বায়ু দূষণ রোধে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লির পক্ষ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব শ্রী পি কে মিশ্র সেগুলি আজ পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখেছেন। এই তিন রাজ্যে বিগত ২৪ ঘন্টায় ফসলের গোড়া পোড়ানো এবং আগুন লাগার ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে কি ধরনের অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও ডঃ মিশ্র বিস্তারিত জানতে চান।
পাঞ্জাবের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন যে, রাজ্যের যেসব জেলায় ফসলের গোড়া পোড়ানো, সেই জেলাগুলির ওপর তিনি এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির ডেপুটি কমিশনাররা নজর রাখছেন। ১৯৮১’র বায়ু (দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘণের জন্য একাধিক এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। আইন লঙ্ঘণের ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে জরিমানা ধার্য করার পাশাপাশি, রাজ্য সরকার কড়া ব্যবস্থাও নিচ্ছে।
পর্যালোচনা বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘটনা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। সচিবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক দল ২৪ ঘন্টা তৃণমূল স্তরে কাজ করে চলেছেন।
দিল্লির মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, জল ছিটানোর কাজ আরও জোরদার করাহয়েছে। অত্যাধিক দূষণ কবলিত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শহরে খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে। এ জন্য সর্বাধিক জরিমানা নেওয়া হচ্ছে এবং আইন লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধেও জরিমানা সহ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি কিছুটা ভালো থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব প্রয়োজন সাপেক্ষে বায়ু দূষণ প্রতিরোধমূলক আগাম ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বায়ু দূষণ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে হবে।
এই পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা শ্রী পি কে সিনহা, ক্যাবিনেট সচিব, পরিবেশ সচিব, কৃষি সচিব, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের মহানির্দেশক সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।