Heartiest congratulations to the scientists at ISRO for their achievements: PM #MannKiBaat
India created history by becoming the first country to launch successfully 104 satellites into space at one go: PM #MannKiBaat
This cost effective, efficient space programme of ISRO has become a marvel for the entire world: PM #MannKiBaat
The attraction of science for youngsters should increase. We need more & more scientists: PM #MannKiBaat
People are moving towards digital currency. Digital transactions are rising: PM #MannKiBaat
Delighted to learn that till now, under Lucky Grahak & Digi-Dhan Yojana, 10 lakh people have been rewarded: PM #MannKiBaat
Gladdening that the hard work of our farmers has resulted in a record production of food grains: PM #MannKiBaat
Remembering Dr. Baba Saheb Ambedkar, one teach at least 125 persons about downloading BHIM App: PM #MannKiBaat
Government, society, institutions, organizations, in fact everyone, is making some or the other effort towards Swachhta: PM #MannKiBaat
Congratulations to our team for winning Blind T-20 World cup and making us proud #MannKiBaat
‘Beti Bachao, Beti Padhao’ is moving forward with rapid strides. It has now become a campaign of public education: PM #MannKiBaat

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার!  শীত বিদায় নিতে চলেছে।আমাদের সবার জীবনে কড়া নেড়েছে বসন্ত ঋতু। পাতা   ঝরার শেষে গাছে নবপত্রেরসঞ্চার হয়। ফুল ফোটে। বাগ-বাগিচায় সবুজের সমারোহ দেখা যায়। পাখির কলকাকলি মনেখুশির জোয়ার আনে। শুধু ফুলই নয়, গাছের শাখায় ফলও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে রৌদ্রকিরণে। গ্রীষ্মঋতুর ফল আমের মুকুলও দেখা যায় এই বসন্তে। একইভাবে চাষের ক্ষেতে সর্ষের হলুদ ফুলদেখে আশায় বুক বাঁধে চাষি। পলাশের লাল ফুল হোলির আগমনের সঙ্কেত দেয়। আমীর খসরু ঋতুপরিবর্তনের এই সময়টার বড় সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেনঃ  

বন জুড়ে ফুটছে সর্ষে  

আম ফলছে, পলাশ ফুটছে  

কোকিল ডাকছে, কুহু-কুহু।  

যখন প্রকৃতিতে খুশির রঙ, যখনঋতুর রূপে উৎফুল্লতার ছোঁয়া, তখন মানুষও সেই আনন্দ উপভোগ করে। বসন্ত-পঞ্চমী,মহাশিবরাত্রি এবং হোলি উৎসব মানুষের জীবনকে রঙিন করে তোলে। প্রেম, ভ্রাতৃত্ব আরমানবতায় পূর্ণ এক পরিবেশে আমরা শেষ মাস ফাল্গুনকে বিদায় দিয়ে নতুন মাস চৈত্রকে বরণকরার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি। এই দুই মাস জুড়েই তো বসন্ত ঋতু।  

আমি সবার আগে দেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিককে এই জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই যে  ‘ মন কী বাত ’ -এর আগে যখন আমি আপনাদেরমতামত চাই তখন তা প্রচুর সংখ্যায় এসে জমা হয়। ‘নরেন্দ্রমোদী’ অ্যাপে, টুইটারে,ফেসবুকে এবং ডাকযোগে। আমি এর জন্য আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।  

শোভা জালান আমাকে ‘নরেন্দ্রমোদী’ অ্যাপে জানিয়েছেন যে অনেক মানুষ ইসরোরসাফল্যের ব্যাপারে অবহিত নয়। আর তাই তিনি বলেছেন যে আমি যেন ১০৪টি উপগ্রহেরউৎক্ষেপণ এবং ইন্টারসেপ্টর মিসাইল নিয়ে কিছু বলি। শোভাজী আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদযে আপনি ভারতের গর্বের নিদর্শনকে স্মরণ করেছেন। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই হোক,অসুখবিসুখের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা হোক, দুনিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন হোক,জ্ঞান বা তথ্যের প্রেরণ হোক  –  প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান নিজের ভূমিকা প্রমাণ করেছে। ২০১৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারিভারতের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় দিন। বিশ্বের সমক্ষে আমাদের মাথা উঁচু করে দিয়েছেনআমাদের বিজ্ঞানীরা। আর আমরা জানি যে কয়েক বছরের মধ্যে ইসরো কয়েকটা অভূতপূর্বপ্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছে। মঙ্গল গ্রহে মার্স মিশন,  ‘ মঙ্গলযান ’  পাঠানোর সাফল্যের পরসম্প্রতি মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এক বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেছে ইসরো। এক মেগামিশনের মাধ্যমে ইসরো বিভিন্ন দেশের যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ইজরায়েল, কাঝাখস্তান,নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, ইউ-এ-ই এবং ভারতের মোট ১০৪টি স্যাটেলাইট সাফল্যেরসঙ্গে উৎক্ষেপণ করেছে। ১০৪টি স্যাটেলাইট একসঙ্গে মাহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস রচনা করাবিশ্বের প্রথম দেশ ভারতবর্ষ। আর এটাও খুশির কথা যে এটা   পি-এস-এল-ভির ৩৮তম ধারাবাহিকসফল উৎক্ষেপণ। এটা শুধু ইসরো নয়, গোটা ভারতবর্ষের পক্ষে এক ঐতিহাসিক সাফল্য। ইসরোরএই খরচ সাশ্রয়ী কার্যকরী মহাকাশ কর্মসূচি সারা পৃথিবীর কাছে এক বিস্ময় হয়ে দেখাদিয়েছে আর তাই সারা বিশ্ব খোলা মনে ভারতের বৈজ্ঞানিকদের সাফল্যের প্রশংসা করেছে।  

আমার ভাই ও বোনেরা, এই ১০৪টি স্যাটেলাইটের মধ্যে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ  –  কার্টোস্যাট  2D –  এটা ভারতের স্যাটেলাইট এবংএর মাধ্যমে গৃহীত চিত্র আমাদের সম্পদের ম্যাপিং, পরিকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়নেররূপরেখা তৈরি, বিভিন্ন শহরের উন্নতির নক্‌শা রচনার জন্য প্রচুর সাহায্য করবে।বিশেষ করে আমার কৃষক ভাই বোনেরা জানতে পারবেন যে আমাদের দেশে কোথায় কতটা জলসম্পদআছে, এর ব্যবহার কেমনভাবে করা উচিত, কোন কোন ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত  –  এই সব বিষয়ে আমাদের নতুনস্যাটেলাইট  Cartosat 2D  খুব সাহায্য করবে।আমাদের স্যাটেলাইট কক্ষে পৌঁছেই কিছু ছবি পাঠিয়েছে। নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছে সেটি।আমাদের কাছে এটাও খুব আনন্দের যে এই সব অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের যুবাবৈজ্ঞানিকরা, আমাদের মহিলা বৈজ্ঞানিকরা, তাঁরাই এসব করেছেন। যুবকদের এবং মহিলাদেরএই দুর্দান্ত সহযোগিতা ইসরোর সাফল্যের এক বড় গৌরবজনক দিক। আমি দেশবাসীদের পক্ষথেকে ইসরোর বৈজ্ঞানিকদের ভূয়সী প্রশংসা করছি। সাধারণ মানুষের জন্য, রাষ্ট্রেরসেবার জন্য মাহাকাশ বিজ্ঞানকে প্রয়োগ করার উদ্দেশ্যকে তাঁরা সবসময় অটুট রেখেছেন আরনিত্যদিন নতুন নতুন কৃতিত্বের রচনা করে চলেছেন। আমাদের এই বৈজ্ঞানিকদের, তাঁদেরপুরো টীমকে আমরা যতই প্রশংসা করি না কেন ততই তা কম হবে।  

শোভাজী আর একটি প্রশ্ন রেখেছেন এবং তা ভারতের সুরক্ষা সম্পর্কিত। এই বিষয়েভারত এক বড় সাফল্য পেয়েছে। এই ব্যাপারটার নিয়ে খুব বেশি চর্চা এখনও অবধি হয় নিকিন্তু শোভাজীর নজর পড়েছে এদিকে। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত ব্যালিস্টিকইন্টারসেপ্টর মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ইন্টারসেপশন প্রযুক্তিতে বলীয়ানএই ক্ষেপণাস্ত্র নিজের পরীক্ষামূলক উড়ানের সময় মাটি থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার উপরেশত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকে দিয়ে সাফল্য সূচিত করেছে। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এ একগুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। আর আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বিশ্বে খুব বেশি হলে চারটি বাপাঁচটি দেশের এই দক্ষতা রয়েছে। ভারতের বৈজ্ঞানিকরা এটা করে দেখিয়েছেন। আর এর শক্তিএমনই যে যদি দু ’  হাজার কিলোমিটার দূর থেকেওভারতকে আক্রমণের লক্ষ্যে কোনো মিসাইল ছোঁড়া হয়, তবে এই মিসাইল শূন্যেই সেটাকে নষ্টকরে দেবে।  

যখন নতুন প্রযুক্তি দেখি, কোনো নতুন বৈজ্ঞানিক সাফল্য দেখি, তখন আনন্দ হয়আমাদের। আর মানব জীবনের বিকাশের ধারায় জিজ্ঞাসা এক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর যিনিবিশেষ বুদ্ধিধর তিনি জিজ্ঞাসাকে জিজ্ঞাসা রূপে রাখতে দেন না, উনি তার মধ্যেওপ্রশ্নের সঞ্চার করেন, নতুন জিজ্ঞাসা খুঁজে বেড়ান, নতুন জিজ্ঞাসার সৃষ্টি করেন। আরসেই জিজ্ঞাসাই নতুন আবিষ্কারের কারণ হয়ে ওঠে। এঁরা ততক্ষণ শান্ত হন না যতক্ষণ সেইপ্রশ্নের উত্তর না পাওয়া যায়। আর হাজার হাজার বছরের মানব জীবনের বিকাশের ধারাকেযদি আমরা দেখি, তাহলে আমরা বলতে পারি যে মানব জীবনের এই বিকাশের ধারায় কোথাওপূর্ণচ্ছেদ নেই। পূর্ণচ্ছেদ অসম্ভব। ব্রহ্মাণ্ডকে, সৃষ্টির নিয়মসমূহকে, মানুষেরমনকে জানার প্রয়াস নিরন্তর চলতে থাকে। নতুন বিজ্ঞান, নতুন প্রযুক্তি তার মধ্যেথেকেই জন্ম নেয়। আর প্রতিটি প্রযুক্তি, বিজ্ঞানের প্রতিটি নতুন রূপ, এক নতুন যুগেরজন্ম দেয়।  

আমার প্রিয় তরুণেরা, যখন আমরা বিজ্ঞানের কথা বলি,বৈজ্ঞানিকদের কঠোর শ্রমের কথা বলি, আমার মনে পড়ে আমার এই ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানেকয়েকবার বলেছি যে তরুণ প্রজন্মের বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ থাকা উচিত। দেশে অনেক –অনেক বৈজ্ঞানিকের প্রয়োজন। আজকের বৈজ্ঞানিক আগামী প্রজন্মের জীবনে স্থায়ীপরিবর্তনের সূচনা করবেন।  

মহাত্মা গান্ধী বলতেন, ‘ No science has dropped from the skies in a perfect form. All sciencesdevelop and built up through experience ’ পূজনীয়বাপু আরও বলতেন ‘ I have nothing butpraise for the zeal, industry and sacrifice that have animated the moderscientists in the pursuit after the truth ’। সাধারণমানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞান যখন তার গবেষণা করে, কিছু আবিষ্কার করেএবং সেই আবিষ্কার কীভাবে জনসাধারণের কাজে আসবে সেই ভাবনায় সামিল হয়, বিজ্ঞান তখনসাধারণ মানুষের আপন হয়ে ওঠে। তখনই বিজ্ঞান মহান হয়ে ওঠে। কিছুদিন আগে ১৪-তম‘প্রবাসী ভারতীয় দিবস’ উপলক্ষে ‘নীতি আয়োগ’ ও ‘বিদেশ ’ মন্ত্রক এক বড় ও অভিনব ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।সমাজের উপযোগী উদ্ভাবনের পরিকল্পনার আহ্বান করা হয়েছিল। এই সব উদ্ভাবনকে চিহ্নিতকরা, কারণ দর্শানো, এই সব উদ্ভাবন কীভাবে সাধারণ মানুষের কাজে আসবে, কীভাবে এর   mass production  হবে,ব্যবসায়িক উপযোগিতা কী হতে পারে – এমন সব প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল ‘নীতি আয়োগ’ এবং‘বিদেশ মন্ত্রক’ যৌথভাবে। এখানেই আমি আমাদের দীন দরিদ্র মৎস্যজীবীদের কাজে আসারমতো একটা উদ্ভাবন দেখলাম। একটা বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সামান্য একটা অ্যাপবলে দেবে মৎস্যজীবীরা কোন অঞ্চলে গেলে সব থেকে বেশি মাছ পাবেন, সেখানে ঢেউ কতটা,বাতাসের গতি কী রকম ইত্যাদি। সব তথ্য একটা অ্যাপ-এর সাহায্যে জানতে পারলে আমাদেরমৎস্যজীবীরা অনেক কম সময়ে অনেক বেশি মাছ ধরতে পারবেন এবং তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতিরউন্নতি হবে।   

বিজ্ঞান কখনো কিছু সমস্যার সমাধানে অসামান্য ভূমিকা পালনকরে। যেমন ২০০৫-এ মুম্বইয়ে প্রবল বৃষ্টি হল, বন্যা দেখা দিল, সমুদ্র উত্তাল হয়েউঠেছিল। তাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্তহয় দরিদ্র – গরীব মানুষেরা। দুজন বৈজ্ঞানিক পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গবেষণা শুরুকরে এমন বাড়ি তৈরির প্রযুক্তি বের করেছেন যাতে প্রবল বৃষ্টিতেও বাড়ি অটুট থাকবে,বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখবে, জমা জল থেকে রক্ষা করবে, এমনকি জলবাহিত রোগেরপ্রাদুর্ভাব ঠেকাবে। এমনই সব উদ্ভাবন এই প্রতিযোগিতা থেকে পাওয়া গেল।  

এতো কথা বলার কারণ আমাদের সমাজে, আমাদের দেশে এমন সবগুরুত্বপূর্ণ কাজের মানুষ রয়েছেন সেটাই জানানো। মনে রাখতে হবে সমাজ ক্রমাগতপ্রযুক্তি তাড়িত হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পরিষেবাও প্রযুক্তি তাড়িত হতে চলেছে। বলতে গেলেপ্রযুক্তি জীবনের অভিন্ন অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিছুদিন ধরেই ‘ডিজি ধন’-এর বিস্তার দেখাযাচ্ছে। ধীরে ধীরে মানুষ নগদ কেনাবেচা ছেড়ে ‘ digitalcurrency ’-তে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ভারতেরডিজিট্যাল ট্র্যানজেকশনের হার বাড়ছে। বিশেষ করে যুব সমাজ তাদের হাতের মোবাইল থেকেইডিজিট্যাল পেমেন্ট সেরে নিচ্ছেন। এটা একটা শুভ লক্ষণ বলেই আমি মনে করি। ‘লাকিগ্রাহক যোজনা’, ‘ডিজি ধন ব্যাপার যোজনা’য় বিপুল সাড়া মিলছে। প্রায় দু’মাস হয়ে গেল,এই দুই যোজনা থেকে প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষ ১ হাজার টাকা করে পুরস্কার পাচ্ছেন। এইদুই যোজনার দরুণ ডিজিট্যাল আদানপ্রদানের জোয়ার এসেছে, একটা জন আন্দোলনের চেহারানিয়েছে। আনন্দের কথা হল এখনও পর্যন্ত ‘ডিজি ধন যোজনা’য় প্রায় দশ লক্ষ সাধারণ মানুষপুরস্কার পেয়েছেন, ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী পুরস্কৃত হয়েছে এবং প্রায় দেড়শ কোটিটাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এই যোজনায় অংশ নিয়ে অনেকেই ১ লক্ষ টাকাপুরস্কার পেয়েছেন। পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পেয়েছেন চার হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী।কৃষক থেকে গৃহবধূ, বৃহৎ ব্যবসায়ী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রীরা যথেষ্টউৎসাহ নিয়েই এই যোজনা সফল করে তুলছেন। এই যোজনার তথ্য বিশ্লেষণ করে জেনেছি, শুধুতরুণ প্রজন্মই নয়, প্রৌঢ় – প্রবীণেরাও অংশগ্রহণ করছেন। ১৫ বছরের কিশোর থেকে পঁয়ষট্টি-সত্তরবছরের প্রবীণ মানুষেরাও পুরস্কৃতের তালিকায় রয়েছেন। এটা আমার খুব ভালো লেগেছে।   

মহীশূরের শ্রীমান সন্তোষ ‘নরেন্দ্রমোদী-অ্যাপ’-এ খুশির খবরজানিয়েছেন যে ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’তে তিনি ১ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। তারপরশ্রীমান সন্তোষ যা লিখেছেন আপনাদের সঙ্গে  share  করা উচিত বলেই আমি মনে করি। উনি লিখেছেন ১ হাজার টাকাপুরস্কার পাওয়ার পর আমার মনে পড়লো এক বৃদ্ধার বাড়িতে কিছুদিন আগে আগুন লেগে সব পুড়েনষ্ট হয়ে গেছে। সেই বৃদ্ধাকেই এই এক হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া উচিৎ এবং এটা তাঁরইপ্রাপ্য। এটা জেনে আমার এতো ভালো লেগেছে –, সন্তোষজী, আপনার নাম ও কাজ দুই-ইআমাদের সবাইকে অত্যন্ত আনন্দ দিয়েছে। আপনি এক বিরাট প্রেরণাদায়ক কাজ করেছেন।  

দিল্লির ২২ বছরের গাড়িচালক সবীর, নোট বাতিলের পর ডিজিট্যালব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন এবং ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’য় অংশগ্রহণ করে ১ লক্ষ টাকাপুরস্কার জিতে নিয়েছেন। একদিকে তিনি যেমন গাড়ি চালাচ্ছেন, অন্যদিকে ‘লাকি গ্রাহকযোজনা’র অ্যাম্বাসেডর হয়ে উঠেছেন। গাড়ীর যাত্রীদেরও উদ্দীপনার সঙ্গে ডিজিট্যালব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করে তুলছেন এবং তার সেই উৎসাহে আরও অনেকেই ডিজিট্যালব্যবস্থায় অংশ নিতে শুরু করেছেন।  

মহারাষ্ট্র থেকে এক যুব সাথী পূজা নেমাঢ়ে একজন স্নাতকোত্তরছাত্রী পরিবারের মধ্যে ‘রূপে’ কার্ড, ‘ই-ওয়ালেট’-এর ব্যবহার কেমন ভাবে হচ্ছে আর এইব্যাপারে তাঁরা কত আনন্দিত সেই বিষয়ে তাঁর অনুভূতি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনাকরেন। এক লক্ষ টাকার পুরস্কার তাঁর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাকে একটা মিশনহিসাবে নিয়ে তিনি অন্যদেরও এই কাজে উৎসাহিত করছেন। আমি দেশবাসীকে বিশেষ করেযুবাদের, যাঁরা ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’ বা ‘ডি জি ধন ব্যাপার’ যোজনাতে পুরস্কৃতহয়েছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা নিজেরাই এই যোজনার  ambassador  হিসেবে কাজ করুন।এই আন্দোলনে আপনি নেতৃত্ব দিন, আপনি এগিয়ে নিয়ে যান। এই কাজ এক প্রকারে দুর্নীতিএবং কালো টাকার বিরুদ্ধে যে লড়াই, তাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কাজেরসঙ্গে যাঁরা জড়িয়ে আছেন, সবাই আমার দৃষ্টিতে দেশের মধ্যে এক নতুন  anti-corruption cadre । আপনি একপ্রকারের শুচিতা সৈনিক। আপনি জানেন, ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’ যখন একশ’দিন পূর্ণ করবে, ১৪-ই এপ্রিল, দিনটি বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্ম-জয়ন্তী দিবস। স্মরণীয়একটি দিন। ১৪-ই এপ্রিলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘কোটি টাকার লাকি ড্র’-এর পুরস্কারঘোষণা হবে। এখনও প্রায় চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ দিন বাকি রয়েছে, বাবাসাহেব আম্বেদকরকেস্মরণ করে আপনি কি একটা কাজ করতে পারেন? কিছুদিন আগেই বাবাসাহেব আম্বেদকরের ১২৫-তমজন্ম-জয়ন্তী পেরিয়ে গেল। তাঁকে স্মরণ করে আপনিও ন্যূণতম ১২৫ জনকে ‘ভীম’ অ্যাপ্‌ডাউনলোড করতে শেখান। এর মাধ্যমে কীভাবে লেনদেন হয়, তা শেখান। বিশেষ করে আপনারআশেপাশের ছোটো ছোটো ব্যবসায়ীদের শেখান। এবারের বাবাসাহেব আম্বেদকারের জন্ম-জয়ন্তীআর ‘ভীম’ অ্যাপ – এদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিন। তাই আমি বলতে চাই, ড. বাবাসাহেবআম্বেদকর যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, আমাদের সেটাকে মজবুত করতে হবে। ঘরেঘরে গিয়ে সবাইকে নিয়ে ১২৫ কোটি লোকের হাতে ‘ভীম’ অ্যাপ পৌঁছে দিতে হবে। বিগতদু-তিন মাস ধরে এই যে আন্দোলন চলছে, তার সাফল্য অনেক গ্রাম ও শহরে পাওয়া যাচ্ছে।   

 আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের দেশের অর্থব্যবস্থারমূলে কৃষির অনেক অবদান রয়েছে। গ্রামের আর্থিক শক্তি, দেশের আর্থিক গতিকে শক্তিপ্রদান করে। আজ আমি এক আনন্দের কথা আপনাদের বলতে চাই। আমাদের কৃষক ভাই-বোনেরা অনেকপরিশ্রম করে অন্নের ভাণ্ডার ভরে দিয়েছেন। আমাদের দেশের কৃষকদের পরিশ্রমের ফলে এইবছর সর্বাধিক ধানের উৎপাদন হয়েছে। সবরকমের তথ্য এটা জানিয়ে দিচ্ছে যে, আমাদেরকৃষকরা পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। এবছর ক্ষেতের মধ্যে ফসল যেভাবে ঢেউ তুলেছে,প্রত্যেক দিনই মনে হচ্ছে পোঙ্গল বা বৈশাখী উৎসব পালন করি। এই বছর দেশে প্রায়দু’হাজার সাত কোটি টনেরও বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। আমাদের কৃষকদের সর্বশেষ যেরেকর্ড লেখা ছিল, তার থেকেও আট শতাংশ বেশি। এটা এক অভূতপূর্ব প্রাপ্তি। আমিবিশেষভাবে দেশের কৃষকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। কৃষকদের ধন্যবাদ এই জন্য দিতে চাই যেপরম্পরাগত ফসলের সঙ্গে সঙ্গে দেশের দরিদ্রদের কথা মনে রেখে বিভিন্নরকমের ডালেরওচাষ হয়েছে। ডালের মাধ্যমে দরিদ্ররা সব থেকে বেশি প্রোটিন পায়। আমি আনন্দিত যেদেশের কৃষকরা দরিদ্রদের কথা শুনেছেন। প্রায় দু’শ নব্বই লাখ হেক্টর জমিতেবিভিন্নরকমের ডালের চাষ হয়েছে। এটা কেবল ডালের উৎপাদন নয়, এটা হল কৃষকদের দ্বারাদেশের দরিদ্রদের সবথেকে বড় সেবা। আমার একটা প্রার্থনাকে, একটা অনুরোধকে শিরোধার্য করেআমার দেশের কৃষক ভাই-বোনেরা যে পরিশ্রম করেছেন, রেকর্ড পরিমাণ ডালের উৎপাদনকরেছেন, সেজন্য তাঁরা আমার বিশেষ ধন্যবাদের অধিকারী।  

 আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদেরদেশে সরকারের দ্বারা, সমাজের দ্বারা, বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা, সংগঠনের দ্বারা –সবার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতার জন্য কিছু না কিছু কার্যক্রম চলছেই। কিছু না কিছু ভাবেসবারই এক প্রকারে পরিচ্ছন্নতার প্রতি সচেতনতা চোখে পড়ছে। সরকারও নিরন্তর চেষ্টাকরে চলেছে। বিগত দিনে ভারত সরকারের যে ‘পানীয় জল এবং স্বচ্ছতা’ মন্ত্রক রয়েছে, তারসচিবের নেতৃত্বে ২৩-টি রাজ্যের সরকারের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানতেলেঙ্গানাতে সম্পন্ন হল। তেলেঙ্গানা রাজ্যের ওয়ারাঙ্গালে শুধু বন্ধ ঘরে সেমিনারনয়, সরাসরি পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। ১৭ এবং ১৮-ই ফেব্রুয়ারিহায়দ্রাবাদে ‘ Toilet Pit Emptying Exercise ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। ছ’টি ঘরের টয়লেট পিট পরিস্কার করাহয়েছে এবং আধিকারিকরা নিজেরাই দেখালেন ‘ TwinPit Toilet ’ বানানো গর্তকে খালি করে কীভাবেআবার ব্যবহারযোগ্য করা যায়। তাঁরা এটাও দেখালেন যে এই নতুন পদ্ধতির শৌচালয় কতটাসুবিধাজনক, আর একে খালি করা থেকে পরিস্কার করা পর্যন্ত অন্য কোনও অসুবিধা বা সংকোচবা মানসিক দ্বিধা থাকে না। আমরাও ছোট-খাট সাফাইয়ের কাজ করি, যেমন শৌচালয়ের গর্তআমরাই পরিস্কার করতে পারি। এই প্রচেষ্টার ফল হলো, দেশের সংবাদ মাধ্যম এসবের খুবপ্রচার করলো, গুরুত্বও দিয়েছে। আর যখন এক  I A S  অফিসার নিজে টয়লেটের গর্তপরিস্কার করেন তখন সেদিকে দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ খুবই স্বাভাবিক। যাকে আমরা টয়লেটপিট-এর ময়লা বলে জানি, তাকে সার হিসেবে দেখলে, এতো এক প্রকারের কালো সোনা। ‘বর্জ্য’থেকে ‘সম্পদ’ কীভাবে হয়, এটা আমরা দেখতে পাই, আর এটা প্রমাণিত হয়েছে। ছয় সদস্যেরপরিবারের জন্য একটি ‘ Standard Twin PitToilet ’ প্রায় পাঁচ-ছ’বছরে ভরে যায়। এর পরে নোংরাকেসহজেই অন্য গর্তে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে। ছ’মাস-এক বছরে গর্তে জমা নোংরা পুরোপচে যায়। এই পচা আবর্জনা পরিস্কার করা পুরোপুরি সুরক্ষিত আর সারের দিক থেকেগুরুত্বপূর্ণ সার হল ‘ NPK ’। আমাদের কৃষকরা  NPK -র সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই পরিচিত। এটি নাইট্রোজেন, ফসফরাস ওপটাশিয়াম প্রভৃতি পৌষ্টিক পদার্থে সমৃদ্ধ। চাষের জন্য এই সারটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণবলে মানা হয়।   

 যেভাবে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছেঅন্যরাও এই ধরনের অন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর এখনতো দূরদর্শনে পরিচ্ছন্নতা নিয়েএকটি বিশেষ সংবাদ অনুষ্ঠান হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় যত প্রকাশ পাবে ততই লাভহবে। বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও আলাদা আলাদা ভাবে পরিচ্ছন্নতা পক্ষ পালন করে। মার্চমাসের প্রথম পক্ষে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং একই সঙ্গে জনজাতি উন্নয়নমন্ত্রক পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সামিল হবে। মার্চ মাসের দ্বিতীয় পক্ষে আরও দুটিমন্ত্রক ‘নৌপরিবহন’ মন্ত্রক এবং ‘জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন এবং গঙ্গা পুনরুজ্জীবন’মন্ত্রক স্বচ্ছতা অভিযান চালাবে।   

 আমরা জানি যে আমাদের দেশের যেকোনো নাগরিক যখন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করে তখন সমগ্র দেশ এক নতুন শক্তি লাভ করে,আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। রিও প্যারালিম্পিক্স-এ আমাদের দিব্যাঙ্গ খেলোয়াড়রা যে ধরনেরফল করেছে তাকে আমরা সকলে স্বাগত জানিয়েছি। এই মাসে আয়োজিত ‘ব্লাইণ্ড টি-২০ ওয়ার্ল্ডকাপ ফাইনাল’-এ ভারত পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্রমাণ্বয়ে দ্বিতীয় বার ওয়ার্ল্ডচ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। আমি পুনরায় এই দলের সব খেলোয়াড়কে অভিনন্দনজানাচ্ছি। আমাদের এই দিব্যাঙ্গ বন্ধুদের সাফল্যে দেশ গৌরবান্বিত। আমি সব সময় এটামানি যে দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেরা সমর্থ, দৃঢ় চিত্ত, সাহসী এবং সংকল্পে অটুট। সব সময়আমরা তাঁদের কাছ থেকে নতুন কিছু শিখতে পারি।  

 খেলাধুলার ক্ষেত্রেই হোক বা মহাকাশবিজ্ঞান – আমাদের দেশের মেয়েরা কোনও ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। পায়ে পায়ে তারা এগিয়েচলেছে এবং নিজেদের সাফল্যে দেশকে গৌরবাণ্বিত করছে। কিছু দিন আগে ‘এশিয়ান রাগবিসেভেন’স ট্রফি’-তে আমাদের মহিলা খেলোয়াড়েরা রৌপ্য পদক জিতেছে। এই সব খেলোয়াড়দেরআমি অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।  

 ৮-ই মার্চ সমগ্র বিশ্বে মহিলাদিবস পালিত হয়। কন্যাসন্তানের গুরুত্ব বিষয়ে পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিরউদ্দেশে আরও বেশি সংবেদনশীল হওয়ার পক্ষে ভারতেও এই দিনটি পালিত হয়। ‘বেটি বাঁচাও –বেটি পড়াও’ আন্দোলন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এটা এখন আর শুধুমাত্র একটি সরকারিপ্রকল্প নয়, এটি এখন সামাজিক চেতনা এবং লোকশিক্ষার অভিযান হয়ে উঠেছে। বিগত দু-বছরেএই প্রকল্পে সাধারণ মানুষও যুক্ত হয়েছেন। দেশের প্রতিটি কোণা থেকে যে সকল জ্বলন্তউদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে তা সাধারণ মানুষকেও ভাবতে বাধ্য করছে আর বছরের পর বছর ধরে চলেআসা পুরনো রীতিনীতি সম্পর্কে মানুষের মনোভাবে পরিবর্তন আসছে। যখন এই ধরনের খবরপাওয়া যায় যে কন্যাসন্তানের জন্ম উপলক্ষে উৎসব পালিত হয়েছে, তখন সত্যিই খুব আনন্দহয়। কন্যাসন্তানের প্রতি এই ধরনের ইতিবাচক চিন্তাধারা সামাজিক স্বীকৃতির পথকেপ্রশস্ত করে। আমি জানতে পারলাম যে, তামিলনাড়ু রাজ্যের ‘ Cuddalore ’ জেলা এক বিশেষঅভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭৫-টিরও বেশি বাল্যবিবাহঅনুষ্ঠান বন্ধ করা গেছে। ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা’-তে প্রায় ৫৫-৬০ হাজারেরও বেশিব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের কঠুয়া জেলায় ‘ Convergence Model ’ অনুযায়ীসকল বিভাগকে ‘বেটি বাঁচাও – বেটি পড়াও’ যোজনাতে যুক্ত করা হয়েছে। গ্রামসভা আয়োজন ক’রেজেলা প্রশাসন অনাথ কন্যাসন্তানদের দত্তক নেওয়া, তাদের পড়াশোনা সুনিশ্চিত করারপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে ‘হর ঘর দস্তক’ যোজনায় প্রতিটি গ্রামেপ্রতিটি ঘরে কন্যাসন্তানদের শিক্ষিত করার অভিযান চালানো হচ্ছে। ‘আপনা বাচ্চা আপনাবিদ্যালয়’ অভিযানের মাধ্যমে রাজস্থান, শিক্ষা শেষ না করে বিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ামেয়েদের পুনরায় বিদ্যালয়ে ভর্তি করে তাদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করার অভিযান চালাচ্ছে।আমার বলার উদ্দেশ্য এটাই যে, ‘বেটি বাঁচাও – বেটি পড়াও’ আন্দোলন অনেক প্রকার রূপনিয়েছে এবং জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। নতুন নতুন কল্পনাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।স্থানীয় আবশ্যকতা অনুযায়ী এতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমার বিবেচনায় লক্ষ্য অর্জনেরপথে এটা ভালো প্রয়াস। আমরা যখন ৮-ই মার্চ মহিলা দিবস পালন করবো, তখন আমাদের একটাইঅনুভূতি, –   

নারী, শক্তির রূপ, সক্ষম – তাঁরা ভারতীয় নারী।  

বেশিও নয় কমও নয়, সব ক্ষেত্রে তাঁরা সমতার অধিকারী।। 

আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে অনেক সময় আপনাদের বিভিন্ন খবরদেওয়ার সুযোগ হয়। আপনারা সক্রিয়ভাবে এর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। আপনাদের কাছ থেকে আমিঅনেক কিছু জানতে পারি। পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে, গ্রামের দরিদ্র মানুষদের চিন্তা-ভাবনাআমার কাছে পৌঁছচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতার জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। অনেক অনেকধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।