প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গায়ত্রী পরিবার আয়োজিত অশ্বমেধ যজ্ঞে বক্তব্য রাখেন। আসন্ন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অশ্বমেধ যজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা সংশয়ের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি যখন দেখলাম, অশ্বমেধ যজ্ঞের মাধ্যমে আচার্য শ্রী রাম শর্মার মতাদর্শকে তুলে ধরা হচ্ছে, তখন আমার সমস্ত সংশয় দূর হয়ে গেল। গায়ত্রী পরিবার আয়োজিত অশ্বমেধ যজ্ঞ একটি বৃহৎ সামাজিক প্রচার কর্মসূচি হয়ে উঠেছে”।
দেশ গড়ার ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ তরুণের ভূমিকার কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তরুণরাই হ’ল আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।" এ ধরনের মহান উদ্যোগ নেওয়ার জন্য গায়ত্রী পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। আচার্য শ্রী রাম শর্মা এবং মাতা ভগবতীর শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করে গায়ত্রী পরিবারের সদস্যদের অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তরুণদের নেশার কবল থেকে মুক্ত করার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যক্তি এবং সমাজের ক্ষেত্রে নেশার প্রতি আসক্তি ব্যাপক ক্ষতিকর।" নেশা-মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে দেশ জুড়ে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, ৩ থেকে ৪ বছর আগে নেওয়া এই কর্মসূচিতে ১১ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। সামাজিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সহযোগিতায় মানুষের কাছে পৌঁছতে মোটর সাইকেল যাত্রা, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং পথ নাটিকার আয়োজন করা হয়েছিল। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও নেশার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন, "বৃহত্তর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে আমরা তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালালে, তাঁরা ছোট ছোট ভুলগুলি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।" বিকাশিত ও আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ভারতের জি-২০’র সভাপতিত্বে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – এর শ্লোগানের কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। সেইসঙ্গে, বিশ্ব জুড়ে ‘এক সূর্য, এক পৃথিবী, এক গ্রিড’ এবং ‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’-র মতো উদ্যোগের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এ ধরনের কর্মসূচিতে আমরা যত বেশি তরুণকে সামিল করতে পারবো, তারা তত ভুলের পথ থেকে দূরে সরে আসবে।
ক্রীড়া ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চন্দ্রযান-এর সাফল্য প্রযুক্তির প্রতি তরুণদের মনে নতুন উৎসাহের সৃষ্টি করেছে।" তিনি বলেন, ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলন এবং খেলো ইন্ডিয়া’র মতো কর্মসূচি তরুণদের উদ্বুদ্ধ করবে।
নতুন সংগঠন ‘মেরা যুবা ভারত (মাই ভারত)’ – এর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশ গড়ার কাজে যুব শক্তির সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে গতি আনতে ১.৫ কোটিরও বেশি তরুণ ইতিমধ্যে তাঁদের নাম পোর্টালে নথিভুক্ত করেছেন।
শ্রী মোদী বলেন, বর্জ্য মুক্ত ভারত গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবারের কঠোর অবস্থান নেওয়া বাধ্যতামূলক।
ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় আমি ভারতের হাজার বছরের নতুন যাত্রার সূচনার কথা উল্লেখ করেছিলাম। এই অমৃতকালে আমরা নতুন যুগের সূর্যোদয় দেখতে পাচ্ছি।" ব্যক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, সেই সূত্রে বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার পথে ভারতের যাত্রা সম্পর্কে তাঁর আশার কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন