প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভারতের যুবসমাজ জাতপাতের বিষয়ে আগ্রহী নয়। তাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। দিল্লিতে আজ এনসিসি-র র্যালিতে তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন।
দেশের যুবসম্প্রদায়ের মনোভাব ও রুচির উন্নতিসাধনের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কয়েক দশক ধরে চলা জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্যাগুলির নিষ্পত্তির প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার সময় থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্যা চলে আসছে। এই সমস্যা সমাধানে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে”?
তিনি বলেন, “তিন থেকে চারটি পরিবার এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে শুধুমাত্র এই সমস্যার সমাধান করেনি, বরং সমস্যা জিইয়ে রেখেছিল”।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এর ফলস্বরূপ লাগাতার সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কাশ্মীর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যুও হচ্ছিল”।
“সেই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষদের ঘর ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছিল – এই দৃশ্য সরকার নীরব দর্শক হয়ে দেখতে পারে না”।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থাপনা। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য সাত দশকে এই ব্যবস্থা করেনি।
তিনি বলেন, “কাশ্মীর দেশের মুকুট। কয়েক দশক ধরে চলা সমস্যা থেকে কাশ্মীরকে বের করে আনার দায়িত্ব আমাদেরই”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের মূল উদ্দেশ্যই হ’ল জম্মু ও কাশ্মীরে চলা দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান।
সন্ত্রাস দমনে সার্জিকাল ও এয়ার স্ট্রাইক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ আমাদের সঙ্গে তিন বার যুদ্ধ করেছে কিন্তু প্রতিবারই পরাজিত হয়েছে। এখন আমাদের সঙ্গে তারা ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে এবং আমাদের হাজার হাজার নাগরিককে হত্যা করছে।
তিনি বলেন, “এই বিষয়টিকে নিয়ে আগে কখনও ভাবনাচিন্তাই করা হয়নি। এটিকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসাবে দেখা হ’ত”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করা হ’ত এবং সেনাবাহিনীকে কখনই কাজ করার সুযোগ দেওয়া হ’ত না।
“আজ ভারত তারুণ্যে ভরা চিন্তাভাবনা ও মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের ক্যাম্পে সরাসরি আঘাত হানা, সার্জিকাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকও করতে পেরেছে”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ধরণের কাজের ফলস্বরূপ আজ দেশের সর্বত্র শান্তি বিরাজ করছে এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ক্রমশই কমছে”।
জাতীয় যুদ্ধ স্মারকস্থল
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে অনেকেই শহীদদের কথা স্মরণ রাখতে চায় না।
তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীগুলির মানসিকতা বাড়ানোর পরিবর্তে এক সময় তাদের গর্বে আঘাত হানা হয়েছিল”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যুবসমাজের কথা মাথায় রেখে নতুন দিল্লিতে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকস্থল এবং জাতীয় পুলিশ স্মারকস্থল নির্মাণ করা হয়েছে।
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। সেনা বিমান এবং নৌ-বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরেই এই ক্ষেত্রে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের দাবি উঠেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসম্প্রদায়ের ভাবনাচিন্তা ও মনোভাব থেকে উৎসাহিত হয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য সরকার সিডিএস নিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, “সিডিএস পদ সৃষ্টি করা এবং নতুন সিডিএস নিয়োগ করার কাজ আমাদের সরকারই করেছে।