প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ই সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় 'একবিংশ শতাব্দীতে বিদ্যালয় শিক্ষা' শীর্ষক একটি আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখবেন। ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতির জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শিক্ষক পর্বের আওতায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ১০ এবং ১১ সেপ্টেম্বর – দু'দিন ধরে এই আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী 'কনক্লেভ অন ট্রান্সফরমেশনাল রিফর্মস ইন হায়ার এডুকেশন আন্ডার এনইপি, ২০২০’ শীর্ষক আরেকটি আলোচনায় ৭ আগস্ট উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি ওই দিন জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর রাজ্যপালদের আলোচনাচক্রেও বক্তব্য রেখেছেন।
২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতি একবিংশ শতাব্দীর প্রথম শিক্ষানীতি। ১৯৮৬ সালে শিক্ষার ওপর জাতীয় নীতির ৩৪ বছর পর এই নীতি ঘোষিত হয়েছে। বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষায় সংস্কার আনার জন্য এই নীতি প্রণয়ন করা হবে।
নতুন এই জাতীয় শিক্ষানীতি দেশে জ্ঞানের ক্ষেত্রে সাম্য ও প্রাণবন্ত সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। ভারত-কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দেশকে সরাসরি আন্তর্জাতিক মহাশক্তিধর হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতি দেশ জুড়ে বিদ্যালয় শিক্ষায় সংস্কার আনবে। বিদ্যালয় স্তরে শৈশবের প্রথম পর্যায়ে যত্ন এবং শিক্ষা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আট বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের কথা ভেবে যা করা হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থা ১০+২ কাঠামোর পরিবর্তে ৫+৩+৩+৪-এ পরিবর্তিত হবে। একবিংশ শতাব্দীর যুগোপযোগী ব্যবস্থার সঙ্গে মিল রেখে গাণিতিক বিষয় এবং বিজ্ঞানমনস্কতা এই ব্যবস্থায় যুক্ত করা হবে। বিদ্যালয় শিক্ষায় নতুন সর্বাঙ্গীণ জাতীয় পাঠক্রম, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জাতীয় স্তরে মান বৃদ্ধি, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সংস্কার এবং শিশুদের সর্বাত্মক বিকাশের ব্যবস্থা ও ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে যে সর্বাঙ্গীণ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার ফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে এবং প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গড়ার স্বপ্নকে এই শিক্ষা পদ্ধতি সাহায্য করবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক পর্ব উদযাপন করা হচ্ছে যার মধ্য দিয়ে নতুন শিক্ষানীতিকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশ জুড়ে এই শিক্ষানীতির বিষয়ে নানান আঙ্গিকে বিভিন্ন ওয়েবিনার, ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন ও আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছে।