প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভাল্লালার নামে পরিচিত শ্রী রামলিঙ্গ স্বামীর দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণ দিয়েছেন।
সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠান ভাল্লালারের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থান বাদালুরে আয়োজিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন যে, ভাল্লালার ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় সাধু, যিনি উনিশ শতকে এই পৃথিবীতে বসবাস করেছেন এবং যাঁর আধ্যাত্মিক দর্শন আজও লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রেরণা যোগায়। বিভিন্ন সংস্থা তাঁর আদর্শ ও ভাবনা অনুসারী কাজ করে চলেছে জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, “ভাল্লালারের প্রভাব বিশ্বব্যাপী”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন আমরা ভাল্লালারকে স্মরণ করি, তখনই আমরা তাঁর স্নেহ ও মমতার আদর্শকে স্মরণ করি”। তিনি বলেন যে, ভাল্লালার এমন একটা জীবনে বিশ্বাস করতেন, যেখানে অপরের প্রতি মমত্ববোধই প্রধান। ক্ষুধা দূরীকরণে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও কাজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনও মানুষ খালি পেটে ঘুমোতে যায়, তারচেয়ে বড় বেদনা তাঁর কাছে আর কিছু ছিল না”। তিনি বিশ্বাস করতেন, “ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া সবচেয়ে বড় পুণ্যের কাজ”। ভাল্লালারকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যতবার আমি শস্য নষ্ট হতে দেখি, ততবার আমিও নষ্ট হই”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে দায়বদ্ধ। কোভিড অতিমারীর সময়ে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার মতো প্রধান ত্রাণ কাজের উদাহরণ দেন তিনি।
প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার শক্তিতে ভাল্লালারের বিশ্বাসের উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরু হিসেবে তাঁর দরজা ছিল সবসময় খোলা এবং তিনি অগণিত মানুষকে পথ দেখিয়েছিলেন। কুরাল-কে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে ভাল্লালারের প্রয়াস এবং আধুনিক শিক্ষা নীতিকে তাঁর গুরুত্ব প্রদানের কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাল্লালার চাইতেন ছাত্ররা তামিল, সংস্কৃত এবং ইংরাজিতে সড়গড় হয়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী এই সূত্রে গত ৯ বছরে ভারতীয় শিক্ষার পরিকাঠামো রূপান্তরে সরকারি প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন। দীর্ঘ তিনটি দশকের পর রচিত দেশের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নীতি শিক্ষার পরিবেশের সামগ্রিক রূপান্তর ঘটাচ্ছে, জোর দিচ্ছে উদ্ভাবন, গবেষণা এবং উন্নয়নের উপর। গত ৯ বছরে রেকর্ড সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন তরুণ সমাজ স্থানীয় ভাষায় পড়াশুনা করে চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ার হতে পারছেন। যুবসমাজের কাছে সুযোগের নানা পথ খুলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমাজ সংস্কারের প্রসঙ্গে ভাল্লালার তাঁর সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন”। তিনি বলেন যে, ঈশ্বর সম্পর্কে ভাল্লালারের ভাবনা ছিল ধর্ম, বর্ণ ও জাতপাতের ঊর্ধ্বে। তিনি আরও বলেন, ভাল্লালার বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রতিটি অণুতে ঈশ্বরকে দেখতেন এবং মানবসমাজকে এই দৈব সংযোগকে অনুভব করার আবেদন জানাতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ – এ তাঁর বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়, যখন তিনি ভাল্লালারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কারণ, ভাল্লালারের শিক্ষার লক্ষ্যই ছিল - সমাজে সকলের জন্য সমানভাবে কাজ করা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনসভায় মহিলাদের সংরক্ষণের লক্ষ্যে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম পাশ হওয়ায় ভাল্লালার নিশ্চয়ই আশীর্বাদ করছেন। ভাল্লালারের রচনার প্রাঞ্জলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলি পড়া ও বোঝা খুবই সহজ। জটিল আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞাকেও সরল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বহু যুগের সাংস্কৃতিক প্রজ্ঞার বৈচিত্র্য মহান সাধুদের আদর্শের সূত্রে গাঁথা, যা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এই পবিত্র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাল্লালারের আদর্শ রূপায়ণে তাঁর দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন এবং প্রত্যেককে তাঁর ভালোবাসা, মমত্ব এবং ন্যায়ের বার্তাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাঁর আন্তরিক ইচ্ছাগুলিকে পূরণ করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কেউ যাতে ক্ষুধার্ত না থাকে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক শিশুই যাতে ভালো শিক্ষা পায়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে”।
“ভাল্লালারের গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী”
“যখন আমরা ভাল্লালারকে স্মরণ করি, তখন আমরা তাঁর মায়া ও করুণার আদর্শকেও স্মরণ করি”
“ভাল্লালার বিশ্বাস করতেন, ক্ষুধার্তকে অন্নদান মমতার অন্যতম প্রকাশ”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভাল্লালার নামে পরিচিত শ্রী রামলিঙ্গ স্বামীর দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণ দিয়েছেন।
ভাল্লালারকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যতবার আমি শস্য নষ্ট হতে দেখি, ততবার আমিও নষ্ট হই”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে দায়বদ্ধ। কোভিড অতিমারীর সময়ে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার মতো প্রধান ত্রাণ কাজের উদাহরণ দেন তিনি।
জটিল আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞাকেও সরল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বহু যুগের সাংস্কৃতিক প্রজ্ঞার বৈচিত্র্য মহান সাধুদের আদর্শের সূত্রে গাঁথা, যা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
Login or Register to add your comment
Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.
The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.