মাননীয় রাষ্ট্রপতি রামাফোসা,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি লুলা দ্য সিলভা,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি পুতিন,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি শি,

ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ,

পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে এই বিপুল আয়োজনের জন্য আমি আরও একবার আমার প্রিয় বন্ধু রাষ্ট্রপতি রামাফোসাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের জন্য এখানে উষ্ণ আতিথেয়তার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

সুন্দর জোহানেসবার্গ শহরে আরও একবার আসতে পেরে আমার এবং আমার সঙ্গে আসা দলের সদস্যদের কাছে এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।  

ভারতের জনসাধারণ এবং ইতিহাসের সঙ্গে এই শহরের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। 

১১০ বছর আগে মহাত্মা গান্ধী এই শহরের খুব কাছে টলস্টয়ের খামার বানিয়েছিলেন। 

ভারতের সঙ্গে ইউরেশিয়া ও আফ্রিকার ভাল ধারণাগুলির সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধী আমাদের একতা ও পারস্পরিক সম্প্রীতির এক শক্তিশালী ভিত গড়ে তোলেন। 

সুধীবৃন্দ, 

গত প্রায় দু-দশক ধরে ব্রিকস একটি দীর্ঘ এবং সুন্দর সফর সম্পন্ন করেছে। 

এই সফরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।  

আমাদের নতুন উন্নয়ন ব্যাঙ্ক, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

কনটিনজেন্সি রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা আর্থিক ক্ষেত্রে সুরক্ষার একটি পরিবেশ গড়ে তুলেছি। 

ব্রিকস গোষ্ঠীর কৃত্রিম উপগ্রহ সংক্রান্ত একটি নিয়মাবলী রচনার পাশাপাশি টিকার গবেষণাকেন্দ্র, এই গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির ওষুধকে পারস্পরিক স্বীকৃতিদানের ব্যবস্থা সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পেরেছি। 

যুব সম্মেলন, ব্রিকস ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কাউন্সিলের মত বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সকল দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ সুদৃঢ় হয়েছে। 

ভারতের পরামর্শক্রমে রেল গবেষণা নেটওয়ার্ক, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতা গড়ে তোলা, ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য অনলাইন তথ্য ভাণ্ডার, স্টার্ট আপ ফোরাম ব্রিকসকে নতুন এক দিশা দেখাবে। 

এই ক্ষেত্রগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ায় আমি আনন্দিত। 

সুধীবৃন্দ, 

আমাদের নিবিড় সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করার জন্য আমি কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছি। 

প্রথমটি হল, মহাকাশ ক্ষেত্রে সহযোগিতা। আমরা ইতিমধ্যেই ব্রিকস স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন গড়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছি। 

আমরা আরও একধাপ অগ্রসর হয়ে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য মহাকাশ অভিযান সংক্রান্ত একটি কনসরটিয়াম গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি। 

এর আওতায় আমরা মহাকাশ গবেষণা, জলবায়ুর ওপর নজরদারী সহ বিশ্বের মঙ্গলের জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারি। 

আমার দ্বিতীয় পরামর্শটি হল, শিক্ষা ক্ষেত্র, দক্ষতা বিকাশ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা। 

ব্রিকসকে ভবিষ্যতের চাহিদাসম্পন্ন এক সংগঠনে পরিণত করতে হলে আমাদের নিজেদের সমাজকেও ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

ভারতে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো যুক্ত মঞ্চ দীক্ষা গড়ে তুলেছি। এর সাহায্যে গ্রামাঞ্চল সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের লেখাপড়া করানো যাবে। 

স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবন মূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে আমরা দেশজুড়ে ১০ হাজার অটল টিঙ্কারিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। 

ভাষাগত বাধা দূর করতে কৃত্রিম মেধাযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম – ভাষিণী ভারতে ব্যবহার করা হবে। 

টিকাকরণের জন্য কো-উইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া স্ট্যাক নামে একটি সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। যার সাহায্যে বিভিন্ন জনপরিষেবা নিশ্চিত করা হবে। 

বৈচিত্র ভারতের সবথেকে বড় শক্তি। 

ভারতে যে কোন সমস্যার সমাধানই এই বৈচিত্রকে পরীক্ষা করার জন্য সামনে আসে। 

আর তাই পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হলে ভারতের সমাধানগুলিকে সহজে কাজে লাগানো যায়। 

এই প্রেক্ষিতে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সদস্যদের সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করার সুযোগ পেলে আমরা আনন্দিত হব। 

একে অন্যের ক্ষমতাকে শনাক্ত করার জন্য আমরা দক্ষতার পরিমাপ করতে পারি – এটি আমার তৃতীয় পরামর্শ। 

এর মাধ্যমে আমরা একে অন্যের উন্নয়ন যাত্রার শরিক হব। 

আমার চতুর্থ পরামর্শ হল বিগ ক্যাটদের নিয়ে।

ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচটি দেশের সবকটিতেই বিভিন্ন প্রজাতির বিগ ক্যাট বিপুল সংখ্যায় রয়েছে। 

এদের সংরক্ষণের জন্য আমরা ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। 

আমার পঞ্চম পরামর্শটি হল চিরায়ত ওষুধ সম্পর্কিত। 

আমাদের দেশগুলিতে চিরায়ত ওষুধের এক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। 

আমরা কি চিরায়ত ওষুধের একটি ভাণ্ডার গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করতে পারি?

সুধীবৃন্দ, 

দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে ব্রিকস গোষ্ঠী উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। 

আমরা এই উদ্যোগকে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাই। 

এটি বর্তমান যুগের নিরিখে কোন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নয়, এর প্রয়োজন রয়েছে। 

জি-২০ সভাপতিত্বে ভারত এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। 

“এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ”- এই ভাবনায় সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে এগিয়ে চলাই আমাদের উদ্দেশ্য। 

এবছরের জানুয়ারিতে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলনে ১২৫টি দেশ অংশগ্রহণ করে, সেখানে তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এই সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে। 

আমরা জি-২০ গোষ্ঠীতে আফ্রিকান ইউনিয়কে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। 

আমি নিশ্চিত ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একযোগে জি-২০ কাজ করবে। প্রত্যেকেই আমার প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন বলে আমি আশাবাদী। 

এই উদ্যোগগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্রিকস গোষ্ঠী উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আত্মপ্রত্যয় বাড়াতে সাহায্য করবে। 

সুধীবৃন্দ, 

ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ভারত সম্পূর্ণ সমর্থন যোগাবে। এই সাধু উদ্যোগে সহমত গড়ে তোলার প্রয়োজন। 

২০১৬ সালে ভারতের সভাপতিত্বে আমরা ব্রিকসকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সমন্বিত ভাবে ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবায়নের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। 

আজ সাত বছর পর আমরা বলতে পারি ব্রিকস হয়ে উঠবে – বাধা অপসারণকারী একটি গোষ্ঠী, যে গোষ্ঠী অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের জন্য কাজ করবে, বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগকে সহায়তা করবে, নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তুলবে। যার মাধ্যমে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি হবে। 

ব্রিকস গোষ্ঠীর সব রাষ্ট্রগুলি একযোগে নতুন পরিকল্পনাগুলিকে সক্রিয় ভাবে বাস্তবায়িত করবে। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন)

মাননীয় রাষ্ট্রপতি রামাফোসা,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি লুলা দ্য সিলভা,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি পুতিন,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি শি,

ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ,

পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে এই বিপুল আয়োজনের জন্য আমি আরও একবার আমার প্রিয় বন্ধু রাষ্ট্রপতি রামাফোসাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের জন্য এখানে উষ্ণ আতিথেয়তার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

সুন্দর জোহানেসবার্গ শহরে আরও একবার আসতে পেরে আমার এবং আমার সঙ্গে আসা দলের সদস্যদের কাছে এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।  

ভারতের জনসাধারণ এবং ইতিহাসের সঙ্গে এই শহরের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। 

১১০ বছর আগে মহাত্মা গান্ধী এই শহরের খুব কাছে টলস্টয়ের খামার বানিয়েছিলেন। 

ভারতের সঙ্গে ইউরেশিয়া ও আফ্রিকার ভাল ধারণাগুলির সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধী আমাদের একতা ও পারস্পরিক সম্প্রীতির এক শক্তিশালী ভিত গড়ে তোলেন। 

সুধীবৃন্দ, 

গত প্রায় দু-দশক ধরে ব্রিকস একটি দীর্ঘ এবং সুন্দর সফর সম্পন্ন করেছে। 

এই সফরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।  

আমাদের নতুন উন্নয়ন ব্যাঙ্ক, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

কনটিনজেন্সি রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা আর্থিক ক্ষেত্রে সুরক্ষার একটি পরিবেশ গড়ে তুলেছি। 

ব্রিকস গোষ্ঠীর কৃত্রিম উপগ্রহ সংক্রান্ত একটি নিয়মাবলী রচনার পাশাপাশি টিকার গবেষণাকেন্দ্র, এই গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির ওষুধকে পারস্পরিক স্বীকৃতিদানের ব্যবস্থা সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পেরেছি। 

যুব সম্মেলন, ব্রিকস ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কাউন্সিলের মত বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সকল দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ সুদৃঢ় হয়েছে। 

ভারতের পরামর্শক্রমে রেল গবেষণা নেটওয়ার্ক, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতা গড়ে তোলা, ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য অনলাইন তথ্য ভাণ্ডার, স্টার্ট আপ ফোরাম ব্রিকসকে নতুন এক দিশা দেখাবে। 

এই ক্ষেত্রগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ায় আমি আনন্দিত। 

সুধীবৃন্দ, 

আমাদের নিবিড় সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করার জন্য আমি কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছি। 

প্রথমটি হল, মহাকাশ ক্ষেত্রে সহযোগিতা। আমরা ইতিমধ্যেই ব্রিকস স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন গড়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছি। 

আমরা আরও একধাপ অগ্রসর হয়ে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য মহাকাশ অভিযান সংক্রান্ত একটি কনসরটিয়াম গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি। 

এর আওতায় আমরা মহাকাশ গবেষণা, জলবায়ুর ওপর নজরদারী সহ বিশ্বের মঙ্গলের জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারি। 

আমার দ্বিতীয় পরামর্শটি হল, শিক্ষা ক্ষেত্র, দক্ষতা বিকাশ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা। 

ব্রিকসকে ভবিষ্যতের চাহিদাসম্পন্ন এক সংগঠনে পরিণত করতে হলে আমাদের নিজেদের সমাজকেও ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

ভারতে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো যুক্ত মঞ্চ দীক্ষা গড়ে তুলেছি। এর সাহায্যে গ্রামাঞ্চল সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের লেখাপড়া করানো যাবে। 

স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবন মূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে আমরা দেশজুড়ে ১০ হাজার অটল টিঙ্কারিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। 

ভাষাগত বাধা দূর করতে কৃত্রিম মেধাযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম – ভাষিণী ভারতে ব্যবহার করা হবে। 

টিকাকরণের জন্য কো-উইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া স্ট্যাক নামে একটি সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। যার সাহায্যে বিভিন্ন জনপরিষেবা নিশ্চিত করা হবে। 

বৈচিত্র ভারতের সবথেকে বড় শক্তি। 

ভারতে যে কোন সমস্যার সমাধানই এই বৈচিত্রকে পরীক্ষা করার জন্য সামনে আসে। 

আর তাই পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হলে ভারতের সমাধানগুলিকে সহজে কাজে লাগানো যায়। 

এই প্রেক্ষিতে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সদস্যদের সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করার সুযোগ পেলে আমরা আনন্দিত হব। 

একে অন্যের ক্ষমতাকে শনাক্ত করার জন্য আমরা দক্ষতার পরিমাপ করতে পারি – এটি আমার তৃতীয় পরামর্শ। 

এর মাধ্যমে আমরা একে অন্যের উন্নয়ন যাত্রার শরিক হব। 

আমার চতুর্থ পরামর্শ হল বিগ ক্যাটদের নিয়ে।

ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচটি দেশের সবকটিতেই বিভিন্ন প্রজাতির বিগ ক্যাট বিপুল সংখ্যায় রয়েছে। 

এদের সংরক্ষণের জন্য আমরা ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। 

আমার পঞ্চম পরামর্শটি হল চিরায়ত ওষুধ সম্পর্কিত। 

আমাদের দেশগুলিতে চিরায়ত ওষুধের এক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। 

আমরা কি চিরায়ত ওষুধের একটি ভাণ্ডার গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করতে পারি?

সুধীবৃন্দ, 

দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে ব্রিকস গোষ্ঠী উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। 

আমরা এই উদ্যোগকে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাই। 

এটি বর্তমান যুগের নিরিখে কোন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নয়, এর প্রয়োজন রয়েছে। 

জি-২০ সভাপতিত্বে ভারত এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। 

“এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ”- এই ভাবনায় সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে এগিয়ে চলাই আমাদের উদ্দেশ্য। 

এবছরের জানুয়ারিতে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলনে ১২৫টি দেশ অংশগ্রহণ করে, সেখানে তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এই সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে। 

আমরা জি-২০ গোষ্ঠীতে আফ্রিকান ইউনিয়কে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। 

আমি নিশ্চিত ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একযোগে জি-২০ কাজ করবে। প্রত্যেকেই আমার প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন বলে আমি আশাবাদী। 

এই উদ্যোগগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্রিকস গোষ্ঠী উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আত্মপ্রত্যয় বাড়াতে সাহায্য করবে। 

সুধীবৃন্দ, 

ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ভারত সম্পূর্ণ সমর্থন যোগাবে। এই সাধু উদ্যোগে সহমত গড়ে তোলার প্রয়োজন। 

২০১৬ সালে ভারতের সভাপতিত্বে আমরা ব্রিকসকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সমন্বিত ভাবে ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবায়নের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। 

আজ সাত বছর পর আমরা বলতে পারি ব্রিকস হয়ে উঠবে – বাধা অপসারণকারী একটি গোষ্ঠী, যে গোষ্ঠী অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের জন্য কাজ করবে, বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগকে সহায়তা করবে, নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তুলবে। যার মাধ্যমে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি হবে। 

ব্রিকস গোষ্ঠীর সব রাষ্ট্রগুলি একযোগে নতুন পরিকল্পনাগুলিকে সক্রিয় ভাবে বাস্তবায়িত করবে। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন)

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures

Media Coverage

India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister lauds the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948
December 03, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi lauded the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948 in Rajya Sabha today. He remarked that it was an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.

Responding to a post on X by Union Minister Shri Hardeep Singh Puri, Shri Modi wrote:

“This is an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.”