"ডিবিটিকে আরো কার্যকর করে তুলতে ই-রুপী ভাউচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে : প্রধানমন্ত্রী
যাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে তাদের স্বচ্ছভাবে পুরো অর্থ পেতে ই-রুপী ভাউচার সাহায্য করবে : প্রধানমন্ত্রী
ই-রুপী কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য অথবা কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে : প্রধানমন্ত্রী

নমস্কার,
এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল,উপরাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সহকর্মীরা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব, বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সহযোগীরা, স্টার্ট-আপ, ফিনটেকের থেকে যুক্ত আমার যুব বন্ধুরা, ব্যাঙ্কের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা এবং আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা,
আজ দেশ ডিজিটাল গভর্নেন্সকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। দেশে ডিজিটাল লেনদেন এবং ডিবিটি বা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরকে আরো কার্যকর করে তুলতে ই-রুপী ভাউচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এরফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে, স্বচ্ছভাবে সম্পূর্ণ অর্থ পৌঁছে দিতে অনেক বড় সাহায্য হবে। একুশ শতাব্দীর ভারত, আজ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এগিয়ে চলেছে, প্রযুক্তিকে মানুষের জীবনের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে, ই-রুপী তারই আরেক প্রতীক। আর আমি খুশি যে এর সূচনা সেই সময়ে হচ্ছে, যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। আর এইসময়ে দেশ ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে এধরণের সংস্কারের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বন্ধুরা,
শুধু সরকারই নয়, যে কোনো সাধারন সংস্থা অথবা সংগঠন যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষের চিকিৎসা বা শিক্ষার জন্যে অথবা অন্য যেকোনো কাজের জন্যে অর্থ সাহায্য করতে চায়, তাহলে তাঁরা নগদ অর্থের পরিবর্তে ই-রুপী ভাউচার ব্যবহার করতে পারবেন। এরফলে, কোনো কাজের জন্য তিনি যে অর্থ দেবেন, সেটি নিশ্চিতভাবে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত হবে। এইমুহূর্তে, এই প্রকল্প দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সুবিধাগুলির ক্ষেত্রে চালু করা হচ্ছে।
ধরা যাক, কোনো সংগঠন সেবা করার মনোভাব নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দরিদ্র মানুষদের টিকাকরণের কাজে সাহায্য করতে চায়। এই সংগঠন সরকারের তরফে যে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তার লাভ নিতে চাইছে না। এক্ষেত্রে সংগঠনটি যদি বেসরকারী হাসপাতাল গুলিতে যে টাকা দিয়ে টিকা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ১০০জন দরিদ্রের টিকাকরণের খরচ দিতে চান তবে তিনি সেই ১০০জন দরিদ্রদের জন্যে ই–রুপী ভাউচার দিতে পারবেন। ই-রুপী ভাউচার নিশ্চিত করবে যে ওই সংশ্লিষ্ট অর্থের ব্যবহার টিকাকরণের জন্যেই হবে, কোনো অন্য কাজের জন্যে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরসঙ্গে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে যুক্ত করা হবে। যেমন কেউ কোনো ব্যক্তির চিকিৎসার জন্যে খরচ করতে চান, কেউ যক্ষ্মা রোগীদের সঠিক ওষুধ এবং ভোজনের জন্যে আর্থিক সহায়তা করতে চান, অথবা শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার এবং পুষ্টি সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে চায়, তাঁদের জন্যে ই-রুপী অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে। অর্থাৎ, ই-রুপী এক অর্থে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্যে নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করবে।
এই ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে অথবা কোনো প্রকল্পকে সাহায্য করার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হবে, সেই টাকা পুরো ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এখন কেউ যদি বৃদ্ধাশ্রমে ২০টি নতুন শয্যা তৈরি করতে চায়, তাহলে ই-রুপী ভাউচার তাঁকে সাহায্য করবে।
কেউ কোনো অঞ্চলে ৫০জন দরিদ্রদের জন্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায়, তো ই-রুপী ভাউচার সেই সাহায্য করবে। যদি কেউ গোশালায় পশুখাদ্য প্রদান করতে চান, তো ই-রুপী ভাউচার সেক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করবে।
এবার যদি একে আমরা রাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে দেখি তো, সরকারের তরফে বই কেনার জন্যে অর্থ পাঠানো হলে, ই-রুপী এটা নিশ্চিত করবে যে সেই অর্থ দিয়ে যাতে বই-ই কেনা হয়। যদি ইউনিফর্মের জন্যে অর্থ পাঠানো হয়, তাহলে তা সেই কাজেই ব্যবহার করা হবে।
যদি ভর্তুকি যুক্ত খাদ্যের জন্যে সাহায্য প্রদান করা হয়েছে, তবে তা খাদ্য কেনার কাজেই খরচা করা হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে প্রদান করা নগদ অর্থের দ্বারা শুধু পুষ্টিকর আহারেরই ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ, যে উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যেই তা ব্যবহৃত হবে, ই-রুপী ভাউচার তা নিশ্চিত করবে।
বন্ধুরা,
আগে আমাদের দেশের কিছু মানুষ চাইতো এবং তাঁরা তা বলতেনও, প্রযুক্তি শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিদের জন্যে। ভারতের মতো দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রে সেই প্রযুক্তির কী প্রয়োজন? আমাদের সরকার যখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার উপর গুরুত্বের কথা বলতো, সেই সময় কিছু রাজনৈতিক নেতা নেত্রী এবং বিশেষজ্ঞ এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। কিন্তু আজ দেশ সেই সব মানুষদের ভাবনা চিন্তাকে অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের ভাবনা যে ভুল সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
দেশ এখন অন্যরকম চিন্তাভাবনা করছে, নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছে। আজ আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করার, তাঁদের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখছি। সারা বিশ্ব এখন দেখছে ভারত কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছে, প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে সাধারন মানুষের ওপর থেকে সরকারি লালফিতের ফাঁস আলগা করছে।
আপনারা আজকেরই এই বিশেষ জিনিসটিকে দেখুন, আজ আমরা এই পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি কারন, দেশ জনধন খাতা খুলতে, সেগুলিকে মোবাইল এবং আধারের সঙ্গে যুক্ত করতে এবং জ্যাম-এর মতো ব্যবস্থার জন্য অনেক বছর ধরে পরিশ্রম করেছে। যখন জ্যাম শুরু করা হয়েছিল, তখন অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। কিন্তু লকডাউনের সময় আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। যখন বিশ্বের বড় বড় দেশ চিন্তায় পড়ে গেছিল যে লকডাউনে তাঁদের দরিদ্রদের সাহায্য কীভাবে করা সম্ভব হবে, তখন ভারতের কাছে পুরো ব্যবস্থা তৈরি ছিল। অন্যান্য দেশ যখন নতুন করে পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্ক খুলতে বাধ্য হচ্ছিল, তখন ভারতে সরাসরি মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছিল।
ভারতে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ সরাসরি পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র এখন ৩০০র বেশি প্রকল্পে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায়কে ব্যবহার করছে। প্রায় ৯০ কোটি ভারতীয় এই ব্যবস্থায় উপকৃত হয়েছেন। রান্নার গ্যাস, রেশন, চিকিৎসার জন্য অর্থ, বৃত্তি, পেনশন অথবা বেতন দেওয়ার জন্য ডিজিট্যাল মাধ্যমে এরকম অনেক সুবিধা পাওয়া গেছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এইবার তো কৃষকেরা সরকারিভাবে যখন গম বিক্রি করেছেন, তার ৮৫ হাজার কোটি টাকা এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এই সমস্ত ব্যবস্থায় সব থেকে যেটি সুবিধা হয়েছে, তা হল ১ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ভুল লোকের হাতে পড়ার থেকে বেঁচে গেছে।
বন্ধুরা,
ভারত আজ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং এরসঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সে কারও থেকে পিছিয়ে নেই। উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে হোক, পরিষেবা বিতরনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হোক, ভারত বিশ্বের বড় বড় দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিগত ৭ বছরে, ভারত নিজেদের উন্নয়নে যে গতি এনেছে, তাতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনি ভাবুন, ৮-১০ বছর আগে, কেউ ভাবতে পারতো যে টোল বুথে কোটি কোটি গাড়ি কোনো প্রত্যক্ষ লেনদেন ছাড়াই পার হতে পারবে? কিন্তু ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে তা আজ সম্ভব হয়েছে।
৮-১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, সুদূর গ্রামে বসে থাকা কোনও হস্তশিল্পী নিজেদের জিনিস সরাসরি দিল্লির কোনও সরকারি দপ্তরে বিক্রি করতে পারবেন? গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস আজ তা সম্ভব করেছে।
৮-১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, ভারতে এমএসএমই সেক্টরের ব্যবসায়ীরা মাত্র ৫৯ মিনিটে ঋণ পেয়ে যাবেন। ভারতে আজ এসব সম্ভব। আর এভাবেই ৮-১০ বছর আগে আপনারা কি ভেবেছিলেন যে কোনও কাজের জন্যে ডিজিটাল ভাউচার পাঠাবেন, আর কাজ হয়ে যাবে? ই-রুপীর মাধ্যমে আজ এটাও সম্ভব হয়েছে।
আমি আপনাদের এরকম অনেক উদাহরণ দিতে পারি। এই মহামারীর মধ্যেও দেশ প্রযুক্তির শক্তি উপলব্ধি করেছে। আরোগ্য সেতু অ্যাপের উদাহরণও আমাদের সামনে রয়েছে। আজ এই অ্যাপটি সবথেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলির মধ্যে একটি। একইভাবে, কোউইন পোর্টালও আমাদের টিকা কর্মসূচিতে দেশবাসীকে সাহায্য করছে, টিকা কেন্দ্র নির্বাচন, রেজিস্ট্রেশন, টিকার সার্টিফিকেট পেতে।
যদি পুরোনো ব্যবস্থা চালু থাকত, তাহলে টিকা নেওয়ার পর সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়াতে হতো। এমনকি বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশে আজ কাগজে হাতে লিখে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভারতবাসী এক ক্লিকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করছে। সেই কারণেই, আজ ভারতের কোউইন পদ্ধতি বিশ্বের অনেক দেশকে আকৃষ্ট করছে। ভারত এটি বিশ্বের সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছে।

 

বন্ধুরা,
আমার মনে আছে, ৪ বছর আগে যখন ভীম অ্যাপের সূচনা হয়েছিল, তখন আমি বলেছিলাম যে কিছুদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ ব্যবসায়িক লেনদেন নগদ টাকাপয়সার পরিবর্তে ডিজিটালি করা হবে। তখন আমি এটাও বলেছিলাম যে এই পরিবর্তনের ফলে দরিদ্র, বঞ্চিত, ছোটো ব্যবসায়ী, কৃষক, জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষদের ক্ষমতায়ন হবে, তাঁরা ক্ষমতাবান হবেন। আজ আমরা এটা প্রত্যক্ষ্ অনুভব করেছি। প্রতিমাসে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। জুলাই মাসে ইউপিআই –এর মাধ্যমে ৩০০ কোটি লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন সম্ভব হয়েছে। এখন চা-ওয়ালা, জুস-ওয়ালা, ফল ও সব্জী বিক্রেতাও এর ব্যবহার করছে।

একইসঙ্গে ভারতের রুপে কার্ড দেশের গর্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি সিঙ্গাপুর- ভুটানেও চালু করা হয়েছে। আজ দেশে ৬৬ কোটি রুপে কার্ড রয়েছে এবং দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনও রুপে কার্ডের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এই কার্ড দরিদ্রদেও ক্ষমতায়ণ করছে। তাঁদের এটা অনুভব করাতে সাহায্য করছে যে তাঁদের কাছেও ডেবিট কার্ড রয়েছে এবং তাঁরা সেটির ব্যবহার করতে পারেন।

 

বন্ধুরা,
প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্ররা কীভাবে ক্ষমতাবান হতে পারেন তাঁর আরেকটি উদাহরণ হল- পিএম স্বনিধি যোজনা। আমাদের দেশে যে হকারেরা রয়েছেন, ঠেলাগাড়িওয়ালারা রয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আগে কখনও ভাবা হয়নি। নিজেদের কাজের উন্নতির জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। যেহেতু ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশনের কোনও ইতিহাস ছিলো না, কোনও কাগজপত্র ছিলো না, তাই আমাদের রাস্তার বিক্রেতারা ঋণ নেওয়ার জন্যে প্রথম পদক্ষেপও নিতে পারতো না। এই বিষয়টি উপলব্ধি করেই, আমাদের সরকার পিএম স্বনিধি যোজনা শুরু করে। আজ, দেশের ছোট এবং বড় শহরে, এই স্কিমের আওতায় ২৩ লক্ষেরও বেশি রাস্তার বিক্রেতা এবং ঠেলাওয়ালাদের সাহায্য করা হয়েছে। এই করোনার সময়ে, তাদের প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই দরিদ্র বন্ধুরা এখন ডিজিটাল লেনদেন করছে এবং তাদের ঋণ পরিশোধ করছে। অর্থাৎ এখন তাদের লেনদেনের একটি ডিজিটাল ইতিহাস তৈরি হচ্ছে।
পিএম স্বনিধি যোজনায় ব্যবস্থা করা হয়েছে যে, প্রথম ১০,০০০ টাকার ঋণ শোধ করলে, ২০ হাজার টাকার দ্বিতীয় ঋণ এবং দ্বিতীয় ঋণ শোধ করার পর, ৫০ হাজারের তৃতীয় ঋণ রাস্তার হকারদের দেওয়া হবে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে আজ শত শত রাস্তার হকার এবং বিক্রেতারা এখন তৃতীয় ঋণ পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বন্ধুরা,

বিগত ৬-৭ বছরে ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং ডিজিটাল লেনদেনের জন্যে যে কাজ হয়েছে, তা আজ সারা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতে ফিনটেকের বড় আধার তৈরি হয়েছে। অনেক বড় বড় দেশেও এরকম ভিত তৈরি হয়নি। দেশবাসীদের ইতিবাচক মানসিকতা, তাঁদের মধ্যে ফিনটেক সমাধানগুলিকে গ্রহণ করতে পারার অসীম ক্ষমতা রয়েছে। সেইজন্যে আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়, ভারতের স্টার্ট- আপ সংস্থাগুলির সামনে ভালো সুযোগ রয়েছে। ভারতের স্টার্ট-আপগুলির জন্যে ফিনটেকে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্ধুরা,

আমি নিশ্চিত ই-রুপী ভাউচারও সাফল্যের নতুন অধ্যায় লিখবে। আমাদের ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের শত শত বেসরকারি হাসপাতাল, কর্পোরেট, শিল্প, এনজিও এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের স্কিমের সঠিক এবং সম্পূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করতে ই-রুপীর সর্বাধিক ব্যবহার করার আহ্বান জানাই। আমি নিশ্চিত যে আমাদের সকলের এইরকম একটি ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব একটি সৎ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা তৈরিতে আরও উৎসাহ দেবে।
আরও একবার দেশবাসীদের এই বড় সংস্কারের জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা!
ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।