প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার (২৭ মে) জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নব-নির্মিত দুটি এক্সপ্রেসওয়ে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এর একটি নিজামউদ্দিন ব্রিজ থেকে দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ১৪ লেন বিশিষ্ট মহাসড়কের প্রথম পর্যায়। দ্বিতীয়টি হ’ল – ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে। ১ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের কুন্ডিল থেকে ২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের পালওয়াল পর্যন্ত এই অংশটি বিস্তৃত।
দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে জাতীয় রাজধানী থেকে মিরাট পর্যন্ত যাতায়াতের সময় লক্ষ্যণীয় হারে হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে, উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাখন্ডের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসার সময় কমবে।
দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর, মহাসড়কটি পরিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যখন খোলা জিপ-এ করে কয়েক কিলোমিটার সফরে যান, সাধারণ মানুষ তখন তাঁকে শুভেচ্ছা ও মহাসড়কের জন্য অভিনন্দন জানান।
ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে দ্বিমুখী উদ্দেশ্য পূরণ করবে। একদিকে, এই মহাসড়কটির ফলে যেমন জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে যানজট ও দূষণ সমস্যা কমবে। অন্যদিকের তেমনই, গন্তব্যস্থল দিল্লি নয় এমন যানবাহনগুলিকে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
এই উপলক্ষে, বাগপত-এ এক জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, সমগ্রি দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শীঘ্রই সম্পূর্ণ হবে। তিনি বলেন, ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের ফলে দিল্লিতে যানজট সমস্যা কমবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে আধুনিক পরিকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সড়ক, রেলপথ, জলপথ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো নির্মাণে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার কথা উল্লেখ করেন। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
মহিলা ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে কিভাবে শৌচালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ কিভাবে মহিলাদের দৈনন্দিন কাজকর্মকে সহজ করে তুলেছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত প্রদেয় ১৩ কোটি টাকা ঋণ সহায়তার মধ্যে ৭৫ শতাংশই মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
তপশিলি জাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপগুলির কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের সাধারণ বাজেটে গ্রামীণ ও কৃষি-পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য ১৪ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।