহ প্রযুক্তির দ্বারাও দেশের প্রত্যেক নাগরিক লাভবান হচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ, আজ যখন বিশ্ব ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ নিয়ে আলোচনা করছে, তখন দুই প্রাচীন সভ্যতার দেশ ভারত এবং ইতালির মধ্যে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সহযোগিতা শক্তিশালী করার নতুন সুযোগ গড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, অনেক সমস্যার সমাধানও আমরা এগুলির মাধ্যমে কার্যকর উপায়ে করতে পারব।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ ভারত বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা বৃহৎ অর্থ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। ভারতের বিশাল অন্তর্দেশীয় বাজার, যুব জনসংখ্যা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ব্যবস্থা সম্মিলিতভাবে বিশ্বের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।

 

তেমনই, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইতালিরও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। নির্মাণ ক্ষেত্রে উৎকর্ষের জন্য ইতালিরও সুনাম রয়েছে। সেজন্য ভারত ও ইতালি যৌথভাবে উন্নতমানের গবেষণা ক্ষেত্রে নিজেদের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে পারে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে মিলিতভাবে প্রযুক্তিগত সমাধান গড়ে তুলতে পারি।

 

উভয় দেশের জনগণের জীবনমান উন্নত করতে, পরিবেশকে পরিচ্ছন্নতর করতে, মানবকল্যাণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে উভয় দেশের বৈজ্ঞানিকরা এবং ব্যবসায় নেতৃত্বপ্রদানকারীরা একসঙ্গে মিলে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের উন্নততর ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পরিবেশ-বিজ্ঞান, স্নায়ু-বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা ব্যাপকতর হয়ে উঠেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

সহযোগিতার এই পথ শক্তিশালী করার পাশাপাশি, গবেষণা এবং উন্নয়নের পরিণাম যাতে শুধু ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ না থাকে তা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য আমি সবসময় বলি – “বিজ্ঞান বিশ্বজনীন, কিন্তু প্রযুক্তি হওয়া উচিৎ আঞ্চলিক”

 

ভারতে আমরা নিজেদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য সায়েন্স অ্যান্ড হেরিটেজ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (শ্রী) শুরু করেছি। এর উদ্দেশ্য ঐতিহাসিক স্মারকগুলির সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজে বের করা। এই উদ্যোগে প্রযুক্তি, পর্যটন এবং ইতিহাসের মেলবন্ধন দেখা যায়।

 

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়ে উন্নয়নের নতুন গতি সুনিশ্চিত করা সম্ভব। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এটাই এই প্রযুক্তি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্দেশ্য।

 

আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিগত দু’দিনে এই শীর্ষ সম্মেলনে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময়, যৌথ উদ্যোগ এবং একে অন্যের বাজারে উপস্থিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এই শীর্ষ সম্মেলন আমাদের মিলিত ভবিষ্যৎ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ ভারত-ইতালি দ্বিপাক্ষিক শিল্প গবেষণা এবং উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির পরবর্তী পর্যায়ের সূত্রপাত ঘোষণা করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমাদের শিল্প এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি কোনরকম বাধা ছাড়া বিভিন্ন পণ্য নতুন উৎকর্ষসম্পন্ন রূপে উৎপাদন করতে পারবে। এখন সময়ের চাহিদা হল কিভাবে “নো হাউ”-কে “শো হাউ”-এ পরিবর্তন করা যায়।

 

উভয় দেশের আর্থিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা ‘জয়েন্ট কমিশন অন ইকনমিক কো-অপারেশন’-এর নির্দেশিত পথে একটি ‘সিইও ফোরাম’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছি। পাশাপাশি, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য, ব্যবসা ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সমস্ত সমস্যা দূর করার জন্য একটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক মেকানিজম’ করে তুলতে সহমত হয়েছি।

 

আমি আনন্দিত যে ভারত এবং ইতালি ‘লাইফস্টাইল অ্যাসেসরিজ ডিজাইন’ (এলএডি) ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সহমত হয়েছে। এতেও চর্মশিল্প ক্ষেত্রে ‘ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড অটোমোবাইল ডিজাইন’ (টিএডি)-কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

 

পাশাপাশি, আমি আপনাদের অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে একথা জানাতে চাই যে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলির সংরক্ষণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, জীবনবিজ্ঞান সমূহ এবং ভূ-বিপর্যয়ের মতো কিছু নির্বাচিত ক্ষেত্রে দক্ষতা-নির্ভর ‘ইন্দো-ইটালিয়ান সেন্টার্স অফ এক্সেলেন্স’ স্থাপন করা হবে। এগুলির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চকক্ষ, বিভিন্ন অনুসন্ধান কেন্দ্র ও শিল্প পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, সব ধরণের সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধানও খুঁজে বের করা হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

প্রযুক্তিগত শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য আমি সমস্ত আয়োজকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ইতালি সরকারকেও হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। তারা একটি অংশীদার দেশ হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ স্বীকার করেছে। প্রযুক্তি শিখর সম্মেলনে সমস্ত যোগদানকারীকেও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ এবং উপস্থিতি এই শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

আমি আরেকবার প্রধানমন্ত্রী কোন্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি এই কর্মসূচির শোভা বর্ধন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারত-ইতালি নতুন অংশীদারিত্বের নব-নির্মাণে নিজের ব্যক্তিগত পথ প্রদর্শন, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দায়বদ্ধতার অমূল্য উপহার দিয়েছেন।

 

গ্রাস্তিয়ে মিল্লে!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!   

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.