#MannKiBaat: PM Modi extends greetings on Ramzan, says it depicts spirituality & charity
#MannKiBaat: India's cultural diversity is her strength, says the Prime Minister
Due to several great men who spent years in jails & even sacrificed their lives our country got freedom: PM during #MannKiBaat
Veer Savarkar’s role in India’s freedom movement cannot be forgotten: PM Modi during #MannKiBaat
Connecting with nature means to connect with ourselves. If we do so, we nurture a better planet: PM during #MannKiBaat
It must be our duty to protect the environment so that the benefits could be passed onto future generations: PM during #MannKiBaat
#MannKiBaat: Yoga is unifying the entire world, guarantees wellness as well as fitness, says Shri Modi
Swachhata has become a mass movement today. It has generated a spirit of competitiveness between the cities: PM during #MannKiBaat
Thinking of waste or garbage in terms of wealth could incubate new ideas for : PM during #MannKiBaat
Constructive criticism strengthens the democratic fabric: PM Modi during #MannKiBaat
Let us all commit ourselves that by 2022, we would build a new India: PM during #MannKiBaat

আমার প্রিয় দেশবাসী , নমস্কার ! এবছর গরমকে হয়ত আমরা ভুলতে পারবো না। বর্ষার প্রতীক্ষা চলছেই । আজ আমি যখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি , তখন পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে। পবিত্র রমজান মাসে আমি বিশ্বের সমস্ত মানুষদের , বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের এই পবিত্র মাসে আন্তরিক শুভকামনা জানাচ্ছি। রমজানের সময় প্রার্থনা , আধ্যাত্মিকতা ও দয়া – র প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা হিন্দুস্থানীরা খুবই ভাগ্যবান – আমাদের অগ্রজরা এমন এক পরম্পরা তৈরি করেছেন যে ভারতবাসীরা গর্ব করতে পারে তা নিয়ে। আমরা একশো পঁচিশ কোটি দেশবাসী গর্ব করতে পারি এই নিয়ে যে ভারতে বিশ্বের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন। এ এক এমন দেশ যে ঈশ্বরবিশ্বাসী বা নাস্তিক – যাঁরা মূর্তিপূজা করেন অথবা যাঁরা মূর্তিপূজার বিরোধী , সব রকমের চিন্তাধারা , সব রকমের পূজা পদ্ধতির , সব রকমের পরম্পরার মানুষ এক সঙ্গে জীবনধারণ করার কৌশল আয়ত্ত করেছেন। আর ধর্মই হোক , সম্প্রদায় , চিন্তাধারা বা পরম্পরা – যাই হোক না কেন , আমাদের একটিই বার্তা দেয় – শান্তি , একতা আর সদ্ ‌ ভাবনা। এই পবিত্র রমজান মাস শান্তি , একতা আর সদ্ ‌ ভাবনার এই ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। আমি আবার একবার শুভকামনা জানাচ্ছি।

গতবার যখন আমি ‘ মন কি বাত ’ করেছিলাম , তখন আমি একটি শব্দপ্রয়োগ করেছিলাম। বিশেষ করে নওজোয়ানদের বলেছিলাম নতুন কিছু করতে , নতুন অনুভব নিয়ে comfort zone থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে। আর এই তো বয়স এইভাবে বেঁচে থাকার – একটু ঝুঁকি নেওয়ার , কঠোরতার সামনাসামনি হওয়ার। আমার আনন্দ হচ্ছে যে বহু মানুষ আমাকে feedback দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজের কথা বলার জন্য সবাই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। এত বার্তা আসে যে আমি সবগুলিই তো পড়ে উঠতে পারি না , সবার পাঠানো বার্তা শুনতেও পারি না। কিন্তু আমার নজরে যতটা এসেছে তাতে দেখেছি , কেউ গান শেখার চেষ্টা করছেন , কেউ নতুন বাদ্যযন্ত্রে হাত মক্ ‌ শো করছেন , কেউ কেউ ইউ – টিউব ব্যবহার করে নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করছেন , কেউ নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করছেন , কেউ রান্না শিখছেন , কেউ নাচ শিখছেন , কেউ নাটক শিখছেন , কেউ কেউ তো লিখেছেন যে তাঁরা কবিতা লেখা শুরু করেছেন। প্রকৃতিকে জানতে , বুঝতে , এর মধ্যে বেঁচে থাকতে শেখার চেষ্টা করছেন। আমার খুব আনন্দ হয়েছে। আর আমি একটি ফোনের বার্তা আপনাদের শোনাতে চাইছি –

দীক্ষা কাত্যাল বলছি। আমার পড়াশোনার অভ্যাস প্রায় বন্ধ হয়ে গেছিল। এইজন্য এই ছুটিতে আমি পড়ার চেষ্টা করেছি। যখন আমি স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে পড়তে শুরু করলাম , তখন বুঝতে পারলাম যে ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য কত সংগ্রাম করতে হয়েছে , কত জীবনদান করতে হয়েছে , কত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জেলে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর। ভগৎ সিং , যিনি খুব কম বয়সে অনেক কিছু করেছেন , তাঁর জীবন থেকে আমি প্রেরণা পেয়েছি। এজন্য আপনার কাছে আমার অনুরোধ যে আজকের পর্বে আপনি এই বিষয়ে কিছু বলুন।

আমার ভালো লাগছে যে আজকের যুবক – যুবতীরা আমাদের ইতিহাস , আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী – যাঁরা আমাদের দেশের জন্য জীবন বলিদান দিয়েছেন , তাঁদের বিষয়ে জানার ইচ্ছে প্রকাশ করছে। অগুন্তি মহাপুরুষ যাঁরা তাঁদের জীবনটাই জেলে কাটিয়েছেন , বহু তরুণ যাঁরা ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন , কী না আমরা সহ্য করেছি , আর তাই তো আমরা আজ স্বাধীন হিন্দুস্থানে শ্বাস নিচ্ছি। একটা জিনিস আমি দেখেছি যে , যে সমস্ত মহাপুরুষ স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য জেলে দিন কাটিয়েছেন , তাঁরা প্রচুর লেখালেখি ও পড়াশোনা করেছেন এবং তাঁদের এই লেখালেখি স্বাধীনতাকে আরও শক্তি দিয়েছে।

বহু বছর আগে আমি আন্দামান – নিকোবর গিয়েছিলাম। সেলুলার জেল দেখতে গিয়েছিলাম। আজ বীর সাভারকরের জন্মজয়ন্তী। বীর সাভারকর জেলে বসে ‘ মাঁজী জন্মঠে ’ বইটি লিখেছিলেন। জেলের দেওয়ালে কবিতা লিখতেন। একটা ছোট ঘরে তাঁকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। স্বাধীনতার জন্য কত কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল। যখন আমি সাভারকরজীর ‘ মাঁজী জন্মঠে ’ বইটি পড়ি তা থেকেই আমি সেলুলার জেল দেখার প্রেরণা পাই। সেখানে এক Light and Sound Show চলে যা খুবই প্রেরণাদায়ক। হিন্দুস্থানের এমন কোনো রাজ্য নেই , এমন কোনো ভাষাভাষী মানুষ নেই যাঁরা স্বাধীনতার জন্য কালাপানির সাজা ভোগ করেননি , আন্দামানের জেলে – এই সেলুলার জেলে নিজের জীবন খোয়াননি। সব ভাষা – ভাষী , সব প্রান্তের , সব প্রজন্মের মানুষ এই যন্ত্রণা সহ্য করেছেন।

আজ বীর সাভারকরের জন্মজয়ন্তী। আমি দেশের যুবপ্রজন্মকে অবশ্যই বলতে চাই যে আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করেছি তার জন্য কত মানুষ কত কষ্ট সহ্য করেছেন , কত যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। আর আমি সেলুলার জেলে গিয়ে দেখেছি তাকে কালাপানি কেন বলে। ওখানে যাওয়ার পরই তা বোঝা যায়। আপনারাও যদি কখনও সুযোগ পান আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের তীর্থক্ষেত্রে অবশ্যই যাবেন।

আমার প্রিয় দেশবাসী , ৫ – ই জুন মাসের প্রথম সোমবার। এটা খুবই সামান্য কথা যদিও , কিন্তু ৫ – ই জুন এক বিশেষ দিন। কারণ এই দিনটি ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ’ হিসাবে পালন করা হয়। আর এই বছর ইউনাইটেড নেশনস্ ‌ – এর থিম হল ‘ Connecting people toNature ’ । অন্যভাবে বলতে গেলে ‘ back to basics ’ । ‘ Nature ’- এর সঙ্গে ‘ connect ’ – একথার মানে কি ? আমার মতে নিজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া , আমার আপনার সঙ্গে connect হওয়া। Nature – এর সঙ্গে connect – এর মানে হল উন্নততর গ্রহের লালন করা। আর একথা মহাত্মা গান্ধীর থেকে ভালভাবে আর কেই বা বলেছেন। মহাত্মা গান্ধী বহুবার বলেছেন – “ One must care about aWorld one will not see ”, অর্থাৎ আমরা যে জগৎ দেখিনি , আমাদের কর্তব্য হল সে সম্পর্কে ভাবনা – চিন্তা করা , তার প্রতি যত্নবান হওয়া। প্রকৃতির এক শক্তি আছে। আপনিও নিশ্চয়ই অনুভব করেছেন যে খুব ক্লান্ত হয়ে আসার পর এক গ্লাস জল মুখে ছিটিয়ে দিলে কতটা সতেজতা আসে। খুব ক্লান্ত হয়ে আসার পর ঘরের জানলা – দরজা খুলে দিয়ে তাজা বাতাসে শ্বাস নিলে নতুন প্রাণ আসে। যে পঞ্চভূতে আমাদের শরীর তৈরি , সেই পঞ্চভূতের সঙ্গে যখন যোগাযোগ ঘটে , তখন আপনা থেকেই আমাদের শরীরে এক নতুন প্রাণ , নতুন উদ্যমের সঞ্চার হয়। এটা আমরা সবাই দেখেছি , কিন্তু এটা নিয়ে সেভাবে ভাবিনি। আমরা এটাকে এক সূত্রে এক রশিতে বাঁধতে পারিনি। এরপর আপনি অবশ্যই দেখবেন যে , যখনই বিভিন্ন প্রাকৃতিক অবস্থার সঙ্গে আপনার যোগ হবে , আপনার ভেতরে এক নতুন চেতনার উদ্ভব হবে। আর এজন্যই ৫ – ই জুন প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে অভিযান , আমাদের নিজেদের অভিযান হওয়া উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা পরিবেশ রক্ষার জন্য যে কাজ করেছেন তার কিছু ফল আমরা পাচ্ছি। আমরা যদি পরিবেশ রক্ষা করি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তার ফল পাবে। বেদ – এ পৃথিবী আর পরিবেশকে শক্তির মূল বলে মান্য করা হয়। আমাদের বেদ – এ এর বর্ণনা পাওয়া যায়। আর হাজার বছর আগে লেখা অথর্ববেদ তো একরকম পুরোপুরিই পরিবেশের সবচেয়ে বড় দিকনির্দেশক গ্রন্থ। আমাদের এখানে বলা হয় – মাতা ভূমিঃ পুত্র অহম পৃথিব্যাঃ। বেদ – এ বলা হয়েছে আমাদের মধ্যে যে পবিত্রতা আছে তা আমাদের পৃথিবীর জন্য। ধরিত্রী আমাদের মা আর আমরা তাঁর সন্তান। যদি আমরা ভগবান বুদ্ধের কথা মনে করি তো একটা কথা অবশ্যই বেরিয়ে আসে যে মহাত্মা বুদ্ধের জন্ম , তাঁর জ্ঞান প্রাপ্তি এবং তাঁর মহাপরিনির্বাণ – তিনটিই হয়েছিল বৃক্ষতলে। আমাদের দেশে এমন অনেক উৎসব , এমন অনেক পূজাপদ্ধতি আছে , শিক্ষিত মানুষ , অশিক্ষিত , শহুরে , গ্রামীন , আদিবাসী সমাজ হোক – প্রকৃতির পূজা , প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এক সহজ সমাজজীবনের অংশ। কিন্তু আমাদের তাকে আধুনিক শব্দে , আধুনিক বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজন হয়। এ সময়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে খবর আসে আমার কাছে। বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সমস্ত রাজ্যে গাছ লাগানোর বড় অভিযান শুরু হয়ে যায়। কোটি কোটি গাছ লাগানো হয়। স্কুলের বাচ্চাদেরও সামিল করা হয়। সমাজসেবী সংগঠন এবং NGO – রাও অংশগ্রহণ করে , সরকার নিজে এই অভিযান শুরু করার দায়িত্ব নেয়। আমরাও এই বছর এই বর্ষাকালে গাছ লাগানোর এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই , অংশগ্রহণ করি।

আমার প্রিয় দেশবাসী , ২১ – শে জুন। ২১ – শে জুন এখন পৃথিবীতে একটি পরিচিত দিন হয়ে গেছে। ‘ বিশ্ব যোগ দিবস ’ হিসেবে সমগ্র বিশ্ব এই দিনটি পালন করে । খুব অল্প সময়ের মধ্যে
২১ জুনের এই ‘ বিশ্ব যোগ দিবস ’ সমস্ত জায়গায় বিস্তার লাভ করেছে , লোকদের সামিল করছে। একদিকে পৃথিবীতে বিভেদ সৃষ্টিকারী অনেক শক্তি তার বিকৃত রূপ দেখাচ্ছে , এই সময়ে ‘ বিশ্ব যোগ দিবস ’ ভারতের এক বড় অবদান। যোগের মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্বকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলেছি। যোগ যেভাবে শরীর , মন , বুদ্ধি এবং আত্মাকে এক সঙ্গে বাঁধে ঠিক সেইভাবে আজ যোগ বিশ্বকেও একসঙ্গে বাঁধছে। বর্তমান জীবনযাপনের ধারা অনুযায়ী , নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে দায়িত্বের অতিবৃদ্ধির জন্যে , চিন্তামুক্তভাবে বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এরকম পরিস্থিতি অল্পবয়সীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। উল্টোপাল্টা ওষুধ খাওয়া এবং দিন কাটিয়ে দেওয়া – এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন পাওয়ার জন্য যোগব্যায়ামের বড় ভূমিকা রয়েছে। যোগব্যায়াম ভালো থাকার ও চনমনে থাকার গ্যারান্টি দেয়। যোগ কেবলমাত্র এক ব্যায়াম নয় , সুস্থতা পরিস্ফুট হয় শরীর , মন , বিচারের মেলবন্ধনে আর এই মেলবন্ধন অনুভব করা সম্ভব একমাত্র যোগব্যায়ামের দ্বারা। দু ’ দিন আগে আমি যোগ দিবস নিয়ে বিশ্বের সমস্ত দেশের সরকারকে , সব নেতাদের চিঠি লিখেছি।

গত বছর আমি যোগ সম্পর্কিত কিছু প্রতিযোগিতার ঘোষণা করেছিলাম। কিছু পুরস্কারের ঘোষণা করেছিলাম। আস্তে আস্তে এই দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমার কাছে একটা প্রস্তাব এসেছে , এই নতুন প্রস্তাব যিনি পাঠিয়েছেন , তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। মজার এক প্রস্তাব। তিনি বলেছেন – এটি তৃতীয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস , আমাকে বলছেন , আমি যেন অনুরোধ করি যে এই তৃতীয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে একই পরিবারের তিন প্রজন্ম এক সঙ্গে যেন যোগ ব্যায়াম করে। দাদু – ঠাকুমা হোক বা দাদু – দিদিমা , মা – বাবা , ছেলে – মেয়ে তিন প্রজন্ম এক সঙ্গে যোগ ব্যায়াম করুক , আর এর ছবি আপলোড করুন। গতকাল , আজ আর আগামী কাল – এর এক সৌভাগ্যমূলক মেলবন্ধন যোগকে এক নতুন দিশা দেখাবে । আমি এই প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি , আর আমার মনে হয় , আমরা যেমন Selfie with Daughter – এর অভিযান চালিয়েছি , আর এক আনন্দদায়ক অনুভবের সৃষ্টি করেছি , এই তিন প্রজন্মের যোগব্যায়ামের ছবি , ঠিক সমগ্র দেশ এবং পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে। আপনি নিশ্চয়ই ‘ নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ ’ – এর মাধ্যমে ‘ মাই গভ ’ – এ যেখানে যেখানে তিন প্রজন্মের লোকেরা একসঙ্গে যোগব্যায়াম করছে , এই তিন প্রজন্মের লোক এক সঙ্গে আমাকে ছবি পাঠাবেন । এটা কাল , আজ আর আগামীকালের ছবি হবে। যেটা এক সুন্দর কালের গ্যারাণ্টি হবে। আমি আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এখনও আন্তর্জাতিক যোগদিবসের প্রায় তিন সপ্তাহ বাকী। আজ থেকে অভ্যাস শুরু করে দিন। আমি ১লা জুন থেকে ট্যুইটারে প্রতিদিন যোগ সম্পর্কিত কিছু না কিছু পোস্ট করতে থাকবো এবং লাগাতার ২১ – শে জুন পর্যন্ত পোস্ট করতে থাকবো , আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব। আপনিও তিন সপ্তাহ অবিরাম যোগ বিষয়ে প্রচার করুন , প্রসার করুন , লোকেদের সামিল করুন। এটা একরকমের Preventive Health Care – এর আন্দোলন। আমি আপনাদের সবাইকে এতে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

যেদিন থেকে আপনারা আমাকে প্রধান সেবকরূপে কাজের দায়িত্বভার দিয়েছেন , আর লালকেল্লা থেকে আমি , আমার প্রথম ১৫ – ই আগস্টের বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলাম , সেদিন স্বচ্ছতা সম্বন্ধে বলেছিলাম। সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে আমার যাওয়া – আসা হয়েছে। আমি দেখেছি , কিছু মানুষ খুব উৎসুকভাবে , মোদিজী কি করছেন , কোথায় যাচ্ছেন , কী কী করছেন – সব সময় লক্ষ রাখছেন। কারণ আমার কাছে এক interesting phone call এসেছে , আর আমিও মনে হয় এইভাবে এটা ভাবিনি – কিন্তু আমি এই কথাটা যে উনি ধরেছেন , এর জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। এই ফোন কল থেকে আপনিও বুঝতে পারবেন –

প্রণাম মোদিজী , আমি মুম্বই থেকে নয়না বলছি। মোদিজী , টিভিতে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি আজকাল প্রায় দেখছি আপনি যেখানেই যাচ্ছেন , সেখানকার লোকেরা সবাই পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। মুম্বই হোক বা সুরাত , আপনার আহ্বানে লোকেরা সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতাকে মিশন হিসাবে মেনে নিয়েছেন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও স্বচ্ছতাকে নিয়ে সচেতন হয়েছে। অনেকবার ছোটোরা বড়দের জঞ্জাল ফেলতে দেখে তাদের বারণ করেছে । কাশীর ঘাট থেকে আপনি যে স্বচ্ছতার এক প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন , সেটা আপনার প্রেরণার মাধ্যমে এক আন্দোলনের চেহারা নিয়ে নিয়েছে।

আপনি ঠিক বলেছেন , আমি যেখানে যেখানে যাচ্ছি , সেখানে সরকারীভাবে সাফাইয়ের কাজ তো হয় , কিন্তু আজকাল সমাজেও পরিচ্ছন্নতার এক উৎসব শুরু হয়ে যায়। আমি কোথাও যখন যাই , আমি যাওয়ার পাঁচ – সাত কি দশ দিন আগে ব্যাপকভাবে সাফাইয়ের কাজ হয়। গণমাধ্যমও এসবের খুব প্রাধাণ্য দেয়। আমি কিছুদিন আগে গুজরাতের কচ্ছে গিয়েছিলাম। ওখানে অনেক বড় সাফাই অভিযান চলেছিল। আমিও খুব একটা নজর দিইনি। কিন্তু যখন এই ফোন কলটা এল , আমিও চিন্তা করলাম এবং দেখলাম যে হ্যাঁ , একথাটা ঠিক। আপনি কল্পনা করতে পারেন যে আমি কতটা আনন্দিত হই এটা জেনে যে দেশের লোকজনেরা এত ঔৎসুক্যের সঙ্গে এসব লক্ষ করছেন। আমার কাছে এর থেকে বেশি খুশি কী হতে পারে। আমার সফরের সঙ্গে স্বচ্ছতাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য বাকি প্রস্তুতি তো থাকবেই কিন্তু সবথেকে আগে থাকবে স্বচ্ছতা। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বচ্ছতাপ্রেমী যেকোন লোককে আনন্দ দেবে। আমি এই স্বচ্ছতার প্রতি জোর দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কেউ একজন আমাকে একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনিতে এটা এক মজাদার প্রস্তাব। আমি জানি না , এটা করতে পারব কি না।

মোদীজী , যখন আপনি কোন আমন্ত্রণে যাবেন , তখন বলবেন , যদি আমাকে আমন্ত্রণ করেন তো স্বচ্ছতা কিরকম স্তরের হবে , কত টন জঞ্জাল আপনি আমাকে উপহার দেবেন , সেই ভিত্তিতে আমি আমার যাওয়া ঠিক করব ।

Idea তো খুব ভাল , কিন্তু আমাকে ভাবতে হবে । আবার একথাও ঠিক যে আন্দোলন তো হওয়া দরকার , আর উপহারস্বরূপ অন্য জিনিসের পরিবর্তে কয়েক টন জঞ্জাল পরিস্কার করে দেবেন। কত মানুষকে আমরা অসুস্থতা থেকে বাঁচাবো। কত বড় মানবতার কাজ হবে। একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করতে চাই যে , এই যে আবর্জনা , একে আমরা ‘ waste ’ বলে ধরবো না , এটা একরকমের ‘ wealth ’ – এক ‘ resource ’ । এটাকে কেবলমাত্র জঞ্জাল হিসেবে দেখবেন না। একবার এটাকে যদি ‘ wealth ’ হিসেবে মানতে পারি , তাহলে Waste Management – এর নতুন নতুন উপায় আমাদের সামনে আসবে। স্টার্ট – আপ – এর সঙ্গে যুক্ত তরুণরা নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসবেন , নতুন নতুন যন্ত্রপাতির উদ্ভব হোক। রাজ্যসরকারগুলির সহায়তায় ভারত সরকার শহরগুলির জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যে Waste Management – এর এক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে , ৫ই জুন ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ’ – এ দেশের প্রায় চার হাজার শহরে কঠিন এবং তরল বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দু – রকমের Dustbin – সবুজ ও নীল দেওয়া হবে। আশা করা যায় , এই চার হাজার শহরে শুকনো আবর্জনা নীল Dustbin– এ এবং ভেজা আবর্জনা সবুজ Dustbin– এ ফেলা হবে। রান্নাঘরের আবর্জনা , যেমন শাক – সব্জির খোসা , উচ্ছিষ্ট , ডিমের খোলা , গাছপালার পাতা – এসবই ভেজা আবর্জনা – সবুজ Dustbin– এ ফেলুন। এই সমস্ত জিনিসগুলি এমনই যা কৃষিকাজে লাগে , যদি খেতের রঙ সবুজ – এই বিষয়টি মনে রাখেন , তাহলে সবুজ Dustbin– এ কী কী ফেলতে হবে , তা মনে থাকবে। আর বাকি আবর্জনা যেমন অব্যবহার্য কাগজ , লোহা , কার্ড বোর্ড , কাঁচ , কাপড় , প্লাস্টিক , পলিথিন , রবার ও অন্যান্য ধাতুর জিনিসপত্রগুলো শুকনো আবর্জনা – যেগুলো মেশিনে ফেলে রি – সাইকেল করতে হয় , সাধারণভাবে এগুলো ব্যবহার হয় না , এগুলো নীল Dustbin– এ ফেলতে হবে। আমার বিশ্বাস যে আমরা এভাবে একটা অভ্যাস গড়ে তুলতে পারব। পরিচ্ছন্নতার জন্য আমাদের নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তাহলে গান্ধীজী পরিচ্ছন্নতার যে স্বপ্ন দেখতেন সে স্বপ্ন আমরা সম্পূর্ণ করতে পারবো। আজ আমি গর্বের সঙ্গে একটা কথা উল্লেখ করতে চাই যে একজন ব্যক্তিও যদি মনস্থির করে নেয় , তাহলে কত বড় একটা জন আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারে। পরিচ্ছন্নতার কাজ এই রকমই একটি বিষয়। বিগত দিনে আপনারা নিশ্চয় একটি খবর শুনেছেন। মুম্বই – এর দুর্গন্ধময় বার্সোবা বিচ আজ একটি পরিষ্কার , পরিচ্ছন্ন বার্সোবা বিচ – এ পরিণত হয়েছে। এটা কিন্তু হঠাৎ হয়নি , একজন নাগরিক ৮০ – ৯০ সপ্তাহ যাবৎ লাগাতার পরিশ্রম করে বার্সোবা বিচ – এর ছবি পালটে দিয়েছেন। হাজার হাজার টন ময়লা সরিয়ে বার্সোবা বিচকে পরিষ্কার , পরিচ্ছন্ন , সুন্দর বানানো হয়েছে। আর এটার পুরো দায়িত্ব পালন করেছেন Versova ResidenceVolunteer । এক ব্যক্তি শ্রীমান অফরোজ শাহ অক্টোবর ২০১৫ থেকে সর্বশক্তি দিয়ে এই কাজে শামিল হন। ধীরে ধীরে এই কাজে আরও অনেক মানুষ যুক্ত হন আর এটা একটা জন আন্দোলনের রূপ নেয় । এই কাজের জন্য United Nations EnvironmentProgramme ( UNEP ) অফরোজ শাহকে পুরস্কৃত করেছে। উনিই প্রথম ভারতীয় যিনি Championsof the Earth পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমি শ্রীমান অফরোজ শাহকে এবং এই আন্দোলনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যেভাবে নিজের এলাকার লোকজনকে একত্রিত করে উনি এই কাজকে এক জন আন্দোলনের রূপ দিয়েছেন , তা সত্যিই এক প্রেরণামূলক উদাহরণ।

আমার ভাই – বোনেরা , আজ আমি আপনাদের আরও একটি খুশির খবর দিতে চাই। ‘ স্বচ্ছ ভারত অভিযান ’ সম্পর্কিত জম্মু – কাশ্মীরের ‘ রিয়াসী ব্লক ’ – এর কথা। আমি জানতে পারলাম যে রিয়াসী ব্লক খোলা জায়গায় শৌচমুক্ত এলাকা হয়ে গেছে। জম্মু – কাশ্মীরের রিয়াসী ব্লকের সকল নাগরিক এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এক উত্তম উদাহরণ রেখেছেন। এইজন্য আমি সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি জানতে পারলাম যে এই কাজে সব থেকে বেশি নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তাঁরা মশাল নিয়ে মিছিল করেছেন। প্রতি গলিতে , প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁরা প্রত্যেককে এই কাজে প্রেরণা জুগিয়েছেন। এই সকল মা – বোনেদেরও আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। জম্মু – কাশ্মীরের একটি ব্লককে খোলা জায়গায় শৌচমুক্ত করে একটি সুন্দর সূচনার জন্য আমি ঐখানকার প্রশাসকদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী , বর্তমান সরকারের গত তিন বছরের কাজ – কর্ম নিয়ে গত ১৫ দিন যাবৎ পত্র পত্রিকায় , বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে , সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত আলোচনা হচ্ছে। তিন বছর আগে আপনারা আমাকে প্রধান সেবকের দায়িত্ব দিয়েছেন। অনেক সার্ভে হয়েছে , অনেক ওপিনিয়ন পোল নেওয়া হয়েছে। এই সব প্রক্রিয়াকে আমি ভালো স্বাস্থ্যকর নিদর্শন মনে করি। এই তিন বছরের কাজকর্মকে সব প্রকারের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করা হয়েছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সেটিকে বিশ্লেষণ করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি ভালো পরম্পরা। আমি মনে করি যে গণতন্ত্রে জবাবদিহি করা সরকারের দায়িত্ব । জনতাকে সরকারের কাজকর্মের হিসেব নিকেশ দেওয়া উচিত। আমি ঐ সকল ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানাবো যাঁরা নিজেদের সময় ব্যয় করে আমাদের কাজকর্মকে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন , কখনও প্রশংসা করেছেন , কখনো সমর্থন করেছেন , কখনো ত্রুটিগুলিকে দেখিয়ে দিয়েছেন। আমার কাছে এই সকল বিষয়গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ঐ সকল ব্যক্তিদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি , যাঁরা সমালোচনামূলক এবং গুরুত্বপূর্ণ Feedback দিয়েছেন , কাজে ভুল – ভ্রান্তি , খামতি ইত্যাদি নজরে আসলে তা সুধরে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। কাজ ভালো , খারাপ – যাই হোক তার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। গঠনমূলক সমালোচনা গণতন্ত্রকে শক্তি যোগায়। এক সজাগ রাষ্ট্রের জন্য , এক সচেতন রাষ্ট্রের জন্য এই সমালোচনা খুব জরুরী।

আমার প্রিয় দেশবাসী , আমি ও আপনাদের মত একজন সামান্য নাগরিক সেই কারণে একজন সামান্য নাগরিকের মনে ভালো – মন্দ বিষয়ে যেরকম প্রভাব পড়ে , আমার মনেও সেই রকমই প্রভাব পড়ে । ‘ মন কি বাত ’ – কে কেউ সরাসরি বক্তৃতারূপে দেখেন , কেউ কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টি থেকে টীকা – টিপ্পনিও করে থাকেন। কিন্তু এই সুদীর্ঘ সময়ের পর আমি নিজেও বুঝতে পারছি যে আমি যখন ‘ মন কি বাত ’ শুরু করেছিলাম , তখন আমিও কিন্তু সেরকম চিন্তা করিনি। ‘ মন কি বাত ’ – এর এই অনুষ্ঠান আমাকে হিন্দুস্থানের সব পরিবারের একজন সদস্য বানিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় যেন পরিবারের মধ্যে থেকে ঘরে বসে ঘরের কথা বলছি। শত শত পরিবার আছে যারা এই বিষয়টি আমাকে লিখে জানিয়েছেন। দু ’ দিন আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে মাননীয় রাষ্ট্রপতি , মাননীয় উপ – রাষ্ট্রপতি , মাননীয় স্পিকার মহাশয়া – সবাই মিলে ‘ মন কি বাত ’ – এর একটি বিশ্লেষণধর্মী পুস্তক প্রকাশ করেছেন। একজন সামান্য মানুষ হিসেবে , একজন সামান্য নাগরিক হিসেবে এটা আমার মনের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছে , এই ঘটনা আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতি , মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি এবং মাননীয়া স্পিকার মহাশয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ যে এত উচ্চ পদে আসীন হয়েও তাঁরা সময় করে ‘ মন কি বাত ’ – কে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন , ‘ মন কি বাত ’ – কে এক নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। আমার কয়েকজন বন্ধু যখন ‘ মন কি বাত ’ শীর্ষক বইটি নিয়ে কাজ করছিলেন , তখন আমার সঙ্গেও কখনো কখনো আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার সময় আবুধাবির আকবর সাহেব নামে একজন চিত্রকরের প্রস্তাব শুনে আমি তো আশ্চর্য হয়ে গেছি। আকবর সাহেব প্রস্তাব দিয়েছেন যে ‘ মন কি বাত ’ অনুষ্ঠানে যেসমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে , তা নিজের স্কেচের মাধ্যমে তুলে ধরতে চান এবং এজন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না। নিজের ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য আকবর ‘ মন কি বাত ’ – এর শৈল্পিক রূপ দিয়েছেন। আমি আকবর সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞ।

আমার প্রিয় দেশবাসী , আমরা পরের বার যখন মিলিত হব , তখন দেশের প্রতিটি কোণে বর্ষা নেমে যাবে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যাবে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়ে যাবে। বিদ্যার্থীদের নতুন জীবন শুরু হবে। বর্ষা নিয়ে আসবে এক নতুন খুশি , এক নতুন মাদকতা , এক নতুন সুগন্ধ। আসুন , আমরা সবাই এই পরিবেশে প্রকৃতিকে ভালোবেসে এগিয়ে যাই। আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ !

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।