নমস্কার, বন্ধুরা!
বর্ষাকালীন অধিবেশনের সাফল্যের পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩ আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে আরও উঁচুতে তুলে ধরেছে। শিবশক্তি পয়েন্ট নতুন প্রেরণার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, তেরঙ্গা পয়েন্ট আমাদের গর্বিত করেছে। এধরনের সাফল্যকে বিশ্বে দেখা হয় আধুনিকতা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধনের প্রেক্ষিতে। আর যখন এই সাফল্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়, তখন ভারতের সামনে খুলে যায় বিভিন্ন সম্ভাবনা ও সুযোগের দরজা। জি২০-র অভাবিত সাফল্য, বিশ্বের নানা প্রান্তের নেতাদের ৬০টিরও বেশি স্থানে স্বাগত জানানো, চিন্তন অধিবেশন প্রকৃত পক্ষেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরে। ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্র্যের বিষয়টি উদযাপিত হয়েছে জি২০-তে। এই মঞ্চে দক্ষিণী বিশ্বের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভারত সবসময়ই গর্ববোধ করে। আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তি এবং সর্বসম্মত জি২০ ঘোষণাপত্র ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সঙ্কেত।
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র যশোভূমিকে গতকাল জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। গতকালই ছিল বিশ্বকর্মা জয়ন্তী – যা ভারতের বিশ্বকর্মা গোষ্ঠীর চিরাচরিত দক্ষতার উদযাপন। প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গিপ্রসূত আর্থিক ব্যবস্থাপনা ভারতের বিশ্বকর্মাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে, অবদান রাখছে দেশের বিকাশের যাত্রায়। এইসব ঘটনাবলী, উদযাপন, উৎসাহ এবং প্রত্যয়ের এক অনবদ্য আবহ গড়ে তুলেছে দেশজুজড়ে। সময়ের এই সন্ধিক্ষণে সংসদের বিশেষ অধিবেশন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অধিবেশনটি স্বল্পকালীন হতে পারে, কিন্তু ঐতিহাসিক নানা সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তার গুরুত্ব অনেকখানি। ভারতের ৭৫ বছরের যাত্রাপথে তা একটি নতুন পর্বকে সূচিত করে। ২০৪৭ নাগাদ ভারতকে উন্নত দেশের তালিকাভুক্ত করায় আমাদের এগোতে হবে নতুন অঙ্গীকার, নতুন শক্তি এবং নতুন বিশ্বাসকে পাথেয় করে। অদূর ভবিষ্যতে সব সিদ্ধান্তই হবে এই নতুন সংসদ ভবনে।
ইতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে এই স্বল্পকালীন অধিবেশনকে সফল করে তোলার জন্য আমি সদস্যদের সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ তোলার যথেষ্ট সময় রয়েছে। কিন্তু জীবনে কয়েকটি মুহূর্ত আমাদের আশা ও উদ্দীপনায় ভরিয়ে তোলে। সংসদের স্বল্পকালীন এই অধিবেশনকে আমি সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখি। আমি আশা করি, যে আমরা সকলে নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করবো ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে, নেতিবাচক সবকিছুকে পেছনে ফেলে রেখে। নতুন সংসদভবনের মর্যাদা বৃদ্ধিতে কোনো প্রচেষ্টাই বাকি থাকবে না বলে আমার বিশ্বাস। সকল মাননীয় সদস্যের কাছেই এইমর্মে প্রতিজ্ঞা গ্রহণের এ এক মাহেন্দ্রক্ষণ।
আগামীকাল পবিত্র গণেশ চতুর্থী। ভগবান গণেশ সমস্ত বাধা দূর করে দেন বলে মনে করা হয়। গণেশ চতুর্থীতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা, ভারতের বিকাশের যাত্রাও বিঘ্নহীন হবে এবং ভারত নিজের স্বপ্ন পূরণ করবে বলে বার্তা দেয়। এসব কারণেই এই অধিবেশন স্বল্পকালীন হলেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ।