নতুন দিল্লি, ২৪শে আগষ্ট ২০২৩
সুধীবৃন্দ,
গণমাধ্যমের বন্ধুসকল,
নমস্কার!
ব্রিকস শিখর সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য সর্বপ্রথম আমি আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি রামাফোসাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিন দিনের এই সম্মেলনে অনেক ইতিবাচক ফলাফল প্রত্যক্ষ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
ব্রিকসের পঞ্চদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমরা এই গোষ্ঠীর সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গতকাল আমি যে বিষয়টির উল্লেখ করেছিলাম তা হল, ভারত সবসময় ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিকে সর্বতো সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
ভারত সবসময় বিশ্বাস করে নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তিতে ব্রিকস সংগঠন হিসেবে শক্তিশালী হবে এবং আমাদের যৌথ প্রয়াসের ক্ষেত্রে তা প্রেরণাদায়ক হয়ে উঠবে।
এই পদক্ষেপ বহুমুখী বিশ্ব শৃঙ্খলে বিশ্বের নানা দেশের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এক নতুন শক্তি সঞ্চার করবে।
আমি এ’ বিষয়ে খুশী যে আমরা নীতি নির্দেশিকা, গুণগত মান, নির্ণায়ক এবং সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পেরেছি।
এই বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করেই আমরা আর্জেন্টিনা, মিশর, ইরান, সৌদি আরব, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে ব্রিকসের নতুন সদস্য হিসেবে স্বাগত জানিয়েছি।
প্রথমত, এই সব দেশের নেতৃত্ব এবং সেখানকার জনসাধারণকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি স্থির নিশ্চিত এই সব দেশগুলির সঙ্গে সম্মিলিত সহযোগিতার ফলে নতুন শক্তি এবং নতুন গতি সঞ্চারিত হবে।
এই সব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের নিবিড় এবং ঐতিহাসিক সম্বন্ধসূত্র রয়েছে।
ব্রিকসের সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রার সংযোজন ঘটাতে পারব।
যেসব দেশগুলি ব্রিকসের পরিবারে যোগ দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে ভারত সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাদের স্বাগত জানাতে গঠনশীল ভূমিকা নেবে।
বন্ধুগণ,
ব্রিকসের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে যে বার্তা ফুটে ওঠে তা হল, সমস্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠানকে পরিবর্তিত সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি বিধান করে চলতে হয়।
এটা এমন এক উদ্যোগ যা বিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত অন্য বিশ্ব প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও সংস্কারের পথে একটি দৃষ্টান্ত স্বরূপ হতে পারে।
বন্ধুগণ,
এই মাত্র আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি রামাফোসা চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গতকাল থেকে সকলের কাছ থেকেই আমি এ অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছি।
বিশ্বজুড়ে এই সাফল্যকে কেবলমাত্র একটি দেশের সাফল্য নয়, বরং মানবতার ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এটা আমাদের প্রত্যেকের কাছেই এক অসীম গর্বের বিষয় এবং সমগ্র বিশ্বের পক্ষ থেকে এই উপলক্ষে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানানোর এটা এক উপযুক্ত সময়।
বন্ধুগণ,
চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্যে গতকাল সন্ধ্যায় ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণে সাফল্য লাভ করেছে।
এই সাফল্য কেবলমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
ভারত যে লক্ষ্যে অর্জন করেছে চাঁদের সেই দক্ষিণ মেরুতে ইতিপূর্বে কেউ কখনও অবতরণ করতে পারে নি। ভারতের এই প্রয়াস সফল হওয়ায় বলতেই হবে বিজ্ঞান আমাদেরকে অনাবিস্কৃত এক দুর্গম ভূখণ্ডে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে।
ফলত এটা বিজ্ঞান এবং সকল বিজ্ঞানীদের জন্য এক অসাধারণ কীর্তির সাক্ষ্য হিসেবে সূচিত হবে।
এই ঐতিহাসিক ক্ষণে আমার জন্য, ভারতের জন্য, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের জন্য এবং বিশ্বের সমগ্র বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য যে অভিনন্দন বার্তা এসে পৌঁছচ্ছে, সেব্যাপারে আমি আপনাদের সকলকে আমার তরফ থেকে আমার দেশবাসীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের বৈজ্ঞানিকদের পক্ষ থেকে সর্বসমক্ষে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী মূল বিবৃতিটি হিন্দিতে