প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আর্জেন্টিনায় আয়জিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে এক বিবৃতিতে বলেছেন –
“আর্জেন্টিনায় আয়োজিত ত্রয়োদশ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আমি ২৯শে নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর বুয়েন্স আয়ার্স সফর করব।
বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে বহুস্তরীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করাই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্দেশ্য। আত্মপ্রকাশের পর এক দশকের সময়কালে জি-২০ বিশ্ব জুড়ে এক স্থিতিশীল ও সুস্থায়ী বিকাশের প্রসারে কাজ করেছে। এই লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশ ও ভারতের মতো উদীয়মান দেশগুলির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল বৃহৎ অর্থনীতি।
বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ‘এক সুষ্ঠু ও সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে সহমত গড়ে তোলা’র ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গিকারকেই প্রতিফলিত করে। প্রসঙ্গত এবারের শীর্ষ সম্মেলনের বিষয় সুষ্ঠু ও সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য সহমত গড়ে তোলা।
বিগত এক দশকে জি-২০’র কাজকর্ম পর্যালোচনা সহ আগামী দশকগুলিতে নতুন ও আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলার লক্ষ্যে পন্থা-পদ্ধতি খুঁজে বের করতে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। এছাড়া আমরা বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যের হালহকিকত, আন্তর্জাতিক আর্থিক কর ব্যবস্থা, কাজকর্মের ভবিষ্যৎ, মহিলা ক্ষমতায়ন, পরিকাঠামো এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করব।
বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এমন উদীয়মান অর্থনীতি্ন্র দেশগুলি, আর্থিক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে বর্তমানে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। আমি এই সম্মেলনে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাগুলির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরব। কারণ, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাগুলির সংস্কার সমসাময়িক বাস্তবতাকেই প্রতিফলিত করে। এমনকি, এ ধরণের সংস্কারের ফলে সমগ্র বিশ্বের কল্যাণের জন্য সমবেত কর্মপ্রয়াস আরও সুদৃঢ় হতে পারে। পলাতক আর্থিক অপরাধী এবং সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে অর্থ যোগানের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার ও সুসংবদ্ধভাবে কাজ করার আশু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
অতীতের মতোই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পারস্পরিক স্বার্থবাহী দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী”।