সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির শাসক আমার ভ্রাতৃপ্রতীম মহামহিম শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান-এর আমন্ত্রণে পয়লা ডিসেম্বর ২০২৩ সিওপি-28এর বিশ্ব জলবায়ু শিখর সম্মেলনে যোগ দিতে আমি দুবাই যাচ্ছি। আমি খুশি যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সভাপতিত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী জলবায়ু পরিবর্তনরোধর কাজে ভারতের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ।
সভ্যতাগত ঐতিহ্যের নিরিখে ভারত সবসময়ই আর্থ-সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে জলবায়ুকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এসেছে।
জি২০তে আমাদের সভাপতিত্বে জলবায়ু ক্ষেত্রকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। নতুন দিল্লির নেতৃত্ববর্গের ঘোষণাপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনরোধ এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমি আশা করি সিওপি-28 ও এই লক্ষ্যে অনুরূপ সহমত পোষণ করবে এবং এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্যারিস সমঝোতার ভিত্তিতে অগ্রগতি পর্যালোচনার এক সুযোগ সিওপি-28এ পাওয়া যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আগামীদিনের কাজের এক সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশ তৈরি হবে। ভারতে আয়োজিত ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ শিখর সম্মেলনে সমতা, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং অভিন্ন হলেও আলাদা আলাদা দায়িত্ব গ্রহণের নীতির ওপর ভিত্তি করে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গ্লোবাল সাউথ জোর দিয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রয়াসের ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজন রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সুস্থায়ী উন্নয়ন অর্জনের ক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্র বিন্যাসে অনুরূপ সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভারত সবসময় অগ্রগতির পথে হেঁটেছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, জ্বালানী দক্ষতা বৃদ্ধি, বনসৃজন, শক্তি সংরক্ষণ এবং পরিবেশের জন্য জীবনশৈলি অর্থাৎ মিশন লাইফ এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের সফলতাই প্রমান করে ধরিত্রী মায়ের প্রতি আমাদের দেশবাসীর দায়বদ্ধতাকে।
জলবায়ু ক্ষেত্রে আর্থিক বিনিয়োগ, সবুজ ঋণ উদ্যোগ এবং লিড আইটি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি মুখিয়ে রয়েছি।
এর পাশাপাশি দুবাইয়ে বিভিন্ন নেতৃবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হবে এবং বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধের প্রক্রিয়াকে আরও বেশি গতিশীল করতে বিভিন্ন পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ হবে বলে আমার বিশ্বাস।