প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে কেরলের ত্রিশুরে শ্রী সীতারামা স্বামী মন্দিরের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। পবিত্র ত্রিশুর পুরম উৎসব উপলক্ষে তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেরলের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত ত্রিশুর। এখানকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিল্পকলা মিলেমিশে রয়েছে ধর্মীয় মনোভাব, দর্শন এবং উৎসব-অনুষ্ঠানের সঙ্গে। ত্রিশুর তার ঐতিহ্য ও পরিচয় ধরে রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী সীতারামা স্বামী মন্দির এই লক্ষ্যে যেভাবে কাজ করে চলেছে তারও প্রশংসা করেন তিনি।
মন্দিরের সম্প্রসারণ এবং গর্ভগৃহ স্বর্ণখচিত হওয়ায় ও ভগবান শ্রী সীতারামা এবং ভগবান আয়াপ্পা ও ভগবান শিব-এর মূর্তি উৎসর্গ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ৫৫ ফুট ভগবান হনুমানের মূর্তি স্থাপিত হওয়ার বিষয়টিরও প্রশংসা করেন। কুম্ভাভিষেকম উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
কল্যাণ পরিবারের ভূমিকা এবং শ্রী টি এস কল্যাণরমনের সঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী বৈঠকের কথা স্মরণ করেন শ্রী মোদী। এই উৎসবে অংশ নিয়ে তিনি যে আনন্দ অনুভব করছেন, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিশুর এবং শ্রী সীতারামা স্বামী মন্দির কেবলমাত্র আস্থার প্রতীক নয়, এখানে ভারতের চেতনাও প্রতিফলিত হয়। মধ্যযুগে বিভিন্ন ভারতীয় মন্দির ধ্বংস করার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মন্দিরগুলির মধ্যে ভারতের জ্ঞান ও চিন্তাভাবনা প্রজ্জ্বলিত ছিল। ভারত শ্বাশতর সন্ধানে জয়ী হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, “সেই সময়কার এই মন্দিরগুলি একথাই বারবার মনে করায় যে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এই চিন্তাভাবনা হাজার হাজার বছর ধরেই ভারতে বিরাজ করছে। বর্তমানে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে আমরা আমাদের ঐতিহ্যের ওপর গর্ব অনুভব করার পাশাপাশি সেগুলিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করব।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মন্দিরগুলি আমাদের তীর্থস্থান এবং হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সমাজের মূল্যবোধ ও উন্নয়নের প্রতীকস্বরূপও।” শ্রী সীতারামা স্বামী মন্দির এই লক্ষ্যে যেভাবে কাজ করে চলেছে তার প্রশংসা করেন তিনি। এই মন্দির পরিচালিত বিভিন্ন জনকল্যাণ কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মন্দির কর্তৃপক্ষকে সমাজের উন্নয়নে এভাবেই কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। শ্রী অন্ন অভিযান, স্বচ্ছতা অভিযান বা প্রাকৃতিক কৃষির মতো জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিগুলিত মন্দির কর্তৃপক্ষকে আরও উৎসাহের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন যে শ্রী শ্রী সীতারামা স্বামীজির আশীর্বাদ সকলের ওপর বর্ষিত হবে এবং দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে।