মহামান্য রাষ্ট্রপতি, উপস্থিত মহামান্য রাষ্ট্রপ্রধানগণ,
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।
আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের যৌথভাবে সভাপতিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
আজ আমরা সবাই আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সমঝোতাপত্র সাক্ষরিত হতে দেখলাম।
আগামী দিনগুলিতে, এটি ভারত, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে ‘ইকোনমিক ইন্টেগ্রেশন’ বা অর্থনৈতিক সংযুক্তিকরণের একটি কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠবে।
এটি বিশ্বজুড়ে যোগাযোগব্যবস্থা এবং উন্নয়নের সুস্থায়ী দিকনির্দেশ প্রদান করবে।
আমি,
মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাইডেন,
যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান,
মহামান্য রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ,
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ,
মহামান্য, চ্যান্সেলর শলৎজ,
মহামান্য, প্রধানমন্ত্রী মেলোনি, এবং
মহামান্য সভাপতি ফন ডেয়ার লেয়েন,
এই উদ্যোগের জন্য আমি তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
শক্তিশালী যোগাযোগব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো মানব সভ্যতা উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
ভারত তার উন্নয়ন যাত্রায় এই বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা ভৌত পরিকাঠামোর পাশাপাশি সামাজিক, ডিজিটাল ও ফিনানশিয়াল বা আর্থিক পরিকাঠামোতে অভূতপূর্ব মাত্রায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত ভারতের শক্তিশালী ভিত গড়ে তুলছি।
দক্ষিনী বিশ্ব(গ্লোবাল সাউথ) -এর অনেক দেশে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে, আমরা জ্বালানি, শক্তি উৎপাদন, রেলপথ, জল, টেকনোলজিক্যাল পার্ক বা প্রযুক্তি পার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
এই উদ্যোগগুলিতে, আমরা ডিমান্ড ড্রিভেন বা চাহিদানুসারে বাস্তবায়ন এবং ট্রান্সপারেন্ট অ্যাপ্রোচ বা স্বচ্ছ পদ্ধতির উপর বিশেষ জোর দিয়েছি।
পিজিআইআই-এর মাধ্যমে, আমরা গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিতে পরিকাঠামোগত ব্যবধান কমাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।
বন্ধুগণ,
ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আঞ্চলিক সীমানার নিরিখে পরিমাপ করে না।
সমস্ত অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধিকে ভারত মুখ্য অগ্রাধিকার দেয়।
আমরা বিশ্বাস করি যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা শুধুমাত্র পারস্পরিক বাণিজ্যই নয়, বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির একটি উৎসও।
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের সমস্ত উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করার সময়, কিছু মৌলিক নীতি অনুসরণ সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:
আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার, নিয়ম এবং আইন মেনে চলা।
সকল দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা।
ডেবট বার্ডেন বা ঋণের বোঝার কথা বিবেচনা না করে ফিনান্সিয়াল ভায়াবিলিটি বা আর্থিক কার্যকারিতাকে গুরুত্ব দেওয়া।
আর সব ধরনের পরিবেশবান্ধব মানদণ্ড অনুসরণ করা।
আজ যখন আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের অনুকূলে এত বড় পদক্ষেপ নিচ্ছি, তখন আমরা নিশ্চিতভাবেই আগামী প্রজন্মের বিভিন্ন স্বপ্ন সম্প্রসারণের বীজ বপন করছি।
আমি এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে সকল নেতৃবৃন্দকে আমার শুভেচ্ছা জানাই এবং সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।