আমাদের সংস্কার প্রচেষ্টা শুধুমাত্র বাধ্যবাধকতার কারণে নয়, বরং গভীর আত্মবিশ্বাসই আমাদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে
সংসদে উভয় কক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ সূচক বক্তব্যে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর মতে, চ্যালেঞ্জ ক্রমাগত আসতেই থাকবে। কিন্তু, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্থির সংকল্প সমস্ত রকম বাধা অতিক্রম করার ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে গৌরব বোধের মানসিকতাকেও জাগিয়ে তুলেছেন তিনি।
ইউপিএ সরকারের আমলে সংশ্লিষ্ট দশকটি ‘নিরাশার দশক’ রূপে চিহ্নিত হয়। কিন্তু, বর্তমান দশকটি চিহ্নিত হয়েছে ‘ভারতের দশক’ রূপে।
তাই ঐ দশকটি চিহ্নিত হয়েছিল ‘সুযোগ সত্ত্বেও প্রতিকূলতা’র দশক রূপে।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আশা-আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে তাঁর সরকার যে স্থির সংকল্প – একথাও তাঁর ভাষণে তুলে ধরনের প্রধানমন্ত্রী
শ্রী মোদী বলেন, সমগ্র জাতি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তাঁদের স্বপ্ন ও সংকল্প এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই, সারা বিশ্বই ভারতের স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে এখন আশাবাদী।
চলার পথে যে কোনও ধরনের বাধাই আসুক না কেন, জাতির আত্মবিশ্বাসের পথে তা কোনও অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারবে না

সংসদের উভয় কক্ষে তাঁর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জাতির দিশা নির্ণয় করেছেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি। ‘সংকল্প থেকে সিদ্ধি’তে উত্তরণের পথ তিনি আমাদের বাতলে দিয়েছেন।

লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ সূচক এক বক্তব্যে আজ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ ভারতের নারী শক্তিকে উৎসাহ যোগানোর পাশাপাশি ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ভিতকেও আরও মজবুত করে তুলেছেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে গৌরব বোধের মানসিকতাকেও জাগিয়ে তুলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, চ্যালেঞ্জ ক্রমাগত আসতেই থাকবে। কিন্তু, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্থির সংকল্প সমস্ত রকম বাধা অতিক্রম করার ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে। চলার পথে যে কোনও ধরনের বাধাই আসুক না কেন, জাতির আত্মবিশ্বাসের পথে তা কোনও অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারবে না। শ্রী মোদী বলেন, শতাব্দীতে একবারও যদি কোনও রকম বিপর্যয় বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলেও তা ভারতবাসীর আত্মবিশ্বাসে কোনও চিড় ধরাতে পারবে না। এ ধরনেরই এক বিরল বিপর্যয়ের মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম এক বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে পেরেছে আমাদের ভারত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি হয়েছে। বিশ্ববাসী আশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান, দেশের ক্রমাগত দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভূত নতুন নতুন সম্ভাবনার বাতাবরণই বিশ্ববাসীর মনে ভারত সম্পর্কে আশা ও সম্ভ্রমের মনোভাবকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছে। ভারতে কি ধরনের আস্থার পরিবেশ গড়ে উঠেছে, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে রয়েছে এমন এক স্থিতিশীল সরকার, যে প্রয়োজনে কঠোরতম সিদ্ধান্ত গ্রহণেও পিছপা নয়। দেশের সংস্কার প্রচেষ্টায় কোনও রকম বাধ্যবাধকতা আমাদের চালিত করে না, বরং স্থির সংকল্প ও আত্মপ্রত্যয়ই আমাদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে। ভারতের সমৃদ্ধির মধ্যেই নিহিত রয়েছে সারা বিশ্বের সমৃদ্ধি বলে মনে করে বহির্বিশ্ব।

২০১৪’র আগের দশকটির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪’র মধ্যবর্তী বছরগুলি ছিল নানা ধরনের কেলেঙ্কারিতে পূর্ণ। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতিটি প্রান্তই তখন ছিল সন্ত্রাস আক্রমণের শিকার। এই পরিস্থিতিতে ঐ দশকটিতে দেশের অর্থনীতি যেমন একদিকে ভেঙ্গে পড়েছিল, তেমনই অন্যদিকে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের কন্ঠ ছিল নিতান্তই ক্ষীণ। তাই ঐ দশকটি চিহ্নিত হয়েছিল ‘সুযোগ সত্ত্বেও প্রতিকূলতা’র দশক রূপে।

ভারতকে গণতন্ত্রের জননী বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে প্রয়োজন গঠনমূলক সমালোচনার। কারণ, সমালোচনা হ’ল শুদ্ধিকরণের এক যজ্ঞবিশেষ। কিন্তু, গঠনমূলক সমালোচনার পরিবর্তে কিছু কিছু মানুষ শুধুমাত্র সমালোচনার কারণেই সমালোচনা করে থাকেন। গত ন’বছরে এই ধরনের কিছু সমালোচকের উদ্দেশ্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কারণ, গঠনমূলক সমালোচনার পথ পরিহার করে তাঁরা শুধুমাত্র মিথ্যা অভিযোগের অঙ্গুলি হেলন করে গেছেন। এই ধরনের বিরূপ ও অনর্থক সমালোচনা কিন্তু দেশবাসীর প্রাথমিক প্রয়োজন মেটাতে পারে না। আমরা এই প্রথমবার গঠনমূলক কাজের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর প্রাথমিক চাহিদা পূরণের কাজে সাফল্য অর্জন করেছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়র আশীর্বাদই যে তাঁর রক্ষাকবচ – একথা জোর দিয়ে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী মোদী বলেন, সমগ্র জাতি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তাঁদের স্বপ্ন ও সংকল্প এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই, সারা বিশ্বই ভারতের স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে এখন আশাবাদী। ইউপিএ সরকারের আমলে সংশ্লিষ্ট দশকটি ‘নিরাশার দশক’ রূপে চিহ্নিত হয়। কিন্তু, বর্তমান দশকটি চিহ্নিত হয়েছে ‘ভারতের দশক’ রূপে।

দেশের বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের কল্যাণে তাঁর সরকার যে অঙ্গীকারবদ্ধ – একথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মসূচির প্রধান সুফলগুলি এখন দেশের দলিত, আদিবাসী, মহিলা এবং দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষদের জন্য সম্প্রসারিত। ভারতের নারী শক্তির উপর আলোকপাত করে শ্রী মোদী বলেন, দেশের নারী শক্তিকে আরও জোরদার করে তুলতে যে কোনও ধরনের উন্নয়ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মতে, দেশের মাতা অর্থাৎ জননীরা যখন ক্ষমতালাভ করবেন, তখন সারা দেশেরই ক্ষমতায়ন ঘটবে। কারণ, নারী ক্ষমতায়নের পথ ধরে ব্যক্তি তথা সমাজের ক্ষমতায়ন ঘটে থাকে। আর এইভাবেই প্রশস্ত হয় জাতির ক্ষমতায়নের পথ। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আশা-আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে তাঁর সরকার যে স্থির সংকল্প – একথাও তাঁর ভাষণে তুলে ধরনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের সাধারণ নাগরিকরা এখন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করেন। যে কোনও ধরনের নেতিবাচক মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গীকে তাঁরা এখন সর্বদাই পরিহার করে চলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage