আমি প্রধানমন্ত্রী মারিয়ো দ্রাঘির আমন্ত্রনে ২৯ থেকে ৩১শে অক্টোবর ইটালীর রোম এবং ভ্যাটিক্যান সিটি সফর করবো। এর পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমন্ত্রনে পয়লা ও দোসরা নভেম্বর ব্রিটেনের গ্লাসগো সফরে যাবো।
রোমে আমি ষোড়শ জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের নেতৃবৃন্দের সম্মেলনে যোগ দেবো। বিশ্বজুড়ে আর্থিক পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের পুনরুদ্ধার নিয়ে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবো। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর পর এবারই প্রথম ব্যক্তিগত উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনে জি-২০ গোষ্ঠী কিভাবে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং সমন্বিত ও স্থিতিশীলভাবে মহামারীকে প্রতিরোধ করবে, বৈঠকে সে বিষয় নিয়েও বিস্তারিতভাবে আলোচনা হবে।
সফরকালে আমি ভ্যাটিক্যান সিটি দর্শন করবো এবং পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোনিলের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করবো।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আমি গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো ও ঐ সব দেশের সঙ্গে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পর্যালোচনা করবো।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন ৩১শে অক্টোবর শেষ হবে। এর পর আমি গ্লাসগোতে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কনভেনশনের ২৬তম কনফারেন্স অফ পার্টিজে যোগ দেবো। আমি সিওপি ২৬এর উচ্চপর্যায়ের আলোচনাতে অংশগ্রহণ করবো। বিশ্বের ১২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানরা ওয়ার্ল্ড লিডার সামিট বা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রেখে জীবন ধারণ করার আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আমরা স্বচ্ছ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার বাড়ানো, দক্ষভাবে তা কাজে লাগানো, বনসৃজন ও জীববৈচিত্র রক্ষা করার মতো বিভিন্ন উচ্চাকাঙ্খী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এই গ্রহের প্রতি সম্মান জানানোর কারণেই এই উদ্যোগ। আজ ভারত জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ করতে যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভুত সমস্যাগুলিকে কমাতে এবং বহুস্তরীয় জোট গড়ে তুলতে ভারত উদ্যোগী হয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী, সৌর ও বায়ুশক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত জ্বালানীর পরিমাণ বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ বিশ্বের গুটিকয় দেশের সঙ্গে ভারত গ্রহণ করেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভারতের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং আমাদের সাফল্যের কথা আমি সম্মেলনে আলোচনা করবো।
এছাড়াও কার্বন নিঃসরণের জন্য সমভাবে দায়ভার বন্টন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভুত সমস্যা হ্রাস এবং শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্থ সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পরিবেশবান্ধব ও সমন্বিত উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল জীবনশৈলীর গুরুত্ব নিয়ে কথা হবে।
অংশীদার দেশগুলির নেতৃবৃন্দ, উদ্ভাবক এবং আন্তঃসরকারী সংস্থাগুলি সহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর একটি সুযোগ সিওপি ২৬ শীর্ষ সম্মেলনে তৈরি হবে। আমাদের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হবে।