নমস্কার,
এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল,উপরাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সহকর্মীরা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব, বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সহযোগীরা, স্টার্ট-আপ, ফিনটেকের থেকে যুক্ত আমার যুব বন্ধুরা, ব্যাঙ্কের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা এবং আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা,
আজ দেশ ডিজিটাল গভর্নেন্সকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। দেশে ডিজিটাল লেনদেন এবং ডিবিটি বা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরকে আরো কার্যকর করে তুলতে ই-রুপী ভাউচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এরফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে, স্বচ্ছভাবে সম্পূর্ণ অর্থ পৌঁছে দিতে অনেক বড় সাহায্য হবে। একুশ শতাব্দীর ভারত, আজ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এগিয়ে চলেছে, প্রযুক্তিকে মানুষের জীবনের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে, ই-রুপী তারই আরেক প্রতীক। আর আমি খুশি যে এর সূচনা সেই সময়ে হচ্ছে, যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। আর এইসময়ে দেশ ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে এধরণের সংস্কারের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বন্ধুরা,
শুধু সরকারই নয়, যে কোনো সাধারন সংস্থা অথবা সংগঠন যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষের চিকিৎসা বা শিক্ষার জন্যে অথবা অন্য যেকোনো কাজের জন্যে অর্থ সাহায্য করতে চায়, তাহলে তাঁরা নগদ অর্থের পরিবর্তে ই-রুপী ভাউচার ব্যবহার করতে পারবেন। এরফলে, কোনো কাজের জন্য তিনি যে অর্থ দেবেন, সেটি নিশ্চিতভাবে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত হবে। এইমুহূর্তে, এই প্রকল্প দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সুবিধাগুলির ক্ষেত্রে চালু করা হচ্ছে।
ধরা যাক, কোনো সংগঠন সেবা করার মনোভাব নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দরিদ্র মানুষদের টিকাকরণের কাজে সাহায্য করতে চায়। এই সংগঠন সরকারের তরফে যে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তার লাভ নিতে চাইছে না। এক্ষেত্রে সংগঠনটি যদি বেসরকারী হাসপাতাল গুলিতে যে টাকা দিয়ে টিকা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ১০০জন দরিদ্রের টিকাকরণের খরচ দিতে চান তবে তিনি সেই ১০০জন দরিদ্রদের জন্যে ই–রুপী ভাউচার দিতে পারবেন। ই-রুপী ভাউচার নিশ্চিত করবে যে ওই সংশ্লিষ্ট অর্থের ব্যবহার টিকাকরণের জন্যেই হবে, কোনো অন্য কাজের জন্যে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরসঙ্গে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে যুক্ত করা হবে। যেমন কেউ কোনো ব্যক্তির চিকিৎসার জন্যে খরচ করতে চান, কেউ যক্ষ্মা রোগীদের সঠিক ওষুধ এবং ভোজনের জন্যে আর্থিক সহায়তা করতে চান, অথবা শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার এবং পুষ্টি সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে চায়, তাঁদের জন্যে ই-রুপী অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে। অর্থাৎ, ই-রুপী এক অর্থে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্যে নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করবে।
এই ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে অথবা কোনো প্রকল্পকে সাহায্য করার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হবে, সেই টাকা পুরো ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এখন কেউ যদি বৃদ্ধাশ্রমে ২০টি নতুন শয্যা তৈরি করতে চায়, তাহলে ই-রুপী ভাউচার তাঁকে সাহায্য করবে।
কেউ কোনো অঞ্চলে ৫০জন দরিদ্রদের জন্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায়, তো ই-রুপী ভাউচার সেই সাহায্য করবে। যদি কেউ গোশালায় পশুখাদ্য প্রদান করতে চান, তো ই-রুপী ভাউচার সেক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করবে।
এবার যদি একে আমরা রাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে দেখি তো, সরকারের তরফে বই কেনার জন্যে অর্থ পাঠানো হলে, ই-রুপী এটা নিশ্চিত করবে যে সেই অর্থ দিয়ে যাতে বই-ই কেনা হয়। যদি ইউনিফর্মের জন্যে অর্থ পাঠানো হয়, তাহলে তা সেই কাজেই ব্যবহার করা হবে।
যদি ভর্তুকি যুক্ত খাদ্যের জন্যে সাহায্য প্রদান করা হয়েছে, তবে তা খাদ্য কেনার কাজেই খরচা করা হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে প্রদান করা নগদ অর্থের দ্বারা শুধু পুষ্টিকর আহারেরই ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ, যে উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যেই তা ব্যবহৃত হবে, ই-রুপী ভাউচার তা নিশ্চিত করবে।
বন্ধুরা,
আগে আমাদের দেশের কিছু মানুষ চাইতো এবং তাঁরা তা বলতেনও, প্রযুক্তি শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিদের জন্যে। ভারতের মতো দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রে সেই প্রযুক্তির কী প্রয়োজন? আমাদের সরকার যখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার উপর গুরুত্বের কথা বলতো, সেই সময় কিছু রাজনৈতিক নেতা নেত্রী এবং বিশেষজ্ঞ এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। কিন্তু আজ দেশ সেই সব মানুষদের ভাবনা চিন্তাকে অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের ভাবনা যে ভুল সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
দেশ এখন অন্যরকম চিন্তাভাবনা করছে, নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছে। আজ আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করার, তাঁদের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখছি। সারা বিশ্ব এখন দেখছে ভারত কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছে, প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে সাধারন মানুষের ওপর থেকে সরকারি লালফিতের ফাঁস আলগা করছে।
আপনারা আজকেরই এই বিশেষ জিনিসটিকে দেখুন, আজ আমরা এই পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি কারন, দেশ জনধন খাতা খুলতে, সেগুলিকে মোবাইল এবং আধারের সঙ্গে যুক্ত করতে এবং জ্যাম-এর মতো ব্যবস্থার জন্য অনেক বছর ধরে পরিশ্রম করেছে। যখন জ্যাম শুরু করা হয়েছিল, তখন অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। কিন্তু লকডাউনের সময় আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। যখন বিশ্বের বড় বড় দেশ চিন্তায় পড়ে গেছিল যে লকডাউনে তাঁদের দরিদ্রদের সাহায্য কীভাবে করা সম্ভব হবে, তখন ভারতের কাছে পুরো ব্যবস্থা তৈরি ছিল। অন্যান্য দেশ যখন নতুন করে পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্ক খুলতে বাধ্য হচ্ছিল, তখন ভারতে সরাসরি মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছিল।
ভারতে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ সরাসরি পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র এখন ৩০০র বেশি প্রকল্পে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায়কে ব্যবহার করছে। প্রায় ৯০ কোটি ভারতীয় এই ব্যবস্থায় উপকৃত হয়েছেন। রান্নার গ্যাস, রেশন, চিকিৎসার জন্য অর্থ, বৃত্তি, পেনশন অথবা বেতন দেওয়ার জন্য ডিজিট্যাল মাধ্যমে এরকম অনেক সুবিধা পাওয়া গেছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এইবার তো কৃষকেরা সরকারিভাবে যখন গম বিক্রি করেছেন, তার ৮৫ হাজার কোটি টাকা এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এই সমস্ত ব্যবস্থায় সব থেকে যেটি সুবিধা হয়েছে, তা হল ১ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ভুল লোকের হাতে পড়ার থেকে বেঁচে গেছে।
বন্ধুরা,
ভারত আজ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং এরসঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সে কারও থেকে পিছিয়ে নেই। উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে হোক, পরিষেবা বিতরনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হোক, ভারত বিশ্বের বড় বড় দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিগত ৭ বছরে, ভারত নিজেদের উন্নয়নে যে গতি এনেছে, তাতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনি ভাবুন, ৮-১০ বছর আগে, কেউ ভাবতে পারতো যে টোল বুথে কোটি কোটি গাড়ি কোনো প্রত্যক্ষ লেনদেন ছাড়াই পার হতে পারবে? কিন্তু ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে তা আজ সম্ভব হয়েছে।
৮-১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, সুদূর গ্রামে বসে থাকা কোনও হস্তশিল্পী নিজেদের জিনিস সরাসরি দিল্লির কোনও সরকারি দপ্তরে বিক্রি করতে পারবেন? গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস আজ তা সম্ভব করেছে।
৮-১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, ভারতে এমএসএমই সেক্টরের ব্যবসায়ীরা মাত্র ৫৯ মিনিটে ঋণ পেয়ে যাবেন। ভারতে আজ এসব সম্ভব। আর এভাবেই ৮-১০ বছর আগে আপনারা কি ভেবেছিলেন যে কোনও কাজের জন্যে ডিজিটাল ভাউচার পাঠাবেন, আর কাজ হয়ে যাবে? ই-রুপীর মাধ্যমে আজ এটাও সম্ভব হয়েছে।
আমি আপনাদের এরকম অনেক উদাহরণ দিতে পারি। এই মহামারীর মধ্যেও দেশ প্রযুক্তির শক্তি উপলব্ধি করেছে। আরোগ্য সেতু অ্যাপের উদাহরণও আমাদের সামনে রয়েছে। আজ এই অ্যাপটি সবথেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলির মধ্যে একটি। একইভাবে, কোউইন পোর্টালও আমাদের টিকা কর্মসূচিতে দেশবাসীকে সাহায্য করছে, টিকা কেন্দ্র নির্বাচন, রেজিস্ট্রেশন, টিকার সার্টিফিকেট পেতে।
যদি পুরোনো ব্যবস্থা চালু থাকত, তাহলে টিকা নেওয়ার পর সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়াতে হতো। এমনকি বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশে আজ কাগজে হাতে লিখে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভারতবাসী এক ক্লিকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করছে। সেই কারণেই, আজ ভারতের কোউইন পদ্ধতি বিশ্বের অনেক দেশকে আকৃষ্ট করছে। ভারত এটি বিশ্বের সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছে।
বন্ধুরা,
আমার মনে আছে, ৪ বছর আগে যখন ভীম অ্যাপের সূচনা হয়েছিল, তখন আমি বলেছিলাম যে কিছুদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ ব্যবসায়িক লেনদেন নগদ টাকাপয়সার পরিবর্তে ডিজিটালি করা হবে। তখন আমি এটাও বলেছিলাম যে এই পরিবর্তনের ফলে দরিদ্র, বঞ্চিত, ছোটো ব্যবসায়ী, কৃষক, জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষদের ক্ষমতায়ন হবে, তাঁরা ক্ষমতাবান হবেন। আজ আমরা এটা প্রত্যক্ষ্ অনুভব করেছি। প্রতিমাসে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। জুলাই মাসে ইউপিআই –এর মাধ্যমে ৩০০ কোটি লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন সম্ভব হয়েছে। এখন চা-ওয়ালা, জুস-ওয়ালা, ফল ও সব্জী বিক্রেতাও এর ব্যবহার করছে।
একইসঙ্গে ভারতের রুপে কার্ড দেশের গর্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি সিঙ্গাপুর- ভুটানেও চালু করা হয়েছে। আজ দেশে ৬৬ কোটি রুপে কার্ড রয়েছে এবং দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনও রুপে কার্ডের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এই কার্ড দরিদ্রদেও ক্ষমতায়ণ করছে। তাঁদের এটা অনুভব করাতে সাহায্য করছে যে তাঁদের কাছেও ডেবিট কার্ড রয়েছে এবং তাঁরা সেটির ব্যবহার করতে পারেন।
বন্ধুরা,
প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্ররা কীভাবে ক্ষমতাবান হতে পারেন তাঁর আরেকটি উদাহরণ হল- পিএম স্বনিধি যোজনা। আমাদের দেশে যে হকারেরা রয়েছেন, ঠেলাগাড়িওয়ালারা রয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আগে কখনও ভাবা হয়নি। নিজেদের কাজের উন্নতির জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। যেহেতু ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশনের কোনও ইতিহাস ছিলো না, কোনও কাগজপত্র ছিলো না, তাই আমাদের রাস্তার বিক্রেতারা ঋণ নেওয়ার জন্যে প্রথম পদক্ষেপও নিতে পারতো না। এই বিষয়টি উপলব্ধি করেই, আমাদের সরকার পিএম স্বনিধি যোজনা শুরু করে। আজ, দেশের ছোট এবং বড় শহরে, এই স্কিমের আওতায় ২৩ লক্ষেরও বেশি রাস্তার বিক্রেতা এবং ঠেলাওয়ালাদের সাহায্য করা হয়েছে। এই করোনার সময়ে, তাদের প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই দরিদ্র বন্ধুরা এখন ডিজিটাল লেনদেন করছে এবং তাদের ঋণ পরিশোধ করছে। অর্থাৎ এখন তাদের লেনদেনের একটি ডিজিটাল ইতিহাস তৈরি হচ্ছে।
পিএম স্বনিধি যোজনায় ব্যবস্থা করা হয়েছে যে, প্রথম ১০,০০০ টাকার ঋণ শোধ করলে, ২০ হাজার টাকার দ্বিতীয় ঋণ এবং দ্বিতীয় ঋণ শোধ করার পর, ৫০ হাজারের তৃতীয় ঋণ রাস্তার হকারদের দেওয়া হবে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে আজ শত শত রাস্তার হকার এবং বিক্রেতারা এখন তৃতীয় ঋণ পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বন্ধুরা,
বিগত ৬-৭ বছরে ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং ডিজিটাল লেনদেনের জন্যে যে কাজ হয়েছে, তা আজ সারা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতে ফিনটেকের বড় আধার তৈরি হয়েছে। অনেক বড় বড় দেশেও এরকম ভিত তৈরি হয়নি। দেশবাসীদের ইতিবাচক মানসিকতা, তাঁদের মধ্যে ফিনটেক সমাধানগুলিকে গ্রহণ করতে পারার অসীম ক্ষমতা রয়েছে। সেইজন্যে আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়, ভারতের স্টার্ট- আপ সংস্থাগুলির সামনে ভালো সুযোগ রয়েছে। ভারতের স্টার্ট-আপগুলির জন্যে ফিনটেকে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্ধুরা,
আমি নিশ্চিত ই-রুপী ভাউচারও সাফল্যের নতুন অধ্যায় লিখবে। আমাদের ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের শত শত বেসরকারি হাসপাতাল, কর্পোরেট, শিল্প, এনজিও এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের স্কিমের সঠিক এবং সম্পূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করতে ই-রুপীর সর্বাধিক ব্যবহার করার আহ্বান জানাই। আমি নিশ্চিত যে আমাদের সকলের এইরকম একটি ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব একটি সৎ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা তৈরিতে আরও উৎসাহ দেবে।
আরও একবার দেশবাসীদের এই বড় সংস্কারের জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা!
ধন্যবাদ!