প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৮ই সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঐতিহাসিক কোশী রেল মহাসেতু জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বিহারের যাত্রীদের জন্য ১২টি রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন। এগুলির মধ্যে রয়েছে, কিউল নদীর ওপর একটি নতুন রেলসেতু, দুটি নতুন রেল লাইন, ৫টি বৈদ্যুতিকরণ প্রকল্প, একটি ইলেক্ট্রিক লোকোমেটিভ শেড এবং বাঢ় – বক্তিয়ারপুর রেল শাখার তৃতীয় লাইন।
কোশী রেল মহাসেতু উৎসর্গ করা বিহারের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। এই মহাসেতুর মাধ্যমে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সমস্ত অঞ্চলের যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
১৮৮৭ সালে নিরমালী এবং ভাবতিআহি (সরাইগড়)-র মধ্যে একটি মিটারগেজ লাইন তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে প্রবল বন্যা এবং ভারত – নেপাল ভূমিকম্পে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কোশী নদীর খরস্রোতার কারণে দীর্ঘদিন এই রেল যোগাযোগ পুর্নস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় নি।
২০০৩ – ০৪ সালে কেন্দ্র, কোশী মহাসেতু প্রকল্প অনুমোদন করে। ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫১৬ কোটি টাকা। ভারত – নেপাল সীমান্তে এই সেতু কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড মহামারীর মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছিলেন।
এই প্রকল্প উৎসর্গের মধ্য দিয়ে ঐ অঞ্চলের মানুষের ৮৬ বছরের স্বপ্নপূরণ হবে। দীর্ঘ অবসানের পর এই মহাসেতুর উদ্বোধন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সুপৌল স্টেশন থেকে সহর্ষ – আসানপুর কুফা ডেমো ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। যখন নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তখন সুপোল, আরারিয়া এবং সহর্ষ জেলার মানুষ প্রভূত উপকৃত হবেন। এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের কলকাতা, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো দূরপাল্লার যাত্রায় সুবিধা হবে।
প্রধানমন্ত্রী, হাজিপুর – ঘোষওয়াড় – বৈশালী এবং ইসলামপুর – নাটেশরের মধ্যে নতুন রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও কারনাউতি – বখতিয়ারপুর লিঙ্ক বাইপাস এবং বাঢ় ও বখতিয়ারপুরের মধ্যে তৃতীয় লাইনের ট্রেন চলাচলের সূচনা করবেন।
শ্রী মোদী, মুজাফ্ফরপুর – সীতামাঢ়ি, কাটিহার – নিউ জলপাইগুড়ি, সমস্তিপুর – দ্বারভাঙ্গা – জয়নগর, সমস্তিপুর – খাগাড়িয়া এবং ভাগলপুর – শিবনারায়ণপুর শাখার বৈদ্যুতিকরণ প্রকল্পের-ও উদ্বোধন করবেন।