সুধী,
উভয় দেশের প্রতিনিধিগণ,
সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা,
আজ ভারত-সৌদি আরব কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের প্রথম শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
২০১৯ সালে আমার সৌদি আরব সফরের সময় আমরা যৌথভাবে এই পরিষদ গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলাম।
এই চার বছরে, এটি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ।
আমি আনন্দিত যে এই পরিষদের অধীনে উভয় কমিটির অনেক সভা হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবর্তনশীল সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন নতুন ও আধুনিক মাত্রা যোগ করছি।
সৌদি আরব ভারতের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার।
বিশ্বের দুটি বৃহত্তম এবং দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসাবে, আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাননীয়, আপনার সঙ্গে বৈঠকে আমরা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ চিহ্নিত করেছি।
আমাদের আজকের বৈঠকটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন শক্তি, একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেবে এবং আমাদের মিলেমিশে মানবতার উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
গতকাল আমরা একসঙ্গে ভারত, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ঐতিহাসিক সূচনা করেছি।
এই করিডোর শুধু দুটি দেশকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে না, এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জ্বালানি উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সংযোগও শক্তিশালী করবে।
মাননীয় , আপনার নেতৃত্বে এবং আপনার পরিকল্পনায় ২০৩০-র মধ্যে সৌদি আরব যে দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি করতে চলেছে তার জন্য আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।
সৌদি আরবে বসবাসরত ভারতীয়দের স্বার্থ ও কল্যাণ সুনিশ্চিত করার উদ্দেশে আপনার প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা আপনার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্ধুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যে আপনার অবদানের জন্য আমি আবারও মাননীয় আপনাকে এবং আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমি এখন আপনাকে আপনার উদ্বোধনী বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।