জাপানের প্রধানমন্ত্রী শ্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাপানের সভাপতিত্বে জি-৭ শিখর বৈঠকে যোগ দিতে আমি জাপানের হিরোশিমা যাব। ভারত-জাপান শিখর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর তাঁর সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়া সত্যিই আনন্দের। ভারত যেহেতু এ বছর জি-২০-র সভাপতিত্ব করছে, ফলে জি-৭ শিখর সম্মেলনে আমার উপস্থিতি বিশেষ অর্থ বহন করে। বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশ এবং আমন্ত্রিত দেশগুলির সঙ্গে যৌথভাবে তার মোকাবিলার প্রয়োজনের দিক নিয়ে মতবিনিময়ের দিকে আমি তাকিয়ে রয়েছি। হিরোশিমায় জি-৭ শিখর সম্মেলনে কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।
জাপান থেকে আমি পাপুয়া নিউ গিনি-র পোর্ট মরেসবি-তে যাব। সেখানে এটাই আমার প্রথম সফর কারণ, পাপুয়া নিউ গিনি-তে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীরও এটা প্রথম সফর। আমি পাপুয়া নিউ গিনি-র প্রধানমন্ত্রী শ্রী জেমস মারাপ-এর সঙ্গে যৌথভাবে ২২ মে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ সহযোগিতা ফোরাম (এফআইপিআইসি)-এর তৃতীয় শিখর সম্মেলনের আয়োজন করছি। ১৪টি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ (পিআইসি)-এর কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে এই গুরুত্বপূর্ণ শিখর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ তারা গ্রহণ করেছে। ২০১৪-তে আমার ফিজি সফরের সময় এফআইপিআইসি-র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় এবং যে সমস্ত বিষয়গুলি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সেসব বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব। বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে - জলবায়ু পরিবর্তন, সুস্থায়ী উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ এবং পরিকাঠামো ও আর্থিক উন্নয়ন।
এফআইপিআইসি-র অনুষ্ঠানসূচি ছাড়াও পাপুয়া নিউ গিনি-র গভর্নর জেনারেল শ্রী বব ড্যাডে, প্রধানমন্ত্রী মারাপ এবং শিখর সম্মেলন যোগ দেওয়া পিআইসি দেশগুলির অন্য নেতৃত্বের সঙ্গেও আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের দিকেও আমি তাকিয়ে আছি।
এরপর আমি প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ-এর আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যাব। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং এ বছর মার্চে প্রথম ভারত-অস্ট্রেলিয়া বার্ষিক শিখর বৈঠকের ফলাফলের অগ্রগতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হবে। অস্ট্রেলিয়ার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকবৃন্দ ও ব্যবসায়িক নেতৃত্বের সঙ্গে আমার আলোচনা হবে এবং সিডনিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও আমার দেখা হবে।