থাইল্যান্ডের সুবর্ণ ভূমিতে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।
থাইল্যান্ডে, এখানে আমরা যাঁরা রয়েছি, তাঁদের সঙ্গে ভারতের মজবুত সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। আমরা এই দেশটিতে ভারতের এক অগ্রণী শিল্প গোষ্ঠীর ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি।
ভারতে এখন যে সমস্ত ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে সে সম্পর্কে আমি আপনাদের সামনে কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই। আমি একথা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলতে পারি যে, ভারতে বিনিয়োগের জন্য এটাই সেরা সময়।
ভারতে বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু সাফল্য ঘটেছে। এর পিছনে কেবল সরকারের প্রচেষ্টাই নয়, রয়েছে প্রচলিত নিয়মনীতি মেনে কর্মসম্পাদন প্রথার অবসান এবং আমলাতন্ত্রের অতি সক্রিয়তার বিলোপ।
আপনারা একথা জেনে বিস্মিত হবেন যে, দরিদ্রের কল্যাণে খরচ করা অর্থের সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। আমার সরকার প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর কর্মসূচি চালু করে এই প্রথার অবসান ঘটিয়েছে। এমনকি এই সুবিধা চালু হওয়ার ফলে মধ্যসত্বভোগীদের ভূমিকা এবং অপচয় হ্রাস পেয়েছে।
করক্ষেত্রের সংস্কার
বর্তমান ভারতে কঠোর পরিশ্রমী করদাতাদের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। কর আরোপ ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারত আজ করক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম একটি জন-বান্ধব দেশ হয়ে উঠেছে। আমরা করক্ষেত্রের আরও সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত এক আকর্ষণীয় গন্তব্য
ভারত আজ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। বিগত পাঁচ বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিনিয়োগের পরিমাণ বিগত ২০ বছরে লগ্নির প্রায় অর্ধেক।
৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে
ভারত আজ ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। ২০১৪ সালে যখন আমার সরকার ক্ষমতায় এসেছিল তখন ভারতের জিডিপি ছিল প্রায় ২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। বিগত ৬৫ বছরে মাত্র ২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার! কিন্তু কেবল পাঁচ বছরেই আমরা জিডিপিতে- প্রায় ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত করেছি।
ভারতে যে বিষয়টি নিয়ে আমি বিশেষ গর্ববোধ করি তা হল ভারতের মেধা ও দক্ষ মানবসম্পদ মূলধন। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টার্ট-আপ উপযোগী দেশ হয়ে উঠেছে।
ভারতের যখন সমৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটবে, তখন সমগ্র বিশ্বেও অগ্রগতি সূচিত হবে। ভারতের উন্নয়নে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমনই যা আরও ভালো বিশ্ব গড়ার পক্ষে দিশারী হবে।
পুবে তাকাও নীতি
আমাদের ‘পুবে তাকাও নীতি’ অনুযায়ী আমরা আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানোর ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছি। থাইল্যান্ডের পশ্চিম উপকূল থেকে ভারতের পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলিতে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলে আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।
বিনিয়োগ ও সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভারতে আসুন। উদ্ভাবন ও স্টার্ট-আপ-এর জন্য ভারতে আসুন। বিশ্বের সেরা কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা অর্জনে এবং ভারতবাসীর উষ্ণ আতিথেয়তা উপলব্ধি করতে এখানে আসুন। ভারত দু’হাত প্রসারিত করে আপনাদের স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
Congratulations to the @AdityaBirlaGrp for 50 years of their global presence. Watch from Bangkok. https://t.co/acZs7WDH38
— Narendra Modi (@narendramodi) November 3, 2019
For investment and easy business, come to India.
— PMO India (@PMOIndia) November 3, 2019
To innovate and starting up, come to India. To experience some of the best tourist sites and warm hospitality of people, come to India. India awaits you with open arms: PM @narendramodi pic.twitter.com/01ytLQfxm8