একাদশ ব্রিকস্ শিখর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ১৩ ও ১৪ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রাজিলের ব্রাজিলিয়ায় যাবেন। এই সম্মেলনের মূল বিষয় হ’ল – ‘উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আর্থিক বিকাশ’।
ব্রিকস্ শিখর সম্মেলনে এটি প্রধানমন্ত্রীর ষষ্ঠবার অংশগ্রহণ। তিনি ২০১৪ সালে ব্রাজিলের ফোর্তালেজায় প্রথমবার ব্রিকস্ শিখর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
একটি বড় ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ব্রিকস্ বাণিজ্য ফোরামে অংশগ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সফর-সঙ্গী হবে। পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্রের বাণিজ্য গোষ্ঠী এই ফোরামে যোগ দেবে।
প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস্ বাণিজ্য ফোরামের সমাপ্তি অধিবেশন, একাদশ ব্রিকস্ শিখর সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ ও সমাপ্তি অধিবেশনে অংশগ্রহণ ছাড়াও, রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রধানমন্ত্রী শি জিংপিং – এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
সমাপ্তি অধিবেশনে সমসাময়িক বিশ্বে সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দেশ যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের মুখোমুখী হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ব্রিকস্ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ব্রিকস্ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে নেতৃবৃন্দ আলাপ-আলোচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস্ বাণিজ্য পর্ষদের বৈঠকে ব্রিকস্ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এই বৈঠকে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সভাপতি ও ব্রাজিলিয়ান ব্রিকস্ বাণিজ্য পর্ষদের চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এর পর, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উৎসাহদানের লক্ষ্যে একটি ব্রিকস্ সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হবে। সম্মেলনের শেষে নেতৃবৃন্দ যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করবেন।
পৃথিবীর পাঁচটি বৃহৎ বিকাশশীল অর্থনৈতিক রাষ্ট্রকে নিয়ে ব্রিকস্ সংগঠন গড়ে উঠেছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ মানুষ এই পাঁচটি দেশে বসবাস করেন। পৃথিবীর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৩ শতাংশ ও বিশ্ব জুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ১৭ শতাংশ ব্রিকস্ রাষ্ট্রগুলিতেই হয়ে থাকে।
দুটি স্তম্ভের ওপর ব্রিকস্ গোষ্ঠীর সহযোগিতা গড়ে উঠেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যেমন হয়, পাশাপাশি উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যেও এই বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে।